নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় অনেক কম, কাজ অনেক বেশি। সংবাদ মাধ্যমের চেয়ে উৎকৃষ্ট এই সিটিজেন জার্নালে অন্তত চটি লেখক মার্কা লোক নেই-আমি এতেই সুখ অনুভব করছি। লিখতে শুরু করেছি-লিখতে লিখতেই হয়তো একদিন ফুড়িয়ে যাবো। তারপরেও সকল মানুষের কল্যান কামনা করেই যাবো

বিভক্ত আত্মা

সাংবাদিক

বিভক্ত আত্মা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আর কত স্বপ্নের অপমৃত্যু ঘটলে, আমি আশাবাদী হয়ে থাকবো?

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:৪৩

প্রিয় অর‍ণ্য
আর কত স্বপ্নের অপমৃত্যু ঘটলে, আর কে কে না থাকলে তুমি আমাকে ঘিরে থাকবে?


গত এক বছর আগে লাগানো পলাশ গাছটার ফুল এতটাই রঙে ভরপুর যে, তোমাকে কোনভাবেই বিকৃত করে দেখতে পারলাম না। পুকুর পাড়ের গাদা ফুল গুলো আমাকে বারবার করে তাড়া করছিল, আর বলছিল যে, “সেখানেই যাও যেখানে তোমার যোগ্য স্থান”।
আমি আজ ফূল ছুযেছি। অধীক সৌন্দর্য্যের মধ্যেও আমি তপ্ত কোন নিশ্বাসের অস্তিত্ব খুঁজে পাইনি। হ্যা, অনেক মন খারাপ হয়েছে। আমার মধ্যে তোমারই সৃষ্টি করা বসন্তে অন্য কিছু আন্দোলিত করতে পারেনি।
আজ আমার মন অনেক খারাপ। খুব মনে পরে গেলো, “ যদি কেউ না থাকে, কখনও যদি একা বোধ কর, তবে জেনো, আমিই তোমার পাশে থাকবো”। আমি আজ দশ দিগন্তে তোমাকে খুঁজেছি। পাগলের মত পথের দিকে তাকিয়ে থেকেছি, অপেক্ষা করেছি, অনেক অনেক।
দেখ ক্যামন ভাগ্যের পরিহাস। আমি যত বারই ইসলামী জঙ্গী, রাজনৈতিক সন্ত্রাসী, পুলিশের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়েছি, তারপর হাসপাতালের বিছানার পাশে তুই ছিলে। অন্যরা কেউ বা চাকরীর অজুহাতে অথবা ভয়ে পাশে আসেনি। আমি প্রসন্ন বোধ করেছিলাম। নির্যাতনের তীব্রতায় থেতলে যাওয়া সকল মাংসপেশি যেন শক্তিধর হয়ে উঠে।
আমার খুব মনে আছে, তুমি আর মিলে বেশ সতর্ক করেছিলে, ওদের বিরুদ্ধে কাজ করোনা, তাদের সম্পর্কে লিখে নিজের বিপদ ডেকে আনিও না। সেদিন, অনেক যত্ন করে তুমি আমাকে খাইয়েছিলে। অত:পর সন্ধা, রাত, মধ্যরাত, তুমি উৎকণ্ঠায় থেকেছিলে। তোমার আমি বলার আগেই তুমি কেঁদে উঠেছিলে, বলেছিলে, “কেন ফোন করোনি, আমি কি যা ধারনা করেছি, তোমার সাথে তাই হয়েছে, তুমি এখন সুস্থ আছোতো?
সেদিনের উৎকণ্ঠা আমার আমৃত্যু মনে থাকবে। আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, বিএনপি, জামায়াত আর পুলিশ সবাই মিলে সেদিন আমার ওপর হামলে পরেছিল। তারপরেও তুমি একদিন বেশ গর্ব সহকারেই হেঁসে বলেছিলে, “তুমি পার বটে”। হ্যাঁ, আমি পেরেছিলাম, সেদিনও পেরেছিলাম, কারণ, তুমি সাথে ছিলেই। রাইফেলের বাটের আঘাত, বুটের লাথি, কিংবা ওদের কিলঘুষিতে আমার শরির ক্ষতবিক্ষত হলেও, আমি হাজত খানার ভেতরেই গান গাইবার শক্তি অর্জন করেছিলাম। আমি সেদিন হাজতে বসে দেখেছিলাম, নষ্ট কতগুলো রাজনৈতিক লোক, ফোন নিয়ে দারুন ব্যস্ত। স্পেশাল পুলিশ থানা পর্যন্ত পৌছাতে না পারলেও এখানকার পুলিশরা বাহিরে কথা বলছে, আমাকে আর কি কি করা হবে। থানার ওসি তো বাইরে কার সাথে যেন ফিস ফিস করে বলেই ফেললো, রাতেই ক্রশ ফায়ার।
আমি গর্ব করেছিনা। তবে, বিশ্বাস কর, তাদের এসব কথা আমার কাছে ফালতু মনে হয়েছিল, বারান্দার ওপর ফোন নিয়ে ব্যস্তদের মনে হয়েছিল কতগুলো কুকুর শেয়াল এক টুকরো মাংসের সন্ধান করছে।
শরীরে তীব্র যন্ত্রনা নিয়ে একটু পানি খেতে চাইলেও, ওরা আমায় সেদিন পানি দেয়নি। হাজত খানার উৎকট গন্ধের পানি আমি পান করতে পারিনি। এত কষ্টের মধ্যেও, আমি পর্যবেক্ষন করতে সমর্থ হয়েছিলাম যে, এই কক্ষে কোন কোন মানুষকে দিনরাত আটকে রাখা হয়। হউক অপরাধী বা নিরাপরাধ। হ্যাঁ অরণ্য, এত কিছুর পরেও আমার মানবতা জাগ্রত ছিল। এত তীব্র যন্ত্রনার মধ্যে লেখাটি দেখে মতি ভাই সেদিন মন্তব্য করেছিলেন, “ তুমিই পারবে, গ্রাম দিয়ে শহর ঘিরে ফেলতে”।
প্রথমআলো, পুলিশ আর মন্ত্রনালয়ের হস্তক্ষেপে সেদিন সেই জানোয়ারগুলো আমাকে ৪ ঘন্টার মধ্যে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। আমার শারিরিকভাবে চলার শক্তি ছিলনা। আমি সেদিন বাবার ভালোবাসা দেখেছি, অনেকগুলো রক্ত পিপাসু মানুষের পেয়ে হারানোর ক্ষোভ দেখেছি। তোমার উৎকণ্ঠা দেখেছি।
তখন রাত ১২ টা। আমার মনে হয়েছিল, আমার বাবা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সন্তানের লাশ গ্রহণ করতে এসেছিল। তিনি কয়েকবার আমার দিকে তাকিয়েছিলেন। তিনি পুলিশের দেওয়া চেয়ারে বসেননি। তার কিছু কথা আমাকে অনেক কিছুই শিখিয়ে দিয়েছে সেদিন। চেয়ারে বসা ২৭ বছর বয়সী সহকারি পুলিশ সুপারকে আব্বা বলছিলেন, “আমার ছেলে লিখেছে, কি লিখেছে, একজন ব্যবসায়িকে থানায় এনে ৩ দিন আকটে রেখে নির্যাতন চালিয়েছেন, ইসলামী জঙ্গীদের অন্যতম অর্থ জোগানদাতার বিরুদ্ধে লিখেছে, মধ্যপ্রাচ্য থেকে পাঠানো জঙ্গী অর্থায়নের নিখুত হিসাব তুলে ধরেছে।“ সহকারি পুলিশ সুপার তখন আমার শরীর দেখিয়ে আব্বাকে লিখতে বললেন, “আমি সুস্থ অবস্থায়, আমার ছেলেকে বুঝে পেলাম”। আমার খুব মনে আছে, আব্বা স্বাক্ষর করার সময় বলেছিলেন, এসব রক্তক্ষরন কিছু নয়, আমি তাকে নিয়ে যাচ্ছি। ময়না তদন্ত করে তার শরীর আমাকে দিলেও, আমি একই কথা বলতাম। আব্বার কথায়, সেদিন আমি আমাকে চিনে ফেলেছি। একজন পিতার পিতৃত্বও দেখেছি। থানা থেকে বের করে তিনি যখন আমাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বিছানায় শুইয়ে দিলেন, তখন আমি তার চোখের কোনে পানি দেখেছি, দেখেছিলাম তীব্র ক্ষোভ।
এতগুলো শকুনের ভয়ে সেদিন, মহৎ ডাক্তারগনও তাদের মানবতা, পেশার সংজ্ঞা ভুলে গিয়েছিলেন। তারা আমার চিকিৎসা এমনকি রক্ত বন্ধ করবার জন্যও কোন উদ্যোগ নেননি। অবশেষে রাতেই বাসায় একজন গ্রাম্য ডাক্তারের সহায়তায় ভোর সকাল পর্যন্ত কেটে যায়।
দিনাজপুর, পঞ্চগড় আর ঢাকা থেকে আসাদ ভাই, শহীদুল ভাই, শ্যামল দা ইতোমধ্যে এসেছেন। আমাকে দিনাজপুর হাসপাতালে পাঠানো হলো।
সেখানে আমার চিকিৎসা শুরু হলো। দ্বিতীয় দিন, তুমি না থাকলে হয়তো সেখানেই আমাকে ওরা মেরে ফেলতো। তুমি দরজার বাইরে চিৎকার না করলে হয়তো, সেই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী আমাকে সেখানেই মেরে ফেলতো। কি করে ভুলি ডা. জিকরুল ভাইকে। জিকরুল ভাই সেই সন্ত্রাসীকে দৌড়ে ধরতে পারেননি। তবে, এই বলে হেসে ফেলেছিলেন যে, হাবিব, তোমার জন্য আমার স্থেসকোপটা ছিড়ে গেল বটে, তবে আমি একজন সন্ত্রাসীকে একটু পিটাতে পারছি বলে শান্তি পাচ্ছি।
তোমার সেদিনের উৎকণ্ঠা আমাকে আজো বাঁচিয়ে রেখেছে। একরাশ উৎকণ্ঠা নিয়ে জিকরুল ভাইকে বললে, “একে কেউ মারতে পারবে না। স্বয়ং ইশ্বরও হয়তো পারবেনা, সে যদি মরতে না চায়।“ আমি তোমার এ কথার অর্থ অনেকদিন বুঝিনি। অনেক সাহস করে একদিন এ কথার অর্থ জানতে চেয়েছিলাম। তুমি আমার কঠিন মনোবলের কথা বলেছিলে। সেদিন আমি আমাকে আর একবার আবিষ্কার করেছিলাম।
একজন নার্সকে দিয়ে ফোন করিয়েছিলাম ফ্লোরা আপার কাছে। একটু পরেই, একটা ফোনে অনেক কান্না শুনতে হলো। আদরের ভৎসনা শুনতে হলো। সুদুর আমেরিকাতে বসেও সে সব সময়ই মনে করে, আমি তার ধর্ম ভাই নই, আমি তার সন্তান।
মাঝে মাস, বছর এমন যুগ পার হতে চলেছে। অত্যচারে অতিষ্ট হয়ে সাংবাদিকতা ছেড়ে দিয়েছি। ভেবেছি, দুরে কোথাও গিয়ে লিখতে থাকবো। আমার অনেকগুলো স্বপ্নের যৌবন প্রাপ্তির মত একদিন যোগ হলো, আমার বিদেশে গমনের নির্দিষ্ট কথা। ভাগ্য প্রসন্ন হলোনা। আমার পুকুরের মাছগুলো আমাকে দেখলেই ছুটে আসতো। আমি কখনি খাবার ছাড়া তাদের সামনে যেতে পারতাম না। তারা আমার হাতটাকে আলতো করে কামড়ে দিতো। আমি তাদের ভালোবাসা পেয়েছিলাম বলে মনে হয়।
আজ ভোরবেলা দেখি, সবগুলো মাছ যেন আত্মহত্যা করেছে। আমি অলৌকিকভাবে বিশ্বাস করতে পারছিনা যে, কয়েক হাজার মাছকে কেউ বিষ দিয়ে হত্যা করতে পারে। আমার কাছে মনে হয়েছে যে, আমার দীর্ঘশ্বাস সহ্য করার ক্ষমতা তারা হারিয়েছিল। এজন্য একটু বিষ খেয়ে ফেলেছে।
অরণ্য, সামনে মাসেই নিজ উদ্যোগে দেশান্তর হবার কথা ছিল। ভাগ্য বুঝি প্রসন্ন বোধ করছে না।
আজ তোমার সেই কথা আমার কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, “আমি না চাইলে ইশ্বরও আমাকে মারতে পারবেনা”। আমার আজ খুব মরতে ইচ্ছা করছিল। অথচ পুকুর পাড়ের পলাশ আর বহু রঙা গাদা ফুল গুলো আমার মৃত্যুর অন্তরায় হয়ে গেলো। অথচ আমি তাদের স্পর্শে তপ্ত কোন নিশ্বাসের অস্তিত্ব খুজে পাইনি।
হ্যা অরণ্য, তুমিই একদিন বলেছিলে, আমরা কেন পুলিশের অবৈধ ব্যবসাকে প্রসারিত করতে দিবো। হ্যা, পুলিশ এসেছিল, আমি কোন অভিযোগ লিখিনাই। কি হবে এসবে, যেখানে ভাগ্য প্রসন্ন নয়।
আজ আমি অনন্ত এক রাস্তার দিকে দেখে আছি যে, আর কতটা ত্যাগ করলে, আর কতটা সহ্য করলে, আর কত স্বপ্নের অপমৃত্যু ঘটলে, আর কে কে না থাকলে তুমি আমাকে ঘিরে থাকবে?

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমি পড়তে গিয়ে ভাবলাম, সময় নস্ট হবে হয়তো!

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:০৬

বিভক্ত আত্মা বলেছেন: কৃতজ্ঞতা রইলো।

২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


এ ধরণের পোস্ট লম্বা হলে পাঠে অসুবিধা হয়।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:০৮

বিভক্ত আত্মা বলেছেন: বাক্য সংকোচন না করার জন্য দু:খ প্রকাশ করার ইচ্ছা হচ্ছে না। আসলে হয়েছে কি, অনেকগুলো ঘটনা (মনের ভেতর) এক সাথে চালিত হচ্ছে। কোনটাই সুখবোধের নয়। তাই শুধুই বলতেই ইচ্ছা করে। সম্পূর্ণভাবে একা বসবাস, সেই সাথে আবার চারদিকে কাটাতার দেয়া। মানুষজনের সাথে কথা বলাই হয় না। কি বোর্ডের অক্ষরগুলোকে আমি আমার মত নিষ্প্রাণ রাখতে চাইনি বলেই অনেক লিখে ফেলি হয়তো। এমনো হয়, এক বা একাধিক ছবি, ভিডিও বা যে কোন কনটেন্ট নিয়ে চলে সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন ফরমেটে সম্পাদনা। একা মানসিক ডিপ্রেসন কিনা জানিনা। তবে, আপনাদের সান্নিদ্ধে প্রাণ পাই। কষ্ট করে পড়বার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৪০

নাগরিক কবি বলেছেন: নষ্ট দেশের নষ্ট সমাজ, কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে আমাদের।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:২১

বিভক্ত আত্মা বলেছেন: বস, আমরা কি আমাদের নিজ হাত দিয়েই নষ্টদের খাবার যোগান দিচ্ছিনা? ঘটনা উল্লেখ না করেই বলি-ঘরের ভেতরে দেশের তথাকথিত স্বনামধন্য ৯ জন সাংবাদিক তথা সম্পাদক মন্ডলী বসেছেন। আমাকে ভৎসনা করছেন। এত ভৎসনার পরেও আমার চোঠের মধ্যে একটা হাসির রেখা ছিল। কারণ না অন্য নয়, সাংবাদিকতার কারনেই বোধহয়, মনস্তাত্বিক বিষয়টি বোঝবার ক্ষমতা হয়েছে। ওই বৈঠকের প্রধান ব্যক্তি বার বার বসছিলেন আর দাড়াচ্ছিলেন, সেই সাথে ঢিলে ঢিলা প্যান্টের কোমর ধরে কখনো টানছেন, কখনো ঝাকিয়ে নিচ্ছেন। আমার ষষ্ট ইন্দ্রিয় দিয়ে বুঝেই নিয়েছিলাম, এদের সাথে কাজ করে আসাটা ছিল বোকামি। তাদের ভৎসনা, শেষ কথা না শুনেই বলে ফেললাম-আমি এখন চলে যাই। আমার কথায় তারা অবাক হয়ে তাকিয়েছিলেন। আমি আবারো বললাম, এখান থেকে চলে যাবার জন্য আমি কোন অনুমতি না নিলেও পারতাম। তবে, যেহেতু আশাবাদী মানুষ আমি, তাই কোন একদিন আপনারা সাংবাদিক হয়ে উঠবেন, আগাম শ্রদ্ধা জানাতেই অনুমতি নিলাম। আর আপনি (প্রধান ব্যক্তিকে ঈঙ্গিত করে বললাম, এত ভয় পাবার কিছু নাই। প্যান্ট প্যান্টের জায়গাতেই আছে।------- ওরা আমার চাকরি খেয়ে ফেলেছে বটে, আদালত এখনো তাদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু করবার সময় পায়নি হয়তো-তবে, আমি এই মনে করে তৃপ্ত যে, আমি এই নষ্টদের অন্তত: ঘৃনা করতে পারছি। যদিও চাই এরা ভালো হয়ে উঠুক। কারণ, প্রস্রাব করার স্থানকে ইজ্জ্বত বলতে রাজী নই আমি। ইজ্জতের প্রকৃত সংজ্ঞায় নিজেকে সবাই প্রতিষ্ঠিত করুক-এটা আমার কামনা। আসলে অনেক যন্ত্রনার সফল বহনকারী আমি। বাক্য সংকোচনে পটু আমি, এর পরেও অনেক কথা ইচ্ছা করে। ভালো থাকবেন।

৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১২

নেয়ামুল নাহিদ বলেছেন: লেখা ভালো হয়েছে, লেখা বড় কোন সমস্যা না। মনের কথাটা বলাই আসল কথা :)

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:২২

বিভক্ত আত্মা বলেছেন: সত্যিই ধরেছেন, এতা বাস্তব ঘটনা, আমার আমার মনের প্রতিফলন। ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.