নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দু’জেলার ছাগলরা কাঁঠালগাছের মালিকদের জন্য দিনরাত প্রার্থনা করছেন!
এসব কাঁঠাল পাতা রাস্তার দুধারে, কবরস্থান, শ্বশান বা সরকারি ভাবে লাগানো কাঁঠাল গাছের। ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের দুরামারি এলাকা থেকে রুহিয়া পর্যন্ত প্রায় ১৭ কিলোমিটার রাস্তা। রাস্তার দু-পাশে প্রায় ১৫ বছর আগে প্রায় ৩৪ কাজার কাঠাল গাছ লাগানো হয়। এর দেখাদেখি আশপাশের লোকজনও একই সময়ে গাছ রোপন করেন। ব্যক্তিগতভাবে রোপনকৃত গাছ থেকে গত ১২ বছর থেকেই ফল আসছে, পুষ্টি পাচ্ছে। সেই সাথে বছরে এক একটি গাছ থেকে প্রায় ৪ হাজার টাকা আয় হচ্ছে। আর রাস্তার ধারের গাছগুলো ন্যাড়া। প্রতিদিন পাতার সাথে ডাল পালা কেটে প্রয়োজন সারছে এলাকার লোকজন। সাংবাদিক তো লিখছে আর লিখছেই। বলা হচ্ছে বছরে এত টাকার ফল বিক্রি করা যেতো, জাতীয় পুষ্টিতে যোগ হতো আরো পুষ্টিমান।
আসলে এসব লিখে কোন লাভ হয়নি। জেলা পরিষদ, ইউনিয়ন কাউন্সিলের মহান কর্তা ব্যক্তিরা এলাকার ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ছাগলদের কথা চিন্তা করে, এসব গাছ রক্ষনাবেক্ষনে উদাসিন থেকে "জীবে প্রেম করে যেইজন, সে বিছে সে ঈশ্বর" কথাটির যথাযথ মর্যাদা দান করছেন। প্রায় ৩৪ হাজার গাছের মধ্যে কিছু মরে গেছে, মেরে ফেলা হয়েছে বা চোরদের কর্মসংস্থানের জন্য কিছু বাদ পরেছে। তারপরেও যা ছিল বা আছে, তাতে বছরে প্রায় ২.৫ কোটি টাকা সমপরিমান ছাগলদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। অবশ্য গত ১০ বছরে প্রায় ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। আসছে মৌসুমেও প্রায় আড়াই কোটি টাকা সমপরিমান এলাকার ও পাশ্ববর্তী জেলার ছাগলদের জন্য বরাদ্দ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এলাকার লোকজন ছাগল প্রেমিদের সাধুবাদ জানিয়েছেন। অন্যদিকে জানা গেছে যে, দুই জেলার ছাগলরা এসব ছাগল প্রেমিদের তাদের গোত্রের বলেই ভাবছে আর দিনরাত শুভ কামনা করছে। এসব ছাগল প্রেমিরা সাংবাদিকদেরও বলেছিলেন, যথাশিঘ্র ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যথা শিঘ্র কথাটির অর্থ বলতে যা বোঝায় তা হলো, এসব ছাগল প্রেমিরা, বাবা আদমের আয়ু পেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
(সংগতকারণে স্থানের নাম উল্লেখ করা হলোনা)
©somewhere in net ltd.