নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় অনেক কম, কাজ অনেক বেশি। সংবাদ মাধ্যমের চেয়ে উৎকৃষ্ট এই সিটিজেন জার্নালে অন্তত চটি লেখক মার্কা লোক নেই-আমি এতেই সুখ অনুভব করছি। লিখতে শুরু করেছি-লিখতে লিখতেই হয়তো একদিন ফুড়িয়ে যাবো। তারপরেও সকল মানুষের কল্যান কামনা করেই যাবো

বিভক্ত আত্মা

সাংবাদিক

বিভক্ত আত্মা › বিস্তারিত পোস্টঃ

দীপের সর্বশেষ চেষ্টা

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৩৩



তখন রাত ১ টা ১৫ মিনিট। অনেক অবিচার, নির্যাতনের শিকার দীপ অনবরত চেষ্টা করছে ঘুরে দাড়ানোর। ইতোমধ্যে পূর্ববর্তি পেশার ন্যায় একটি কর্মক্ষেত্রে যোগদানের কথা প্রায় পাকাপাকি।
অর্থনৈতিক দৈন্যতায় দীপ নিজেকে আড়াল করে রেখেছে দীর্ঘদিন। তারপরেও জীবনতো থেমে থাকেনা। বাঙালী বা পৃথিবীর চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ি, মানুষের প্রকৃত স্বরুপ ফুটে উঠে অর্থনৈতিক দৈন্যতার মধ্যে।
বাংলাদেশের জঘন্যতম পেশার মধ্যে অন্যতম হলো গনমাধ্যমে কাজ করা। স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে শালীনতা বিবর্জিত কর্মই এখানে মূখ্য। আর যারা টিকে রয়েছে, তাদের অধিকাংশই হয়, গনমাধ্যমের কুখ্যাত মালিকের সাথে আতাত করে, নয়তো কারও ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষা করতেম, নয়তো কারও রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারে নিজেকে নৈতিকতাকে বিসর্জন দিয়ে অর্থ, ভোগ বিলাসে মত্য।
সবই যে খারাপ কাজ হয় তা নয়। লোক দেখানো কিছু ভালো কাজের মধ্যে নিজেদের প্রমান করতে ব্যস্ত "ওরা প্রগতিশীল"। অথচ এই প্রহগতিশীলের আড়ালেই রয়েছে অনেক মুখোশধারী। যারা ন্যুনতম সুযোগ পেলেই দেশটাকে বিক্রি করে দিবে।
এরই ফাকে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় একাধিক পূরষ্কার পাওয়া দীপকে চাকরী হারাতে হয়েছে-কারণ, মালিক পক্ষের অনৈতিক দিবি সে মানেনি।
আর এই চাকরী হারানোর সব পথটি করে দিয়েছে গনমাধ্যমে কাজ করা স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মীরা। সেই সাথে অতীব জেদি আর বুদ্ধিবিচারহীন দীপের স্ত্রী। যে কেউই জানেন যে, স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর অভিযোগ্য সব সময়ই প্রমানিত বলেই ধরা হয়।
যাকগে-সেসব অতীত।
তখন রাত ১ টা ১৫ মিনিট। পূর্বে এ সম্পর্কিত লেখার পাঠক মাত্রই জানেন যে, দীপের জীবনচক্রটা "আর একটি আবু গারিব" জেলখানার সাথেও তুলনা করা হয়েছে। তবুও প্রয়োজনের তাগিদে বেচে থাকার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে দীপ। তারপরেও এমনও ঘটনা ঘটেছে যে, খখনও কখনও দু';দিন পর্যন্ত শুধুমাত্র পানি খেয়ে জীবনটা বাচিয়ে রাখতে হয়েছে তাকে। কারণ, এক সময়ের দীপ এতটা অসহায়, এটা যেন কোন অবস্থাতেই বিশ্বাস করানো যাবেনা পরিবার পরিজন বা অন্য কারও কাছে।
এ অবস্থায় কখনও কোন লেখা বিক্রি করে, আবার কখনও কখনও কোন টেকনলজির সেবা দিয়ে উপার্জন করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে দীপ। এরই মধ্যে কোন এক এঞ্জেলের আবির্ভাবে দীপের জীবনের নতুন মাত্রা পেয়েছে।

অর্থনৈতিক দৈন্যতার কারণে, স্ত্রীর সাথে দূরত্বের সৃষ্টি হয়েছে সর্বোচ্চ। তারপরেও, সেখানে ভিন্ন একটা ইতিহাসের অবতাড়না ঘটলেও, একেবারে নি:স্ব দীপ তার স্ত্রীর সব দায় মাথায় নিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু মাসখানেকের মধ্যেই আবিষ্কার হলো, সত্যবতী হবার শর্ত দিয়ে যেসব দায় দীপ মাথায় নিয়েছিল, তা ছিল তার স্ত্রীর একটা অপকৌশল মাত্র। সেখানে আসলে সত্যের ন্যুনতম ছিটেফোটও ছিলনা।
ঘটনা আবিষ্কারের পরেও দীপ চেষ্টা করেছিল, যদি কোন মানুষকে দায়মুক্ত করা যায়, সত্য পথে ফিরিয়ে আনা যায়।
টেননলজির প্রয়োগে সেদিন দীপ কিছু টাকা উপার্জনের চেষ্টা করছিল। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়েছিল বেশ রাত হবে।
তখন রাত ১১ টা। দীপ তার স্ত্রীকে কয়েকবার ফোন দেবার পরে এক সময় অতীব বিরক্তির সুরে ওপ্রান্তে ফোন ধরলো। দীপ শান্ত কন্ঠে বললো, এলাকাতেই রয়েছি। শেষ হতে বেশ রাত হবে। গন্তব্যে যেতে হলে অনেক কষ্ট হবে, বিশেষ করে যনবাহনের। তাই, বাসাতেই থাকে চাই। তীব্র থৎসনা সহকারে দীপের এ প্রস্তাবকে নাকচ করে দেওয়া হলো। তারপরেও, কিছুক্ষন পরে দীপ আবাও ফোন করে বললো যে, বিছানাতো অনেকগুলো খালিই রয়েছে, শীতের রাতে এত চরম কষ্টের হাত থেকে বাচতে যে কোন একটি বিছানায় শরীরটা এলিয়ে দিতে চাই। দরাজ গলায়, জবাব এলো, যদি দরজা খোলা থাকে, তাহলে আসতে পার।
ঘটনা পজিটিভ মনে করে, দীপ রাত ১ টা ১৫ মিনিটে বাসায় গেলো। অনেক রাত। বৃদ্ধ-পিতামাতাকে ডেকে না তুলে দরজা খোলঅর জন্য অনবরত ফোন দিতে থাকলো দীপ। এভাবে প্রায় এক ঘন্টা, কনকনে শীতের মধ্যেই পায়চাই আর ফোন দেওয়া। ঘটনাক্রমে বৃদ্ধ পিতা টের পেলেন। তিনি সদর দরজা খুলে দিলেন। ঘরের দরজায় আরও পায় ৩০ মিনিট কড়া নারার পরে দরজা খোলা হলো।
পাশাপাশি ঘরের মাঝের দরজা খোলা। আমার জন্য বিছানাটিতে পাতা রয়েছে একটি বালিশ ও একটি পাতলা কম্বল। যা আগে কখনও থাকেনি। অন্যদিন থাকতো, তোষক, লেপ, বালিশ।
দীপ ভেবে নিল, এরপরো যদি দুরত্বের অবসান ঘটানো যায়। আলোচনায় অংশ নিতে চাইলে ঝালালো গলা। যেন, ওই আত দুপুরেও লোকজনকে জাগাতে চাইছে। দীপ কারণটুকু জানতে চাইলো। এটাও প্রতিশ্রুতি দিলো যে, ভুলটা জানতে পারলে ঠিক য্যামনটি চাওয়া হবে, দীপের জীবন সেই মহুর্ত থেকে তেমন রুপেই সাজাবে। অবজ্ঞা, অবহেলা আর ঝালালো স্বরের আওয়াজে পাশের রুম থেকে ছোট ভাই, তার স্ত্রী আর সন্তানরাও ইতোমধ্যে জেগে উঠেছে। দীপ শেষ চেষ্টা করলো। তার স্ত্রীর হাত ধরলো-কাজ হলোনা, এবার স্ত্রীর পা চেপে ধরে বললো, অপরাধ জানতে চাই। জানানো হলোনা। বরং-ঝাজালো গলায় জবাব এল ঠিক এভাবে, "আমি কোন অবস্থাতেই তোমার সাথে কন্টিনিউ করতে রাজী নই। কারণ, আমি মনে করি, আমার জীবনের জন্য আমিই যথেষ্ট, তাছাড়া, সংসারে তোমার দেবার মত কোনও সামর্থ নাই। তাই সামর্থহীন কোন ব্যক্তির সাথে আমি কোন অবস্থাতেই কন্টিনিউ করবোনা"।
হতবাক দীপ, এবার স্তব্ধ। তখন ভোরের আযান দিচ্ছে। অবজ্ঞা, অপমান সহ্য করতে না পেরে দীপ, সব গুছিয়ে নিয়ে পেছনের দরজা নিয়ে নি:শব্দে বাড়ি থেকে বের হয়ে এলো। শীতের ভোর, অনেক অন্ধকার। কোথাও কেউ নাই। কনকনে শীত। যাত্রী ছাউনিতে বসে দীপ সকাল হবার জন্য অপেক্ষা করছে। ভোর বেলায় একটি ভ্যান পেলো দীপ, তারপর সেটাতে চাপেই তীব্র শীতে কাপতে কাপতে পুনরায়, আগের ঠিকানায়, আবু গারিব জেলখানায়।
তখন রাত ১ টা ১৫ মিনিট। অনেক অবিচার, নির্যাতনের শিকার দীপ অনবরত চেষ্টা করছে ঘুরে দাড়ানোর। ইতোমধ্যে পূর্ববর্তি পেশার ন্যায় একটি কর্মক্ষেত্রে যোগদানের কথা প্রায় পাকাপাকি।
অর্থনৈতিক দৈন্যতায় দীপ নিজেকে আড়াল করে রেখেছে দীর্ঘদিন। তারপরেও জীবনতো থেমে থাকেনা। বাঙালী বা পৃথিবীর চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ি, মানুষের প্রকৃত স্বরুপ ফুটে উঠে অর্থনৈতিক দৈন্যতার মধ্যে।
বাংলাদেশের জঘন্যতম পেশার মধ্যে অন্যতম হলো গনমাধ্যমে কাজ করা। স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে শালীনতা বিবর্জিত কর্মই এখানে মূখ্য। আর যারা টিকে রয়েছে, তাদের অধিকাংশই হয়, গনমাধ্যমের কুখ্যাত মালিকের সাথে আতাত করে, নয়তো কারও ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষা করতেম, নয়তো কারও রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারে নিজেকে নৈতিকতাকে বিসর্জন দিয়ে অর্থ, ভোগ বিলাসে মত্য।
সবই যে খারাপ কাজ হয় তা নয়। লোক দেখানো কিছু ভালো কাজের মধ্যে নিজেদের প্রমান করতে ব্যস্ত "ওরা প্রগতিশীল"। অথচ এই প্রহগতিশীলের আড়ালেই রয়েছে অনেক মুখোশধারী। যারা ন্যুনতম সুযোগ পেলেই দেশটাকে বিক্রি করে দিবে।
এরই ফাকে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় একাধিক পূরষ্কার পাওয়া দীপকে চাকরী হারাতে হয়েছে-কারণ, মালিক পক্ষের অনৈতিক দিবি সে মানেনি।
আর এই চাকরী হারানোর সব পথটি করে দিয়েছে গনমাধ্যমে কাজ করা স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মীরা। সেই সাথে অতীব জেদি আর বুদ্ধিবিচারহীন দীপের স্ত্রী। যে কেউই জানেন যে, স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর অভিযোগ্য সব সময়ই প্রমানিত বলেই ধরা হয়।
যাকগে-সেসব অতীত।
তখন রাত ১ টা ১৫ মিনিট। পূর্বে এ সম্পর্কিত লেখার পাঠক মাত্রই জানেন যে, দীপের জীবনচক্রটা "আর একটি আবু গারিব" জেলখানার সাথেও তুলনা করা হয়েছে। তবুও প্রয়োজনের তাগিদে বেচে থাকার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে দীপ। তারপরেও এমনও ঘটনা ঘটেছে যে, খখনও কখনও দু';দিন পর্যন্ত শুধুমাত্র পানি খেয়ে জীবনটা বাচিয়ে রাখতে হয়েছে তাকে। কারণ, এক সময়ের দীপ এতটা অসহায়, এটা যেন কোন অবস্থাতেই বিশ্বাস করানো যাবেনা পরিবার পরিজন বা অন্য কারও কাছে।
এ অবস্থায় কখনও কোন লেখা বিক্রি করে, আবার কখনও কখনও কোন টেকনলজির সেবা দিয়ে উপার্জন করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে দীপ। এরই মধ্যে কোন এক এঞ্জেলের আবির্ভাবে দীপের জীবনের নতুন মাত্রা পেয়েছে।
অর্থনৈতিক দৈন্যতার কারণে, স্ত্রীর সাথে দূরত্বের সৃষ্টি হয়েছে সর্বোচ্চ। তারপরেও, সেখানে ভিন্ন একটা ইতিহাসের অবতাড়না ঘটলেও, একেবারে নি:স্ব দীপ তার স্ত্রীর সব দায় মাথায় নিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু মাসখানেকের মধ্যেই আবিষ্কার হলো, সত্যবতী হবার শর্ত দিয়ে যেসব দায় দীপ মাথায় নিয়েছিল, তা ছিল তার স্ত্রীর একটা অপকৌশল মাত্র। সেখানে আসলে সত্যের ন্যুনতম ছিটেফোটও ছিলনা।
ঘটনা আবিষ্কারের পরেও দীপ চেষ্টা করেছিল, যদি কোন মানুষকে দায়মুক্ত করা যায়, সত্য পথে ফিরিয়ে আনা যায়।
টেননলজির প্রয়োগে সেদিন দীপ কিছু টাকা উপার্জনের চেষ্টা করছিল। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়েছিল বেশ রাত হবে।
তখন রাত ১১ টা। দীপ তার স্ত্রীকে কয়েকবার ফোন দেবার পরে এক সময় অতীব বিরক্তির সুরে ওপ্রান্তে ফোন ধরলো। দীপ শান্ত কন্ঠে বললো, এলাকাতেই রয়েছি। শেষ হতে বেশ রাত হবে। গন্তব্যে যেতে হলে অনেক কষ্ট হবে, বিশেষ করে যনবাহনের। তাই, বাসাতেই থাকে চাই। তীব্র থৎসনা সহকারে দীপের এ প্রস্তাবকে নাকচ করে দেওয়া হলো। তারপরেও, কিছুক্ষন পরে দীপ আবাও ফোন করে বললো যে, বিছানাতো অনেকগুলো খালিই রয়েছে, শীতের রাতে এত চরম কষ্টের হাত থেকে বাচতে যে কোন একটি বিছানায় শরীরটা এলিয়ে দিতে চাই। দরাজ গলায়, জবাব এলো, যদি দরজা খোলা থাকে, তাহলে আসতে পার।
ঘটনা পজিটিভ মনে করে, দীপ রাত ১ টা ১৫ মিনিটে বাসায় গেলো। অনেক রাত। বৃদ্ধ-পিতামাতাকে ডেকে না তুলে দরজা খোলঅর জন্য অনবরত ফোন দিতে থাকলো দীপ। এভাবে প্রায় এক ঘন্টা, কনকনে শীতের মধ্যেই পায়চাই আর ফোন দেওয়া। ঘটনাক্রমে বৃদ্ধ পিতা টের পেলেন। তিনি সদর দরজা খুলে দিলেন। ঘরের দরজায় আরও পায় ৩০ মিনিট কড়া নারার পরে দরজা খোলা হলো।
পাশাপাশি ঘরের মাঝের দরজা খোলা। আমার জন্য বিছানাটিতে পাতা রয়েছে একটি বালিশ ও একটি পাতলা কম্বল। যা আগে কখনও থাকেনি। অন্যদিন থাকতো, তোষক, লেপ, বালিশ।
দীপ ভেবে নিল, এরপরো যদি দুরত্বের অবসান ঘটানো যায়। আলোচনায় অংশ নিতে চাইলে ঝালালো গলা। যেন, ওই আত দুপুরেও লোকজনকে জাগাতে চাইছে। দীপ কারণটুকু জানতে চাইলো। এটাও প্রতিশ্রুতি দিলো যে, ভুলটা জানতে পারলে ঠিক য্যামনটি চাওয়া হবে, দীপের জীবন সেই মহুর্ত থেকে তেমন রুপেই সাজাবে। অবজ্ঞা, অবহেলা আর ঝালালো স্বরের আওয়াজে পাশের রুম থেকে ছোট ভাই, তার স্ত্রী আর সন্তানরাও ইতোমধ্যে জেগে উঠেছে। দীপ শেষ চেষ্টা করলো। তার স্ত্রীর হাত ধরলো-কাজ হলোনা, এবার স্ত্রীর পা চেপে ধরে বললো, অপরাধ জানতে চাই। জানানো হলোনা। বরং-ঝাজালো গলায় জবাব এল ঠিক এভাবে, "আমি কোন অবস্থাতেই তোমার সাথে কন্টিনিউ করতে রাজী নই। কারণ, আমি মনে করি, আমার জীবনের জন্য আমিই যথেষ্ট, তাছাড়া, সংসারে তোমার দেবার মত কোনও সামর্থ নাই। তাই সামর্থহীন কোন ব্যক্তির সাথে আমি কোন অবস্থাতেই কন্টিনিউ করবোনা"।
হতবাক দীপ, এবার স্তব্ধ। তখন ভোরের আযান দিচ্ছে। অবজ্ঞা, অপমান সহ্য করতে না পেরে দীপ, সব গুছিয়ে নিয়ে পেছনের দরজা নিয়ে নি:শব্দে বাড়ি থেকে বের হয়ে এলো। শীতের ভোর, অনেক অন্ধকার। কোথাও কেউ নাই। কনকনে শীত। যাত্রী ছাউনিতে বসে দীপ সকাল হবার জন্য অপেক্ষা করছে। ভোর বেলায় একটি ভ্যান পেলো দীপ, তারপর সেটাতে চাপেই তীব্র শীতে কাপতে কাপতে পুনরায়, আগের ঠিকানায়, আবু গারিব জেলখানায়।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:০১

বিজন রয় বলেছেন: যার যেটা স্বপ্ন।
কখনো কখনো মনে নিতে হয়।

দীপও তেমনি।

ভাল লেগেছে।

২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:০১

বিজন রয় বলেছেন: আপনি খুব কম পোস্ট দেন, কেন?

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৫৮

বিভক্ত আত্মা বলেছেন: একারণে, আমি খুবই দু:খিত। আপনি, আমি সবাই জানি, সব কিছুরই পেছনে রয়েছে প্রভাবক বা উদ্দীপক। আমি আসলে হতাশাগ্রস্থ না হলেও কিছুটা মনোকষ্টে রয়েছি। যদিও, এই মনোকষ্ট কোন অবস্থাতেই পাঠককে লেখা থেকে বঞ্চিত করার কোন অধিকার রাখেনা।
আস্থা রাখেন, লিখবো, অনেক লিখবো। আর এটাইতো সত্যি, আপনারা আছেন বলেইতো, আমি এখনও বেচে আছি। ভাল থাকবেন।

৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:২০

রাজীব নুর বলেছেন: অপরাধ হলো আমাদের।
আমরা কেন দরিদ্র দেশে জন্মগ্রহন করলাম।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:০১

বিভক্ত আত্মা বলেছেন: অর্থনৈতিক দারিদ্রতা থেকে মুক্তির অনেক পথ খোলা আছে হয়তো। কিন্তু মানসিকতার দারিদ্রতা মানুষকে অমানুষে পরিনত করে দেয়, আবার ওই মানসিক বিকৃতসম্পন্ন মানুষগুলিই সমাজে মাথা উচু করে দাড়িয়ে থাকে। আসলে দোষটা কার-এটা নুরিপন করা অনেক কষ্টের। তাইতো মাঝে মাঝেই বলে উঠতে ইচ্ছা করে, হে ঈশ্বর এসব সহ্য করার আগে তোমারই ধ্বংস বা মৃত্যু হওয়া দরকার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.