নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সহেনা যাতনা দিবস রজনী

বদিউজ্জামান মিলন

আমি একজন খেটে খাওয়া শ্রমিক। রবীন্দ্রনাথ আমার গুরু। উনার কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস, গান আমার দারুণ প্রিয়। আমি প্রথম আলো পত্রিকায় সাংবাদিকতা করছি। বেড়ানো আমার শখ, শখটা এখন ঘুমানোতে ডাইভার্ট হয়ে গেছে। খেলা দেখার নেশাটা ছাড়তে পারি নি এখনও......

বদিউজ্জামান মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নির্বাচনের দিনে ঘুরলাম ফাঁকা ঢাকায়

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৩৭

সাধারণত অন্য বিটে কাজ করার সুবাদে নির্বাচনের নিউজ কাভার করার কোনো সুযোগ দেয়নি অফিস। তবে যেহেতু গাড়ি চালানো বন্ধ তাই ভাবলাম মোটরসাইকেল চালানো ঝুকিপূর্ণ হবে। যদিও আমার মোটরসাইকেলের সামনে সাংবাদিক লেখা, কাল শাহবাগে তারপরো পুলিশ ধরলো। এরপর সাংবাদিক বলায় রক্ষা। কাল রাতে এজন্য অফিসে এসে চীফ রিপোর্টারকে অনুরোধ করলাম আমাকে যেন একটা স্টিকার দেয় নির্বাচন কমিশনের । প্রথমে উনি বললেন, `সবাইকে দিয়ে যদি বাকি থাকে তবে আপনাকে দেব।' আমি বললাম মোটরসাইকেল তো চালাতে পারব না। এরপর বলল , হাতের কাজ শেষ হোক। পরে আসেন। একটু পর গেলাম। আমাকে ডেকে একটা স্টিকার ধরিয়ে দিলেন। তাকে একটা ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ এই জন্য যে এই স্টিকার না থাকলে হয়তো ঢাকা শহরেরর এই সোন্দর্য্য দেখতে পেতাম না। বেলা সাড়ে এগারটার দিকে গেলাম বাড়ির কাছের ভোটকেন্দ্রে। বশিরউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, মিরপুর। সেখানে লাইনে দাড়িয়ে ভোট দিতে যাব, অমনি মুখোমুখি ফ্লাটের ভাইজান বললেন, আপনার দাড়ানো লাগবে না লাইনে। এরপর সোজা প্রিজাইডিং অফিসারেরর সামনে। ব্যালট পেপার তিনখান নিলাম। ভোট দিলাম। ছবিও তুললাম। ফেসবুকে দিলাম। একটু পর বউ ভোট দিয়ে বেরিয়ে এল। আমরা দুজন মিরপুরের বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলাম মোটরসাইকেলে। রাস্তা ফাকা। আহা কি শান্তি। দু একটা রিকশা ছাড়া কিছু নেই। অনেকে আমাদের দেখে ঈর্ষার চোখে তাকাচ্ছিল। মিরপুর বশিরউদ্দিন স্কুলের পাশে একটা কিন্ডারগার্টেন পার হয়ে টোলারবাগ সরকারি কলোনির ভেতরে ওয়াক আপ সরকারি প্রাইমারি স্কুলে গেলাম। দুপুর বেলা। দেখি একজন লোকও ভোট দিচ্ছে না। কেন্দ্র ফাঁকা। শুধু কাউন্সিলর প্রার্থীদের বুথে লোকের জটলা। এরপর সেখানে দাড়িয়ে ছবিটবি তুলে গেলাম মিরপুর ১ নম্বর, চিড়িয়াখানা রোড। যাওয়ার পথে ১ নম্বর মোড়ে একজন কনস্টেবল আমার মোটরসাইকেল আটকানোর জন্য দূর থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কাছে আসতেই নির্বাচন কমিশনের লোগাওয়ালা স্টিকার দেখে হেসে চলে গেল। আমি হাসি। বউ হাসে। এরপর কমার্স কলেজ, মিরপুর বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ে গেলাম। সেখানে দেখি একদল যুবক বসে আড্ডা দিচ্ছ। একটু পর ভোটার আইডি নম্বর ধরিয়ে দিয়ে কিশোর ছেলেদের বলছে যা ভোট দিয়ে আয়। ওই ছেলেটা বলল আমি তো দিছি একবার। সে বলল, আবার যা। আরে ব্যাটা আমি তো ছয়বার ভোট দিলাম। সেখানে যা বুঝার বুঝলাম। ওই কেন্দ্র থেকে বের হয়ে মিরপুর থানার সামনে দিয়ে দশ ফুট রাস্তা দিয়ে এলাম মনিপুর স্কুলের সামনে। সেখানেও মনে হল সামথিং রং। কোনো পুলিশ নেই কেন্দ্রে। বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকটা বুথে কর্মীরা বসে আছেন অলস হয়ে। এরপর সামনে আরো এগুতে দেখি ভোট নিয়ে কারোর মধ্যে মনে হয় তেমন উৎসাহ নেই। আরো কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে অবশেষে বাসায় ফিরলাম।
এরপর অফিসে আসার পথে কয়েকটা ছবি তুললাম ফাকা রাস্তার। সেগুলা আপনাদের উদ্দেশে দিলাম।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৫৪

মোঃমোজাম হক বলেছেন: সাংবাদিক ষ্টিকার নিয়ে বৌসহ ঘুড়ে বেড়নো যায় !
ছবি দিলে আরো ভাল লাগতো

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.