নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাম্মদ মইন উদ্দীন। ডাক নাম মাঈনু। কিছু কিছু ফ্রেন্ডের কাছে কিশোর। বাড়ি চট্রগ্রাম। পড়ালেখার কারণে ঢাকায় থাকি। কৌতুহল একটু বেশী, হয়তো বাড়াবাড়ি ধরনের ই বেশী। দূঃসাহসী, কিন্তু সাহসী কিনা এখনো জানতে পারিনি।

কিশোর মাইনু

কিছু কিছু জিনিস জানি। সেগুলা মানুষের সাথে share করার জন্য ব্লগে প্রবেশ। তাতে দুটো সুবিধে। প্রথমত, আমার জানার ভুলভ্রান্তিগুলো দূর হবে। দ্বিতীয়ত, নতুন কিছু জানার সুযোগ সৃষ্টি হবে। দুনিয়াতে জানার কোন শেষ নেই। এবং আমার আগ্রহের ও কমতি নেই। ইনশাল্লাহ কোনদিন হবে ও না।

কিশোর মাইনু › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেষ যামানা নিয়ে চিন্তাভাবনা

২১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪০

শেষ যামানা নিয়ে সবচেয়ে বেশি সচেতন হল ইহুদিরা। তারা তাদের ব্যক্তিগত,সামাজিক,রাষ্ট্রিক,অর্থনৈতিক প্রতিটি পদক্ষেপ শেষ যামানার আলোকে নেয়। তারা তাদের বিকৃত ধর্মীয় গ্রন্থ থেকে যতটুকু বুঝেছে সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করে। তাদের ব্যক্তিগত চিন্তায়, রাষ্ট্রীয় বা সামাজিক আলোচনায়, মিডিয়ার খবরে শেষ যামানা সম্পর্কিত অনেক আলোচনা থাকে। মাসিয়াখ(দাজ্জাল) অচিরেই আসবে,অমুক রাবাই অমুক ভবিষ্যৎবাণী করেছে,অমুক আশ্চর্য ঘটনা অমুক ধর্মীয় বিষয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে,সুপারমুন,সাবাত,জুবলি ইত্যাদি নিয়ে তাদের বড় বড় মিডিয়া প্রায় খবর করে।
ইহুদিদের চাইতে কম হলেও শেষ যামানা সচেতনতা খৃষ্টানদের মধ্যে অনেক রয়েছে। সাম্প্রতি এমন অনেক ঘটনায় এটা সহজে বুঝা যায়।হুয়াইট ইভেনজালিস্ট খৃষ্টানরা প্রথমে ট্রাম্পকে ভোট দিতে চায়নি কিন্তু যখন ট্রাম্প ইশতেহারে জেরুজালেমকে রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে বলে উল্লেখ করেছিল,এটা শুনে ৮১% ইভেঞ্জালিস্টরা তাকে ভোট দেয়- কারন তাদের বিশ্বাস হল জেরুজালেম রাজধানী হলে ইসা (আঃ) এর দ্রুত আগমন হবে। এখন তারা প্রচার করছে ট্রাম্পের এমন ঘোষণা আরমোগেডান ও মানব জাতির ধ্বংসকে কাছিয়ে এনেছে। তাদের প্রধান প্রধান মিডিয়া প্রায় এমন নিউজ করে। বড় কোনো অবাক,সংকটপূর্ণ,রহস্যময় ঘটনাকে তারা এপোক্লিপ্স (দুনিয়ার ধ্বংস) ও আরমোগেডন (মহাযুদ্ধ/মালহামা) শব্দ ব্যবহার করে নিউজ করে। আমেরিকার সাথে কোরিয়া,রাশিয়া বা চীনের দ্বন্দ্ব ইত্যাদিকে তারা আরমোগেডন বলে নিউজে করেছিল। আমি কোনো কন্সপাইরেসি থিওরি শেয়ারিং নিউজ মিডিয়ার কথা বলছি না,বরং ওয়াসিংটন পোষ্ট,টাইম নিউজ,ইকোনমিক,ফক্স,বিবিসি,সিএনএন ইত্যাদি নিউজের কথা বলছি।যেমন,ক্যালিফোরনিয়ার দাবানলের চিত্র তুলে ধরতে ইকোনোমিক্স ‘এপোক্লিপ্ট সিন’ শব্দ ব্যবহার করেছে। অর্থোডক্স খৃষ্টান ইস্পুটিনিক নিউজ করেছে (Trump’s Jerusalem Move ‘Step Closer to Armageddon’ Say US Evangelical Christians)
তাদের মুভি,ডকুমেন্টারি এমনকি গেমসেও এই সব শব্দ অনেক ব্যবহার করা হয়।বিভিন্ন কাহিনিকে আরমোগেডন বা এপোক্লিপ্স এর সাথে জুড়ে দেয়। জেরুজালেমকে রাজধানী করার পরে, অনেক খৃষ্টান তাদের মত শেয়ার করতে গিয়ে এন্টিক্রাইস্ট ও শেষ যামানার কথা উল্লেখ করেছে।তাদের মিডিয়া সি অব গ্যালিলি’র নিউজ করলে অবশ্যই এন্টিক্রাইস্টের কথাও বলে।একই ভাবে উল্লেখ্যযোগ্য মিডিয়া,জেরুজালেমকে শুধু রাজধানী না বলে ‘ইটারনাল(অনন্ত ও চিরস্থায়ী) রাজধানী’ ব্যবহার করেছে।এখানে ইটারনাল বলতে তাদের চিরস্থায়ী বিশ্বাস ও চিরস্থায়ী জান্নাতের বিশ্বাসকে বুঝানো হচ্ছে।
এমনকি তাদের ধর্মীয় গুরু বা রাস্ট্র শাসককে তাদের অনেকে এন্টি ক্রাইস্ট (দাজ্জাল) বা জিসাস (দ্বিতীয়বার আগত জিসাস) মনে করে।২০১৩ সালের সার্ভেতে বলা হয়েছিল প্রতি ৪ জনের একজন আমেরিকান (২৫%) জনগন বারাক ওবামাকে এন্টিক্রাইস্ট বা দাজ্জাল মনে করে।পোপ ফ্রান্সিস খ্রিষ্টানদের একটি ইবাদতের পদ্ধতি চেঞ্জ করতে বলেছেন,এটা শুনে অনেকে তাকে এন্টিক্রাইস্ট বলে আখ্যায়িত করেছে।এই সব কথা নিউজে তারা ছেপেছে।রাশিয়া যখন সিরিয়ায় আগমন করে এটাকে অনেক মিডিয়া আরমোগেডন শিরোনামে নিউজ করেছিল।ট্রাম্পকে ভোট দেয়ার পিছনে অনেক খ্রিষ্টানরা প্রথমে বিবলিকাল প্রফেসি দিয়ে জাস্টিফাই করেছে,কেউ বলেছে সে এন্টিক্রাইস্ট,কেউ বা বলেছে সে আসলে এন্টি ক্রাইস্ট আসবে।এই সব বিশ্বাস কতটুকু যৌক্তিক তা জানা জরুরি নয় তবে জরুরি হল তারা শেষ যামানা সচেতন মানুষ।
পৃথিবীতে বলতে গেলে প্রায় সকল ধর্মের মানুষের চাইতে মুসলমানরা এই সব নিয়ে কম ভাবে।।তারা পশ্চিমাদের অর্থাৎ ইহুদি খৃষ্টানদের অন্ধভাবে অনুসরন করর কিন্তু তাদের মত সকল বিষয় তথা ব্যক্তিগত,সামাজিক,রাজনৈতিক ইত্যাদি কুর’আন হাদিসের জ্ঞানের আলোকে দেখেনা।তারা মনে করে এই সব কাজে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই।তাদের মিডিয়া কখনো মালহামা,ইমাম মাহদি,দাজ্জাল,কালো পতকা বাহিনী,সি অব গ্যালিলি ইত্যাদি শব্দ উচ্চারন করে না।এই সব হল সেকেলে,অজ্ঞদের বিশ্বাস!!!!।
এমনকি আলেমরাও শেষ যামানার জ্ঞানের সাথে যুগের বিভিন্ন ঘটনাকে মিলিয়ে দেখেন না।একজন আলেম নেই যিনি জেরুজালেম বা ইসরাইলের কোন ঘটনার সাথে শেষ যামানার জ্ঞান মিলিয়ে দেখেন।অথচ কিয়ামত ও শেষ যামানার ফিতনা নিয়ে মুসলমানদের কাছে সব চেয়ে বেশি তথ্য রয়েছে।শত শত আলামত হাজারো হাদিস রয়েছে।কিন্তু তারা ছোট ছোট বিষয় নিয়ে একে অপরের সাথে লড়াই করতে ব্যস্ত।সামগ্রিক উম্মাহ নিয়ে ভাবার কারোর সময় নেই। ভাবটাও এমন থাকে যে এটা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পরে না।
মুসলিমদের কোন খ্যাত অখ্যাত মিডিয়া পাবেন না যারা একবারো কোনো ঘটনাকে শেষ যামানার কোনো শব্দ দিয়ে নিউজ করেছে। কোন জনপ্রিয় আলেমেরও সময় নেই এই সব নিয়ে বলার।তারা সি অব গ্যালিলি নিয়ে কিছুই জানেন না।গোল্ড বেসড টাকা চলে গেল তারা জানতেন না,এখন ফালতু মিথ্যা কাগুজে নোট খতম হয়ে আরো বড় ফালতু বোগাস ক্রিপ্টকারেন্সি আসতেছে তারা কিছুই জানেন না।যেহেতু গোল্ড বেসড টাকা জায়িজ ছিল তাই যতই নতুন মুদ্রা ব্যবস্থা আসুক সবই জায়িজ আমরা নাকে তেল দিয়ে ঘুমাতে পারি এখন। ২৫ বছর পার হল একবারো কোনো খুতবাতে দাজ্জালের নাম উল্লেখ করা হয়েছে কিনা সন্দেহ আছে।ওলামাদের অবস্থা এমন হলে সাধারনের অবস্থা সহজেই বুঝা যায়। তারা পশ্চিমাদের ফ্যাশন, স্টাইল, এটিটিউড কোপি করতে ব্যস্ত।বর্তমান উম্মাহর যে অবস্থা দাজ্জাল মশাই এমন অবস্থারই অপেক্ষা করছে নিশ্চয়।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: যেটা টের পাচ্ছি সেটা হলো ক্রসফায়ার কিন্তু ব্যাপক জনপ্রিয়।

২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:৫৬

কিশোর মাইনু বলেছেন: ক্রসফায়ার বলতে?!?!?
বুঝলাম না ভাই

২| ২১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯

কাইকর বলেছেন: ভাল লাগলো পড়ে

২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:৫৭

কিশোর মাইনু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৩| ২১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


অলস মাথার ভাবনাচিন্তা

২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:৫৯

কিশোর মাইনু বলেছেন: ব্লগে তো ভাই অলস টাইম ই পাস করি।
অলস মাথার চিন্তাভাবনাগুলাই তো লিখব।
তাই না?!?!?

৪| ২২ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:২১

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: শেষ জামানা আসলেই এসে গেছে বলেই মনে হচ্ছে।

২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:৫৯

কিশোর মাইনু বলেছেন: অনেক আগেই এসে গেছে ভাই।

৫| ২৫ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৪

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: লেখকদের প্রতিউত্তর করেন ভাই

২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:০১

কিশোর মাইনু বলেছেন: হয়তো একটু দেরিতে।
কিন্তু প্রতি উত্তর দিতে ভুল হবেনা ইনশাল্লাহ।
এক্কেবারে না হওয়ার চেয়ে দেরিতে হওয়া ভাল।
ধন্যবাদ ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.