নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় অনেক কম, কাজ অনেক বেশি। সংবাদ মাধ্যমের চেয়ে উৎকৃষ্ট এই সিটিজেন জার্নালে অন্তত চটি লেখক মার্কা লোক নেই-আমি এতেই সুখ অনুভব করছি। লিখতে শুরু করেছি-লিখতে লিখতেই হয়তো একদিন ফুড়িয়ে যাবো। তারপরেও সকল মানুষের কল্যান কামনা করেই যাবো

বিভক্ত আত্মা

সাংবাদিক

বিভক্ত আত্মা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাংবাদিক-ধর্ষক-ধর্ষিতা-আইন-বিচার=০

১০ ই মে, ২০১৭ ভোর ৪:৫৩


একটা সংবাদ ফ্যাক্স করার জন্য ফ্যাক্স মেশিন টেলিফোন অফিসে নিয়ে গিয়ে, ফ্যাক্স করে আবার মেশিন সাথে আনতে হতো। তার কিছুদিন আগে একটা ফ্যাক্স করতে জেলা সদর পর্যন্ত যেতে হয়েছিল। তখনও সাংবাদিকতা পেশা হিসাবে নেওয়া হয়নি। তবে, এটা একটা বড় নেশায় পরিনত হয়। এই নেশার খপ্পরে পরে ব্যবসা বানিজ্য, প্রাইভেট টিউশনি সবই উচ্ছন্নে যাবার জোগাড় হল। অবশেষে বিষয়টি মতি ভাইকে একখানা চিঠি মারফত জানানোর পরে কিছু সম্মানীর ব্যবস্থা করলেন। এতে করে জীবনটা জোড়াতালী দিয়ে চলতে শুরু করলো। আমি নেশার কাছে হার মেনে যাই। অন্যান্য উপার্জনের ক্ষেত্র প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। তবে, যে টাকা সম্মানী দেওয়া হতো, তাতে ফালতু খরচ ছাড়া সাটামাটা জীবন নির্বাহ করতে পারতাম।
যাহোক-আমার উপজেলায় সপ্তাহে দু-দিন ছিল হাটবার। প্রায়শ:ই বিকাল বেলা বা সন্ধায় শোনতে পেতাম, এর ওর অনেকের পকেট কাটা গেছে। পাশাপাশি এটাও শুনতাম যে, এসব পকেটমাররা নাকি এলাকারই লোকজন। বিষয়টি বকড়ই ভাবনার। কারণ, পোষ্ট অফিসের মাধ্যমে আসা সম্মানী, লাইনেজ, ছবির বিল, ফোন ফ্যাক্স, যাতায়াত সহ ১০/১২ হাজার টাকা আসলেও পোষ্ট পিয়নের শত অনুরোধেরও আমি ৫শত টাকার নোট নিতামনা বলেই চলে। তখন এলাকায় জাল নোটের রমরমা কারবার ছিল। আর এর কারনে আমারই ভাগ্যে একবার দুইখান ৫শ টাকার নোট পাই। চিনতে না পারার কারণে সেই মাসে কষ্টে কেটেছিল।
মনে কৌতুহল থাকায় বেশ কিছু বিশেষ বিশেষ সংবাদ প্রথম পাতায় লেখার সৌভাগ্য আ্মার হয়েছিল। অনুজ এক সাংবাদিককে একদিন বললাম, পকেটমাররা এলাকার মানুষদের অনেক ক্ষতি করছে। এদের কোন সন্ধান পাওয়া যাবে কিনা? উত্তর/পরবর্তী ব্যবস্থা দীর্ঘ ১৫ বছরেও মনে হারায়নি। সম্ভবত: অভিজ্ঞতার ঝুলিতে যোগ হওয়া এ ঘটনা আজীন ভুলবোনা।
দিনটা ছিল রোববার। আমি যেখানে বসতাম, তার অদুরেই দীনবন্ধু'র সেলুন। হাটবারে সে পথেই লোকজনকে যেতে হয়। সেই ছোটভাই সাংবাদিক আমাকে অবাক করে দিয়ে বললো, আপনাকে পকেটমাররা চিনে, আপনার কোন ক্ষতি হবেনা! হতবাক দৃষ্টিতে আমি তার দিকে তাকিয়ে বললাম আমাকে চিনে এটা তুমি জানলে কি করে? এরই মধ্যে অজানা আশংকায় যদিও নিজের বুক পকেট চেপে ধরেছি। এবার উত্তর এলো, ঠিক আছে আপনাকে আজই তাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো। তবে তাদেরকে কিছু করা যাবেনা। শর্তে আমি রাজী হলাম। তখন বিকাল ৩ টা। দীনবন্ধুর সেলুনে একদল লোকের সাথে বসে আছেন সেই সাংবাদিক। হাত ইশারায় আমার ডাক পরলো। আমি পরিচয় হলাম ১১ জন পকেটমারের সাথে। এদের মধ্যে অনেকেই মুখ লুকাচ্ছিল। তবে, আমাকে অভয় বাণী শুনিয়ে বললো, আপনাকে আমরা চিনি। আমি ভালো করে তাকিয়ে দেখতেই আৎকে উঠলাম। আরে তাইতো, এদেরকে তো আমি অনেকবার বাসে, টেম্পুতে কখনও আমার পাশের সীটে বসে থাকতে অথবা দাড়িয়ে থাকতেও দেখেছি। তাদের সাথে আলাপচারিতার মধ্যে অনেক প্রশ্নের উত্তর আমি পাইনি বটে, তবে তাদের কাছ থেকে জানলাম, তাদের ব্যবসার হাতিয়ার হলো, হাতের দুটো আঙ্গুল আর একখানা ধারালো ব্লেট। আরও ভয়াবহ তথ্য হলো, এরা এদের নির্দিষ্ট সীমানার মধ্যে কাজ কাজ করে। এরা যদি কাউকে অনুসরন করে আর নির্দিষ্ট এলাকা ও সময়ের মধ্যে কাজ সারতে না পারে তবে পরবর্তী এলাকার তাদের লোকের কাছে অনুসরন হওয়া ব্যক্তিকে বিক্রি করে দেয়। আর এভাবে একজন অনুসরন করা লোক কতজনের কাছে কতবার যে বিক্রি হয়, তা বলা মুশকিল। কাজ সারতে না পারলে এটা তারা ব্যবসাকে লোকসান হিসেবে ধরে নিতো। অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন হলো। অবশেষে তারা কিছু বলার আগেই, তাদের চা, নাস্তা খাওয়ালাম। তারা আমার ব্যবহারে নাকি দারুন সন্তুষ্ট হয়েছিল বলে আমাকে পরবর্তিতে জানানো হয়।
এর কয়েকদিন পরে, বিষয়টি থানার ওসির সাথে শেয়ার করলাম। এবার আর এক ঘটনা। ফোনে তিনি নির্দিষ্ট একজন পুলিশ সদস্যকে ডাকলেন। কিছুক্ষন পরে নির্দিষ্ট সেই পুলিশ সদস্য আসলেন। ওসি সাহেব, আমার সামনেই সেই পুলিশ সদস্যকে বেশ গালাগালি করলেন, আর বললেন, এসব লোককে যেন আর এলাকায় দেখতে না পাওয়া যায়!
ঘটনার পৃষ্ঠে ঘটনা। পুলিশ সদস্যকে গালাগালি দেবার ঘটনা আমাকে আরও বিস্মিত করে তুললো। এই পুলিশের সাথে পকেটমারদের সম্পর্ক কি?
অনুসন্ধান চলতে থাকলো, কিছুদিন নজরদারির পরে, যা দেখলাম, তা হলো, থানার সকল পুলিশ সদস্যই কোন না কোন সময় পোশাক পরে দায়িত্ব পালন করে। একমাত্র নির্দিষ্ট একজন পুলিশ সদস্য কখনই পোশাক পরেননা। যাকে পুলিশের ভাষায় বলা হয় মাহিল্যা, আর আমরা যাদের লাইনম্যান বলে জানি।
এই মাইল্যার কাজ কি : ২০০৪ সাল। প্রতি থানায় প্রতি মাসে পুলিশ সদস্যদের বিশেষ প্যারেড করানো হয়। প্যারেড শেষে থানা এলাকা ৩ মাসের জন্য নিলাম হয়। যে পুলিশ সদস্য সবচেয়ে বেশি টাকা থানার ওসিকে দিতে পারবে বলে সেই নিলামের ডাকে বিজয়ী হয়। ২০০৪ সালে একজন পুলিশ সদস্য (নাম লেখা হলোনা) থানা এলাকা থেকে প্রতি মাসে ৫৫ হাজার টাকায় নিলামে জিতেন। প্রতি মাসের ৩ তারিখের মধ্যে তিনি সেই টাকা ওসির হাতে তুলে দেন। ওই টাকার মধ্যে ২৫ হাজার টাকা পুলিশ সুপার অফীসে পৌছান। বাকী টাকার মধ্যে সিনিয়রটি ভিত্তিক অফিসারদের মধ্যে কিছু টাকা ওসি বন্টন করেন, আর বাকীটা নিজের জন্য রাখেন। একজন মাহিল্যা থানার অফিসার ইনচার্জের বাসার বাজার খরচ, পত্রিকা, ডিসলাইনের বিল ও নির্দিষ্ট পরিমান ফোন বিলও দিতে হয়। এ ছাড়াও অফিসের জন্য নির্দিষ্ট পরিমান সাদা কাগজ, কলম, কার্বণ পেপার সহ অন্যান্য ষ্টেশনারী দ্রব্যাদি সরবরাহ করেন।
এ সকল খরচ ও নগদ টাকা সরবরাহের জন্য, ওই মাহিল্যাকে ওই সমপরিমান টাকা আয় করার পরেও নিজের জন্য, এসব ম্যানেজ করার জন্য লোকবল নিয়োগে, সোর্সের জন্য টাকা আয় করতে হয়। বিষয়টি যদিও ২০০৪ সালের কথা লিখছি, তবে, বর্তমানেও ভিন্ন কৌশলে তা অব্যাহত রয়েছে।
মাহিল্যার আয়ের খাত: মাহিল্যার প্রধান আয়ের খাত হচ্ছে ৩ টি। ১। মাদক, ২। জুয়া, ৩। পরিবহন চাদা। এছাড়াও, তার আরও আয়ের খাত হলো, হাটবারে ট্রাক বোঝাই গরু-ছাগল রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়া ট্রাক ও ব্যবসায়িদের কাছ থেকে টাকা আদায়, সিনেমা হল থেকে চাদা আদায়, ইটভাটা, পকেটমার, চোর, ছিনতাইকারী এমনকি মোটরসাইকেল ছিনতাই ও চোর চক্র সহ আরও অজা্না অনেক খাত।
সবগুলো আয়ের ক্ষেত্রে মাইল্যা আবার আদায়কারী নিয়োগ করেন। বিশেষ করে পরিবহনখাতে, বর্তমানে রাজনৈতিক নেতাদের সমাজকল্যান খাত নামক একটি অবৈধ খাত, ষ্ট্যান্ড ভাড়া ছাড়াও পুলিশের জন্য হাটবারে প্রতিটি ভরভটি, নসিমন, করিমনের জন্য ১০ টাকা, পিকআপের জন্য ৬০ টাকা হারে, মাইক্রোবাসের জন্য মাসে ৩শ টাকা হারে চাঁদা আদায় করা হয়।
ম্যানেজ : একজন মাইল্যা যে শুধু আয়ই করে, তা নয়, তাকে আবার বিভিন্ন সেক্টর ম্যানেজ করতে হয়। প্রথম ম্যানেজ করতে হয়, ক্ষমতাসীন বা দাপুটে কোন নেতা বা দলকে, প্রেসকে (সংক্ষিপ্ত আকারে লিখলাম), অফিসার ইনচার্জ সহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের। অবশ্য অংকটা ভিন্ন ভিন্ন। একজন মাহিল্যার আরও বিশেষ আয়োজন বা ম্যানেজ করতে হয়, উর্দ্ধতন বা জেলার উর্দ্ধতন কোন কর্মকর্তার থানা ভিজিটের। এখানে অবশ্য আপ্যায়ন বাদেও নির্দিষ্ট একটা খাম বরাদ্দ থাকে, পদবী অনুযায়ি।
এবার সাংবাদিকতা : এখানেও সাংবাদিকতা একটা ছকবাধা কথা। নির্দিষ্ট কিছু কথা বাদ দেওয়া, যুক্ত করা, ঘটনা না দেখা বা কোন সাজানো ঘটনার সঙ্গ দেওয়া সবই থাকে পরস্পর যোগসাজশ।
এবার শ্রদ্ধেয় কয়েকজনকে ম্যানশন করে বলছি- Supriti Dhar Udisa Emon Shariful Hasan Nadia Sharmeen Mahbubul Alam KabirRafiqul Ranju Shamim Fardoush Tagor Gazi Nasiruddin AhmedMujtaba Hakim PlatoMujtaba Hakim PlatoProteek IzazJishu Mohommadনির্যাতিত সাংবাদিকদের কন্ঠস্বর Voice persecuted journalistsHumayoun KabirLee KurigramSanaullah LabluLutfor Rahman HimelSagar LohaniMilton HasnatNadim MahmudNazmul HassanNurunnabi ShantoProbir SikdarProbhash AminMoushumi QuaderQadir KallolQuamrul Islam RubaiyatRokibul ShiponDelowar Hossain RangpuriAzam RehmanTania MorshedIfta Khar-ul NayonWaseq Billah ShoudhaYeasin AliAronno YusufAlim ZamanZaheed Reza NoorZarifa Alam
আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে ধর্ষককে পুলিশ ধরবে কেন? আর যদি ধরেই তবে, সুষ্ঠ তদন্ত করবে কেন? আর যদি তদন্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেই থাকে তবে, সুষ্ঠ বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে কেন? (সামনেই আসছি পাবলিক প্রসিকিউটর নামক শব্দটি নিয়ে, সচিত্র)।
#আমি যদি সুপ্রীতি'দিদির ভাষায় বলি, ধর্ষনের সাথে সম্ভ্রমের সম্পর্ক একাত্ব কেন? ধর্ষন হচ্ছে ক্রাইম, আর সম্ভ্রম হচ্ছে সত্ত্বা। ওই নারীকি তার সত্ত্বাকে তুলে দিয়েছিল? না সে ধর্ষিত হয়েছে। লজ্জাস্থানের নাম সম্ভ্রম হয় কি করে?
#উদিসা আপাকেও আমি অনুসরন করি। কারণ, অকুতোভয় বলতে যা বোঝায়, তা হলেন উদিসা আপা। আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে তো বাসাতেই থাকবে, এটাই তো নিয়ম। ধর্ষিতার বাসার সামনে সাংবাদিকরা ঘুর ঘুর করছে। আমি তো বলছি, ওপরের উদাহরনে যদি ধরে নেই সাংবাদিকদের সাথে পকেটমারদের একটা আতাত রয়েছে, পুলিশের মাহিল্যার সাথে ওসির কৃপার অংশ জোটে সাংবাদিকদের জন্য, তো এরা আর কোথায় ঘুর ঘুর করবে বলেন? এসব সাংবাদিকের মধ্যে কতজন প্রফেশনাল? কতজনকে মাইনে দিয়ে কাজ করানো হয়? চোখকান খুলুন, দেখুন হয়তো, ধর্ষিতার কোন না কোন দুর্বলাতে কেন্দ্র করে এরা ধর্ষিতার ওপরই আবারও ধর্ষন শুরু করেছে। আর এবার লজ্জাস্থান নয়, সম্ভ্রম রক্ষার্থে ধর্ষিতা বা ধর্ষিতার পরিবার ওদের হাতে পায়ে ধরেও ক্ষান্ত হয়নি। ওদের ধান্দা ওরা ঠিক রেখে চলে এসেছে।
#শরিফুল হাসান ভাই, চরম পরিশ্রমী একজন মানুষ। বলুনতো, আজ পর্যন্ত এই ধর্ষকই শুধু নয়, বাংলাদেশের কোন ধর্ষকের পরিজনরা ধর্ষক নয়? আমি ভুল না হলে জ্যানেটিক্যাল বিন্যাসের তত্ত্বটি পরমভাবে মানি।
আমার অপনিয়ন লিখতে গিয়ে হয়তো আবেগাপ্লুত হয়েছি, চরম সত্য কিছু কথা লিখতে হলো। একেইতো অধিকাংশ সাংবাদিকরা আমি মরলে নাকি শান্তি পায় অথবা, আমি সাংবাদিকই নই এমন কথা বলেন, তাইনা Quamrul Islam Rubaiyat ভাই। সাংবাদিকতা আমাকে কি পরিমান শোষন করেছে, দূর্দশায় ফেলেছে, আপনি অনেকটা রাজস্বাক্ষী হয়তো। বুকে হাত দিয়ে বলেনতো, আমাদের চারপাশে যারা সাংবাদিকতা করছে, তাদের অধিকাংশ জনের আয়ের উৎস্য কি? আপনিও বলতে পারবেন না। নইলে, আমার মতই আঘাতে আঘাতে জর্জরিত হয়ে যাবে সারা শরীর। সংসার উচ্ছন্নে যাবে।
আমি সাংবাদিকদের অকল্যান চাইছিনা। কিন্তু সাংবাদিকতার নামে এসব বেলাল্লাপনার অবসান নিশ্চই চাই। নইলে, আজকে ধর্ষিতার বাবা বিচার না পেয়ে মেয়েকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাপ দিয়েছে, তনু হত্যার বিচার হবেনা কোনদিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্ত্বরে সম্ভ্রমহানীর চেষ্টা চলতেই থাকবে।
আজকের ঘটনার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদ্বয়ের কাছ থেকে সাংবাদিকদের দুরে না রাখলে এরাও খবরের অন্তরালে মিশে যাবে। জানিনা, আদালতে এত পাবলিক ইন্টারেস্ট মামলা হয়, শুধু আগ্রহ দেখায়না, বিশেষ তদন্তের।
সাগর-রুনি বিচার পাবেনা, বাংলাদেশের মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তিকে খুশি করতে সপ্তম, অষ্টম, নবম ওয়েজবোর্ড হয়েছে, হবে। ভাবুনতো কতজন সাংবাদিক এর আওতায় আনা হচ্ছে।
দিনশেষে একজন মজুর ভালোকাজ করে থাকলেও অনেক সময় ভৎসনা শুনেও দিন হাজিরার টাকা পেয়ে বাড়ি ফেরে। কতজন সাংবাদিক সাবলিল কর্মজীবন শেষ করতে পেরেছেন?
আসলে বিচার বুদ্ধি যাদের শেষ হয়ে গেছে, সম্পূর্ণরুপে অমানবিক রুপ নিয়ে মানবিকতার আসনে বসে আছেন, এরাই মূল ধর্ষক। একেকটা মুখোশপরা বোদ্ধা সেজে ভং ধরে থাকা অপশক্তির কারণেই বাংলাদেশ আজও ধর্ষিত। আর গনমাধ্যম......সেখানে উর্বর মস্তিষ্কের চর্চার নামে চোর বাটপারদের সাথে আতাত। এদের নীতিজ্ঞান অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। তারপরেও নির্লজ্জের মত নিজেদের বোদ্ধা মনে করছে। ধিক।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মে, ২০১৭ ভোর ৫:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



ওকে, পড়লাম

১১ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:২৬

বিভক্ত আত্মা বলেছেন: ধন্যবাদ বস। আশাকরি আগামী লেখাগুলো পড়বেন। আমি জানি এসব লিখে কিছুই হবেনা। তবে লিখলাম, এই টুকুই তৃপ্তি। আর আপনি পড়েছেন, তাতেই আপনি/আপনাদের প্রতি শ্রদ্ধা।

২| ১০ ই মে, ২০১৭ ভোর ৬:১২

সমাজের থেকে আলাদা বলেছেন: Click This Link
http://www.somewhereinblog.net/blog/boredwithsociety/30194028

৩| ১০ ই মে, ২০১৭ সকাল ৭:০৫

তার ছিড়া আমি বলেছেন: বাংলাদেশ পুলিশ এসব করবে না কেন? সরকার এদেরকে দিয়ে এগুলো করাতে এক রকম বাধ্য করে। আয়ের একটা অংশ উপর পর্যন্ত চলে যায়। সরকার এদের অফিস চালানোর জন্য কোন পয়সা দেয় না। ডিউটিতে যাওয়ার পুলিশ ভ্যানের তেলের টাকা থেকে নিয়ে কিছুই সরকার দেয় না। তাহলে চাকা ঘুরবে কিভাবে? অথচ চাকা ঘুরাতেই হবে, যেভাবেই হোক ম্যানেজ করতেই হবে।
কে দিবে টাকা? টাকা তো আর আসমান থেকে উড়ে উড়ে আসবে না। অথচ সবকিছুই ঠিক রাখতে হবে এই পুলিশকেই। অফিস চালানো থেকে উপরওয়ালাদের পকেট ভারি করা, সব দায়িত্ব এই পুলিশের উপর।
এতো কথা বলার উদ্দেশ্য, আমাদের গোড়ায় গলদ, আমাদের দেশের সিস্টেম যন্ত্রে গলদ, শাসনে গলদ, বিচারে গলদ, সামাজিকতায় গলদ, আচার-আচরণে গলদ, সব কিছুতেই গলদ।
একটা ছেলে বা একটা মেয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যায় করে, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, বছরের পর বছর পার করে সে যখন লেখা-পড়ার পাঠ চুকায়, তখন তার সামনে আসে নতুন এক দুনিয়া, চাকরি। চাকরি তাকে করতেই হবে। এবার জুতার তলা ক্ষয় কর, দশ থেকে পনের লাখ টাকা রেডি রাখ। এই টাকা দিয়ে সোনার হরিণ নামক অবৈধ ইনকামের লাইসেন্স মিলেও যেতে পারে। ....... যত পারো কামাও..........।

আপনার লেখাটা পড়ে ভাল লেগেছে, তবে ঘুনে ধরা এই সমাজটার কথা মনে হলে খুব দুঃখ হয়। দুঃখ করেও লাভ নেই। সবাই যখন এটাই চায়। আপনার মত ক'জন চায়, সোনালী যুগ ফিরে আসুক?

১১ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:৪৭

বিভক্ত আত্মা বলেছেন: ব্যক্তিগত জীবনে এতটাই অবিচারের শিকার হয়েছি, যা ভাবতে অবাক লাগে। লেখা আর অধিকারের কথা বলতে বলতে কখন যে নিজেরই অধিকার হারিয়ে ফেলেছি, মনেও নাই। যখন মনে হলো, আমি অবিচারের শিকার হয়েছি, তখন আমি রিক্ত হস্তে ফিরে ফিরে যাই। তারপরেও লিখছি, আমি লিখবো, আমি এই আশাই পোষন করি যে, একদিন এই বাংলায় হয়তো সোনালী সময় আসবে। সেদিন হয়তো, আমার/আমাদের লৈখা, চাওয়া বা সংগ্রামের কথা কেউ বলবেনা, তবুও এইটুকুই তৃপ্তি যে, মনুষ্যকুলের জন্য আমার জীবন উৎসর্গিত ছিল।
ভাই, সবই ঠিক বলেছেন। তবে একটা বিষয় হলো, যদি মানসিকতা থাকে ভালো কিছু করবার তবে হয়তো সিস্টেম বদলাবে। আমি দিন-রাত পরিশ্রম করেছি, লিখেছি, লিখছি প্রায় ১৫ বছর। সর্বোচ্চ ক্ষমতাশীল গনমাধ্যমে কাজ করেছি প্রায় ১৫ বছর।
এক সময় শিক্ষকরা অবসরে গেলে সহশিক্ষকগন সেই শিক্ষককে কমপক্ষে একটা ছাতা দিয়ে বিদায় জানাতেন। আমি গনমাধ্যমের আদ্যপান্ত দেখার পরে, সম্প্রতি সকল গনমাধ্যম থেকে সরে দাড়িয়েছি। কেন সরেছি জানেন?-অধিকারের ব্যবসা আমি করতে পারিনি, ধর্ষন. ইত্যাদি বিষয়কে আমি পণ্য হিসাবে দেখতে রাজী নই। কাউকে কাউকে রক্ষার জন্যই গনমাধ্যমের সৃষ্টি, আর সেখানে আমার নৈতিকতা কতটুকু মানানসই। তারচেয়ে, এই মাটি মানুষ এদের সাথেই থাকি। অন্তত: মিথ্যাচার বা আর্টিফিসিয়াল কালচার থেকে দুরে থাকি। যারা আমাকে চেনেন, তারা জানেন, ইচ্ছে করলেই কোটি টাকা উপার্জন করা সম্ভব ছিল।
আমি যে নিজের কলমটি দিয়ে ইস্তফা পত্রে স্বাক্ষর করেছি ৩ টি প্রভাবশালী গনমাধ্যমে, ৩ টিতেই কলম ৩ টা দিয়ে এসেছি। আসার সময় ১৫ বছরের দাবি দিয়ে এসেছি, এই কলম দিয়ে একটি হলেও কোন আর্টিফিসিয়াল নয়, সত্যিকারের অধিকারের কথা বা সত্যিকারভাবে কোন অন্যায়ের প্রতিকারের কথা লিখবেন।
১৫ বছরে প্রফিড্যান্ড ফান্ডে মাত্র ৩ লাখ টাকা জমা হয়েছিল। সেটাও আমার উত্তরাধিকারদের দিয়ে দিয়েছি। কারণ, জীবনে আরতো কিছুই দিতে পারবোনা হয়তো।
আমি আশাবাদী মানুষ। তারপরেও চাই, একটা সোনালী সময় ফিরে আসুক।

৪| ১০ ই মে, ২০১৭ সকাল ১০:৫৬

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ভালো লিখেছেন।ছাত্র অবস্থায় আমাদের এক মুরুব্বি যখন বলেছিলেন সংবাদপত্রের ৭৫ % ই মিথ্যা ! তার কথা ফেলতেও পারি নাই , আবার বিশ্বাসও হয় নাই। পরবর্তীতে তার কথার সত্যতা পেয়েছি ! তাহাদের গূঢ়তত্ত্ব যখন থেকে জানি তখন থেকেই ছাম্বাদিক সমাজের উপর ঘেন্না ধরিয়া গিয়াছে। পরিচিত সাংবাদিকদের মাঝে মইধ্যেই একারণে পচিয়ে থাকি !
যদিও কিছু ব্যাক্তিগত কারণে আমি সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞ। এদের হাতে প্রচুর ক্ষমতা। সমাজ বদলে এরা দারুন ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু এরাই সবচেয়ে শক্তিশালী চাঁদাবাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে , উচ্ছিষ্ট খাওয়ার লাইগা এরা সংবাদ বানায় ! শামীম উসমান তাহাদের যথার্থ সংগায়িত করিয়াছেন ! এরা পুলিশদের কাছেও খায় এটা যখন প্রথম জেনেছিলাম খুবই অবাক হয়েছিলাম।

সব রসুনের এক পুটকির মতন সব পেষাজীবীরাই দুর্নীতির জন্য একতাবদ্ধ হইয়া গিয়াছে । সমাজ বদলে এক হইতে পারে নাই। আমি সত্যিকারের এক একনায়ক চাই। যে আবাল গণতন্ত্রের এই সব সিস্টেম কে চুরমার করে দিয়ে নতুন সিস্টেম গড়ে তুলবে। এখনকার সিস্টেমটাই তো ধর্ষণের সিস্টেম। সংষ্কৃতিটাই হইয়া গেছে পার্টি , লিটনের ফ্লাট , হোটেল, রুম ডেটের সংস্কৃতির। পরস্পর সম্মতিতে হইলে প্রব্লেম নাই , না হইলে ধর্ষণ ! দীর্ঘদিন লাগাইয়া বিয়া না করিলে ধর্ষণ। প্রতিপক্ষরে জব্দ করার লাইগা ধর্ষণ ! সংবাদপত্রের কাটতি বাড়াইতে ধর্ষণ !

আর বোকা মাইয়াগো লাইগা দুঃখ হয়। জলে কুমির আছে জাইনাও জলে নামে , এরপর কুমিরের পেটেই যায়। বিচারহীনতার এই সংস্কৃতি কোনোভাবেই মানিয়া নেওয়া যায় না। প্রমাণিত হইলে বিচি কাটিয়া নেওয়া হউক , ডান্ডায় পরিমলরে ঝুলানো হউক !

১১ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:৫০

বিভক্ত আত্মা বলেছেন: সহমত প্রকাশ করছি। তবে আমি নিজেও দারুন অবিচারের শিকার হয়েও মানুষের অধিকারের কথা বলেই যাচ্ছি। জানিনা সমাজ বদলাবে নাকি আদৌ বদলাবেনা।

৫| ১১ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:১১

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: সংবাদপত্র পড়ি তবে তার ৮০%ভাগই বিশ্বাস করি না।। যদিও বেশ ক'জনই বন্ধু আছে, এই দুনিয়ায়।।

১১ ই মে, ২০১৭ রাত ১:০০

বিভক্ত আত্মা বলেছেন: ঢালাওভাবে এটা বলা যাবেনা। কারণ, সংবাদমাধ্যমগুলো হয়তো কাউকে না কাউকে রক্ষা অথবা ক্ষমতা অথবা বানিজ্যের উদ্দেশ্যে তৈরী হলেও সকল সংবাদকর্মী একইভাবে অভিযুক্ত নন। হয়তো নীতি নির্ধারকরা অনেক বোদ্ধা বলে ভং ধরে থাকেন, হয়তো সরকারকে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে বানিজ্যে লিপ্ত থাকেন, হয়তো আবার কেউ কেউ হাজার কোটি টাকা লোপাট করার নেশায় থাকেন, আবার এমনও আছে ধর্ষক, বিবেকহীন, জ্ঞানপাপী হয়েও আসন দখল করে আছে। তবে, সংবাদ কর্মীদের একাংশই কিন্তু প্রতিবাদী। আবার অতি প্রতিবাদীরা হয়তো মিথ্যাচার সহ্য করতে না পেরে সরে আসছে, অথবা যুগ যুগ ধরে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলে আসলেও, নিজের অধিকারটাই প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। তারপরেও মানুষের ভালো করার জন্য প্রানান্ত প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। রাষ্ট্রযন্ত্রের বিকল হওয়ার জন্য সংবাদমাধ্যম অনেকটাই দায়ী, এটা মানি। তারপরেও কিছু জন তো মাটি কামড়ে আছেন বলেই এখনও কোন না কোনভাবে প্রতিবাদের ভাষা উচ্চারিত হয়।
বিশ্বাস হবে, ১৫ বছর শুধু মানুষের অধিকারের কথাই বলে এসেছি, অধিকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে এসেছি। অত:পর আমি নিজেই অবিচারের শিকার হয়ে পরেছি?
এটা চরম সত্য। গনমাধ্যম আসলে ব্যবসার উদ্দেশ্যেই সৃষ্টি। তবে, সংবাদকর্মীদের একাংশ তো দেশ আর মানুষের কথা্ ভাবছেই। আর এই ভাবনাটাই অনেকটা আশার আলোর জোগান দেয়।

৬| ১১ ই মে, ২০১৭ রাত ১:০৬

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমিতো শতকরা ২০জনকে ধরি নি।। এই ২০জনই সত্যিকার।। যারা আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছেন।। এদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা রেখেই বলেছি, যা বলার।।

১২ ই মে, ২০১৭ সকাল ৭:৫৩

বিভক্ত আত্মা বলেছেন: জনের বেলায় সংখ্যাটা অনেক বেশি হয়তো হয়ে গেলো। আমার দেখা মতে শতকরা ৫ জন। আর সংবাদের ক্ষেত্রে (যেহেতু কপি পেষ্ট আর পাবলিকের মাইরের ভয় আছে, তাই শতকতা ৯০ ভাগ সংবাদ সত্য। বাকী দশভাগ হয়তো বিশেষ কারও কারও মনোভাবনা, আর এমন একটি ভাগ আছে, যা কখনই সংবাদে আসেনা।)

৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:১৫

এম আর তালুকদার বলেছেন: সাংবাদিকতা করতে গিয়ে যে কত রোষানলের স্বীকার হয়েছি তা আমিই জানি, তবুও বিক৾ি হইনি। ভাল লাগলো লেখনি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.