নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাম্মদ মইন উদ্দীন। ডাক নাম মাঈনু। কিছু কিছু ফ্রেন্ডের কাছে কিশোর। বাড়ি চট্রগ্রাম। পড়ালেখার কারণে ঢাকায় থাকি। কৌতুহল একটু বেশী, হয়তো বাড়াবাড়ি ধরনের ই বেশী। দূঃসাহসী, কিন্তু সাহসী কিনা এখনো জানতে পারিনি।

কিশোর মাইনু

কিছু কিছু জিনিস জানি। সেগুলা মানুষের সাথে share করার জন্য ব্লগে প্রবেশ। তাতে দুটো সুবিধে। প্রথমত, আমার জানার ভুলভ্রান্তিগুলো দূর হবে। দ্বিতীয়ত, নতুন কিছু জানার সুযোগ সৃষ্টি হবে। দুনিয়াতে জানার কোন শেষ নেই। এবং আমার আগ্রহের ও কমতি নেই। ইনশাল্লাহ কোনদিন হবে ও না।

কিশোর মাইনু › বিস্তারিত পোস্টঃ

Time Travel বা সময় পরিভ্রমণ

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৭


Time Travel বা সময় পরিভ্রমণ, আক্ষরিক অর্থে 'সময় অক্ষ' বরাবর সঞ্চারণ। ন্যূনতম চতুর্মাত্রিক (দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা এবং সময়) এই ব্রহ্মাণ্ডে দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা বরাবর স্থান পরিবর্তনের অনুরূপ এক ধারণা হল এই সময় অক্ষ বরাবর সঞ্চরণ বা কালমাত্রিক সরণ (temporal displacement)।

টাইম ট্রাভেল সায়েন্স ফিকশন লেখদের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি বিষয়। হাজার হাজার বই লেখা হয়েছে: Time Travel History, Faster, What just happend, Time machine। বাংলাদেশে জাফর ইকবাল,সত্যজিৎ রায় প্রচুর বইয়ে অসংখ্য বার উল্লেখ করেছেন এর কথা। শয়ের উপর মুভি,কার্টুন বানানো হয়েছে টাইম ট্রাভেল নিয়ে। Men in Black Series, Frequency, Timecrimes, Source Code, X-men the future past, Star trek, Time machine, Terminator টাইম ট্রাভেলের উপর বানানো ছবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ও অনেক উল্লেখযোগ্য ছবি আছে।যেমন: 24, Time Machine, Action Replay, Baarar baar dekho, Love story 2050। কার্টুনে এসেছে বারবার,Ben 10, Superman, Tom & Jerry, Ultimate Spiderman, Doramonর মত নাম করা কার্টুন গুলোতে টাইম ট্রাভেল দেখানো হয়েছেন।
এখন কথা হচ্ছে যেটা নিয়ে এত মাতামাতি সেই টাইম ট্রাভেল কি সত্যিই সম্ভব?!?!? হ্যা, থিওরিট্যাকলি সম্ভব। টাইম ট্রাভেল ২ ধরনের হতে পারে।
১/ সময়ের পিছনের দিকে যাওয়া বা অতীতে যাওয়া
২/ সময়কে অতিক্রম করে ভবিষ্যতে যাওয়া।
আমরা বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ভবিষ্যতে যেতে পারি। বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের মতে,সময়ের আপেক্ষিকতার সাহায্যে ভবিষ্যতে যাওয়া সম্ভব। আপেক্ষিকতাকে ব্যবহার করে সময়কে সম্প্রসারণ করা হয়। এক্ষেত্রে সময়ের পরিবর্তন ঘটে। এই পরির্বতনের ঘটার কারণ,সময় গতির এর উপর নির্ভর করে। আর এর সত্যতা প্রমাণিত। International Space Station (ISS) এ নভোচারীরা ৬ মাস থাকার পর পৃথিবীর সময় থেকে তাদের ০.০০৫ সেকেন্ডেরের ব্যবধান দেখা য়ায। এখানে তারা ৬ মাসে ০.০০৫ সেকেন্ডের টাইম ট্রাভেল করছে । ০.০০৫ সেকেন্ডে খুবই কম হলেও আমরা এর মাধ্যমে খুব সহজেই প্রমাণ পাই আলোর বেগকে কাজে লাগিয়ে টাইম ট্রাভেল সম্ভব। আপনি আলোর চেয়ে দ্রুত চলতে পারলে আপনি ভবিষ্যতে চলে যাবেন।
১৯৭৪ সালে ফ্রাঙ্ক টিপলার তাত্ত্বিকভাবে প্রমাণ করেন নিজের অক্ষের চারিদিকে দ্রুত ঘূর্ণায়মান এক অসীম দৈর্ঘ্যের চোঙ আদতে একটি সময় যন্ত্র এবং এর সাহায্যে সময় ভ্রমণ সম্ভব। টিপলারের অনুমান ছিল, যথেষ্ট বেগে ঘূর্ণায়মান সসীম দৈর্ঘ্যের চোঙের সাহায্যও সময় ভ্রমণের ধারণাটি বাস্তবায়িত করা যেতে পারে। পরবর্তী সময়ে হকিং অবশ্য প্রমাণ করেন- কখনোই কোন সসীম দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা বিশিষ্ট সময় যন্ত্র নির্মাণ করা সম্ভব নয়।
এবার ”আইনষ্টাইন-রোজেন ব্রীজ বা ওয়ার্মহোল ” দ্বারা টাইম ট্রাভেলের ধারণায় আসি । ওয়ার্মহোল হচ্ছে অতি অল্প সময়ে মহাজাগতিক দূরত্ব অতিক্রম করার এক তাত্ত্বিক সম্ভাবনা।মনে করি, কোন ওয়ার্মহোলের দুই মুখে দু’টি ঘড়ি রয়েছে যা উভয়েই ২০০০ সাল দেখাচ্ছে, আপেক্ষিক গতিতে ঘুরে এলে ওয়ার্মহোলের ত্বরাণ্বিত মুখ এই অঞ্চলে ফিরে আসবে, স্থির মুখের মত ত্বরাণ্বিত মুখের ঘড়ির পাঠের সাথে ধরে নেই তা ২০০৪ যখন স্থির মুখের ঘড়ির সময় হবে ২০১২। একই অঞ্চল,কিন্ত এখন 8 আট বছরের অতীতে।ওয়ার্মহোল আমাদের আসেপাশেই থাকতেও পারে। কিন্তু কোয়ান্টাম অস্থিরতার কারণে সেটা টিকিয়ে রাখা যাবে না বললেই চলে। ১ মিটার চওড়া একটি ওয়ার্মহোলকে স্থির রাখার জন্য সূর্যের ১০ বিলিয়ন বছরেরও অধিক সময়ে উৎপাদিত শক্তির সমান ঋণাত্মক শক্তির যোগান দিতে হবে । যেই কারণে অনেক বিজ্ঞানী ই ওয়ার্মহোল কে গাঁজাখুরি সায়েন্স ফিকশন বলে মনে করেন। আবার যাদের মতে ওয়ার্মহোল থাকার যটেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে তাদের মধ্যে স্টিফেন হকিং অন্যতম একজন। তিনি জীবদ্দশায় ওয়ার্মহোল নিয়ে প্রচুর গবেষণা করেছেন।
পদার্থবিজ্ঞানীদের অনেকেই বিশ্বাস করেন তত্ত্বগত ভাবে সময় ভ্রমণ সম্ভব হলেও তা বাস্তবসম্মত নয় কারণ এতে 'কার্যকারণ সম্পর্ক' (Causality) বিঘ্নিত হয়। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিজ্ঞানী সময় ভ্রমণের সম্ভাবনাশূন্যতার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বহু Paradox-র অবতারণা করেছেন। প্যারাডক্স মানে হল পরস্পরবিরোধী বক্ত্যব বা যুক্তি। এ প্রসঙ্গে হকিংয়ের Mad scientist paradox বিশেষভাবে স্মরণযোগ্য। ধরা যাক এক উন্মত্ত বিজ্ঞানী কোনভাবে তাঁর নিজস্ব অতীতে ফিরে গিয়ে নিজেকে হত্যা করলেন। এক্ষেত্রে যেহেতু সেই বিজ্ঞানীর অতীত প্রতিভূ নিহত হলেন, সেহেতু সেই হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী সময় থেকে এই ব্রহ্মাণ্ডে আর তাঁর কোন অস্তিত্ব থাকা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন ওঠে যে, তাহলে সেই বিজ্ঞানীর হত্যাকারী কে???
এমন ই আরেকটি সবচেয়ে বিখ্যাত প্যারাডক্স Grandfather পারাডক্স। আপনি যদি অতীত গিয়ে আপনার বালক দাদাকে হত্যা করেন,তাহলে আপনি আসলেন কোথাথেকে?!?!? সময় ভ্রমণের সম্ভাবনার কথা স্বীকার করে নিলে আমাদের এমন আরও বহু কূটাভাসের সম্মুখীন হতে হয়।অবশ্য রাশিয়ার পদার্থবিদ নভিকভের মতে, পদার্থবিদ্যায় যদি বহুবিশ্ব বা Paralal Universe-র অস্তিত্ব স্বীকার করে নেওয়া হয়, তাহলে সময় ভ্রমণ সংক্রান্ত প্যারাডক্সের উত্তর দেওয়া সম্ভব হবে। এই থিউরি অনুযায়ী আমরা যে মহাবিশ্বে আছি সেরকম অসীম সংখ্যক মহাবিশ্ব বর্তমান। এই মহাবিশ্বগুলো প্রায় একই রকম কিন্তু একটু আলাদা। সেখানে আমি আপনি সবাই আছি কিন্তু একটু আলাদা ধরনের। যেমন এখানে আমি মেটালহেড (মেটাল গান লাভার), ওখানে হয়ত হিপহপ (একধরনের গান) লাভার!!
মনে করেন আমাদের মহাবিশ্বে আপনি একটা লুডুর ছক্কা ছুঁড়ে মারলেন। ছক্কাটা মাটিতে পড়ার পর আপনি দেখলেন উপরের পিঠে ৪ পড়েছে। অন্য মহাবিশ্বের অন্য আপনি দেখবেন উপরের পিঠে ৩। আরেক মহাবিশ্বের আরেক আপনি দেখবেন উপরের পিঠে ৬ পড়েছে!!!
সময় পরিভ্রমণ সম্ভব হলে তা হবে মূলত এক মহাবিশ্ব থেকে আরেক মহাবিশ্বে। অর্থাৎ সময় পরিভ্রমণ করে আপনি যদি অতীতে গিয়ে আপনার দাদাকে মেরে ফেলেন তাহলে মূলত যা ঘটবে তা হচ্ছে আপনি সময় পরিভ্রমণ করে আমাদের চেনাজানা মহাবিশ্ব থেকে অন্য মহাবিশ্বে চলে যাবেন। সেখানে গিয়ে উপস্থিত হওয়া মাত্র সেই মহাবিশ্বের গতিপ্রকৃতি পরিবর্তিত হয়ে যাবে। সময়ের সাথে সাথে আপনি যত বিশৃঙ্খলা তৈরি করবেন ততোই মহাবিশ্ব দুটোর মধ্যে পার্থক্যের পরিমাণ বাড়তে থাকবে। একবার সময় পরিভ্রমণ শুরু হলে আপনি আর কোনভাবেই আপনার নিজের জগতে ফিরে আসতে পারবেন না।আপনি যদি অতীতে গিয়ে আপনার দাদার মত দেখতে কাউকে বালক বয়সে মেরে ফেলেন, তাহলে সে আসলে আপনার দাদা না। আপনার দাদার প্যারালাল কপি। ওই দুনিয়াতে করিম মারা যাওয়ায় করিম নাতি রহিমের জন্ম হবেনা। কিন্তু বাকি ইউনিভার্সগুলোতে ঠিক ই রহিমের জন্ম হবে।
অনেকেই মনে করেন যদি সময় পরিভ্রমণ আদৌ সম্ভব হত, তাহলে পৃথিবীতে নিশ্চয়ই ভবিষ্যতের সময়সঞ্চারীদের দেখা মিলত। কার্ল সেগান একবার বলেছিলেন,"কে বলতে পারে! হয়তো ভবিষ্যতের সময়ভ্রমণপিয়াসীরা ছদ্মবেশে আমাদের আশেপাশেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন।" অনেক সময়ই অনেকে দাবি করেছেন যে তাঁরা ভবিষ্যতের সময়সঞ্চারীদের চিহ্নিত করেছেন। তাঁদের দাবির সমর্থনে তাঁরা সকলের সামনে কিছু প্রমাণও পেশ করেছেন। এর মধ্যে চার্লি চ্যাপলিনের 'দ্য সার্কাস'চলচ্চিত্রের একটি ছোট্ট অংশ (এটি Chaplin's Time Traveller নামে আন্তর্জাল দুনিয়ায় জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল) এবং ১৯৪১ সালে ব্রিটিশ কলম্বিয়ার অন্তর্গত গোল্ডব্রিজে একটি সেতুর পুনরুদ্বোধন অনুষ্ঠানে গৃহীত একটি আলোকচিত্র উল্লেখযোগ্য। সময় ভ্রমণ নিয়ে অসংখ্য কাহিনীও শোনা গেছে বিভিন্ন সময়। প্রচলিত এই সব কাহিনীর মুখ্যচরিত্র, যেমন জন টাইটার, বব হোয়াইট, অ্যান্ড্রুুু কার্লসিন এবং এরকম আরও অনেককে বাস্তব চরিত্র বলে দাবি করেছেন অনেকেই। তবে এসমস্ত প্রমাণ বা গল্প- কোনটিই কখনো সর্বজনীন স্বীকৃতি লাভ করে নি।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭

লোকনাথ ধর বলেছেন: ভালো লেগেছে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৯

কিশোর মাইনু বলেছেন: পাঠকের ভাল লাগাই সার্থকতা।
ধন্যবাদ।

২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২০

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম মন দিয়ে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১০

কিশোর মাইনু বলেছেন: আশা করি বোঝাতে সক্ষম হয়েছি।

৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আসলে টাইম ট্রাবল থিউড়িটিক্যালি সম্ভব। ফিজিক্যালী সম্ভব মনে হচ্ছে না। তবে ব্ল্যাকহোলের মধ্যাকর্ষণ বলকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যত ভ্রমন সম্ভব এই একটি পদ্ধতিই আমার কাছে সম্ভাবনাময় মনে হয়। তবে সমস্যা হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে কাছের ব্ল্যাক হোলটিও অনেক দূরে অবস্থিত, ওখানে পৌঁছাতেও আমাদের কয়েক লক্ষ বছর লেগে যাবে। ইন্টারসেলার নামে একটা মুভি আছে এটার উপর দেখতে পারেন।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৪

কিশোর মাইনু বলেছেন: ব্ল্যাকহোলের সাহায্যে ভবিষ্যত ভ্রমণটি থিঊরেটিকলি সম্ভব। রিয়েলি অসম্ভব। ব্ল্যাকহোল নিয়ে ও সামনে লিখব একটি পোস্ট। পড়ে দেখবেন। আর ফিজিক্যালি টাইম ট্রাভেল অনেক জটিল একটি বিষয়। অনেক কিছুই জড়িত। কতটা জটিল সেটা চিন্তা ও করতে পারব না।

৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩১

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: হাজার বছর পর, টাইম ট্রাভেল বাস্তবে সম্ভব হলে অতীতে গেলেও পরিবর্তন করা সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না। আর ভবিষ্যতে গেলে কি দেখবে?(অকল্পনীয়)

সময় ভ্রমণের প্রচলিত কল্পকাহিনীগুলো বিশ্বাসযোগ্য নয়। এসব এখনকার মানুষের জন্য ঐশ্বরিক। মহাবিশ্ব নিয়ে বিজ্ঞানের গবেষণা বা কাল্পনিক ভাবনা তত্ত্বও মাঝেমাঝে ঐশ্বরিক, আধ্যাত্মিক মনে হয়।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৮

কিশোর মাইনু বলেছেন: প্যারালাল ইউনিভার্স।
আপনি আসলে আপনার অতীত ভ্রমণ করতে পারবেন না। অন্য কোন মহাবিশ্বে ভ্রমণ করতে পারবেন। সেখানে ১/২ বছর অতীতে বা ভবিষ্যৎ-এ গেলে আপনি আপনার সাথেই কথা বলতে পারবেন। অনেক জটিল। আপনি "The Flash" সিরিজটি দেখতে পারেন। আপনার প্রশ্নের মোটামুটি গ্রহণযোগ্য একটা উত্তর পাবেন আশা করি।

৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এগুলো পড়তে আর ছবিতে দেখতে মজা। বাস্তবে টাইম ট্রাভেল সম্ভব নয়...

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:১৬

কিশোর মাইনু বলেছেন: আপনি আপনার মতামত অবশ্যই দিতে পারেন। কিন্তু ফাইনাল ডিসিশন না দেওয়ায় বোধ হয় ভাল। যে বিষয় নিয়ে নামকরা বিজ্ঞানীরাও চুড়ান্ত ডিসিশন দিতে পারেন নি সেখানে আমরা রায় না দিলেই বুদ্ধমত্তার পরিচয় দিব বলে মনে করি আমি।

৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫২

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: প্যারালাল ইউনিভার্সের থিওরি'টা সম্পূর্ণ আধ্যাত্মিক। এই থিওরি অনুযায়ী, প্রতিটি সম্ভাবনা বা কর্মের জন্য আলাদা ইউনিভার্স থাকবে। কোয়ান্টাম মেকানিক এবং এম থিওরি ও এই মতবাদে ভিত্তিতে টাইম ট্রেভেলের সমধান দেওয়া চেষ্টা করেছে।

বাই দা ওয়ে, পৃথিবী থেকে এন্ড্রোমিডা গ্যালাক্সির দূরত্ব ২.৫ মিলিয়ন আলোকবর্ষ। অর্থাৎ আজ আমরা এন্ড্রোমিডার যে আলোর বিস্ফারণ দেখছি তা ২.৫ মিলিয়ন বছর আগের। আজ সেটা ধ্বংস হয়ে গেলেও ২.৫ মিলিয়ন বছর পর্যন্ত আমরা সেটা প্রত্যক্ষ করবো।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:২২

কিশোর মাইনু বলেছেন: আধ্যাত্মিক মানে আত্মিক,ধার্মীয়,অতিমানবিক, ইংরেজীতে বললে Spiritual।প্যারালাল ইউনিভার্স থিওরির কোন জিনিসটা আপনার থেকে স্পিরিচুয়াল মনে হল বুঝলাম না।

ধন্যবাদ। জানতাম তথ্যটা। তবুও মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০১

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: লেখক বলেছেন: আধ্যাত্মিক মানে আত্মিক,ধার্মীয়,অতিমানবিক, ইংরেজীতে বললে Spiritual।প্যারালাল ইউনিভার্স থিওরির কোন জিনিসটা আপনার থেকে স্পিরিচুয়াল মনে হল বুঝলাম না।

বিজ্ঞান কি প্যারালাল ইউনিভার্সের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে পেরেছে। এটা স্রেফ ধারনা বা কল্পনা মাত্র। যেমন, ইকপায়রোটিক থিওরি (স্ট্রিং থিওরি, ইনফ্লেশন থিওরি) বলছে, দুটি ব্রেনের সংঘর্ষে মহাবিশ্বের সৃষ্টি। এবং আমাদের মহাবিশ্বের বাইরে শূন্যতায় এরকম সংঘর্ষ হয়েই চলছে। যার ফলে সৃষ্টি হচ্ছে অসংখ্য প্যারালাল ইউনিভার্স। যেহেতু প্যারালাল ইউনিভার্সের সংখ্যা অগণিত সেহেতু আমাদের মহাবিশ্বের মত মহাবিশ্ব পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেখানে (আমাদের ইউনিভার্সের মতো অন্য ইউনিভার্সে) হয়তো আমার মতো আরেক আমি এই মুহূর্তে বসে ব্লগিং করছে। কিন্তু আমরা (প্যারালাল মহাবিশ্বের অন্য আমি) পরস্পর, পরস্পর সম্পর্কে জানি না। তাই যোগাযোগ করতে পারছি না। কেন পারছি না? কারণ আমি ত্রিমাত্রিক ইউনিভার্সে বসবাস করছি। অন্য আমি চতুর্মাত্রিক বা আরো বেশি মাত্রার কোনো ইউনিভার্সের বাসিন্দা। হতে পারে সেটা (প্যারালাল ইউনিভার্স) আমার সামনে অবস্থিত। সে আমাকে দেখছে, কথা বলছে আমি শুনতে পারছি না। আমারা উভয়ই জগত ভিন্নভিন্ন পদার্থ দ্বারা সৃষ্টি!

হাজার বছর ধরে, আধ্যাত্মিক বা ধর্মীয় দর্শনও প্রায় একই কথা বলছে, যেমন শয়তান। শয়তান আমাদের শিরা উপশিরায় চলাচল করতে পারে, আমাদের প্ররোচিত করতে পারে। জীন নামক স্বত্বার অস্তিত্ব দাবী করছে। দেবতা, ফেরেশতাদের অস্তিত্ব দাবী করছে। বলছে, তারা আমাদের আশেপাশে আছে। আমাদের দেখছে কিন্তু আমরা তাদের দেখতে পারছি না বা পারি না। তাহলে তারা নিশ্চয়ই চার বা বেশি মাত্রিক কোনো প্যারালাল ইউনিভার্সের বসবাস করে। বেশি মাত্রার ইউনিভার্সে বাস করে বলেই তারা আমাদের দেখতে পারে, আমাদের শুনতে বা বুঝতে পারে। তাই নয় কি?

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৬

কিশোর মাইনু বলেছেন: দুটি ব্রেনের সংঘর্ষে মহাবিশ্বের সৃষ্টি। ব্রেন মানে পৃষ্ট, ব্ল্যাকহোলের ইভেন্ট হোরাইজন। যা তিনমাত্রার ব্যাকহোলে দুই মাত্রার থাকে। তাহলে স্বাভাবিকভাবেই চারমাত্রার টাতে সবদিকে ইউনিফর্ম হওয়া একটা তিনমাত্রার ব্রেন থাকবে,হাইফারস্পেয়ার বলা হয় এটাকে। আপনি যেই থিওরির কথা বললেন এটা ২০১৩সালে নিয়েশ আফর্শাদি ২০০০সালের পদার্থবিদ ডেভিলের লেখা পেপার পড়ে উপস্থাপন করেন। সেই পেপারে লেখা ছিল আমাদের তিনমাত্রার মহাবিশ্বটি চারমাত্রার মহাবিশ্বের উপর ভাসমান। তার কথা অনুসারে ২টি চতুর্মাত্রিক মহাবিশ্বের সংঘর্ষের ফলে যে ইনফ্লেশন সৃষ্টি হয়েছিল তার ই ফলাফল আমাদের আজকের এই ত্রিমাত্রিক মহাবিশ্ব। দুটি ব্রেনের সংঘর্ষে মহাবিশ্বের সৃষ্টি বলছেন আপনি। কিন্তু আমি যা বুঝেছি,তা হল চতুর্মাত্রিক তারার হাইফারস্ফেয়ারে পতনের ফলে যে বিস্ফোরোণের সৃষ্টি হয়,তা সবদিকে ত্রিমাত্রিকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়।

আপনার প্রতিলিপি যদি চতুর্মাত্রিক হয়, তাহলে সে আপনার প্রতিলিপি ই হল কেমনে?!?!? আর একটা চারমাত্রার মহাবিশ্ব আর তিন মাত্রার মহাবিশ্ব প্যারালাল হয় কেমনে?!?!? আর আপনি যদি তাকে না দেখেন, সে আপনাকে কিভাবে দেখছে, তর্কের কাতিরে ধরে নিলাম, আপনি পদার্থের সৃষ্টি, আর সে প্রতিপদার্থের,তাহলে একজন দেখার আর আরেকজন না।দেখার কোন গ্রহণ্যোগ্য ব্যাখ্যা পাওয়া যায় বলে মনে হয় না আমার কাছে।

জিনকে আপনি চতুর্মাত্রিক প্রাণী বলছেন কিন্তু আমি মানতে রাজি না। ধরুন,একটি মাইক্রোবাস যার কাচ কালো, এবং ভিতরে আপনি, বাইরে আমি। আমি যতই চেষ্টা করি না কেন ভিতরে কি আছে দেখতে পারব না। কিন্তু আপনি আমাকে দেখতে পারবেন। আপনি যখন মাইক্রো দরজা খুলে বাইরে আসবেন, আমি কিন্তু তখন আপনাকে ঠিক ই দেখতে পারব এবং মাইক্রোর ভিতরেও দেখতে পারব। অথচ আপনি,দুজন ই মানুষ। এইখানে মাইক্রোর ভিতরে হল জিন, বাইরে মানুষ। কিন্তু চতুর্মাত্রিক প্রাণীকে আপনি চাইলে ও দেখতে পারবেন না। এমনকি সে যদি চাই যে আপনি তাকে দেখুন তাহলে ও পারবেন না। কারণ তাকে দেখার মত চোখ আপনার নেই। ত্রিমাত্রিক চোখ দিয়ে আপনি কখনোই চতুর্মাত্রিক কিছু দেখতে পারবেন না। কিন্তু জিন রা আমাদের সামনে চাইলে হাজির হতে পারে। সো আমি জিনদের কখনো চতুর্মাত্রিক মানতে রাজিনা। প্যারালাল ও না। দুটো প্যারালাল ইউনিভার্সের মধ্যে সংঘর্ষ বাধা ইম্পসিবল। যদিও বাধে তাহলে আমরা ধরে নিতে পারি এক ধরণের কেয়ামত চলে আসছে।

৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৮

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: @লেখক Kishor Mainu, আপনার লেখার ভেতর কিংবা আধুনিক পদার্থবিদ্যার আধ্যাত্মিক কি আধিভৌতিক অংশটুকু যদি ধরতে না পারেন, তাহলে মহান বিজ্ঞানী নিকোলা টেসলার একটা ডায়লগ শুনুন:
"Today's scientists have substituted mathematics for experiments, and they wander off through equation after equation, and eventually build a structure which has no relation to reality."

বাই দ্য ওয়ে, এত চমকপ্রদ টপিকে এত বেশি সিনেমার পোস্টার কেন?

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২২

কিশোর মাইনু বলেছেন: আসলে আমি ধরতে পেরেছি। বাট সেটাকে স্পিরিচুয়াল মানতে রাজি না। কারণ এগুলোর ও মোটামুটি একটা ব্যাখ্যা আছে। কিন্তু স্পিরিচুয়াল কোনকিছুর ব্যাখ্যা হয় না-আমি মনে করি।

প্রথমে টাইমট্রাভেল নিয়ে মাতামাতি টা তুলে ধরার চেষ্ট করেছি। আর যে কোন ক্ষেত্রে লেখার থেকে ছবি বেশী কথা বলে-আমি মনে করি। তাই দিয়েছি।

৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:১০

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: দুটি ব্রেনের সংঘর্ষে মহাবিশ্বের সৃষ্টি। ব্রেন মানে পৃষ্ট, ব্ল্যাকহোলের ইভেন্ট হোরাইজন। যা তিনমাত্রার ব্যাকহোলে দুই মাত্রার থাকে। তাহলে স্বাভাবিকভাবেই চারমাত্রার টাতে সবদিকে ইউনিফর্ম হওয়া একটা তিনমাত্রার ব্রেন থাকবে,হাইফারস্পেয়ার বলা হয় এটাকে। আপনি যেই থিওরির কথা বললেন এটা ২০১৩সালে নিয়েশ আফর্শাদি ২০০০সালের পদার্থবিদ ডেভিলের লেখা পেপার পড়ে উপস্থাপন করেন। সেই পেপারে লেখা ছিল আমাদের তিনমাত্রার মহাবিশ্বটি চারমাত্রার মহাবিশ্বের উপর ভাসমান। তার কথা অনুসারে ২টি চতুর্মাত্রিক মহাবিশ্বের সংঘর্ষের ফলে যে ইনফ্লেশন সৃষ্টি হয়েছিল তার ই ফলাফল আমাদের আজকের এই ত্রিমাত্রিক মহাবিশ্ব। দুটি ব্রেনের সংঘর্ষে মহাবিশ্বের সৃষ্টি বলছেন আপনি।

'দুটি ব্রেনের সংঘর্ষের কারণে মহাবিশ্বের সৃষ্টি' থিওরিটা আমার নয়। স্ট্রিং তত্ত্বের সমীকরণ নিয়ে বিশ্লেষণ করা একদল বিজ্ঞানীর। তারা বলছে দুটি ব্রেনের এরকম সংঘর্ষের ফলেই ইনফ্লেশনের সৃষ্টি হয়। এরকম সংঘর্ষ কিন্তু কোন নির্দিষ্ট একটি স্থানে হয় না, বরং আমাদের মহাবিশ্বের বাইরের শুন্যতায় এরকম সংঘর্ষ হয়েই চলেছে, ফলে সৃষ্টি হয়ে চলেছে অসংখ্য মহাবিশ্ব। এই অসংখ্য মহাবিশ্বের ভিতর আমাদের মহাবিশ্বের মত কোন একটি থাকা খুবই সম্ভব। এভাবে (দুটি ব্রেনের সংঘর্ষে) মহাবিশ্ব সৃষ্টির এই তত্ত্বকে ইকপাইরোটিক থিওরি(Ekpyrotic Theory) বলা হয়। এই তত্ত্ব ঠিক হলে আমাদের মহাবিশ্বের মত দেখতে আরও কোন মহাবিশ্ব থাকবে।

স্ট্রিং তত্ত্বে স্ট্রিং ছাড়াও “ব্রেন” নামক আরেক ধরনের মৌলিক স্বত্বার কথা বলা হয়েছে। ব্রেন শব্দটির পূর্ণরূপ মেমব্রেন বা ঝিল্লী। একটি ঝিল্লীর ভেতর যেমন কোন কিছু আটকে থাকতে পারে, তেমনি কোন স্ট্রিংগুলোও এই ব্রেনের ভিতর আটকে থাকতে পারে। স্ট্রিংগুলো একমাত্রিক হলেও ব্রেনগুলো কিন্তু একমাত্রিক না। একটি ব্রেনের মাত্রার সংখ্যা ২ থেকে ১০ এর মধ্যে যেকোনোটি হতে পারে। একটি দ্বিমাত্রিক ব্রেনকে ২-ব্রেন বলা হয়। ত্রিমাত্রিক ব্রেনকে ৩-ব্রেন..... বা ৫-ব্রেনও সম্ভব । যদিও আমাদের মত ত্রিমাত্রিক জগতের ত্রিমাত্রিক চোখওয়ালাদের পক্ষে পাচ বা বেশি মাত্রিক বস্তু কল্পনা করা অসম্ভব, তবে স্ট্রিং তাত্ত্বিকরা গাণিতিকভাবে সেটা ব্রেনকে খুব ভালমতোই সংজ্ঞায়িত করতে পারেন । স্ট্রিং বিশ্লেষকদের 'দুটি ব্রেনের সংঘর্ষ' তত্ত্ব বা ইকপায়োরিটিক থিওরি বিগ ব্যাং- ইনফ্লেশন, কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন তত্বের সাথে যাচ্ছে বলেই সংক্্ষেপে বলেছিলাম। যাইহোক, এসব নিয়ে বিস্তর বলা উচিত ছিলো।
আপনার প্রতিলিপি যদি চতুর্মাত্রিক হয়, তাহলে সে আপনার প্রতিলিপি ই হল কেমনে?!?!? আর একটা চারমাত্রার মহাবিশ্ব আর তিন মাত্রার মহাবিশ্বের প্যারালাল হয় কিভাবে? - আমি কোয়ান্টাম মেকানিকসের সম্ভাব্যতা ও বর্ণন কারী ফাংশনকে ব্যাখার জন্য যে প্যারালাল লেভেলের (লেভেল থ্রি) ধারনা দেওয়া হয়েছে সেটা থেকে বলছি। আমার প্রশ্ন, আমার প্রতিলিপি ত্রিমাত্রিক হলে আমি দেখি না কেনো? আমাদের মহাবিশ্বকে আমি ত্রিমাত্রিক ভাবছি না; হ্যা, এখানে আমরা যা দেখছি সে সব ত্রিমাত্রিক গঠনের। যা দেখছি না, সে সব কিছুই চতুর্মাত্রিক বা তারও বেশি মাত্রার। বাই দা ওয়ে, বিজ্ঞানের ধারনা, বিভিন্ন ধর্মীয় ধারনা, প্রাচীন গণক-সাধকদের ধারনা সব মাথায় নিয়ে ভেবে দেখুন তো, নতুন কোনপ্রকার মজা পাওয়া যায় কিনা।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৫

কিশোর মাইনু বলেছেন: স্ট্রিং তত্ত্ব অনেক পুরোনো। গ্যাব্রিয়েল ভেনেজিয়ানো,লিওনার্ড,নিলসেন,নামবু চার বিজ্ঞানী মিলে ২বছর গবেষণ করে ১৯৭০সালে স্ট্রি তত্ত্ব আবিস্কার করেছিলেন, যদিও তখন কেউ দাম দেই নি। পরবর্তীতে জন সোয়ার্জ স্ট্রিং তত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে গ্রাভিটন আবিস্কার করে বসেন। প্রায় ১৪বছর পর ১৯৮৪ সালে সোয়ার্জ আর মাইকেল গ্রিনের যৌথথ প্রচেষ্টায় স্ট্রিং থিওরি গ্রহণযোগ্যতা পায়।

বাইরের মহাবিশ্বের শুন্যতায় যেটি প্রতিনিয়ত হরদম হচ্ছে সেটা হচ্ছে সেটা হচ্ছে "ভ্যাকুয়াম ফ্ল্যাকচুয়েশন"। আর মহাবিশ্ব সৃষ্টির জন্য যেটি দায়ী সেটা হচ্ছে ইনফ্লেশন। ইনফ্লেশন আর ফ্ল্যাকচুয়েশন সম্পুর্ণ আলাদা জিনিস।

স্ট্রিং তত্ত্বের সবচেয়ে বড় আবিস্কারের একটি গ্রাভিটন,যার লুপের কোন প্রান্তবিন্দু নেই বলা হয়। এদের বৈশিষ্ট্যই হল এরা কোন বিশেষ ব্রেনে বন্দী থাকেনা, মুক্তভাবে এর মধ্যে চলাচল করে।

আর ভাইয়ার মাত্রার কথায় আসলে স্ট্রিং তত্ত্ব আমার মাথা পুরা আউলাই দিছে। আইনাইস্টাইনের মতে আমাদের জগত চতুর্মাত্রিক,যেখানে তিনি সময়কে ও একটি মাত্রা হিসেবে গণনা করেছেন।স্ট্রিং তত্ত্ব অনুযায়ী সেটা ১০মাত্রার হয়ে গেছে। আবার সেইখানে থেকে পাওয়া সমীকরণ কে এক করার জন্য নতুন একটা মাত্রা চলে আসছে,যেই তত্ত্বের নাম "এম থিওরি"। আরে ভাই,৪মাত্রাই বুঝিনা, ১০-১১মাত্রা কেমনে বুঝব?!?!?

আপনি আপনার প্রতিলিপিদের দেখেন না কারণ আপনাদের মাঝে একটা দেয়াল বিদ্যমান। আপনি যেমন দেয়াল ভেদ করে আপনার পাশের রুমে কি আছে দেখতে পারবেন না, তেমন ই আপনি আপনার প্যারালাল ইউনিভার্সে কি আছে দেখতে পারবেন না। দেখতে চাইলে আপনাকে দরজা খুলে পাশের রুমে উকি দিতে হবে,যেটা হল ওয়ার্মহোল। এখন দরজা বানানোর যন্ত্রপাতি তো আপনার থেকে নাই। আপনি দরজা-জানালা বানাবেন কেমনে?!?!? দরজা-জানালা না থাকলে আপনি দেখবেন কেমনে পাশের রুমে কি হচ্ছে?!?!?

বাই দ্যা ওয়ে,ভাই অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার প্রশ্নের কারণে আমার জানাও অনেক বাড়ছে। আশা করব, আমার ভবিষ্যৎ পোস্ট গুলোতে আপনি আমার লেখার সমালোচনা করবেন। সময় নিয়ে লেখা আমার এই পোস্ট টিতে যদি একবার ঢু মেরে আসেন খুশী হব ভাই।

১০| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২০

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: এইচ জি ওয়েলসের টাইম ট্রাভেল নিয়ে একটা সাইন্স ফিকশন পড়ছিলাম । আপনার লেখা অনেক ভাল হয়েছে ।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:১১

কিশোর মাইনু বলেছেন: ধন্যবাদ ইমন ভাই।
পাশে থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.