নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সহেনা যাতনা দিবস রজনী

বদিউজ্জামান মিলন

আমি একজন খেটে খাওয়া শ্রমিক। রবীন্দ্রনাথ আমার গুরু। উনার কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস, গান আমার দারুণ প্রিয়। আমি প্রথম আলো পত্রিকায় সাংবাদিকতা করছি। বেড়ানো আমার শখ, শখটা এখন ঘুমানোতে ডাইভার্ট হয়ে গেছে। খেলা দেখার নেশাটা ছাড়তে পারি নি এখনও......

বদিউজ্জামান মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দূর্গাপূজায় নস্টালজিক এক যুবক

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:২৭

``ঢাকের তালে কোমর দোলে, খুশিতে নাচে আজ মন
আজ বাঁজা কাসর, জমা আসর
থাকবে মা আর কতক্ষণ''
অভিজিতের গাওয়া এই গানটা তখন ছিল না। গান বলতে একটাই প্রতিবছর শুনতাম...দুনো জাওয়ানি কি মাস্তি মে চুর..আশা ভোশলে আর সাব্বির খানের গাওয়া কুলি সিনেমার বিখ্যাত এই গান। যাদের বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপায় তারা এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন কোন প্রসঙ্গে বলছি।
কুমার নদের দুই তীরে হাজার হাজার মুখ। নদীতে শত শত নৌকা। প্রতিমা ভর্তি নৌকায় মাইক আর মাইক। আতশবাজি পুড়ছে। ধুপ ধুনোর গন্ধ। শৈলকুপা ব্রিজের ওপরেও হাজার হাজার মানুষ। আমাদের এলাকায় হাটবার শনি ও মঙ্গল বার। এই দিন প্রতিমা বিসর্জন হলে তো আরো বেশি মানুষ। রাস্তার দুই পাশে মেলা। গুড়ের জিলাপি, মাটির হাড়ি ভর্তি করে সেগুলো বাড়িতে নিয়ে যাওয়া.. সেসব মনে পড়লেই নস্টালজিয়ায় ভুগি। মনে পড়ে হারানো কৈশোরের দিনগুলি।
মুসলিম পরিবারের ছেলে হয়েও বাঙালি শারদীয় দুর্গা উৎসবটাকে কখনো অন্যদের মনে হয়নি। একটাই কারণ হিন্দু অ্ধ্যুষিত এলাকা আমাদের। আমার যতো বন্ধু এর বেশিরভাগই হিন্দু। প্রাইমারি আর হাইস্কুলের আমাদের অনেক স্যারই হিন্দু। দূর্গাপূজার তিনদিন তাই কবিরপুর, হাবিবপুর, শৈলকুপা মিলে একটা উৎসবের পুরীতে পরিণত হতো। শীতের রাতে আমাদের পাড়া থেকে চাদর মুড়ি দিয়ে মা-চাচীদেরও দুর্গাপূজা দেখতে যেতে দেখেছি।
পড়াশুনা। এরপর চাকরির সুবাদে ঢাকাতেই পূজার সময় থাকি গত ১৮ বছর। মাঝে একবার আমার মেয়েকে নিয়ে পূজার সময় বাড়িতে গিয়েছিলাম। মেয়েকে পূজা দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলাম ওই কুমার নদীর ধারে। সেই গান...এখনো বাজছে সেই গান! কত গান এল গেল..মাইকের শত শত গানের মধ্যে বাতাস চিরে কানে কেন এই গানটাই এসে বাজে? মেয়েকে বললাম তোমার এতটুকু বয়স থেকেই আমরা এই গান শুনে আসছি।
ঢাকায়ও সময় পেলেই মেয়েকে নিয়ে মনিপুরী পাড়া, কলাবাগান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জগন্নাথ হল, রমনা কালী মন্দির, ঢাকেশ্বরী মন্দিরে যাই। এবার সময়ের অভাবে শুধু মেয়ের স্কুলের পাশে মিরপুর ২ নম্বর মন্দিরে নিয়ে যাই ওকে।
আজ বছর ঘুরে আরেকটি প্রতিমা বিসর্জন। আমি চোখ কান বুজে নিউজ লিখছি। কিন্ত কানে ভেসে আসছে ট্রাকে করে ঘোরা ঢাকা শহরের পূজা উৎসব। আমি বাঙালি । উৎসব আমাকে টানে। শৈলকূপার পূজা আমাকে এখনো টানে। চাকরির খাতিরে শুধু যেতে পারিনা। তাই ইউটিউবে শুনছি ..দুনো জোয়ানি কি মাস্তি মে চুর..। চোখ বন্ধ করলেই যেন দেখতে পারছি কুমার নদে প্রতিমা বিসর্জন।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:১৪

নীলপরি বলেছেন: খুব ভালো লাগলো । আচ্ছা জায়গাটা কি ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি ?

২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:১৩

হোৎকা বলেছেন: দাদা নামটা বিজয়নাথ মিলন করে নিলে হয় না?

৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:০৪

বদিউজ্জামান মিলন বলেছেন: ঠিক সীমান্তের কাছাকাছি না নীলপরি। তবে আমাদের একপাশে কুষ্টিয়া আরেকপাশে যশোর। বর্ডার আমাদের বাড়ি থেকে অনেক দূর।

৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৭

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালো লাগলো ভ্রাতা । ঈদ মুবারক :)

৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৩:৫৪

সাগর রহমান বলেছেন: আপনার এই স্মৃতি চারণ ভাল লাগল মিলন ভাই।

বি.দ্র: আপনাকে ফোনে পাচ্ছিনা। আবারো চেষ্টা করবো। একই সাথে কি মেইলে যোগাযোগ হতে পারে? অথবা ফেসবুকে। আমি shagor rahman নামে আছি। আর ইমেইল: [email protected]

৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৮:৫২

বদিউজ্জামান মিলন বলেছেন: sagor u can mail [email protected]

৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৯

মো: ফিরোজ বলেছেন: দাদা নামটা বিজয়নাথ মিলন করে নিলে হয় না? সহমত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.