নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় অনেক কম, কাজ অনেক বেশি। সংবাদ মাধ্যমের চেয়ে উৎকৃষ্ট এই সিটিজেন জার্নালে অন্তত চটি লেখক মার্কা লোক নেই-আমি এতেই সুখ অনুভব করছি। লিখতে শুরু করেছি-লিখতে লিখতেই হয়তো একদিন ফুড়িয়ে যাবো। তারপরেও সকল মানুষের কল্যান কামনা করেই যাবো

বিভক্ত আত্মা

সাংবাদিক

বিভক্ত আত্মা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিভোর্স লেটার! তারপর?

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩২


অনেক বছর আগে একবার এক জরুরি মিটিংয়ে ডাক পরলো আমার। মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন একটি মিডিয়া হাউসের সম্পাদক সহ সর্বোচ্চ পর্যায়ের সবাই। মিটিংয়ের এজেন্ডা ছিল-“সাংবাদিকের ওপর কেন হামলা করা হলো?”
এক এক করে বক্তারা সবাই বললেন যে, একটি স্থানের রাজনৈতিকদলগুলো (আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জামায়াত) এর প্রভাবশালী কিছু নেতা কর্মী ওই সাংবাদিকের ওপর নাখোশ। তারা সাংবাদিককে শায়েস্তা করার কথা ভাবছিল। পুলিশও নাখোশ ছিল। অত:পর সাধারন শ্রমিকদের একটি অধিকারের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশ আর আন্দোলনকারীদের মধ্যে থানার ভেতরে একটি আলোচনার আয়োজন করা হয়। আলোচনা ভেস্তে যায়। সেখানে উপস্থিত একজন সাংবাদিকের ওপর পুলিশ হামলা চালায়। পুলিশের সাথে মিলে মিশে সে হামলায় অংশ নেয় ওই রাজনৈতিক নেতা কর্মীরাও। ভিন্ন ভিন্ন মতের রাজনৈতিক ব্যক্তিরা, পুলিশসহ প্রভাবশালী এতগুলো লোক কি ভুল? নাকি ওই সাংবাদিক ভুল?
মিটিংয়ের প্রায় সবাই বললেন, এতগুলো লোক নিশ্চই ভুল হতে পারেনা। সাংবাদিকই সেখানে ভুল ছিল।
অত:পর আলোচনা যখন শুরু হলো নৈতিকতা নিয়ে, তখনই আলোচকরা প্রায় সবাই একটি সিদ্ধান্তে উপনিত হলেন যে, আমাদের পারিপার্শ্বিকতায় স্পষ্ট প্রমানিত যে, সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা মানুষ আর দেশ সেবার নামে রাজনীতির নামে ব্যবসা করে এবং আনৈতিকতায় নিমজ্জতিত। পুলিশও আনৈতিকতার শীর্ষে রয়েছে। এসব অনৈতিকতার বিরুদ্ধে ওই সাংবাদিকের অবস্থান রয়েছে বলেই সবার হামলার টার্গেট ছিল ওই সাংবাদিক।
হ্যা, সেই মিটিংয়ে ওই সাংবাদিককে ভৎসনার বদলে পুরষ্কৃত করা হয়েছিল। তারপর অনেক অনেক বছর কেটে গেছে হয়তো, কিন্তু শরীর থেকে এখনও মুছে যায়নি হামলার ক্ষতগুলো। প্রায়শ:ই কুকড়ে উঠতে হয় ব্যাথায়। অনৈতিকতার বিরুদ্ধে ওই সাংবাদিকের ব্যক্তিগত জীবনে স্থায়ী হয়েছে শরীরে ব্যাথার ক্ষত।
কর্পোরেটের লিপ্সায় যখন গনমাধ্যমও কলুষিত। তখন, অনৈতিকতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে থাকা সংবাদকর্মীরাও নিষ্পেষিত। উজানে তাল মেলানোরা হয়তো বৈষয়িকভাবে লাভবান। অন্যরা কেউ কেউ জীবনও হারিয়েছেন, নির্বাসিত হয়েছেন, হয়তো কেউ কেউ ঠিক এভাবেই একান্তে জীবন বেছে নিয়ে কোনরকম বেঁচে আছেন।
জীবনের প্রয়োজনে, সংসার আর সামাজিকতার প্রয়োজনে এভাবে বেঁচে থাকাটা হয়তো মূল্যহীন। অনেক মাস বছর পেরিয়ে যাবার পর প্রয়োজনগুলো যখন সীমাহীন পিড়া দিতে থাকে, তখন হয়তো সবার প্রয়োজন মেটানোর তাগিদটা একাকিত্ব জীবনকে ক্ষতবিক্ষত করে তোলে। নৈতিকতাগুলোকে অর্থহীন মনে করে বৈষয়িক ভাবনা নিয়ে পথচলার চেষ্টা করে কেউ কেউ। বৈষয়িক বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে ওই সংবাদকর্মী নিজেকে যেন নতুনভাবে চিনতে শুরু করে। অত:পর পথচলা। এ যেন বেমানান পথচলা। তারপর, তারপর? জুটে গেল একখানা ডিভোর্সলেটার। তাহলে?
জীবনের এ পথচলা কি ভুল ছিল? নাকি এটাই পরিনতি হবার কথা ছিল? শরীরের ক্ষত তো এখনও ব্যক্তি সাংবাদিককেই বয়ে বেরাতে হয়। এখন এই অমানবিক মানসিক ক্ষতকেও কি মেনে নিয়ে চলতে হবে? আর কি বাকী রইলো? সমাজ, সংসার, পরিজন সব ছেড়ে যেতে হবে? হয়তো-এটাই..।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


কোন একটি মিডিয়া যদি নিরপেক্ষ ও উন্নত সাংবাদিকতায় উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারতো; সবাই তাদেরকে সমীহ করতো।

২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:২৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মিডিয়া গুলোর মধ্যে একাত্তর কিছুটা ব্যতিক্রম।

৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশের কোনো মিডিয়া নিরপেক্ষ নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.