নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন খেটে খাওয়া শ্রমিক। রবীন্দ্রনাথ আমার গুরু। উনার কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস, গান আমার দারুণ প্রিয়। আমি প্রথম আলো পত্রিকায় সাংবাদিকতা করছি। বেড়ানো আমার শখ, শখটা এখন ঘুমানোতে ডাইভার্ট হয়ে গেছে। খেলা দেখার নেশাটা ছাড়তে পারি নি এখনও......
ভোর সাড়ে চারটায় আমাদের সান রাইজিংয়ের দৃশ্য দেখতে যাওয়ার কথা। চারটার সময় ট্যাক্সি ড্রাইভার রোশান ফোন করল। আমাদের হোটেল কোন গলিতে সেটা চিনতে ওর কষ্ট হচ্ছিল। আমি নিচে নেমে ট্যাক্সিওয়ালাকে খুজতে গেলাম।কয়েকবার ফোনের পর আমাদের হোটেলর সামনে চলে এল গাড়ি।
আমরা গোছগাছ করে মেয়েকে ঘুম ঘুম অবস্থায় তুলে নিয়ে চললাম অন্নপূর্ণা পাহাড়ের ওপর সূর্যোদয়ের দৃশ্য দেখতে। একটু এক্সাইটেড ছিলাম। আবার ভেতরে ভেতরে ভয়ও লাগছিল। বিদেশ বিভূইয়ে চেনা-জানা কেউ নেই। এতগুলো ডলার, নেপালি রুপি, পাসপোর্ট, ক্যামেরা-মূল্যবান সব জিনিসপত্র নিয়ে অন্ধকার থাকতে থাকতে বের হচ্ছি। বুকের ভেতর অজানা আশঙ্কা। তবু আল্লাহর ওপর ভরসা করে ট্যাক্সিতে উঠলাম।
রাস্তায় বেরিয়ে আমাদের ভয় কেটে গেল। দেখলাম আমাদের মতো আরো অনেক পর্যটক সূর্যোদয় দেখতে বের হয়েছে। কেউ জগিং করতে করতে পাহাড়ে উঠছে। কেউ ট্যাক্সি ও ট্যুরিস্ট বাসে। আমরা পাহাড়ের ঢাল বেয়ে উঠছি তো উঠছিই। পাহাড়ি রাস্তায় এভাবে ওপরে ওঠার অভিজ্ঞতা এই প্রথম। খাড়া পাহাড়। মনে হচ্ছিল এই বুঝি পড়ে গেলাম। ট্যাক্সির ভেতরে বসেই অল্প অল্প ভয় পাচ্ছি। এন্ট্রি ফি দিতে হলো পথে ৬০ রুপি। প্রায় ২০-২৫ মিনিট পর আমরা চলে এলাম সূর্যোদয় দেখার ভিউ পয়েন্টে। দেখি আমাদের আগে আরো শ দুয়েক মানুষ এসে জড়ো হয়েছে। অনেক বাঙালি দেখলাম। আমাদের ভাগ্য ভালোই বলতে হবে। আগের রাতে বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছিল। শঙ্কা ছিল সূর্যোদয় দেখতে পারব কি না। কিন্ত সব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে ধীরে ধীরে সুয্যি মামা উকি দিল অন্নপূর্ণার শ্বেত শূভ্র চূড়ায়। সে এক দেখার মতো দৃশ্য। ভারচুয়াল নয় চাক্ষুষ অবলোকন। খুবই ভালো লাগলো। বেশ কয়েকটি ছবি তুললাম। ভিডিও করলাম। এরপর রোদ অনেকটা চড়ে গেলে নিচে নেমে পাশের এক দোকানে চা-কফি খেলাম। বিল কতো হলো জানেন! ১৯০ রুপি। সাবাশ!!! এরপর আমরা পাহাড়ের ঢাল বেয়ে ভোরের পোখরা দেখতে দেখতে নিচে নামতে লাগলাম। তখনো পাহাড়ি জনপদ জেগে ওঠেনি ভালোভাবে। গৃহস্থ বাড়ির বউরা শুধু নিজেদের উঠোন নিকোতে লেগেছে। আমরা এক সময় সমতলে নামলাম। আমাদের এবারের গন্তব্য পাহাড়ের ওপরে নির্মিত পিস প্যাগোডা।
বাকিটুকু আগামী পর্বে পড়ুন।
আগের পর্বগুলো পড়তে এখানে ক্লিক করুন:
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২৯
বদিউজ্জামান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ ডাইরেক্ট টু দ্য হার্ট ভাই।
৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩৯
স্বপ্নখুঁজি বলেছেন: বেশ ভালোই হচ্ছে। পরের গুলোর অপেক্ষায় রইলাম।
৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫১
বদিউজ্জামান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ স্বপ্ন খুঁজি ভাই।
৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪
নক্শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: ঠান্ডার মধ্যে অন্ধকার থাকতেই ওখানে গিয়ে, পাহাড়ে উঠেছিলাম, কিন্তু কপাল খারাপ, আবহাওয়া খারাপ থাকায় কিছুই দেখা যায়নি। সামান্য পাহাড়ের রেখা দেখা গিয়েছিলো শুধু।
৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩
েবনিটগ বলেছেন: ==++
৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৪২
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এখনো নেপাল যাওয়া হয়নি, তবে খুব শীঘ্রই যাওয়ার পরিকল্পনা আছে, ভ্রমণ পোষ্টগুলোতে কিছু ছবি থাকলে বেশী মজা হয়, ধন্যবাদ।
৮| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫
ভোরের সূর্য বলেছেন: ভাল লাগলো পুংখানুপুং বর্ণনা পড়ে।শেষ পর্ব কোথায় ভাই? পুরাটা শেষ করতে পারলে ভাল হত।
আমি এপ্রিলের শেষে নেপাল যেতে চাই তাই ভাবলাম আপনার মতন করেই নিজেই ঘুরবো আপনার কাছে কিছু টিপস চাচ্ছি।যদি আপনার মেইল এ্যাড টা দিতেন তাহলে আপনার কাছ থেকে আরো কিছু তথ্য জানতে চাইতাম।
৯| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:১৮
লিখেছেন বলেছেন: +++
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০১
ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: ভ্রমণ পোস্টে প্লাস
ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।