নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাম্মদ মইন উদ্দীন। ডাক নাম মাঈনু। কিছু কিছু ফ্রেন্ডের কাছে কিশোর। বাড়ি চট্রগ্রাম। পড়ালেখার কারণে ঢাকায় থাকি। কৌতুহল একটু বেশী, হয়তো বাড়াবাড়ি ধরনের ই বেশী। দূঃসাহসী, কিন্তু সাহসী কিনা এখনো জানতে পারিনি।

কিশোর মাইনু

কিছু কিছু জিনিস জানি। সেগুলা মানুষের সাথে share করার জন্য ব্লগে প্রবেশ। তাতে দুটো সুবিধে। প্রথমত, আমার জানার ভুলভ্রান্তিগুলো দূর হবে। দ্বিতীয়ত, নতুন কিছু জানার সুযোগ সৃষ্টি হবে। দুনিয়াতে জানার কোন শেষ নেই। এবং আমার আগ্রহের ও কমতি নেই। ইনশাল্লাহ কোনদিন হবে ও না।

কিশোর মাইনু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আর্থার কোনান ডয়েল ও শার্লক হোমস

১৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:১৩

ডাক্তার হিসেবে খারাপ ছিলেন না।কিন্তু কেন জানি রোগী পেতেননা খুব একটা।দিনের বেশীর ভাগ সময় অলস টাইম পাস করতেন।ফলে মাথায় ঘুরপাক খেত উদ্ভট সব ভাবনা।নিজেই রহস্য সৃষ্টি করতেন,নিজেই সমাধান করতেন।ভাবনাতেই রোমাঞ্চিত হতেন।সময় কাটানোর জন্য সেগূলো টুকে রাখতে লাগলেন।এরকম ই একটা গল্প বিটনস ক্রিসমাস অ্যানুয়াল-এ পাঠিয়ে দিলেন।ছাপা হল এবং অপ্রত্যাশিতভাবে প্রচুর প্রশংসা ও পেল।ব্যাস,হয়ে গেলেন পুরোদস্তুর লেখক।একের পর এক কাহিনী লিখে চললেন।
এই ডাক্তার লেখকের 'জোসেফ বেল' নামে এক স্কটিশ বন্ধু ছিলেন,যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেনসিকের অধ্যাপক ছিলেন।তার দৃষ্টি ছিল অসাধারণ।কোন কিছুই যেন চোখ এড়াত না সেই চোখের।জোসেফের সাথে একবার এক রহস্যের মিমাংসা করলেন,যেখানে জোসেফ সম্পুর্ণ অচেনা একজন আগন্তুকের পেশা,কাজ,অবস্থান নিখুতভাবে বলে দেন প্রথম দেখাতেই।চমৎকৃত হলেন তিনি অধ্যাপকের এ গুণে।
তার নতুন গল্পের নায়কের চরিত্রে বেলের এ গুণ যোগ করে দিলেন।৩৩বছর বয়স্ক নায়কের নাম দিলেন শেরিনফোর্ড হোমস।লিখে ফেললেন একটি উপন্যস।১৯৮৭সালে "দ্যা টেংলেড স্কিন" নামে উপন্যাসটি প্রকাশিত হল। খুব একটা জনপ্রিয়তা পেলনা বইটি,ডাক্তারের নিজের ও তেমন একটা পছন্দ হলোনা।গল্পের মধ্যে ডুকিয়ে দিলেন নিজেকে।একজন অলস সময় পাস করা ডাক্তার জন ওয়াটসন যে হোমসকে সহায়তা করে এবং পুরো গল্পটি ওয়াটসনের জবানীতে নিয়ে গেলেন।নায়কের নাম ও বদলে দিলেন-উইলিয়াম শার্লক স্কট হোমস উরফে শার্লক হোমস। বইয়ের নাম ও দিলেন বদলে-''অ্যা স্টাডি ইন স্কারলেট"।ব্যাপক পরিমাণে সাড়া তুলে ফেলল বইটি।জনপ্রিয়তার পালে আরো হাওয়া দেওয়ার জন্য ১৮৯১ সালে দা ষ্ট্র‍্যান্ড ম্যাগাজিনে ছোটগল্পের এক সিরিজ নিয়ে আসেন সেই ডাক্তার।।
ব্যাস,এক ঝটকায় বিখ্যাত হয়ে গেলেন ভাত না পাওয়া সেই ডাক্তার-স্যার আর্থার কোনান ডয়েল এবং তার সৃষ্টি শার্লক হোমস।লিখে ফেললেন একে একে আরো ৬০টি কাহিনী-৫৬টি গল্প ও ৪টি উপন্যাস।উপস্থাপনা একই থাকল,ওয়াটসনের জবানীতে হোমসের কাহিনী।অবশ্য "দ্য ব্রাঞ্চেড সোলজার্স" আর "দ্য লায়নস মেন" গল্প দুটি হোমসের জবানীতে লেখা।কিন্তু "দ্য গ্লোরিয়া স্কট" এবং "দ্য মাসগ্রেভ রিচুয়াল" গল্প দুটি ৩য় পুরুষে আমাদের সামনে উপস্থাপনা করা হয়েছে।১৯১৪সাল পর্যন্ত হোমসকে নিয়ে কাহিনী লিখে গেছেন স্যার আর্থার কোনান ডয়েল।কিন্তু 'দ্য স্ট্রান্ড' টানা ৪০বছর ধরে নিয়মিত হোমসের গল্প ও উপন্যাস ছাপিয়ে গেছেন।শার্লক হোমসের এই বিপুল জনপ্রিয়তার পিছনে তাদের অবদান একদিক দিয়ে সবচাইতে বেশী।জনপ্রিয়তা এতই বেশী যে শার্লক হোমস নিয়ে ১৯৩৯সালে 'দ্য হাউন্ড অব বাস্কারভিলস' নামে প্রথম চলচিত্র নির্মিত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ২৬০টির ও বেশী চলচিত্র নির্মিত হয়েছে।
শার্লক হোমস ১৮৫৪সালের ৬জানুয়ারী জন্ম নেন(হিজ লাস্ট বাও)।তার বাবার নাম সাইগার হোমস এবং মা ভায়োলেট শেরিন ফোর্ড।শার্লকের এক বড় ভাই ও আছেন-সরকারী কর্মকর্তা মাইক্রফট হোমস।হোমস একলা থাকেন লন্ডনের এক ভাড়া বাড়িতে-২২১বি বেকার স্ট্রিট।উদাসীন প্রকৃতির শার্লক হোমস খুব একটা ধুমপান না করলেও মুখে সবসময় পাইপ ঝুলিয়ে রাখতেন। আর ঘর থেকে বের হতেন মাথায় একধরণের গোল টুপি দিয়ে।ছদ্মবেশ ধারণে পটু তুখোড় তরবারী খেলোয়াড় এবং ভাল মুষ্টিযোদ্ধা এই গোয়েন্দার ব্রিটিশ আইনকানুন সম্পর্কে ছিল প্রচুর জানাশোনা।তার সবচেয়ে ঘনিষ্ট ও সম্ভবত একমাত্র বন্ধুর নাম ডাক্তার জন ওয়াটসন।২৭ বছরে ৬০টি রহস্যের সমাধান করেছেন,শত্রু তো সৃষ্টি হবেই।খালি হাতেই তাদের সাথে লড়াই করতেন।কখনো তলোয়ার/লাঠি ব্যবহার করতেন।৭বার পিস্তল/রিভলবার ব্যবহার করেছেন।তবে তার সবচেয়ে বড় শত্রুর নাম ছিল প্রফেসর মরিয়ার্টি।প্রচুর ভুগিয়েছে হোমস কে।১৮৯৩সালে সুইজারল্যান্ডে রেইচেনবাক গিরিখাতে মরিয়ার্টির সাথে লড়াই করতে গিয়েতো প্রায় মারায় যাচ্ছিলেন(ফাইনাল প্রবলেম)।প্রায় ৮বছর পর ১৯০১সালে পুনরায় আবির্ভুত হন এবং মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসার কাহিনী বর্ণনা করেন(দ্য হাউন্ড অব দ্য বাস্কারভিলস)।কিন্তু ১৯১৪সালে একটি মামলা সমাধানের পর সেই যে তার অন্তর্ধান ঘটে এখনো পর্যন্ত তার কোন খবর পাওয়া যায় নি।সেই মামলায় এখনো পর্যন্ত তার নেওয়া শেষ মামলা হয়ে আছে।
দুনিয়ার সেরা গোয়েন্দার নাম শার্লক হোমস।২২১বি বেকার স্ট্রিট,লন্ডন এই ঠিকানায় নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়ে সপ্তাহে ৪০টি চিঠি আসে শার্লক হোমসের উদ্দ্যেশে এবং তার উত্তর ও দেওয়া হয়।অন্তর্ধানের শতবছর পার হয়ে গেছে তো কি হয়েছে?!?!?
এখন কেউ যদি বলে শার্লক হোমস নামে কোনকালেই কেউ ছিলনা,কেমন লাগে?!?!
ভক্তরা মানতেই রাজিনা এ ধরণের কোন কথা।প্রমাণস্বরুপ তারা সোজা জাদুঘর খুলে ফেললেন!!!
কোনান ডয়েল পরিবারের ব্যাপক আপত্তি সত্তেও ১৯৯০ সালে ২২১বি বেকার স্ট্রিটে 'দ্য জর্জিয়ান টাউন হাউস' নামের এক দালানকে তারা শার্লক হোমস জাদুঘর বানিয়ে ফেললেন।জাদুঘর পরিচালনার জন্য 'শার্লক হোমস ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি' নামে একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ও খুলে ফেললেন।এই জাদুঘরে হোমসকে নিয়ে লেখা বই,হোমসকে নিয়া বানানো সকল সিনেমা পাওয়া যায়।এমনকি হোমসের টেবিল,টুপি পাইপ পর্যন্ত আছে এই জাদুঘরে!!!

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:২১

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: শার্লক হোমস অনেকেরই প্রিয়!


তবে মজার ব্যাপার হলো,
আমি ইচ্ছে করেই হোমসের সিরিজ পড়ি নি/পড়ি না!!!

১৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৫৩

কিশোর মাইনু বলেছেন: কি বলেন নিজাম ভাই?!?!কেন?!?!?

২| ১৮ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩৮

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: কারণ আমি নিজেকেই হোমস/গোয়েন্দা ভাবতাম:P

২০ শে জুন, ২০১৮ ভোর ৫:৩২

কিশোর মাইনু বলেছেন: আমি অবশ্য নিজেকে তিন গোয়েন্দার কিশোর পাশা ভাবতেই বেশী পছন্দ করতাম।

৩| ১৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৫

টারজান০০০০৭ বলেছেন: প্রায় সবই পড়া আছে ! বাস্কার ভিলের হাউন্ড ছাড়া বাকি গুলো মনে দাগ কাটে নাই ! ইহার চেয়ে অযথা সৃষ্টি (আগাথা কৃষ্টি ) ভালো লাগিয়াছে !

২০ শে জুন, ২০১৮ ভোর ৫:৩৩

কিশোর মাইনু বলেছেন: অগাথা কৃষ্টি ও অনেক ভাল।পড়েছি আমি।কিন্তু আমার কাছে শার্লক ই বেটার

৪| ২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:০৯

রসায়ন বলেছেন: আমি কখনো শার্লক হোমস সিরিজ পড়ি নাই ভাই :-&

২২ শে জুন, ২০১৮ ভোর ৪:৫৮

কিশোর মাইনু বলেছেন: পড়ে দেখতে পারেন।
গোয়েন্দা কাহিনী পছন্দ হলে পড়ে মজা পাবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.