নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় অনেক কম, কাজ অনেক বেশি। সংবাদ মাধ্যমের চেয়ে উৎকৃষ্ট এই সিটিজেন জার্নালে অন্তত চটি লেখক মার্কা লোক নেই-আমি এতেই সুখ অনুভব করছি। লিখতে শুরু করেছি-লিখতে লিখতেই হয়তো একদিন ফুড়িয়ে যাবো। তারপরেও সকল মানুষের কল্যান কামনা করেই যাবো

বিভক্ত আত্মা

সাংবাদিক

বিভক্ত আত্মা › বিস্তারিত পোস্টঃ

একখানা ইজি চেয়ার

০৭ ই মে, ২০১৭ ভোর ৫:৩৪

হয়তো অনেক আয়েশি জনেরাই ইজি চেয়ারের কথা ভাবেন আবার হয়তো কেউ কেউ এটা অবসরে যার একটা পর্যায় ভেবে নেন। আবার কেউ হয়তো আভিজাত্যের কথা মাথায় রাখে একখানা ইজি চেয়ার না হলেই নয় এটাই ভাবনা হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে, এই জিনিসটা জীবনের সাথে অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে জড়িত না হলেও অতি আবেগের ঘনঘটার একটি অমূল্য সম্পদ বললে ভুল হবেনা।
জীবন আর একবার ফিরে আসেনা, এটা চিরন্তন সত্য হলেও পরজন্মের কথা ভাবতে অনেক সুখ লাগে। বেলকনিতে ইজি চেয়ারপাতা, পাশে গ্রামোফোনে রবীঠাকুরের সেইর চিরচেনা গান। ইজি চেয়ারের হাতলে বসে শরীরের ওপর হেলান দিয়ে এলোচুলে আবেগনঘন তপ্ত নি:শ্বাস। বরষার ঝলকানিতে বিদ্যুতের আসা যাওয়া। আলো অন্ধকারের সেই ক্ষনে, তোমার কণ্ঠের সেই গান আজি এ ঘন বরষায়......। ঝির ঝিরে বাতাসে তোমার এলোচুল আমার মুখের ওপর্ লেপ্টে পরেছে। আমার চোখ বন্ধ। তখন, আমার আর একবার বলতে সাহস হয়নি, আমি পরজনমে আবারো আবারও আসবো। তখন বিধাতাকে একবারের জন্যও মনে আসেনি। আমার মনে হয়েছিল, স্বয়ং দেবী এসে আমাকে বিধাতার আসনে বসিয়ে আমার আর্চনা করছে। আমার আরতি করছে। পৃথিবীময় আমার ভক্তকুল আমার আরাধনায় ব্যস্ত। স্বয়ং ইশ্বর তার নিংড়ানো সমস্থ ভালোবাসা ঢেলে দিয়েছে। কঠিন বজ্রপাতে আমরা জড়িয়ে ধরেছিলাম। ভয় পাইনি। সম্ভবত: স্বয়ং ঈশ্বর ভালোবাসার বদলে আমাদের ধ্যান ভঙ্গ করতে উদ্যত হয়েছিলেন। আমাদের ধ্যান্ ভঙ্গ হয়নি। আমরা বৃষ্টির ছিটেফোটায় লুটোপুটি খেয়েছি। সারা ঘর ময় বিদ্যুতের ঝলকানিতে মাঝে মাঝেই যে আলো ছড়িয়েছিল, তাতে সৃষ্টির আর কোন সুন্দর রুপ থাকতে পারে, তা একবারও মনে হয়নি। আমার কানের মধ্যে মন্ত্রের মত উচ্চারন করেছিলে এমন বরষার প্রতিক্ষায়, জীবনের অনেক দিন, সময় বছর কেটে গেছে। জীবনে এই একটি বারই এইরকম বরষা এসে সুখে ভাসিয়ে দিলো। টেলিপেথি নামক শব্দটা যে অনেক সত্য, তা সেদিন প্রমাণ হয়েছিল, আমার কাণে ফিসফিসিয়ে বলেছিলে, আর কোন স্বর্গরাজ্য কি আছে? আমি নির্বাক হয়ে দেখেছিলাম, একবার ভাবনায় এসেছিল, কি করে সব ভাবনা একাকার হয়ে গেলো। আর তো কোন স্বর্গরাজ্য থাকার কথা নয়। তোমার এলোচুল আমার পিঠে লেপ্টে ছিল। দু’ঠোটের মাছে মাত্র সামান্য একটু ব্যবধান। তোমার তপ্ত নি:শ্বাসে আমি ধ্যানমগ্ন হয়েছিলাম। আমি পেয়েছিলাম। আমি হারাইনি, কিছুই হারাইনি।
আজ, আমার ঘরের ইজি চেয়ারটাতে একটা কাপড় ঢাকা। বহুদিন পরে কাপড় তুলে দেখতেই, উপরে বজ্রের ঝলকানি, সাথে অঝোর ধারায় বৃষ্টি। এখন সকাল হয়ে গেছে। কিছুক্ষন আগেও সুবহে সাদেকের বেলায় কানে আজানের ধ্বনি ভেসে আসছিল। অথচ সেদিন ভেসে এসেছিল, তোমার কণ্ঠস্বর, আলতো করে খামচে ধরা আর তপ্ত নি:স্বাস।
জানিনা, এই ঠান্ডায় নিউমোনিয়া হবে কিনা, তবে, বৃষ্টিতে দুহাত মেলে দিয়ে আমি হাতরে বেরিয়েছি। বারান্দায় উঠে আসার সময় বিধাতাকে এই বলে অভিশাপ দিয়েছি, “তোমার মনে অন্তত: একবার হলেও ভালোবাসার জন্ম হউক।‌”

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.