নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাম্মদ মইন উদ্দীন। ডাক নাম মাঈনু। কিছু কিছু ফ্রেন্ডের কাছে কিশোর। বাড়ি চট্রগ্রাম। পড়ালেখার কারণে ঢাকায় থাকি। কৌতুহল একটু বেশী, হয়তো বাড়াবাড়ি ধরনের ই বেশী। দূঃসাহসী, কিন্তু সাহসী কিনা এখনো জানতে পারিনি।

কিশোর মাইনু

কিছু কিছু জিনিস জানি। সেগুলা মানুষের সাথে share করার জন্য ব্লগে প্রবেশ। তাতে দুটো সুবিধে। প্রথমত, আমার জানার ভুলভ্রান্তিগুলো দূর হবে। দ্বিতীয়ত, নতুন কিছু জানার সুযোগ সৃষ্টি হবে। দুনিয়াতে জানার কোন শেষ নেই। এবং আমার আগ্রহের ও কমতি নেই। ইনশাল্লাহ কোনদিন হবে ও না।

কিশোর মাইনু › বিস্তারিত পোস্টঃ

অরাজনৈতিক ভাবে লেখা একটি রাজনৈতিক পোস্ট

৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪২

যখন সপ্তম শ্রেণীতে পড়তাম তখন এক স্যার একবার বলেছিল"ছাত্রদের কাজ দুটি:পড়ালেখা আর রাজনীতি।"
মূলত স্যারের কথায় উৎসাহিত হয়েই রাজনীতিতে ডুকেছিলাম দেশের সেবা করব ভেবে।রাজনীতি করি শুনে তখন অনেককেই দেখতাম খারাপ চোখে তাকাত।কেন বুঝতাম না।
ইন্টার লেভেলে উটার পর নোংরা রাজনীতি টা ভাল ই বোঝা হয়ে গিয়েছিল।৯/১০এ মিছিল দেখলে দৌড়ে যেতাম স্লোগান দেওয়ার জন্য।আর এখন মিছিল দেখলে উলটা পথে হাটা ধরি।
গতবছর রোজায় সেই স্যারের সাথে দেখা হয়েছিল।সালাম ও হালচালের পর স্যারের সাথে শেয়ার করলাম ব্যাপারটা।স্যারের জবাব ছিল:"আমি তোমাদের রাজনীতি করতে বলেছি ঠিকই কিন্তু আমার সেই রাজনীতির অর্থ ছিল 'নীতির রাজা',আর তোমরা যা করেছ তা ছিল 'রাজার নীতি'।এই দুটোর মধ্য অনেক তফাত বাবা।রাজনীতি কিন্তু আমরা ও করেছি।আমার বাবা ও রাজনীতি করতেন।কিন্তু সেটা ছিল নীতির রাজা।আজ তার মধ্যে পচন ধরে গেছে।আগে রাজনীতি করত ক্লাসের প্রথম সারির মেধাবী ছাত্ররা,আর এখন করে ক্লাসের যে ছেলেগুলা লাস্টবেঞ্চে বসে গোলমাল পাকায় এবং গুরুদের সাথে বেয়াদবি করে সেই সকল তথাকথিত ছাত্র।" উল্লেখ্য যে,স্যার একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান,যদিও তার কোন সার্থিফিকেট/প্রমাণপত্র নেই, কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি।স্যার ওইদিন আরো অনেজ কথা বলেছিলেন।শিক্ষক মানুষ,বলতে,লেকচার দিতে পছন্দ করেন।সব হুবহু মনে নেই।সব কথা বুঝিও নি।যা বুঝেছিলাম তা তুলে ধরার চেস্টা থেকেই এই পোস্ট।

নীতির রাজা এবং রাজার নীতি আকাশ আর পাতাল তফাত।নীতির রাজা মানেই সেরা নীতি,উত্তম থেকে উত্তমোত্তর নীতি।আর রাজার নীতি তো দখল-হত্যার নীতি।যুদ্ধ করে নিজের জায়গা,ক্ষমতা কিভাবে বাড়াবে সেই চিন্তায় গড়া নীতির নাম রাজার নীতি। ২১শে ফেব্রুয়ারী,৬৬র ৬দফা,৬৯র গণঅভুত্থ্যান সবই ছাত্ররাজনীতির ফলাফল।বিশেষ করে এই ছাত্ররাজনীতির কারণেই আজ আমরা বাংলায় কথা বলছি,স্বাধীনতা অর্জন করেছি।আর আজ রাজনীতিতে পচন ধরে গেছে।উৎকট দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।আর সবচেয়ে বেশী দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে ছাত্ররাজনীতি।এতটাই যে আমরা বাকস্বাধীনতাটুকুও হারিয়ে ফেলতে বসেছি দুর্গন্ধে।

আমার সাথে আমার কিছু বন্ধু-সহপাঠি ছিল।তাদের ই একজন জিজ্ঞেস করেছিল যে "স্যার কাউকে না কাউকে তো এটা পরিশোধন করতে হবে।"
স্যারের জবাব ছিল-"তুমি কেন নও,তোমরা কেন নও?!!?তোমরা ও তো রাজনীতি তে ডুকেছিল।চলে আসলে কেন পরিশোধন না করে?!?!?
কেউ নিজেই দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে যাবে,কেউ দুর্গন্ধ সহ্য করতে না পেরে চলে আসবে।
এরকম চলতে থাকলে তোমাদের ওই 'কেউ না কেউ' কখনোই আসবেনা।"
ওইদিন আমরা ৫জন ছিলাম।পড়ালেখার বাংলাদেশের ৪প্রান্তে থাকি আমরা ৫জন।ঢাকা,চট্টগ্রাম,সিলেট,দিনাজপুর।শুধুমাত্র রোজার ঈদেই দেখা হয়।স্যার তখন বলেছিলেন:ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়।আর এই পথে শুরুতে একাই চলতে হয়।

স্যারের কথাটি আমরা সেই মুহুর্তে খুব আবেগ নিয়ে শুনেছিলাম।সাথে সাথে প্রতিজ্ঞা নিয়ে ফেলেছিলাম ৫জন যে আমরাই চেঞ্জ করব এই নোংরা রাজনীতিকে।
বলতে লজ্জাবোধ করি যে সবার আগে আমি ই পিছিয়ে এসেছিলাম।কারণ আমার কথা শোনার মত কাউকেই পাচ্ছিলাম না আমি।আর অনেস্টলি বললে সর্বদাই আমি রাজনীতি সম্পর্কে বিশেষভাবে অজ্ঞ।
পরবর্তীতে সবাই হাল ছেড়ে দিয়েছিল ১/২মাসের মধ্যে।
সবার ই এক কথা,"কেউ কথায় শুনতে চায়না,আমি একলা কি ** ছিড়ে উড়াই ফেলব?!?!?"
এক পার্টির মন্তব্য নিজের চরকায় তেল দাও,আরেক পার্টি পড়ালেখা করতে এসেছ পড়ালেখা কর,আরেক পার্টি তো রীতিমত আমাদের ই নোংরা রাজনীতিবিদ বানিয়ে দিল।

এখন আমাদের দৌড় শুধু স্বপ্ন দেখা পর্যন্ত।একদিন কেউ একজন আসবে,যে প্রচন্ড পরিমাণে বেপরোয়া ও নাছোড়বান্দা হবে,দরকার পড়লে জগতসংসারে নিয়মের বিরুদ্ধে গিয়ে হলে ও সে দেশের পচে যাওয়া রাজনীতিকে ঠিক করে তুলবে,দেশকে সোনার বাংলায় রুপান্তরিত করবে।

কোন একদিন,কেউ না কেউ...

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫

লাবণ্য ২ বলেছেন: সুন্দর একটি পোস্ট।

৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৮

কিশোর মাইনু বলেছেন: ধন্যবাদ আপু

২| ৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮

বিজন রয় বলেছেন: রাজনীতি না করে অন্যকিছু করা ভাল। আমাদের দেশে রাজনীতিকে এখন ঘৃণার চোখে দেখা হয়।
এর জন্য দায়ী মানুষ।

৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯

কিশোর মাইনু বলেছেন: কিন্তু এভাবে তো দেশ চলবেনা বিজন ভাই!!!

৩| ৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪৯

বিজন রয় বলেছেন: অরৈজনতিক ভাবে লেখা একটি রাজনৈতিক পোস্ট

ওটা কি অরাজনৈতিক হবে?

৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩

কিশোর মাইনু বলেছেন: ভুল হয়েছিল ভাইয়া।
ঠিক করেছি।
এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য দূঃখিত।

৪| ৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫৮

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: রাজার-নীতি আর নীতির-রাজা!

অনেক ভালো লাগলো লেখাটা।

৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩

কিশোর মাইনু বলেছেন: ধন্যবাদ ইব্রাহীম ভাই।

৫| ৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:২১

লায়নহার্ট বলেছেন: স্ফিংসের প্রশ্ন

৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৪

কিশোর মাইনু বলেছেন: দুঃখিত,বুঝিনি ভাইয়া।

৬| ৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫

বিজন রয় বলেছেন: বাংলাদেশ নিয়ে আমি কোন আশা দেখছি না।

সবচেয়ে আফসোস........ দেশে অনেক ভাল লোক আছে, কিন্তু তারা শুধু ঘরে বসে সময় কাটায়, পরিবর্তনের জন্য কাজ করেনা, পরিবর্তনের আশায় দিন পার করে।

শুভকামনা সবসময়ের।

৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬

কিশোর মাইনু বলেছেন: আপনার সাথে একমত না হতে পারলেই খুশি হতাম।
কিন্তু একমত না হয়ে ও পারছিনা।

তবুও মানুষ তো আশার উপর ভরসা করেও বেচে থাকে ভাই।আশা করতে তো আর দোষ নেই।

৭| ৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: লেখাটা পছন্দ হয়েছে।

৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬

কিশোর মাইনু বলেছেন: ধন্যবাদ,প্রান্ত ভাই।

৮| ৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: ক্রিকেটারদের জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে তাদেরকে প্রলুব্ধ করে রাজনীতিতে নামানোর মানে হল তাদের ক্যারিয়ার খতম করা।

৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৯

কিশোর মাইনু বলেছেন: আমি এ বিষয়ে খুভ একটা দ্বিমত হবনা।
কারণ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আপনার কথাটি ৯০% ই সঠিক বলে মনে হয় আমার কাছে।

৯| ৩০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আগে দুই মাথার মন পরিবর্তন করতে হবে। তারপর যখন শুদ্ধ গণতন্ত্র চালু হবে তখন অটোমেটিক ভালো মানুষেরা রাজনীতিতে আসবে...

৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:৪৩

কিশোর মাইনু বলেছেন: সেই দিনটির ই অপেক্ষায় আছি ভাই।
ধন্যবাদ আপনাকে

১০| ৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:১৭

লায়নহার্ট বলেছেন: ২য় প্রশ্ন

০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ১:২৯

কিশোর মাইনু বলেছেন: ভাইরে,আপনার সাংকেতিক ভাষা তো বুঝিনাএকটু খুইলা বললে ভাল হয়না/!?!?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.