নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাম্মদ মইন উদ্দীন। ডাক নাম মাঈনু। কিছু কিছু ফ্রেন্ডের কাছে কিশোর। বাড়ি চট্রগ্রাম। পড়ালেখার কারণে ঢাকায় থাকি। কৌতুহল একটু বেশী, হয়তো বাড়াবাড়ি ধরনের ই বেশী। দূঃসাহসী, কিন্তু সাহসী কিনা এখনো জানতে পারিনি।

কিশোর মাইনু

কিছু কিছু জিনিস জানি। সেগুলা মানুষের সাথে share করার জন্য ব্লগে প্রবেশ। তাতে দুটো সুবিধে। প্রথমত, আমার জানার ভুলভ্রান্তিগুলো দূর হবে। দ্বিতীয়ত, নতুন কিছু জানার সুযোগ সৃষ্টি হবে। দুনিয়াতে জানার কোন শেষ নেই। এবং আমার আগ্রহের ও কমতি নেই। ইনশাল্লাহ কোনদিন হবে ও না।

কিশোর মাইনু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ম কি সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি নাকি মানুষের???

২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:০১

নাস্তিক আর অধার্মিক-র মধ্যে অনেক তফাত। নাস্তিকেরা Supreme Authority অর্থাৎ ঈশ্বর-ভগবনে বিশ্বাস করেনা। কিন্তু যারা ধর্ম মানেনা তাদের কথা আলাদা। তারা সুপ্রিম অথোরিটি বিলিভ করে। কিন্তু কোন ধর্ম মানে না। তাদের মুল কথা হচ্ছে,"সৃষ্টিকর্তা শুধু মানুষ সৃষ্টি করেছেন। আর ধর্ম মানুষের সৃষ্টি।" আমি নিজে একজন মুসলমান ঘরে জন্মগ্রহনকারী আস্তিক। তাই স্বাভাবিকভাবেই নাস্তিকদের বিপক্ষে যাব। কিন্তু অধার্মিক নামধারী মানুষ গুলোর সাথে আমি দ্বিমত হতে পারছিনা।

আসলেই তো?!?!? সৃষ্টিকর্তা কি আসলেই ধর্ম নামক কোন কিছু সৃষ্টি করেছিলেন?!?!? নাকি মানুষ ই তার লাভের জন্য এত এত ধর্মের সৃষ্টি করেছে?!?!?

পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বে মোট ধর্মের সংখ্যা ৪,৩০০।এইসব ধর্মকে আবার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরিতে ফেলানো হয়।বিস্তারিত বলি একটু।


সাধারণত তিনভাবে ধর্মের শ্রেণীবিভাগ করা হয়।
উৎপত্তি অনুযায়ী, সুপ্রিম অথোরিটিতে বিশ্বাসনুযায়ী, মৃত্যু পরবর্তী জীবনের ধারণা অনুযায়ী।

উৎপত্তি অনুযায়ী ধর্মকে চারটি ভাগে ভাগ করা যায়। ১/প্রাগৈতিহাসিক কালের সর্বপ্রাণবাদী
২/প্রাচীন কালের বহুশ্বরবাদী
৩/দীর্ঘস্থায়ী কালের আদি রুপকীয় ধর্ম
৪/ভিন্নমতাবলম্বী কালের বৈকল্পিক ধর্ম।

সৃষ্টিকর্তার প্রকৃতি ও অস্তিত্বের উপর ভিত্তি করে ২টি ভাগ->ঈশ্বরবাদী ও অদৈতবাদী। ঈশ্বরবাদী ধর্মে সরাসরি ঈশ্বরের অস্তিত্ব স্বীকার করা হয়। এইখানে আবার আরো ২টি ভাগ আছে->একেশ্বরবাদ ও বহুশ্বরবাদ। অদৈতবাদে ঈশ্বরের সরাসরি অস্তিত্ব বিশ্বাস করা হয় না। এখানে ঈশ্বরকে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডজুড়ে ছড়িয়ে থাকা শক্তি হিসেবে কল্পনা করা হয়।

মানুষের মৃত্যুর উপর ভিত্তি করে আবার আরো ৪টি ভাগে ভাগ করা হয় ধর্মকে।
১/Judged:মৃত্যুর পর শেষ বিচারে বিশ্বাসী
২/Rebirth:পুর্ণজন্মে বিশ্বাসী
৩/Death:শেষ পরিণতি মৃত্যুতে বিশ্বাসী
৪/Revert:পুর্বাকারে ফিরে যাওয়ায় বিশ্বাসী

এত গেলো ধর্মের বাহ্যিক প্রকারভেদ। এক ধর্মের ভিতর ও আবার ভিন্ন,ভিন্ন প্রকারভেদ আছে।

হিন্দু ধর্ম দিয়েই শুরু করি। হিন্দু ধর্মের ৬টি দর্শন আছে-> লৌকিক, বৈদিক, বৈদান্তিক, যৌগিক, ধার্মিক, ভক্তিবাদ। প্রধান বিভাগ গুলো হল বৈষ্ণবধর্ম, শৈবধর্ম, স্মার্তবাদ ও শাক্তধর্ম। এছাড়া ও একাধিক ছোটো বিভাগ বা উপবিভাগ লক্ষিত হয়, যাদের অনেকগুলিই পরস্পরের সঙ্গে অংশত আবৃত। তারপর বর্ণের ক্ষেত্রে আসি।এইখানে আবার চার ভাগে বিভক্ত-> - ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র।
বৌদ্ধ ধর্ম দুটি প্রধান মতবাদে বিভক্ত। প্রধান অংশটি হচ্ছে হীনযান বা থেরবাদ (সংস্কৃত: স্থবিরবাদ)। দ্বিতীয়টি মহাযান নামে পরিচিত। বজ্রযান বা তান্ত্রিক মতবাদটি মহাযানের একটি অংশ।
খ্রিষ্টান ধর্মের মধ্যে ও বারটি প্রকারভেদ আছে -> ক্যাথলিক ও অর্থোডক্স,ননর্থোডক্স ইত্যাদি।
ইসলাম ধর্মের মধ্যে ও শ্রেণীবিভাগ কম না -> সুন্নি, শিয়া, ওয়াবী, খারিজি... সুন্নীদের মধ্যে আবার মাজহাব->হানাফি, মালিকি, শাফি, হানবালি।

সৃষ্টিকর্তা এত এত ধর্ম সৃষ্টি করেছেন?!?!?
রিয়েলি?!?!?
কেন?!?!?
আমরা যাতে ধর্ম নিয়ে একজন আরেকজনের সাথে মারামারি-কামড়াকামড়ি করতে পারি সেজন্য?!?!?
যত দিন যাচ্ছে আমরা আমাদের ইচ্ছামত,সুবিধামত নতুন নতুন ধর্ম বানিয়ে যাচ্ছি। ধর্মকে পুজি করে নিত্য-নতুন ব্যবসা শুরু করছি। এইসব দেখে যদি কেউ ধর্ম বিদ্ধেষী হয়ে উটে সত্যি কি তাকে খুব একটা দোষ দেওয়া যায়?!?!?
সত্যি বললে এখন অবস্থা অনেকটা গেছো দাদার এই পোস্টের মতন।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:২২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
কঠিন পোস্ট দিয়াছেন।
মানুষ ক্ষেপিয়া যাইবে।

২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৩৭

কিশোর মাইনু বলেছেন: হুম।।।
এখন আমারে নাস্তিক ব্লগার, ধর্মবিদ্ধেষী বানাইয়া দেওয়া হইবে।
তবে আপাতত আমার প্রশ্নের যুক্তিসংগত উত্তর পাইলেই চলিবে আমার।
ধন্যবাদ।

২| ২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৩৯

চেংকু প্যাঁক বলেছেন:

এ সম্পর্কে তাদের কোন জ্ঞান নেই এবং তাদের পিতৃপুরুষদেরও নেই। কত কঠিন তাদের মুখের কথা। তারা যা বলে তা তো সবই মিথ্যা। (সুরা কাহাফ: ৫)

এরা আমাদেরই স্ব-জাতি, এরা তাঁর পরিবর্তে অনেক উপাস্য গ্রহণ করেছে। তারা এদের সম্পর্কে প্রকাশ্য প্রমাণ উপস্থিত করে না কেন? যে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা উদ্ভাবন করে, তার চাইতে অধিক গোনাহগার আর কে? (সুরা কাহাফ: ১৫)

বলুনঃ সত্য তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে আগত। অতএব, যার ইচ্ছা, বিশ্বাস স্থাপন করুক এবং যার ইচ্ছা অমান্য করুক। আমি জালেমদের জন্যে অগ্নি প্রস্তুত করে রেখেছি, যার বেষ্টনী তাদের কে পরিবেষ্টন করে থাকবে। (সুরা কাহাফ: ২৯)

অতঃপর কথা প্রসঙ্গে সঙ্গীকে বললঃ আমার ধন-সম্পদ তোমার চাইতে বেশী এবং জনবলে আমি অধিক শক্তিশালী। নিজের প্রতি জুলুম করে সে তার বাগানে প্রবেশ করল। সে বললঃ আমার মনে হয় না যে, এ বাগান কখনও ধ্বংস হয়ে যাবে। এবং আমি মনে করি না যে, কেয়ামত অনুষ্ঠিত হবে। যদি কখনও আমার পালনকর্তার কাছে আমাকে পৌঁছে দেয়া হয়, তবে সেখানে এর চাইতে উৎকৃষ্ট পাব।তার সঙ্গী তাকে কথা প্রসঙ্গে বললঃ তুমি তাঁকে অস্বীকার করছ, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে, অতঃপর বীর্য থেকে, অতঃপর র্পূনাঙ্গ করেছেন তোমাকে মানবাকৃতিতে? (সুরা কাহাফ: ৩৪-৩৭)

২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:০৪

কিশোর মাইনু বলেছেন: হয় চেংকু মামায় আমার পোস্ট বুঝেন নাই,নয়তো আমি মামার মন্তব্যের উদ্দেশ্য বুঝিনাই।

৩| ২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৪৩

চেংকু প্যাঁক বলেছেন: এক কেজির কম কনফিউজড একটা মগজ লৈয়া যুক্তিবাদি হওয়ার রিস্ক আছে ভাতিজা।
There is no such thing as logic, it is true what is a truth, and it is false what is false.

২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:০৬

কিশোর মাইনু বলেছেন: আমি তো কোন লজিক দেই নাই!!!
একটা প্রশ্ন করেছি শুধু।
লজিকের ভুল খুজতে না যাইয়া উত্তরটা দেন না মামা???

৪| ২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৫২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মাসলম্যান থুক্কি মুসলমানরা দেখি ব্যাকফুটে। কিছু মানুষ তো কোরানের আয়াত কপি পেস্ট করেই ফুটতেছে। এক তরফা হলে কেমনে কি?

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৫১

কিশোর মাইনু বলেছেন: নাস্তিক হোন আর কমিউনিস্ট সকল ধর্মকে সম্মান দিতে শিখুন।কাউকে ছোট করে নিজেকে বড় করা যায় না ব্রো।
"কোরানের আয়াত কপি পেস্ট" বলতে কি বুঝাচ্ছেন ভাইয়া?!?!?
কোরানের আয়াত ও কি বানিয়ে বানিয়ে নিজের মত করে লিখতে হবে নাকি?!?!?যায় এভাবে লেখা?!?!?

৫| ২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:১৬

শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: ধন্যবাদ,আসলেই ধর্ম সম্পর্কিত আসল সত্যটা অবশ্যই পৃথিবীর মানুষদের বোঝানো উচিত। এ জগতে যাহাতে কোন মানুষ ধর্ম ও পরকাল সম্পর্কিত কোন ভূল ও অলৌকিক ধারনা নিয়ে মারা না যায় সেজন্য। সুতরাং ইন্টার পৃথিবীর জ্ঞানীজনেদের অবশ্যই বিষয়টা বোঝানো উচিত-যাহাতে সাধারণ মানুষগুলো জানতে পারে যে,এ ব্রন্মন্ডের নিশ্চই সৃষ্টিকর্তারা আছেন এবং তাদের সাথে মানুষের কোন কথোপকথোন হয়নি। অতএব এখানে আমাদের ভাল মন্দ আমাদেরকেই সৎ ও নিরপেক্ষভাবে বুঝে নিয়ে চলতে হবে। এবং পৃথিবীর সকলেই একসাথে মিলেমিসে থাকার জন্য সুন্দর রাষ্ট্র আইনের মাধমে সুশৃঙ্খলাব্ধ হতে হবে। যাহাতে অহেতুক ধর্মগুলোকে নিয়ে যেন কোন মাতামাতি খুনোখুনি কেউ না করে। কেননা জীবন তো একটাই। এ জীবনে একবার মৃত্যু হলে আর সে ফিরে আসেনা এবং পরকাল পূর্বদিনের মানুষদের মিথ্যা ও কল্পিত সৃষ্টি। সেজন্য আত্নঘাতী টাইপের কোন কিছু ধারন,পোষন ও কার্যকর করাটা সম্পুর্ণ বৃথা যাবে।

(মনে করতে হবে সন্তানদের মাথার উপর কোন পিতা নেই বা ভরসা নেই। কেননা পিতা থাকলে সন্তানদের গোলযোগের নিশ্চয় সমাধান না করে তিনি সুস্থ থাকতে পারবেন না। অতএব পিতামৃত বা যোগাযোগশুন্য বিধায় সন্তানদের তারসাথে যোগাযোগের,অনুরোধের অভিযোগের,অভিমানের কোন মাধ্যমও নেই। সেহেতু সন্তানদের একই সংসারে পিতাছাড়া আবার মিলেমিসে টিকে থাকতেও হবে। তাহলে নিশ্চই সন্তানদের একটা নিরপেক্ষ সুনীতিতে আসতেই হবে-নইলে বিচারকের বা পিতার অনুপস্থিতিতে নিজেরা গোলযোগ ও ধংশ ঘটিয়ে একে একে সকলকেই মরে যেতে হবে)।

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৫৩

কিশোর মাইনু বলেছেন: অনেক জটিল একটি মন্তব্য। বুঝতে সময় লেগেছে।
সুন্দর বলেছেন।ধন্যবাদ শৈবাল ভাইকে

৬| ২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪১

সনেট কবি বলেছেন: সুখ পাঠ্য। ধর্মের লোকদের ভাল হওয়া জরুরী।

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:০৭

কিশোর মাইনু বলেছেন: ধন্যবাদ

৭| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:০০

ক্স বলেছেন: ইসলাম ধর্মের দর্শন অন্য সব ধর্ম থেকে আলাদা। দুনিয়ার ফল ফসল উপভোগ করার জন্য আল্লাহ মানুষকে দিয়েছেন নফস, আর নিজের ভালো মন্দ বোঝার জন্য দিয়েছেন বিবেক, কিন্তু সব মানুষের মানসিকতা যেহেতু একরকম নয়, তাই একটি সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়নের জন্য নাযিল করেছেন কিতাব, আর সেই কিতাবকে প্র্যাকটিস এবং এ্যাপ্লাই করার জন্য পাঠিয়েছেন নবী/রাসূল। এভাবে তিনি একটি গাইডলাইন তৈরি করেছেন যাতে আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে মানুষ দুনিয়ার নিয়ম শৃঙ্খলা বজায় রাখে। যখন সেই লাইন থেকে মানুষ সরে যায়, তখনি নতুন নিয়ম প্রবর্তন করে লাইনের মধ্যে নিয়ে আসা হয়।

আল্লাহ ধর্ম তৈরি করেননি। ধর্ম মানুষই তৈরি করেছে। আপনি ধর্মের যে শাখা প্রশাখা ব্যখ্যা করলেন, তা মানুষের উর্বর মস্তিষ্ক থেকে জাত। আল্লাহ একটিই জীবন ব্যবস্থা দিয়েছেন। যারা তাঁর অনুসরণ করবে, তারা লাইনের মধ্যে থাকবে, বাকী সব বেলাইনে।

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:০৮

কিশোর মাইনু বলেছেন: এই সহজ বিষয়টা কি মানুষ বোঝে?!?!? বা বোঝার চেষ্টা করে?!?!?
মুসলমানদের মধ্যে সুন্নি-শিয়া বিরোধ,হিন্দুদের মধ্যে বর্ণ বৈষম্য লেগেই আছে।

ধন্যবাদ মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।

৮| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:১২

রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ শুধু মানূষকে সৃষ্টি করেছেন।
বাকি সব কিছু মানুষ সৃষ্টি করেছে।

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:১১

কিশোর মাইনু বলেছেন: এই কথাটা বললে হয় আমি নাস্তিক নয়তো কমিউনিষ্ট, ধর্মবিদ্বেষী।
ধন্যবাদ রাজীব ভাই।

৯| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮

ব্লু হোয়েল বলেছেন:
০১। আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করে তাকে দুনিয়ায় চলার যে বিধি-বিধান দিয়েছেন তাই হচ্ছে ধর্ম । ধর্ম অর্থ শুধু কালিমা, নামায, রোযা, হজ্জ্ব, যাকাত নয় ।এটি হচ্ছে পরিপূর্ণ জীবন বিধান যা মেনে চলা কিংবা না চলার পুরস্কার/তিরস্কার হিসেবে পরকালে জান্নাত/জাহান্নামের কথা বলা আছে । “লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহ” এর মাধ্যমে আমরা বুঝি আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ নাই ।আল্লাহ সৃষ্ট ধর্ম হচ্ছে একেশ্বরবাদিতা । যুগে যুগে মানুষ একেশ্বরবাদিতা হতে বিমূখ হয়ে বহুশ্বেরবাদী হয়ে নতুন নতুন ধ্যান-ধারণার মাধ্যমে নিজেদের স্বার্থ হাসিলে কিছু ধর্মের অপব্যাখ্যার মাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে ।

০২। আল্লাহ তায়ালা কুরআনুল কারিমে যে ক’জন নবী/রাসুলের কথা উল্লেখ করেছেন সবারই কাজ ছিল, “আল্লা না’ বুদা ইল্লাল্ লা” । অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করতে নিষেধ করেছেন ।এর পাশাপাশি শিরক করা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন । তওরাত, যবুর, ইঞ্জিল, কুরআনসহ ১০৪ খানা আসমানী কিতাবের প্রত্যেকটিতেই একেশ্বরবাদীতার বিষয় উল্লেখ আছে । সৃষ্টির প্রথম মানুষ আদম(আঃ) সালামকে সৃষ্টি করার পর তাকেও আল্লাহ তায়ালা আসমানী কিতাব দান করেছেন দুনিয়ার জিন্দেগি পরিপালনের জন্য । আর এটিই হচ্ছে ধর্ম বা ধর্মীয় বিধান ।

০৩। মানুষের তৈরি ধর্ম হচ্ছে যেমন: বিভিন্ন দেশে (বিশেষ করে পাক-ভারত বাংলাদেশ) অসংখ্য জিন্দা/মুর্দা পীর আউলিয়ার মাজার কবর খানকাহ রয়েছে । সেখানে গিয়ে সবাই এই জিন্দা/মুর্দা পীরকে যেভাবে শ্রদ্ধা-ভক্তি করে তা ইসলাম ধর্ম অনুমোদন দেয় না । তথাকথিত জিন্দা পীরেরা এবং তাদের শিষ্যরা ধর্মের নামে যেসকল অপকর্ম/অধর্ম করে থাকে তা আমাদের সবারই অজানা নয় । আর এইভাবেই কিছু কিছু লোক নিজের স্বার্থে আল্লাহর মনোনীত ধর্মের পরিবর্তে নিজের মনোনীত ধর্মে মানুষকে দীক্ষিত করে । মানুষ বিভ্রান্ত হয় এবং শিরকে লিপ্ত হয় ।

মূলতঃ ধর্ম মহান আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি । আল্লাহ তায়ালা আল-কুরআনে বলেছেন “ আর যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম গ্রহন করবে ,তা কক্ষনো গৃহীত হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতিগ্রস্তদের কাতারে থাকবে ”। “ইন্নাদ্ দ্বীনা ইন্দাল্লাহিল ইসলাম” অর্থাৎ আল্লাহর মনোনীত ধর্ম ইসলাম (সূরা আল ইমরান, আয়াত ১৯)। ৪৩০০ বলুন আর ১০০০০ বলুন শুধমাত্র আল্লাহর মনোনীত ধর্ম হচ্ছে বর্তমানে একেশ্বরবাদী ইসলাম ।
কুরআন পড়ুন ধর্ম সম্পর্কে জানুন ।

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৫৩

কিশোর মাইনু বলেছেন: ইসলাম ধর্মের এত এত শাখা-প্রশাখা নিয়ে কিছু বলেন ভাই???

১০| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:১৫

ব্লু হোয়েল বলেছেন: আপনার ভিতর একটা প্রশ্ন জাগছে ধর্ম কার সৃষ্টি মানুষ নাকি সৃষ্টিকর্তার । শাখা প্রশাখাটা এভাবেই সৃষ্টি হয়েছে ।
পূনশ্চঃ মূলতঃ ধর্ম মহান আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি । আল্লাহ তায়ালা আল-কুরআনে বলেছেন “ আর যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম গ্রহন করবে ,তা কক্ষনো গৃহীত হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতিগ্রস্তদের কাতারে থাকবে ”। “ইন্নাদ্ দ্বীনা ইন্দাল্লাহিল ইসলাম” অর্থাৎ আল্লাহর মনোনীত ধর্ম ইসলাম (সূরা আল ইমরান, আয়াত ১৯)। ৪৩০০ বলুন আর ১০০০০ বলুন শুধমাত্র আল্লাহর মনোনীত ধর্ম হচ্ছে বর্তমানে একেশ্বরবাদী ইসলাম ।
কুরআন পড়ুন ধর্ম সম্পর্কে জানুন ।

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৪১

কিশোর মাইনু বলেছেন: আল্লাহ মনোনীত ধর্ম ইসলাম।
ইসলামের মধে সুন্নী,শিয়া,ওয়াবী...
তারপর আবার হানাফি,মালিকী...
কোনটা?!?!?
আল্লাহ তা"লা মনে হয়না ধর্মের মধ্যেও এত বিভাগ করে দিয়েছিলেন।
ইস্লামের এত এত শাখার মধ্যে আপনি কোনটা গ্রহণ করবেন???

১১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: নাস্তিক হোন আর কমিউনিস্ট সকল ধর্মকে সম্মান দিতে শিখুন।কাউকে ছোট করে নিজেকে বড় করা যায় না ব্রো।
"কোরানের আয়াত কপি পেস্ট" বলতে কি বুঝাচ্ছেন ভাইয়া?!?!?
কোরানের আয়াত ও কি বানিয়ে বানিয়ে নিজের মত করে লিখতে হবে নাকি?!?!?যায় এভাবে লেখা?!?!



ব্রো, আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করি কিন্তু ইসলামবিদ্বেষী। আর ব্রো ধর্ম মানুষের সৃস্টি না ঈশ্বরের এর উত্তর পাবেন নৃতত্ব আর ইসলামিক ইতিহাসের বইতে। আর এক কোরান হাদিসের এত ফ্যাড়কা এসব জানতে পারবেন নবীর ওফাতের সময় সাহাবী খলিফাদের ক্ষমতা নিয়া কামড়া কামড়ি সেসব পড়েন।

ব্লগে এখন যারা নিজেরে ইসলামিক স্কলার বলে একটাও কোরানের তাফসীর তো দূর কোরানও ঠিক মতো পড়ে নাই। ওয়াজ আর প্যারাসিটামল ব্লাকমেইলার মাইয়াবাজ আরিফ আজাদ কপি পেস্ট

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৪৮

কিশোর মাইনু বলেছেন: "আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করি কিন্তু ইসলামবিদ্বেষী"-<কেন ভাইয়া??? মূল কারণটি কি জানতে পারি???
"এক কোরান হাদিসের এত ফ্যাড়কা"-< ফ্যাড়কাগুলো বললে মন হয় ভাল হত।
"নবীর ওফাতের সময় সাহাবী খলিফাদের ক্ষমতা নিয়া কামড়া কামড়ি"-<নামগুলো উল্লেখ করে তথ্যসুত্র সহ ব্যাখ্যা দিলেই মনে হয় আপনার বকতব্য গ্রহণযোগ্য হবে।

১২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সবই যদি আমি বলি তাইলে মানুষ এত বই হদিস কোরান লেখলে কি করতে? আপনি এসব নিজেই জানেন না তা মানুষকে কেমনে ভুল কন বুঝলাম না।

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:০৭

কিশোর মাইনু বলেছেন: মানুষ হাদীস-কোরআন লিখেছে?!?!? আচ্ছা,জানতাম না।
আমি মানুষের ভুল ধরিনি ভাই। আমার মনে উদ্রেক হওয়ার প্রশ্ন জানতে চেয়েছি শুধু।

১৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০৮

উদুম্ভূত বলেছেন: তিনিই তোমাদের কাজে নিয়োজিত করেছেন রাত্রি, দিন, সূর্য এবং চন্দ্রকে। তারকাসমূহ তাঁরই বিধানের কর্মে নিয়োজিত রয়েছে। নিশ্চয়ই এতে "বোধশক্তিসম্পন্নদের" জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে। [16:12]

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৪৬

কিশোর মাইনু বলেছেন: আয়াত-থেকে আমরা কি শিক্ষা পেলাম???

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.