নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় অনেক কম, কাজ অনেক বেশি। সংবাদ মাধ্যমের চেয়ে উৎকৃষ্ট এই সিটিজেন জার্নালে অন্তত চটি লেখক মার্কা লোক নেই-আমি এতেই সুখ অনুভব করছি। লিখতে শুরু করেছি-লিখতে লিখতেই হয়তো একদিন ফুড়িয়ে যাবো। তারপরেও সকল মানুষের কল্যান কামনা করেই যাবো

বিভক্ত আত্মা

সাংবাদিক

বিভক্ত আত্মা › বিস্তারিত পোস্টঃ

শালা তোর প্রেমের গুষ্টি মারি.......

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:০২

শৈশব বন্ধু

মিলন ভাই প্রেম করতো রেহানার সাথে। রেহানার ছোটবোন হলো মরিয়ম। তারা ডেটিংয়ে গেছে, সাথে আমাকেও নিয়ে গেছে। কি যে রোমান্স। ভালবাসা দেখবো। আহাআআআ। স্কুল বাদ। পরদিন বইখাতা মুক্তা সিনেমা হলের বাহিরে আমাদের প্রিয় দ্বিজেন দা এর দোকানের বাক্সে রেখে দিলাম। অত:পর ভ্যানে করে পীরগঞ্জ এর ফরেস্টে। সেখানে যেতেই ভ্যান বিদায় হল। ওমা, কিছুক্ষন পরে রেহেনা আপু আর মিলন ভাই বনের মধ্যে হাওয়া হয়ে গেলো। আমাদেরকে বললো, তোরা ওখানে বসে বসে প্রেম কর। ইস... আমার যে তখন কি যে শরম লাগতেছিল। কিছুক্ষন পরে মরিয়ম এগিয়ে এলো আমার কাছে। আমি যেন কিছুতেই তার দিকে তাকাতে পারছিলাম না। ও আমার হাতটা ধরলো। বললো-এইরকম করে আছো কেন? তুমি এইদিকে তাকাও। এবার বাঁধলো মহা ফ্যাসাদ। কিরে, সে আমাকে তুমি করে বললো? আমি এক ঝটকায় হাত সরিয়ে নিয়ে বললাম, এই তুই আমাকে এতক্ষন আপনি করে বললি, আর এখন সবাই চলে যেতেই তুমি করে বলছো মানে। ছোটবড় জ্ঞান কি শিখিয়ে দিতে হবে? আমার রাগে মরিয়ম হাসছে। তাতে আমার রাগ আরও বেড়ে গেলো। এক প্রকার অপমানই লাগলো। এবার আর সহ্য না করে এক ঝটকায় উঠে হাটা দিলাম ঝোপ ঝাড়ের আড়ালের দিকে। দেখি ওরা জড়িয়ে ধরে গল্প করছে। আবারও রাগ হলো। আরে বাবা প্রেম করবি কর, তাতে আবার জড়িয়ে ধরার কি আছে। প্রায় চিৎকার করেই বললাম, মিলন ভাই মরিয়ম আমাকে তুমি করে বলতেছে কেন? ওরা চমকে উঠলো বটে, তবে মুচকি হেসে মিলন ভাই উঠে এসে বললো, চলো ওকে বকে দেই। মিলন ভাই সাথে আসাতে আমি খুশি। সে মরিয়মকে বললো, ওকে তুমি করে বলছো কেন? প্রেমতো থীরে ধীরে হবে। তারপর সে চলে গেল। মরিয়ম রেগে মেগে আগুন। দেখেই বুঝলাম রাগে ফুসছে। ভাবলাম ভালই হলো, সে থাক তার মত আর আমি আমার মত। কিছুক্ষন নিরবতা তারপর মরিয়মই মুখ খুললো-বললো বাদাম খাবা? আবারও তুমি বলার ঈঙ্গিত! আমি সাড়া দিলাম না। এবার কাছে এসে কতগুলো ছিলা বাদাম মুখের সামনে তুলে ধরলো আর প্রায় জোড় করেই মুখের মধ্যে ঠেলে দিলো। তখন বুঝি নাই, এটা কি মায়ামমতা করে মুখের ভেতরে দিলো নাকি কোন শোধ নিল। যাহোক, সেটা সে পর্যন্তই। তারপরা দুরত্ব বজায় রেখে কথা চললো। পড়ার বিষয় নিয়ে, কোন স্যার ক্যামন পিটায় ইত্যাদি নিয়ে। দেখলাম, মরিয়ম হু হা করছে বচে, তবে এসব আলোচনায় তার মনযোগ কম।

#### প্রায় ৪ ঘন্টা পরে আবারওই ভ্যানটা এলো। আমরা রওয়ানা হলাম। পাত্র-পাত্রী সামনে পা ঝুলিয়ে বসেছে। আর আমরা পিছনে পায়ের ওপর পা তুলে বসেছি। এতে করে প্রেমিক যুগলের চেয়ে মাটির উচু নিটু রাস্তার জন্য আমাদের শরীরেই ঘেষা লাগছে বেশি। একবার অতি উটু নিটুর কারণে মরিয়ম আমার হাতটা শক্ত করে ধরলো। ভাবলাম পরে যাবার ভয়েই ধরেছে। আমি আর বাধা দিলাম না। কিন্তু একি-সেতো অনেকটা পথ এলেও হাত আর ছাড়েনা। বরং তার হাতটা আমার হাতের ওপরের অংশে বিচরন করতে চাইছে। কি শরমের ব্যাপার। সামনে বসে আছে বড় ভাই। আমিও এবার হাতের মধ্যে আর এক হাত দিলাম। মরিয়ম ভাবলো, আমাদের প্রেম জমে উঠেছে। সে এবার আমার দুই হাতকে আঁকড়ে ধরলো। আর আমি এই সুযোগ বুছে, তার ডান হাতের বাহুতে গায়ে যতটুকু শক্তি ছিল, দিলাম এক চিমটি। ব্যাস আর যায় কোথায়-ওরে বাবারে মেরে ফেললোরে বলে চিৎকার জুড়ে দিলো সে। মিলন ভাই আর রেহানা আপা মুখ না ঘুড়িয়েই বলতে লাগলো, তোমরা এমন করছো ক্যান। লোকজন দেখবেতো? সম্ভবত: তারা মনে করেছিল, আমরা পিছনে বসে চুটিয়ে প্রেম করছি। এবার দিশদিশা না পেয়ে মরিয়ম ভ্যান থেকে দিলো লাফ। এক্কেবারে মাটিতে। ঘটনা কি? ভ্যান থেমে গেলো। এবার মরিয়মের রুদ্র মূর্তি। "তোর প্রেমের গুষ্টি মারি"। আর পিছনে বসলোনা সে। এবার রেহানা আপার কোলে চেপে বাকী রাস্তা গমন। ঘটনা এখানেই শেষ হতে পারতো-পরেদিন ক্লাশে মরিয়মের পড়া হয়নি। এমনকি সে চিমটি কাটার ব্যাথায় লিখতেও পারছেনা। কেন পড়া হয়নি। লাঠির ভয়ে সে বলে ফেললো, আমি নাকি তাকে এমন জোড়ে চিমটি কেটেছি, সেই ব্যাথায় সে পড়তে পারেনি এমনকি লিখতেও পারছেনা। এবার অপর ক্লাশ থেকে আমাদের পুহানু ভাই আমাকে ডেকে নিয়ে এলেন মরিয়মের ক্লাশে। সত্যতা যাচাই। এই যাচাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হতে না হতেই আমিরুল ভাই লক লকে দেখে কয়েকটা কাঁচা কঞ্চি দোলাতে দোলাতে আনতেছে বলে দেখলাম। বাকীটা বুঝার বাকী রইল না। একেতো খলিল স্যার, তার ওপর আবার আমি উনার নাতীছাত্র হই। অর্থাৎ তিনি আমার আব্বাকেও পড়িয়েছেন। আর এরই সূত্রে আমার প্রতি ওনার বেশি ভালবাসা বা আদরের প্রতিফলন ঘটে লাঠির মাধ্যমে। অবস্থা বেগতিক। কারণ, আমি সেদিন খাকি প্যান্ট পরি নাই। খাকি প্যান্টের বড় গুন হলো, আচ্ছাসে পিটালেও আঁচর লাগবে বটে, তবে কায়দা করে বোমটা এদিক ওদিক সরালে বাকীটা প্যান্টের পকেটের ওপর দিয়েই যায়। কথায় আছেনা, ফুল বাবুরা তাদের গলদ ধরে ফ্যাশনে। আমারও হলো তাই। অত:পর ভাবলাম, মাইর খেলে একা খাবো কেন? যারা এর জন্য দায়ী তারা বাদ যাবে ক্যান? এবার হাতে কাঁচা কঞ্চি দোলাতে দোলাতে যাচাই প্রক্রিয়া শুরু করলেন খলিল স্যার। বললেন, কিরে নাতীছাত্র, মরিয়মকে চিমটি মারছ? জবাবে বললাম, জ্বী স্যার। ক্যান চিমটি মারছ? জবাবে-স্যার, মিলন ভাই আর মরিয়ম আপা আমাদেরকে জোর করে পীরগঞ্জ ফরেস্টে নিয়ে গিয়েছিল। যাবার সময় ভ্যানের মধ্যে বসার জায়গা ভালই ছিল। কিন্তু আসার সময় খুব ক্ষুধা লাগছিল বলে ভ্যানের ওপর পা তুলে বসেছিলাম। আর এ সময় ভ্যানের ধাক্কায় মরিয়মের হাত আমার শরীরের লেগে কাতুকুতু লাগছিল। কিন্তু পরে যাবার ভয়ে সে আমাকে জোড়ে ধরেছিল। আর তাতে কাতুকুতু বেড়ে যাওয়াতে মনের ভুলে জোড়ে চিমটি কেটে ওর হাত ছাড়িয়েছি। খলিল স্যার---হুমমম। ক্লাশের দরজার কাছে গিয়ে চিকন মেয়েলি সুর কিন্তু ইসরাফিলের সিঙ্গার চেয়ে কম না। এই পুহানু......উউউউউ। এই আমিরুল..লললল। পড়িমরি, দুজনেই হাজির। নির্দেশ হলো, মিলন ভাই আর রেহানা আপুকে ডেকে আনবার। লাঠির লক লকে ওঠানামা দেখে রেহেনা আপুকে জিজ্ঞেস করতেই সে বলে উঠলো, স্যার, আমি যেতে চাইনি। ওই মিলন ভাই আমাকে ধমক দিয়ে ভ্যানে তুললো। তারপর আমরা ৪ জনে মিলে ফরেস্টে বেড়াতে গেছিলাম। ভ্রূ কুচকানো খলিল স্যারের। তাহলে তুমি আর মিলন ভালবাসা কর। স্যারের কথা শেষ না হতেই রেহেনা আপু বললেন-আমি না স্যার, ওই মিলন ভাই আমাকে ভালবাসা করে। ঘটনা জটিল। ক্লাশে আর বিচার সম্ভব নয় বলে আমিরুল ভাই আর পুহানু ভাই আদিষ্ট হয়ে অনেকটা আসামীর মত করে আমাদের নিয়ে চললেন টিচার্স রুমে। অত:পর শুরু হলো বিচার কার্য্য। খলিল স্যার প্রায় সবার সিনিয়র। তাই, ওনার কথার ওপর কথা বলার সাধ্য কারও নাই। এর আগে স্কুলের কোন কোন ঘটনায় হেড স্যার কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন। তাতে যে ফল হয়েছিল, তা হলো এই রকম, যে, খলিল স্যার আর চাকরী করবেন না। তিনি রিজাইন পত্র লিখবেন। আর রিজাইন পত্র লিখতে গিয়ে কখনও কাগজের ভাজের সমস্যা, কখনও কালি ওভারলেপিং হয়ে যাবার সমস্যা, আবার কখনও ভাষার সাথে ঠিক না মিলে যাবার সমস্যা আবার হেড স্যার তাঁরও জুনিয়র হওয়ায় স্যার বলে সম্বোধন করার মধ্যে প্রেসটিজ বোধ ইত্যাদির কারণে, এক বসাতে প্রায় ২৫/৩০ টা দরখাস্ত লিখে, নিজে নিজে ছিড়ে ফেলে রেগে মেগে সাইকেল নিয়ে বাড়ি চলে যেতেন। অবশ্য দু-একদিন পরে রাগ থেমে গেলে চলে আসতেন স্কুলে। আর সকল শিক্ষকদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলতেন নিজের টাকায় বিষ্কুট-চা পান করিয়ে। ###
যাহোক জটিল বিচার সব শিক্ষকরাই উৎসুকম কিন্তু কেউ কথা বলছেন না। তিনি বিড়বিড় করে বলেই চলেছেন-চিমটি কাটা, পড়া না করা, ভ্যান গাড়িতে তোলা, শান্তিপূর্ণভাবে ফিরে আসা...। অনেকক্ষন চোখ বন্ধ করে শুধু লাঠিই দোলালেন। অত:পর চোখ খুলেন। একটা হাসি। এটা উনার বিজয়ের হাসি হলেও, আমার কাছে মনে হলো-এবার নিশ্চই আমার নরম প্যান্টের ওপর মোলায়েম কঞ্চির আঘাত হানতেই থাকবে। রাতে কেরোসিনের স্যাকা ছাড়া আর উপায় নাই। বুকটা কেপে কেপে উঠলো বারবার। অট্রহাসি হেসে বললেন, তোরা ভেবেছিস, তোদের এই গুরুতর অপরাধের শাস্তি এই রুমের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। অসম্ভব। তোদের জন্য অনেক বড় শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। যা ভবিষ্যতের জন্য উদাহরন হবে। এতক্ষন আমাদের প্রেমিক মিলন ভাই আমার দিকে যে কটমক করে দেখেছিলেন, তার চোখেও দেখলাম হতাশা। অত:পর আমিরুল ভাই আর পুহানু ভাই আবারও আদিষ্ট হলেন। এদেরকে মারবোনা রে। এই চারজনকেই মাঠে নিয়ে যায়। ওই ঘন ওকড়াটাতে বসাবি মিলনকে, তার পাশের টাতে নাতীছাত্রকে, তারপরেরটাতে মরিয়মকে সব শেষেরটাতে রেহেনাকে। আমাদের চারজনকেই মাঠের মধ্যে নিয়ে যাওয়া হলো। বারান্দায় আয়েশ করে বসলেন খলিল স্যার। আর মেষ পালকের ভূমিকায় আমিরুল ভাই আর পুহানু ভাই। এক নাগারে ওকড়া তুলতে হবে। থামা যাবেনা। মেষ পালক দ্বয় যেন আজ কোন প্রলোভনেই প্রলোভিত হচ্ছেনা। নিষ্ঠুর। এক পর্যায়ে হাত জ্বলতে লাগলো। প্রায় রক্ত বের হবার জোগাড়। ফিসফিস করে মিলনভাই আর রেহেনা আপার গল্প "এই রেহেনা তুমি এমন বললা কেন? আমরা মরলে তো একসাথে মরবো, বাঁচলে এক সাথে বাঁচবো"। রেহানা আপা-মরলে মরবো, তবে ওই কঞ্চির মাইর আমি খাইতে পারবো না!!!!!!। এই দিকে বেচারা মরিয়ম- আমি- কিরে মরিয়ম ক্যামন লাগছে তোর? মরিয়ম-তুই আর কোনও কথা বলবি না। তোর প্রেমের গুষ্ঠি মারি??? তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া আমার-এই তুই আমাকে তুই করে বলছিস ক্যান? স্যারকে বলবো এখন? বললে বল, তোকেও মার খাওয়ানোর ব্যবস্থা করবো। আর তোর প্রেমের গুষ্টি মারি আমি। আর যদি একদিন তোদের সাথে যাই তবে আমার নাম মরিয়ম না....। আমারও হাত প্রায় কেটে রক্ত পরার অবস্থা। এভাবে প্রায় এক ঘন্টা। অত:পর আমাদের শাস্তির মেয়াদ শেষ হলো। কিছু সবক দিয়ে সে যাত্রায় আমরা বাচলাম বটে। তবে সবার মুখে মুখে ক্যামন শিক্ষা পেলিনা তোরা-অত:পর আমাদের বলিষ্ঠ জবাব, আরে ব্যাটা মানির মান বাঁচছে। আমাদেরকে কি কঞ্চির মাইর দিছে নাকি? তোরা সবাই দেখলে কি হইছে। আমরা মাঠের ওকড়া উঠাইছি। হাআআআআ । এভাবেই চললো খুনসুটি। অবশেষে স্কুলের বিদায়ের আগের দিন, মরিয়ম বললো, এই তোরাতো চলেই যাবি। তোদের খুব মিস করবো রে। তার আজকের কথায় একটু হতবাক হলাম। তার তুই বলাতে রাগ হলোনা বরং চোখে পানি এসে গেলো। অনেক গল্প হল। তবে, এ কথাটা তার খুব মনে আছে-দেখলি, আমরা অনেক ঝগড়া করে, কত সুন্দর একটা বন্ধুর সম্পর্ক গড়ে তুলতে পেরেছি। এটা সারাজীবন থাকবেরে। এবার খাটামিঠা-ভাবে বললাম, আর প্রেম-এইবার হলো বিপত্তি, "শালা তোর প্রেমের গুষ্টি মারি"।------হ্যাআআআআআ। এক বছরের ছোট, তবে ভাল বন্ধুদের মধ্যে সেও একজন। এখনও মনে পরলে নিজের অজান্তেই হেসে উঠি, "শালা তোর প্রেমের গুষ্টি মারি.....।"

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৮

সাইফুল১৩৪০৫ বলেছেন: কিছু মনে না করলে আমি আপনাদের চারজনেরই বর্তমান অবস্থা জানতে চাই। এখন কে কোথায় আছেন কি করছেন?

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:০৬

বিভক্ত আত্মা বলেছেন: ভালই বলেছেন। গত ২ বছর আগে স্কুলের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানে আমাদের সবার দেখা হয়েছিল। মজার ব্যাপার হলো, মিলন ভাইয়ের দিকে এগিয়ে যেতেই-বলে উঠলো-আইজ কিন্তু কোন ঝামেলা করিসনা। কারণ, তোকে নিয়ে আমি কোথাও যাবোনা। তারপর অট্রহাসি। রেহানা আপু মুখ লুকাচ্ছিল-দুলাভাই ছিল বলে। ব্ল্যাক মেইল বরলাম-বললাম, কিছু চকলেট তো আমাকে দিতেই পারেন। সে হাসতে হাসতে অনেকগুলো চকলেট দিলো। আর মরিয়ম------------------ওরে ডেনজার, খানিকটা এগিয়ে গেলাম। ভাবলাম হাত মিলাই। কিন্তু না, এক ঝটকায় হাতটা দুরে সরিয়ে নিলো। বললো, শালা তোর হ্যাণ্ডশেকের গুষ্টি কিলাই...........। হাসতে হাসতে বললাম, ভাষাটার ঈষ্যৎ পরিবর্তন হয়েছে। এবার সবাই মিলেই হাসি্। তবে একটু পরেই সে হাসি থেমে গেলো আমাদের। সবাই আছে, সব বন্ধুরা আছে..। শুধু আমাদের আর এক প্রিয় বান্ধবী আনোয়ারা নাই। সে কয়েক বছর আগে না ফেরার দেশে চলে গেছে। সবার চোখ ছলছলে। আসলে এটাইতো জীবন। সবাই এখন মজা করছি, হয়তো সবাই চলে যাবো। আমাদের উত্তরাধিকাররা জানবে আমাদের বন্ধুত্বের কথা। আর এই লেখার দেওয়াল তার স্বাক্ষী বহন করবে হয়তো।

২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১৮

আমি পোলাপাইণ বলেছেন: |-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.