নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় অনেক কম, কাজ অনেক বেশি। সংবাদ মাধ্যমের চেয়ে উৎকৃষ্ট এই সিটিজেন জার্নালে অন্তত চটি লেখক মার্কা লোক নেই-আমি এতেই সুখ অনুভব করছি। লিখতে শুরু করেছি-লিখতে লিখতেই হয়তো একদিন ফুড়িয়ে যাবো। তারপরেও সকল মানুষের কল্যান কামনা করেই যাবো

বিভক্ত আত্মা

সাংবাদিক

বিভক্ত আত্মা › বিস্তারিত পোস্টঃ

দায়বোধতা কি নির্বোধতা?

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩৭



ঝড়কে পেলামনা ভয়, ভয় পেলামনা ভূমিকম্পের বিভিষিকাকেও। চরম জলোচ্ছ্বাসেও সর্বশক্তি দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টাতেও পিছপা হইনি। দায়িত্ববোধের জায়গায় অবিচল থেকে সর্বস্ব হারিয়েও পরাজয় মানিনি। চরম অমানবিক আচরনেও সামাল দেবার যুদ্ধে সামিল থেকেও বলতে পেরেছি, "সবার ভাল হউক"। জন্মের দায় চুকানোতে নিজেকে করেছি উজার। বন্ধুত্বের দাবিকে কখনও উপেক্ষা করিনি। সামিজকতাকে সমুজ্জ্বল রাখতে লড়েছি, লড়ে যাচ্ছি, সব উজার করেই। মানুষের অধিকারের লড়াইয়ে শেষ অবধি লড়াই করবো, প্রতিজ্ঞায় আজও অবিচল।
ভেবেছি, জন্মের দায়, সামাজিকতার দায়, অধিকারের দায়, মানুষের দায়, মানবতার দায়। পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠির একজন হয়েও, আকাশের মত অসীম হতে চেয়েছিলাম। আর তাই বুক দিয়ে সকল অশুভকে আগলে ধরতে অনবরত লড়াই করেছি, নিজের অস্তিত্বের কথা চিন্তা না করেও। ক্ষুধা, দারিদ্রতা, অবহেলা, অনাচার আর অত্যাচারের আর্তনাদগুলোতে বিদ্ধস্ত হয়েছি, তারপরেও অবিচল থাকতে চেষ্টা করেছি।
মানুষ হয়ে জন্ম নেবার পরে এত দায় শোধ করার কল্পনাতে নিজের চাওয়া-পাওয়াগুলো সর্বদায় ক্ষত-বিক্ষত হলেও উহ্‌ শব্দটি উচ্চারনেও অনেক সাবধানী হতে হয়েছে জীবনে। জীবনের এ বেলায় সব ক্ষতগুলো আক্রমনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রতিঘাত করতে শুরু করায় যন্ত্রনায় ছটফট করে উঠতে হয়েছে। জীবনের এমন ছটফটানিতে হয়তোবা এ ক্ষুদ্র জীবনকে রক্ষা করার দায় উপলব্ধি করছি। আকাশের মত হতে চাওয়া এমন জীবনের জন্য, এমন উপলব্ধিবোধ হয়তো আত্মকেন্দ্রীক হয়ে যাবার সামিল হয়েছে কিনা-এটা আমার জানা নাই। নিজ জন্মের দায় শোধে রত থাকা অবস্থায়, জন্মদাতা হিসেবেও দায়বোধের জায়গায় লড়াইয়ে সামিল হতে হয়েছে। এই সামিল হওয়াটা আত্মকেন্দ্রীক হয়ে উঠা কিনা-এটাও আমার জানা নাই। তবে, চরম সত্য, জীবনগুলোর জন্য জীবনটাকেই উৎসর্গ করে বেপরোয়া গতিতে ছুটতে শুরু করেছিলাম। আকাশের মত হতে চেয়ে, আকাশইতো হয়ে উঠেছিলাম বলে মনে হয়েছিল।
করুনা কখনও চাইনি। তবে, এমন নির্জনতায় চরমভাবে ভাবিয়ে তুলেছে-"আকাশ হতে চেয়ে কি সৃষ্টিকর্তার রোষানলে পতিত হয়েছি"? সকল সম্পর্কের ঠিকানাগুলো সমুন্নত রাখতে চেয়ে কি সৃষ্টির রোষানলে পতিত হলাম? জীবনকে-সকল জীবকে, মানুষকে, মানবতাকে সমুন্নত রাখার দায় উপলব্ধির জায়গায় কি তবে ভুল হয়ে গেল?
আজকেও জীবনের হিসেব কষতে বসিনি। অবহেলার শিকার হয়েওতো বলেছি, ভালো হউক সকলের। কিন্তু কতটা ভালো করতে পেরেছি-তাওতো তাকিয়ে দেখা হলোনা আজও। ক্ষুদ্র এ জীবনে অনেক আকাংখার জন্মনিলেও দায়বোধে অবিচল থাকাটা কি সৃষ্টির সাথে সাংঘর্ষিক হলো? তাহলে মানব জনমের দায়টা কি? মানুষের অধিকারের দায় কাধে নিয়ে জেল-জুলুমও তো এই ক্ষুদ্র জীবনকে করুনা পাওয়ার দিকে প্রসারিত হতে দেয়নি। প্রাচুর্যতা অবলোকন করেছি মাত্র, ভোগের সাধতো জন্ম নেয়নি। কখনওতো চেষ্টা করিনি পারিবারিক জীবনের ব্যার্থতাগুলো ঢাকবার জন্য কোন অজুহাত তৈরী করতে অথবা দায় এড়ানোর কোন বাহানা তৈরী করে নিজেকে দোষমুক্ত দাবি করবার চেষ্টায় লিপ্ত হতে। বরং জীবন উৎসর্গ করে দিয়েই সুখ কামনা করেছি সবার। এমন কামনাতে সর্বস্ব উজার করে দিতেও কুণ্ঠাবোধ করিনি। জীবনের এ বেলায় এসে আয়নায় মুখখানা দেখে একবারের জন্যও লজ্জা পাইনি। মনে হয়নি-আয়নায় ভেসে উঠা ছবিটির মধ্যে কোন গ্লানি রয়েছে। অনেক অসামঞ্জস্য জীবনকে ঘিরে রাখলেও, একবারওতো মনে হয়নি, এই ক্ষুদ্র জীবনটা তার নিজের জন্য কিছু চেয়েছিল। দায় বোধের জায়গায় দাড়িয়েছিলাম আমি। জীবনের এতটা পথ এসে বড় বেশি ক্লান্ত লাগছিল বলেই-অস্ফুট স্বরে বলে উঠেছিলাম, "একটুখানি বিশ্রাম এবার চাই"। এমন চাওয়ার পরেওতো একবারও মনে আসেনি, "দায়মুক্ত হলাম"। ধর্মাধর্মির প্রশ্নেও সদাজাগ্রত আমি কখনও মনের মধ্যে আত্মকেন্দ্রীক হয়ে উঠবার বাসনা জাগেনি। মানুষ হয়ে জন্মাবার দায়বোধ আমাকে তাড়িত করেছে। কখনও মুখ লুকাতে চেষ্টাও করিনি। আজ, চরম ক্লান্ত লাগছে, সকল দায়গুলো এড়িয়ে চলতে ইচ্ছা করছে, মানুষ-মানবতা, অধিকার সবগুলোকে ছিন্নভিন্ন করে ফেলতে ইচ্ছা করছে। আয়নাতে বড় বিভৎস লাগছে যেন। স্বয়ং সৃষ্টিকর্তাকেই আজ প্রতিপক্ষ বলতে কুণ্ঠাবোধ করতে ইচ্ছা করছেনা। এতটা সাংঘর্ষিকতায় জড়িয়ে জীবনটা আর কোন জীবনের জন্য ভাবতে পারছেনা, দায়বোধগুলোকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে ফেলতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে ইচ্ছা করছে। সকল সম্পর্কের দায়গুলোকে ছিন্নভিন্ন করে ফেলতে ইচ্ছা করছে। পাগলপ্রায় জীবনের এমন মুহুর্তে সকল শ্রেনীর কাছে জানতে ইচ্ছা করছে-দায়বোধ উপলব্ধিটা কি অপরাধ হয়ে গেলো? মানবতাবাদী কামনার দায় কি জীবন দিয়ে শোধ করতে হবে? সুখ-লজ্জা, সামাজিকতা, আর সকল সম্পর্কের সুসম বিন্যাস টিকিয়ে রাখার প্রয়াস কি জীবনের বিনিময়েই করতে হবে? এমন লক্ষ প্রশ্নের উত্তর জানতে ইচ্ছা করছে। ক্রমশ জীবনি শক্তি হারাতে বসে, মনুষ্য এ সমাজে জন্ম নেয়া নিজেকে মানুষ বলে দাবি করার তীব্র আকাংখার জন্ম নিয়েছে। এমন দাবি উপেক্ষিত হলেও, ভালোবাসা পাবার দাবি ছেড়ে দেবার সাধ্য কি হয়েছে এ ক্ষুদ্র জীবনটার ? বিনিময় প্রার্থনা না করা এ জীবনে, স্বীয় জীবনটার দায় উপেক্ষা করার সাধ্য হয়নি, এমন অনুভবের তীব্রতায় জীবনিশক্তি শেষ হতে চলেছে। সকলের শুভ কামনা করা এমন জীবনের পরিনাম হয়তো এভাবেই নিষ্প্রাণ হয়ে যাবে, অথচ-এই জীবনটা কি কারও জীবনের পথরোধ করেছে/করেছিল, করবেও না কারণ, জীবনিশক্তি এখন নিষ্প্রাণ হয়ে পরলেও, শেষ দায়বোধের জায়গায় দাড়িয়ে কামনা- "সকলের শুভ হউক, সকলের জীবন হয়ে উঠুক সমৃদ্ধ, টিকে থাকুক সব সম্পৃতি, সুখে ভরে উঠুক সকলের জীবন, জয় হউক সকল মানুষের, জয় হউক সকল মানবতার।" দায়বোধের অবসান ঘটাতে গিয়ে আয়নার প্রতিচ্ছবিটা অপরিচিত হয়ে উঠছে ক্রমশ:।
অথচ, অভিযুক্তের কাতারে দাড়িয়ে ক্রমশ: নিষ্প্রাণ এই জীবনটা-বিচারককেই অভিযুক্ত করার ঔদ্ধত্ব দেখিয়েই যাবে-এই প্রতিজ্ঞায় অবিচল। তারপরেও অস্ফুটস্বরে নিজেকেই ক্রমশ: জিজ্ঞাস্য, “মানব জন্মের দায়বোধ কি নির্বোধতা?
জীবন কাব্য-০১
চলমান---

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:



ছবিটা কাহাদের, কি দেখানো হচ্ছে ছবিতে?

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৪৪

বিভক্ত আত্মা বলেছেন: লেখাটি আপনি পড়েছেন-আমি কৃতজ্ঞ। ছবিটা হলো ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের প্রত্যন্ত একটি জায়গায়। কাটাতারহীন ওই এলাকায় ১ জন প্রতিবন্ধি শিশু সহ ৪জন শিশু দুপুর বেলায় সীমান্তের বাংলাদেশ অংশে একটি পুকুরপাড়ে দৌড়ঝাপ করে খেলাধুলা করছিল। ওই অবুঝ দুরন্ত শিশুগুলো খেলতে খেলতেই সীমান্ত লাগোয়া ভারতীয় অংশের একটি পুকুরে সাতারের দুরন্তপনায় মেতে উঠে। ঘটনাক্রমে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ এসে ওই শিশুগুলোকে ধরে নিয়ে যায়। খবর পাবার পরে-ওই শিশুগুলোর মায়েরাসীমান্ত লাগোয়া বাংলাদেশ অংশের পুকুরপাড়ে একাধারে ৩ রাত ২দিন কান্না করছিল আর শিশুদের ফিরিয়ে দেবার আকুল আবেদন করছিল বিএসএফ এর কাছে। ওই মায়েদের কান্নায় মিনাপুর নামক বিশাল একটি গ্রামের সকল মানুষই কান্নায় ভেঙে পরেছিল। আমি তখন জেলা সদরে থাকতাম। ৩দিন পরে শিশুদের ধরে নিয়ে যাবার খবরটি আমার কাছে আসে। সংবাদ মাধ্যমের চটজলদি খবরগুলো হলো-যদি বিএসএফ এর গুলিতে কেউ মারা যায়, তখন জেলা সদরের সাংবাদিকরা জেলা সদরে অবস্থিত তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) এর কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য নিয়ে তা প্রচার করে। কিন্তু এমন একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা জেলা সদরের সাংবাদিকদের কাছে গুরুত্ব পায়নি। তারা কেউ জেলা সদর সদর থেকে ওই প্রত্যন্ত অঞ্চলেও যায়নি। কারণ হলো-এতদুর রাস্তা যদি যেতে হয়, তাহলে মোটর সাইকেলের পেট্রোল খরচ আছে, নিজেরও খরচ আছে, তাছাড়া ওরা গরিব মানুষ, সাংবাদিকদের সেখানে কোন আয় হবেনা-ইত্যাদি। যাহোক ছুটে বেড়ানো নেশা ছিল। মানবতার জন্য লড়াইটাও আমার অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার একটা বড় অংশ ছিল। আমি গিয়েছিলাম সেখানে। সেই মায়েদের অবস্থা দেখবার পরে নিজেকে সামাল দিতে পারিনি। দুই হাত ওপরে তুলে পাশেই বিএসএফ ক্যাম্পের দিকে আমি রওয়ানা হলে, বিএসএফ রাইফেল তাক করে ধরে আমার দিকে। তারপরেও সীমান্তের নো ম্যানস ল্যান্ড এ আমি গিয়েছিলাম। সেখানে দীর্ঘ ৩ ঘন্টা আলাপ আলোচনা এবং অনেক অনৃরোধের পরে তারা ওই ৪ শিশুকে ছেড়ে দেয় বটে, তবে তাদের শর্তানুযায়ি আমাকে ভারতীয় ভূমিতে অবৈধ প্রবেশের দায়ে আটক করে। আমি এমন শর্তেও রাজি হই। আমাকে আটক করে রাখার পরপরই বিএসএফ এর জওয়ানরা নিজেরা অনেকক্ষন মিটিং করে। প্রায় ২ ঘন্টা করে ওই ক্যাম্পের কমান্ডিং অফিসার আমার কাছে এসে একটা তলেতে কিছু ফলমুল উপহার দেয় এবং আমাকে জড়িয়ে ধরে। তারা আমার সামনে বলতে থাকে অপরিচিত ওই শিশুগুলোকে ছাড়িয়ে নেবার জন্য দেশের প্রথম সারীর (প্রথম আলো) একজন সাংবাদিক যখন অন্য দেশের সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে গ্রেফতারের শর্তকেও মেনে নেয়, বন্ধুকের নলকে উপেক্ষা করে, তারা বিষয়টিতে হতবাক হয়ে যায়। এবং আমাকে তারা অনেক সম্মানজনকভাবে ভারতীয় ভূখন্ড থেকে বাংলাদেশের ভূখন্ডে পৌছে দেয়। আমার ভূমিকায় ওই মায়েদের চোখের পানি আমি মুছে দিতে পেরেছিলাম, এটা ছিল আমার জন্য ভালোলাগার বিষয়।

২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:



কি বলার জন্য এত লেখা?

৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে কি আপনি আপনার নিজের কথা বলেছেন?

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:০৪

বিভক্ত আত্মা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। হ্যা আমি নিজের কথাই বলেছি। কষ্ট থেকেই বের হয়েছে লেখাগুলো। ত্রুটি নজরে এলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। প্রায় ১৮ বছর দেশের প্রথমসারীর গনমাধ্যম তথা প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন এবং বিডিনিউজ২৪ডট কমে সম্মানজনক পদে সাংবাদিকা করবার সুযোগ আমার হয়েছে।খুব স্বচ্ছতার সাথেই জীবন করতে পেরেছিলাম আমি। এই সময়ের মধ্যেই ব্যক্তি কোন কারনেই আমার সাথে গনমাধ্যমগুলোর কর্তৃপক্ষের কখনও নীতিগত কোন সাংঘর্ষিক অবস্থা তৈরী হয়নি। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার নেশায় ছুটতাম আর ছুটতাম। যাহোক অনেক অনেক অজানা তথ্য উপাত্ত্ব, যা কখনও অধিকারের, কখনও মানবতার, কখনও ধর্মাধর্মির আবার জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে আমার অতি সুক্ষ্ম অনুসন্ধান অনেক আলোচিত হয়। এই সব বিষয়গুলো কোন কোন সময় কর্তৃপক্ষের স্বার্থের বিপক্ষেও চলে যায়। প্রথম আলো থেকে রিজাই দেই। কালের কণ্ঠে যোগ দেই, তারপরতো প্রায় ৬ বছর পরে আমাকে চাকরী থেকে অব্যাহতি দেয়। এবং ইমদাদুল হক মিলন সাহেব আমার বিপক্ষে তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগ আইনের ৫৭ ধারায় দুটি মামলা করেন। যা এখনও চলমান। জেলও খাটলাম প্রায় এক মাস। ওই সময়ের মধ্যে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন এবং বিডি নিউজেও চাকরী করলাম। কিন্তু হায়রে অবস্থা। মুখোশের আড়ালে তারা এতটাই কর্পোরেট যে, আমার দৃষ্টিতে সেগুলো মুক্ত গনমাধ্যম নয়, ব্যবসায়িক সাপোর্ট সেন্টার। সকল রকম সংবাদে আভ্যন্তরীন সেন্সর। যাহোক মানাতে পারিনি নিজেকে। ছেড়ে দিয়েছি। অত:পর এখন মাসে মাসে ঢাকায় গিয়ে আদালতের কাঠগড়ায় হাজিরা দেই, আর একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছোট একটা পুকুরে মাছ চাষ করি, এখানে সেখানে লেখালেখি-এভাবেই বেকার জীবন বয়ে বেড়াচ্ছি। আমার অযোগ্যতার কারণে আমি সংসারের দেখাশুনা করতে ব্যর্থ হয়েছি। সংসার ভেঙে গেছে। বাবা-মায়ের কাছ থেকেও অনেক দুরে একা একদম একা থাকছি। মাঝে মাঝেই ভেতর থেকে চিৎকার করে উঠে।

৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:




জেনে খুশী হলাম।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:০৭

বিভক্ত আত্মা বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:৫২

জগতারন বলেছেন:
এই প্রবন্ধটি পড়লাম।
জ্বনাব চাঁদগাজী'র একাধিক অনুসন্ধানী প্রশ্ন ও
তার উত্তর'ও পড়লাম এই ব্লগ লেখক বিভক্ত আত্মা 'র।
আমি ঠিক বুঝতে পারছি না কী ভাবে মন্তব্য করবো (!) বা
সে ভাষাও আমার জানা নেই।
শুধু লিখে জানিয়ে যাই শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রইল
ব্লগার বিভক্ত আত্মা'র প্রতি।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:১১

বিভক্ত আত্মা বলেছেন: এই ভালোবাসাটাই আমার বেচে থাকবার নেয়ামক। ভালোবাসা দেবার জন্য কৃতজ্ঞ। ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.