নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাম্মদ মইন উদ্দীন। ডাক নাম মাঈনু। কিছু কিছু ফ্রেন্ডের কাছে কিশোর। বাড়ি চট্রগ্রাম। পড়ালেখার কারণে ঢাকায় থাকি। কৌতুহল একটু বেশী, হয়তো বাড়াবাড়ি ধরনের ই বেশী। দূঃসাহসী, কিন্তু সাহসী কিনা এখনো জানতে পারিনি।

কিশোর মাইনু

কিছু কিছু জিনিস জানি। সেগুলা মানুষের সাথে share করার জন্য ব্লগে প্রবেশ। তাতে দুটো সুবিধে। প্রথমত, আমার জানার ভুলভ্রান্তিগুলো দূর হবে। দ্বিতীয়ত, নতুন কিছু জানার সুযোগ সৃষ্টি হবে। দুনিয়াতে জানার কোন শেষ নেই। এবং আমার আগ্রহের ও কমতি নেই। ইনশাল্লাহ কোনদিন হবে ও না।

কিশোর মাইনু › বিস্তারিত পোস্টঃ

অ্যাসাসিন-দের উৎপত্তি

২৮ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:১০


Assasin Creedদুনিয়ার সবচাইতে জনপ্রিয় গেইমগুলোর একটা।২০০৭ সালে ১৩ই নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ৫০টির ও বেশী পার্ট বের হয়েছে এ গেইমের,যার মধ্যে ৯টি প্রধান গেইম ও বাকীগুলো আনুষঙ্গিক।যে গেইমে অ্যাসাসিনদের সাথে টেম্পলারদের লড়াই দেখানো হয়।অ্যাসাসিনদের এখানে ভাল দেখানো হলেও ইতিহাসে তাদের স্থান গুপ্তঘাতক হিসেবে।

গুপ্তঘাতক বা অ্যাসাসিন,শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে কালো কাপড়ে চোখ মুখ বেধে শরীরের নিচে একগাদা অস্ত্র লুকিয়ে মিশরের পথে পথে নিজের পরিচয় আত্মগোপন করে ঘুরে বেড়ানো একদল যোদ্ধা।Assassin Creed বা Prince of Persia-তে অ্যাসাসিনদের মিশরে দেখানো হলেও তাদের উৎপত্তি ঠিক মিশরে না,মিশর থেকে ৩,৬২১ কিলোমিটার দূরে সমরখন্দ নামক এক শহরে।১১ শতকের দিকে নিজারি ইসমাইলি মতবাদের একটি গোষ্ঠী বিশেষ করে পারস্য ও সিরিয়ায় তাদের কাজ কর্মের মধ্য দিয়ে সুন্নি সেলজুক সাম্রাজ্যের জন্য মারাত্মক সামরিক হুমকি হয়ে দাঁড়ায় যাদের নেতৃত্ব দেন হাসান ইবনে সাবাহ।

হাসান ইবনে সাবাহ ১০৫৬ খ্রিস্টাব্দে পারস্যের কোম শহরে বারো ইমামে বিশ্বাসী এক শিয়া পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।তার শৈশবে তার পরিবার ইরানের অন্যতম এক প্রাচীন শহর রে-তে স্থানান্তরিত হয়।সেখানেই হাসান তার পারিবারিক ঐতিহ্য অনুসারে তার প্রাথমিক শিক্ষাদীক্ষা লাভ করেন।এই শহরটি ছিল ইসমাইলি ধর্মমত প্রচারের অন্যতম কেন্দ্র।ইসমাইলিদের মতবাদ সম্পর্কে হাসান আমির যারাব নামক ইসমাইলি মতবাদ দীক্ষাদানকারীর কাছে জ্ঞানলাভ করেন।পরবর্তীতে তিনি আবু নাসের সরজ এবং রে শহরের অন্যান্য ইসমাইলি মতবাদ প্রচারকারীর কাছে এ বিষয়ে আরো শিক্ষালাভ করেন।ফলস্বরূপ তিনি ইসমাইলি মতবাদ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সতের বছর বয়সে তৎকালীন ইসমাইলি ইমাম ফাতিমিদ খলিফা আল-মুনতাসির এর আনুগত্যের শপথ গ্রহণ করেন।হাসান তার পড়াশোনা চালিয়ে যেতে থাকেন। ইসমাইলি সমাজে তিনি তার জ্ঞান ও প্রজ্ঞার জন্য শ্রদ্ধা অর্জন করেন। তাকে ডেপুটি মিশনারি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়, এবং পরামর্শ দেয়া হয় যেন তিনি খলিফার সভায় নিজেকে উপস্থিত করেন।তবে তিনি আরো অনেক বছর নিজেকে খলিফার কাছে যাওয়া থেকে বিরত রাখেন। পরবর্তীতে তিনি নানা জায়গায় ঘুরে মিশরে খলিফার কাছে উপস্থিত হন। মিশরে তার শিক্ষাগ্রহণ ও ধর্মপ্রচারকালীন সময়ে তিনি উজির বদর আল জামালির বিরাগভাজন হন। খলিফা সেখানকার শাসক হলেও রাজনৈতিকভাবে দুর্বল হওয়ায় কার্যত উজিরই সেখানকার শাসক ছিলেন। বদর আল জামালি তার পুত্র আল-আফদালকে উজির মনোনীত করেন। খলিফা আল মুনতাসির মারা যাবার পর তার বড়পুত্র নিজারের ইমাম হবার কথা থাকলেও আল-আফদাল দাবি করেন মৃত্যুর পূর্বে খলিফা তার মনোনীত উত্তরাধিকার পরিবর্তন করে কাসিম আহমদকে তার সিংহাসনের উত্তরাধিকার হিসেবে মনোনীত করে গিয়েছেন। কাসিম আহমদ সিংহাসনে বসলে নিজার সেখান থেকে আলেক্সান্দ্রিয়ায় পালিয়ে যান এবং সেখানে নিজেকে ইমাম হিসেবে প্রচারিত করেন। পরবর্তীতে উজির তাকে পরাজিত করে কায়রোতে বন্দী হিসেবে নিয়ে আসেন। সেখানে তার শিরশ্ছেদ করা হয়। হাসানকে বদর আল-জামালি কারাবন্দী করেন। কারাগারের একটি মিনার ধ্বসে পড়লে সেটিকে হাসানের শুভলক্ষণ হিসেবে দেখা হয় এবং তাকে জেল থেকে মুক্তি দেয়া হয়। তবে মুক্তি দিলেও তাকে উত্তর আফ্রিকার জাহাজে করে দ্বীপান্তরিত করা হয়। তবে তিনি যে জাহাজে করে যাত্রা করছিলেন তা পথিমধ্যে বিধ্বস্ত হয়। তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে সিরিয়া নিয়ে যাওয়া হয়।এ সময় হাসান পুরোপুরি ধর্ম প্রচারণার দিকে মনোযোগী হন। তিনি ইরানের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে ঘোরেন। তিনি উত্তর ইরান ও কাস্পিয়ান সাগরের উপকূলের পাহাড়ি এলাকায় তার মনোযোগ নিবদ্ধ করেন। এ অঞ্চলে তিনি প্রধান ধর্মপ্রচারকারীর দায়িত্ব নেন এবং বাকি অঞ্চলগুলোতে তার ব্যক্তিগতভাবে প্রশিক্ষিত ধর্মপ্রচারকারীদের পাঠান। তার এ কর্মকান্ড নিজাম-উল-মুলকের কানে গেলে তিনি হাসানকে বন্দী করতে সৈন্যবাহিনী পাঠান। হাসান তাদেরকে কৌশলে এড়িয়ে গিয়ে আরো গভীর পাহাড়ি অঞ্চলে প্রবেশ করেন।তারপর হাসান এমন এক জায়গার খোঁযে নেমে পড়েন যেখানে তিনি তার কার্যক্রম আরো ভালোভাবে পরিচালনা করতে পারবেন।খোঁজ করতে করতে তিনি ১০৮৮ সালে আলামুট শহরের দেখা পান। এখানে হাসান তৎকালীন ফাতিমীয় খলিফার ইমাম হবার দাবি অস্বীকার করেন। তিনি নিজারের সমর্থক ছিলেন। এখানেই তিনি তার স্থায়ী কেন্দ্র গড়ে তুলে প্রকৃত ইমাম হিসেবে নিজারের উত্তরাধিকারকে সমর্থন প্রদান করতে আগ্রহী ছিলেন।
আলামুটে একটি দুর্গ ছিল যা প্রায় পঞ্চাশ কিলোমিটার লম্বা এবং পাঁচ কিলোমিটার চওড়া একটি উপত্যকার প্রতিরক্ষা হিসেবে দাঁড়িয়ে ছিল। কিংবদন্তী আছে যে, এক রাজা এখানে শিকার করার সময় এক ঈগলকে দেখে সেটিকে অনুসরণ করেন। কিছুক্ষণ পর সেটিকে উড়ে গিয়ে পাহাড়ের চূড়ায় এক পাথরের ওপর বসতে দেখলে রাজা এটিকে এক শুভলক্ষণ হিসেবে নেন। এ জায়গার কৌশলগত প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে সে রাজা এখানে এক দুর্গ নির্মাণ করে সে দুর্গের নামকরণ করেন আলামুট বা ঈগলের বাসা।আলমুট হল এমন একটি জায়গা যা উচু উচু পর্বতশৃংগ দ্বারা পরিবেষ্টিত ও সমুদ্রপৃষ্ট থেকে প্রায় ৬০০০মিটার উপরে।প্রায় দুবছর সেখানে অবস্থান ও ইসমাইলি মতবাদ প্রচারের মাধ্যমে তিনি ১০৯০ খ্রিস্টাব্দে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গের দখল নিতে সমর্থ হন। লোকমুখে প্রচলিত কথা অনুসারে হাসান দুর্গের মালিককে ৩০,০০০ স্বর্ণের দিনারের বিনিময়ে দুর্গ বিক্রি করে দেয়ার প্রস্তাব দেন। দুর্গের মালিক রাজি হলে হাসান যুদ্ধ শুরু করেন এবং দুর্গের মালিককে পরাজিত করে দুর্গের দখল করেন। তিনি দুর্গের মালিককে এক ধনী জমিদারের নাম ও ঠিকানা লিখে একটি চিঠি দেন এবং তার কাছ থেকে তিনি তার পাওনা টাকা নিতে বলেন। কিংবদন্তী আরো বলে যখন সে জমিদার হাসানের সই সহ সে চিঠি দেখেছিলেন তিনি দুর্গের মালিককে বিস্মিত করে বিনাবাক্য ব্যয়ে তার পাওনা টাকা পরিশোধ করে দেন।

আলামুট দুর্গ দখল করার বছরই হাসান অ্যাসাসিন বা গুপ্তঘাতকদের এ সংঘটি প্রতিষ্ঠা করেন। অ্যাসাসিনরা ছিলো শিয়া মুসলিমদের বিচ্ছিন্ন একটি অংশ। তিনি পাহাড়ি অঞ্চলের উপরের অংশের দখল পাওয়ামাত্র তিনি যুদ্ধ ও গুপ্তহত্যার মাধ্যমে তার রাজনৈতিক ক্ষমতার বিস্তৃতি ঘটানো শুরু করেন।হাসান এবং তার অনুসারীরা তার দুর্গে লড়াই করার মেধাসম্পন্ন বালকদের জড়ো করতেন। প্রচলিত আছে যে হাসান সাব্বাহ হাশিশ নামক এক ধরনের মাদক দিয়ে আচ্ছন্ন করে তাদেরকে তার বাগানে নিয়ে যেতেন। উল্লেখ্য যে,অ্যাসাসিন(Assassin) শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে হাশাশিন(Hasheshin) থেকে। হাশিশ পানকারীদের হাশাশিন বলে উল্লেখ করা হতো। সে বাগানে তাদের চারদিকে সুন্দরী নারীদের রেখে তাদেরকে বিশ্বাস করানো হতো তারা স্বর্গে আছে। হাসান যখন সে বাগানে ভ্রমণ করতে যেতেন তখন তাকে একজন পবিত্র বার্তাবাহক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়া হতো। পরে তাদেরকে আবারও মাদকের আচ্ছন্নতার বাইরে ফিরিয়ে এনে এক অন্ধকূপে নিক্ষিপ্ত করা হতো এবং বলা হতো তারা যদি পুনরায় সে স্বর্গে ফিরে যেতে চায় তবে তাদেরকে হাসানের প্রদানকৃত আদেশসমূহ মানতে হবে। স্বর্গে ফেরার জন্য তাদের মৃত্যুবরণ করার ইচ্ছা তাদেরকে ভয়ের জগতের বাইরে নিয়ে যেতো।এ সময়ে তাদেরকে অ্যাসাসিনেশনের জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল।
সত্যি বললে,Assassin ছিল তৎকালীন আধুনিক সমর সাস্ত্রে শিক্ষিত এবং প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত কিলার সংগঠন।এটাকে গঠন করা হয় বেশ কিছু পদবীর মাধ্যমে। হাসান ই সাবাহ হল grand master।তার অধীনে ধারাভাহিক ভাবে যেই পদ গুলো ছিল সেগুল হল Greater Propagandists যাদের অনুসরন করত Propagandists,The Rafiq, এবং The Lasiqs।
Lasiqs রা হল এমন একটি দল যাদের প্রশিক্ষন দিয়ে তৈরি করা হত ভয়ংকর কিলার বা Assassin।এদেরকে Fida`I নামেও ডাকা হত।ফিদাই এর অর্থ আত্মঘাতী।তারা অন্ধের মত তাদের উধস্তনদের নির্দেশ পালন করত। পদবীগুলোর মধ্যে Fida`I রা সবচেয়ে নিম্ন পদবী হলেও তাদের প্রশিক্ষন কার্যে ব্যাবহার করা হত সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি। Assassinদের মধ্যে শুধুমাত্র যুবকদেরই Fida`I পদবী দেয়া হত মানে গুপ্ত হতার কার্যে শুধু যুবকদের ই ব্যাবহার করা হত।তাই সমরাস্ত্রের পাশাপাশি তাদের উন্নত শারিরীক প্রশিক্ষন দেওয়া হত।তারপরেও শুধুমাত্র শারিরিক শক্তিই Assassin দের মুল শক্তি ছিল না। একটা সফল Assaination এর জন্য তাদের অনেক সাহসী ধৈর্যশীল এবং হিসেবী হতে হত। তাদের অনেক বুদ্ধিমান ও মেধাবী হতে হত। কারন তাদের অনেক সময় তাদের শত্রুদের ভাষা ,ভৌগলিক পরিবেশ, গোত্র প্রভৃতি সম্পর্কে অবগত থাকতে হত।তাদের শিক্ষা দেওয়া হত কিভাবে ছদ্ববেশ ধারন করতে হয় এবং বিশ্বাসঘাতকতার মাধ্যমে শ্ত্রুদের ঘায়েল করে সেই স্থান ত্যাগ করতে হয়।শুরুর দিকে তারা হত্যার জন্য daggar ব্যাবহার করত। এবং হত্যার আগে victim কে হত্যার হুমকী পাঠাত।তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় Assassinরা গুপ্তত্যাকারীদের এমন একটি সংগঠন ছিল যাদের কর্মের ভয়াবহতা কখনো বলে শেষ করা যাবেনা।গুপ্তঘাতকদের সর্বপ্রথম ও সবচেয়ে ভয়ানক সংগঠন অ্যাসাসিনদের সর্বপ্রথম শিকার ছিলেন আল-মুলক। ১০৯২ সালের অক্টোবরের ১৪ তারিখ তাকে হত্যা করা হয়েছিলো। এছাড়াও বায়হাকি শহরকর্তা, কারামাইয়া উপদলের প্রধানসহ আরো অনেকে ১১০১-০৩ সালের মধ্যে গুপ্তহত্যার শিকার হয়।
পরবর্তী সময়ে হাসান স্বেচ্ছায় লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান। তবে তিনি তার কার্যক্রম যথাযথভাবে চালিয়ে যেতে থাকেন। দীর্ঘ পঁয়ত্রিশ বছর তিনি আর আলামুট থেকে অন্য কোথাও যাননি। এ দীর্ঘসময় তিনি তার দুর্গে পড়াশোনা, ধর্মীয় কাজকর্ম করেছেন ও শাসনকার্য চালিয়েছেন। তিনি তার শাসনকার্জে ধর্মীয় রীতিনীতি মানার ক্ষেত্রে খুবই কঠোর ছিলেন। শোনা যায়, বাঁশি বাজানোর অপরাধে তিনি রাজ্য থেকে একজনকে নির্বাসিত এবং খুনের অভিযোগে এক পুত্র এবং মদ্যপানের অভিযোগে অন্য পুত্রের মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান এবং তা কার্যকর করেছিলেন। ইতিহাসবিদগণ বলেন, হাসান পরবর্তী বছরগুলোতে কখনোই তার দুর্গের বাইরে আসেননি।

হাসান সাব্বাহ যখন তার মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এসেছে বলে অনুভব করছিলেন তখন তিনি তার সহকারী বুজুর্গ-উমিদকে তার উত্তরাধিকার হিসেবে মনোনীত করে যান। তিনি আরো তিনিজনকে তার সহকারী হিসেবে মনোনীত করে যান। কিছুদিন অসুস্থতায় ভোগার পর হাসান ১১২৪ খ্রিস্টাব্দে মারা যান। তাকে আলামুটের অদূরে দাফন করা হয়।হাসান সাব্বাহর মৃত্যুর পরেও অ্যাসাসিনরা আরো দেড় শতকেরও বেশি সময় ধরে সফলভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম হয়।অনেকে বলে তারা ১ম ক্রুসেডের সময় ক্রসেডারদের বিরুদ্বে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল।আবার অনেকের মতে তারা ক্রসেডার পক্ষে ভাড়ায় কাজ করত।ইয়ামেন ইরাক সিরিয়া তে ওদের মোট ১৩ টা দূর্গ ছিল বলে ধারণা করা হয়।১২৪৪সালে মংগোলিয়ান সম্রাট হালাকু খান অ্যাসাসিনদের প্রধান দুর্গ দখল করে নেন।১২৫৬পর্যন্ত টানা ১২বছর সে দুর্গ অবরোধ করে রাখে।অবশ্য বাকিগুলোর উপর হামলা চালিয়ে একদম মাটিতে গুড়িয়ে দেয় হিংস্র মামলুক সুলতান বেইবার্স।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২৪

গরল বলেছেন: লেখাটা এর আগেও একবার পড়েছি কিন্তু কোথায় মনে করতে পারছি না, হুবহুব লেখা। লেখার উৎস দিলে কৃতজ্ঞ থাকতাম, ধন্যবাদ।

২৮ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৯

কিশোর মাইনু বলেছেন: হয়তো পড়েছেন,কিন্তু হুবহু না।
হতে পারেনা।
কারণ এখানে ৬/৭ জায়গা থেকে কালেক্ট করে নিজের মত করে সাজিয়ে পোস্টটি দেয়া হয়েছে।

১.৫/২বছর আগে আমি এই পোস্ট টি দিয়েছিলাম।আপনি যদি এক্সিডেন্টলি ওটা ও পড়ে থাকেন,তবুও হুবহু বলতে পারবেননা।
কারণ এই পোস্টটে অনেক কিছু নতুন আছে।

২| ২৮ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: অ্যাসাসিনরা কি চেঙ্গিস খানের আগের?

২৮ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৩০

কিশোর মাইনু বলেছেন: না রাজীব ভাই।
সমসাময়িক।
তাদের ধ্বংসের সুচনা করে চেংগিস খানের ভাতিজা হালাকু খান।

৩| ২৮ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: তথ্যসূত্র কি?

২৮ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০

কিশোর মাইনু বলেছেন: উইকিপিডিয়া,টুডে ব্লগ,সামু ব্লগ,কালের কন্ঠ,আমাদের সময়,ফেসবুক & মার্কো পোলোর লেখা বই।

২৮ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৪২

কিশোর মাইনু বলেছেন: ও হ্যা,youtube আর বিডিটিউনস নামের একটা পোর্টাল থেকেও কিছু তথ্য কালেক্ট করা হয়েছে।

৪| ২৮ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫১

সিগন্যাস বলেছেন: সালাউদ্দিন আইয়ুবির সাথে এদের কি সম্পর্ক ছিল?

২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:০১

কিশোর মাইনু বলেছেন: ক্রুসেডের সময় অ্যাসাসিনদের কারণে সালাউদ্দীনকে অনেক ভুগতে হয়ছে।সালাউদ্দীন অনেক চেষ্টা করেছিল এদের দমাতে।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেনাই।
অনেক ইতিহাসবিদের ধারণা,সালাউদ্দীন আইয়ুবী ও তার চাচা নুরুদ্দীন জংগীর মৃত্যুর পিছনেও অ্যাসাসিনদের হাত ছিল।

৫| ২৮ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫১

রুহুল আমিন খান বলেছেন: Assassin's Creed III এর পরের গেম গুলো আর ভালো লাগে নাই

২৮ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৭

কিশোর মাইনু বলেছেন: আমি এখনো ২ শেষ করি নাই।
অবশ্য আমার ভাই দুইটা ৪নাম্বারটা ও।নাকি শেষ করে ফেলছে।
অবশ্য জাভা মোবাইলের জন্য বের হওয়া সব অ্যসাসিন ক্রিড ই শেষ।

৬| ২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:২১

Sujon Mahmud বলেছেন: অ্যাসাসিন এর অনেক গুলো গেম। খেলেছি...কিন্তু এর পিছনে এত ঐতিহাস ছিল তা জানা ছিলনা। পোস্টটি পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম।

২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:২৭

কিশোর মাইনু বলেছেন: আমার পোস্ট পড়ে আপনি কিছু জানতে পেরেছেন জেনে আনন্দিত।
বানানের ক্ষেত্রে আরেকটু সাবধানতা অবলম্বন করলে মনে হয় ভাল হত।

শুভকামনা।

৭| ২৯ শে জুন, ২০১৮ ভোর ৬:২৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: কষ্টসাধ্য পোস্ট। মেধা, শ্রম দিয়ে পোস্টটি সাজানোর জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ। একটা গেমের পেছনে যে এত তথ্য থাকতে পারে কে জানত! এমন পোস্টে লাইক দিতেই হয়। :)

২৯ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:২১

কিশোর মাইনু বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।
আসলে সব কিছুর পিছনেই কিছু ইতিহাস থাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.