নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সহেনা যাতনা দিবস রজনী

বদিউজ্জামান মিলন

আমি একজন খেটে খাওয়া শ্রমিক। রবীন্দ্রনাথ আমার গুরু। উনার কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস, গান আমার দারুণ প্রিয়। আমি প্রথম আলো পত্রিকায় সাংবাদিকতা করছি। বেড়ানো আমার শখ, শখটা এখন ঘুমানোতে ডাইভার্ট হয়ে গেছে। খেলা দেখার নেশাটা ছাড়তে পারি নি এখনও......

বদিউজ্জামান মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরকীয়া

১৪ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:১৪

রাহাতের কাছে ব্যাপারটা খুব অদ্ভূত মনে হচ্ছে। কদিন ধরেই মাথার ভেতরে ঘুরছে একজন মেয়ের ছবি। মেয়ে বলা ভুল। মহিলা বলাই ভালো। পাঁচ বছর বয়সী এক সন্তানের জননী। মহিলা সুন্দরী। বড় জোর ত্রিশ থেকে পয়ত্রিশ বছর হবে। কেন যে হঠাৎ রাহাতের মনে হলো ভদ্র মহিলা তাকে পছন্দ করতে শুরু করেছে। হয়তো প্রেমেও পড়েটড়ে গেছে!
ঘটনার শুরুটা আকস্মিকভাবেই। বেতন তুলতে প্রতি মাসেই একবার করে ব্যাংকটিতে যাওয়া লাগে রাহাতের। নিজের অফিসের লাগোয়া ব্যাংকে বেতন তোলে না রাহাত। কারণ প্রায় হাজার পঞ্চাশের ওপরে টাকা। রাতের চাকরি। স্বাভাবিকভাবেই অত টাকা নিয়ে রাত-বিরোতে বাসায় আসা ঠিক হবে না। ভেবেচিন্তে তাই বাড়ির পাশের ব্রাঞ্চ থেকেই বেতন তোলে প্রতি মাসে। কিন্তু ব্যাংকে একটা অদ্ভূত সমস্যা। প্রতি মাসেই ব্যাংকে ঢোকার আগে মনে মনে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে রাহাত। এই না সার্ভার ডাউন ঘটল। আর সার্ভার ডাউন মানেই অনির্দিষ্ট কালেরর জন্য অপেক্ষা। প্রতিবার ভাবে এই শেষ। আর এই ব্যাংকে আসবে না। কিন্তু কোনো যাদুর টানে না, বাস্তবতার খাতিরেই ব্যাংকে আসতে হয়। ম্যানেজারের কাছে একবার এটা নিয়ে অভিযোগও জানিয়েছিল রাহাত। বলেছিল, আমাকে একটা এটিএম কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। উল্টো ম্যানেজার তাকে বুঝিয়ে দিলেন, ভাই আপনি এমন শিক্ষিত মানুষ হয়ে এই ভুলটা ভুলেও করবেন না। রাহাত বলে, কি ভুল? ম্যানেজার তাকে যুক্তি দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেন, ঢাকা শহরের বেশিরভাগ এলাকাতেই এটিএমে পর্যাপ্ত টাকা থাকে না। আমাদের ব্যাংকের তো আরো কম। সুতরাং ওই চিন্তাও আপাতত বাদ। আবার একাউন্টের ক্যাশে গিয়ে ধর্ণা দাও। আবার লাইনে দাঁড়াও।
সেদিনও রাহাত লাইনে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু সিকিউরিটি ব্যাটা এত খারাপ, বলল এই লাইনে না, স্যার পাশের লাইনে দাঁড়ান। রাহাত ভাবল মন্দ কি, এই লাইনে লোক কম। দাঁড়াই, তাড়াতাড়ি টাকা তুলবো। কিন্তু ওমা একি! মহিলা যে শামুকের গতিতে কাজ করছে। আধাঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকেও লাইনের একজনও নড়ছে না। একবার ভাবল উঁচু স্বরে চীৎকার করবে। পরে ভাবল থাক, অনেক কষ্টে যখন লাইনের মাথায় গিয়ে দাঁড়াল, ঠিক ওই সময় শুনল মিষ্টি কন্ঠের গা জ্বালা করা কথা, সার্ভার ডাউন। মেজাজটা বিগড়ে গেল রাহাতের। রাগে গজগজ করতে করতে ব্যাংক ছেড়ে বেরিয়ে গেল।
পরদিন সকাল ১০টা। অন্য একটি ক্যাশ অ্যাকাউন্টের সামনে গিয়ে দাঁড়াল রাহাত। চেকটা দিতেই সুন্দরী মহিলাটি বলল, আপনি কাল রাগ করে চলে গিয়েছিলেন। আমি লক্ষ্য করেছিলাম । এরপর থেকে কোনো সমস্যা হলে সরাসরি আমার কাছে চলে আসবেন। একটু অবাকই হলো সে।
বাসায় ফিরে রাহাত ভাবছিল, কিভাবে ওই সুন্দরী মহিলাকে ধন্যবাদ দেওয়া যায়। ধন্যবাদ দেওয়ার জন্য আরও একটা কারণও আছে রাহাতের। যে ব্যাংক থেকে রাহাত টাকা তোলে ওই ব্যাংকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা তোলার সুযোগ আছে, প্রতিবার বেতন তোলার আগে এমন কথা অ্যাকাউন্ট থেকে জানিয়ে দেয়। এবারো একই সমস্যায় পড়েছিল রাহাত। মহিলা দ্রুত একটি ফর্ম নিয়ে এলেন পিয়নকে দিয়ে। এরপর নিজেই সব পূরণ করে রাহাতকে শুধু একটা সিগনেচার করতে বললেন। এরপর থেকে আর সমস্যা হয়নি বড় অঙ্কের টাকা তুলতে। এসব কারণেই ধন্যবাদটা পাওনা হয়ে গিয়েছিল । রাহাত ভাবছিল মহিলার নাম জেনে নিতে হবে। এরপর তার মোবাইল নম্বরটাও। কিন্তু নিজে থেকে জানতে চাওয়াটা বাড়াবাড়ি মনে হচ্ছিল। হঠাৎই তার ফেসবুকে একদিন মহিলার ছবি দেখে। ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠিয়েছে। রাহাত তো অবাক। অ্যাকসেপ্ট করে নিতে দেরি করেনি।
এরপর থেকেই টুকটাক ফেসবুকে কথাবার্তা চালাচালি। একদিন দেখে তার অনেক ছবিতে লাইক দিয়েছেন ওই সুন্দরী মহিলা। একদিন মোবাইল নম্বর চাইলেন। সেটাও পাওয়া গেল। এবং সেটা পাঠিয়ে বলেছে পরে ফোন দেবে। পরে টুকটাক কথাও হলো। লোন নেওয়ার বাহানা করে অনেক কথা বলল দুজন। ছেলের খোজখবর নিল রাহাত।
এখন থেকে রাহাতের রাত কাটে শুধু্ই বয়সী সুন্দরী মহিলার কথা ভেবে। এমন অরুচীকর ভাবনটা কিছুতেই মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারছে না সে। নিজেকে লুইচ্চা লু্ইচ্চা মনে হচ্ছে তার। এত অল্পতেই কেন যে এত বেশি ভেবে বসে থাকে ..রহস্যটার কোনো কূল কিনারা পাচ্ছে না রাহাত। আপনাদের কারোর কি জানা আছে এর উত্তর?

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৩৪

সিরাজুস সালেকিন বলেছেন: কিছু একটা তো হয়ে গেছে। চালায়া যাইতে বলেন। এ যুগে এসব চলে। বরং না চালাইলে ব্যাকডেটেড, ক্ষ্যাত

২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৩৮

বদিউজ্জামান মিলন বলেছেন: সাবাশ! সিরাজুস সালেকিন ভাই..

৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৪৮

রুপম হাছান বলেছেন: প্রতিটি বস্তুরই একটা ক্রিয়া (কাজ বা গুণ) থাকে তবে প্রতিক্রিয়া (সমস্যা বা দোষ) তখনই পাওয়া যায়, যখন সেই বস্তুটি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি বিনিয়োগ করা হয় অর্থাৎ বেশি বিক্রিয়া করা হয়। আপনার সেই লোকটি তার সমস্যা বেশি বেশি বিনিয়োগ করে চলছে মনে হচ্ছে।

এই সমাজে এখন এগুলো হরহামেশাই হয়ে যাচ্ছে। কেউ গোপনে কেউ বা জানিয়ে আবার কেউ না জানাতে চাইলেও অন্যকে দিয়ে সেই কাজ চালিয়ে যেতে উৎসাহী হোন অর্থাৎ মধ্যস্তাকারীর সাহায্যে করে থাকেন।

অপেক্ষা করুণ সামনের সিকোয়েন্স কি হতে চলছে। হা হা হা।

৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:০৫

অবিবাহিত ছেলে বলেছেন: আমিতো প্রেমে পড়েনি, প্রেম আমার উপর পড়েছে ।



সাবধান পরকীয়ার পরিনতি কিন্তু খুন খারাপিতে শেষ হয় ।

৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:২৩

বদিউজ্জামান মিলন বলেছেন: গল্পের সব চরিত্রই কাল্পনিক। বাস্তবে কারোর সঙ্গে মিলে গেলে লেখক দায়ী থাকবে না....

৬| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৪৪

জুবাইদুর আকাশ বলেছেন: রপর থেকে কোনো সমস্যা হলে সরাসরি আমার কাছে চলে আসবেন। েডানট ডু ইট

৭| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৫৪

বদিউজ্জামান মিলন বলেছেন: কেন রে ভাই? সমস্যা কোথায় জুবাইদুর আকাশ ভাই? প্লিজ এক্সপ্লেইন..

৮| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:১৩

ডেড আকাশ বলেছেন: ওই মিয়া পরকিয়ার প্রতি এত আগ্রহ কেন? আপনার বউয়ের সাথে কেউ ফস্টিনস্টি করলে কেমন লাগবে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.