নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আমার কোন বিশেষ প্রতিভা নেই।আমি শুধু মনেপ্রাণে কৌতূহলী”--আলবার্ট আইনস্টাইন “ভাষা একটি মাধ্যম মাত্র জ্ঞানই আসল”--ফেরদৌসি বিকন

চক্‌চাপড়ী

সৃস্টির সকল কিছুই জানার ইচ্ছা করে স্রস্টা যেটুকু জানার অধিকার দিয়েছেন।”

চক্‌চাপড়ী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুসংস্কারে আবিস্ট ভারতবাসী কেবল আফ্রিকা বাদে অপরাপর বিশ্বের সাথে আধুনিকতার দৌড়ে পিছিয়ে পড়ছে।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩৯

সমাজতান্ত্রিক চীন বিশ্বকে নেতৃত্ব দেয়।কিন্তু গণতান্ত্রিক ভারত পারছে না। জনমনের চিন্তা-চেতনাই বলে দেয় সে দেশে কেমন নেতা জন্ম নেবে।
আধুনিক চিকিৎসাশাস্ত্র গোমূত্রের রোগ প্রতিরোধক গুণের দাবিকে বিন্দুমাত্র স্বীকৃতি না দিলেও গুজরাট,উত্তরাখণ্ড,হিমাচল প্রদেশ, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ মাড়িয়ে উত্তরপ্রদেশ।উত্তরপ্রদেশ যাকে ভারতের রাজনীতি তৈরীর কারখানা বলা হয়।সেই উত্তরপ্রদেশ থেকে সংস্কারপন্থীদের পিঠস্থান পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় গত তিন-চার বছরে তুঙ্গে উঠেছে গোমূত্রের বিক্রি।গরুর দুধের চেয়ে মূত্রের দাম বেশি কলকাতায় এবং সমগ্র ভারতে।

পৃথিবীর সর্বত্র বই পস্তুকে পড়ানো হয় গাছপালা প্রাণীর নি:শ্বাসের কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে প্রকৃতিতে অক্সিজেন ছড়িয়ে দেয়।কিন্তু ভারতে বলা হয় গরু নিজের নি:শ্বাসের সঙ্গে অক্সিজেন মিশিয়ে দেয় বাতাসে৷অথচ গরুর বেঁচে থাকার জন্য নিজেরই অক্সিজেন দরকার।
শিশু ভূমিষ্ট হয়ে পৃথিবীর প্রথম যে খাবারটি খায় সেটি মায়ের বুকের দুধ।বড় হলে মা আর শিশুকে দুধ দেয় না।মায়ের বুকে দেয়ার মত দুধ থাকেও না শুকিয়ে যায়।গরু তার বানের দুধ দিয়ে সেই শূণ্যতা পূরণ করে কবর পর্যন্ত মানুষের পাশে থাকে।সেই দৃষ্টিকোণ থেকে্ আইন করে ‘রাষ্ট্রমাতা’ হিসেবে গরুকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে ভারতে।এই অবলার প্রতি এত সন্মান ভারতবাসীর অনেকগলো মহৎ কাজের একটি।


আইয়ামে জাহেলিয়াতের ’আইয়াম’অর্থ – দিন, দিবস, রাতের বিপরীত ইত্যাদি। তবে এখানে আইয়াম দ্বারা যুগ বোঝানো হয়েছে। আর ’জাহেলিয়াত’ অর্থ – অজ্ঞতা, বর্বরতা, কুসংস্কার, তমসা বা অন্ধকার ইত্যাদি। তাই আইয়ামে জাহেলিয়াতের অর্থ দাঁড়ায় অন্ধকার যুগ বা কুসংস্কারাচ্ছন্ন যুগ। ইসলামপূর্ব আরবে ছিল অন্ধকার যুগ বা কুসংস্কারাচ্ছন্ন যুগ।রাসূল (স) এর আবির্ভাবে ইসলাম আরবদের যাবতীয় অন্ধকার বা কুসংস্কার থেকে উদ্ধার করে।
স্বামীর শব দাহের সঙ্গে বিধবা স্ত্রীকে জীবন্ত দাহ করার পূর্বেকার হিন্দুধর্মীয় প্রথা “সতীদাহ প্রথা”। মৃত স্বামীর সঙ্গে স্ত্রীর সহমরণের ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা এবং স্বামীর শেষকৃত্যের চিতায় জীবন্ত স্ত্রীর দাহ কেবল তূরীবাদক জনতা্ই নয় সমাগত আত্মীয় -স্বজন,জন্মদাতা পিতামাতাও নৃত্যের উম্মাদণায় উদযাপন করত।ধর্মীয় আরোহে বিবেক এতটুকু নাড়া দিত না।

ইংল্যান্ডে উদারপন্থী সরকার প্রতিষ্ঠা হলে ভারতের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সরকার কিছু খ্রিস্টান মিশনারি, ঈঙ্গ-ভারতীয় সংবাদপত্র এবং রাজা রামমোহন রায়সহ কতিপয় দেশীয় সংস্কারবাদী নেতার সমর্থনে গভর্নর জেনারেল লর্ড উইলিয়ম বেন্টিঙ্ক (১৮২৮-১৮৩৩) রেগুলেশন XVII, ১৮২৯ পাস করে ‘সতীদাহ প্রথা বা হিন্দু বিধবা নারীকে জীবন্ত দাহ বা সমাধিস্থ করা বেআইনি’ বলে ঘোষণা করেন।

রীতিকে ধর্মীয় প্রথায় জুড়ে দেয়ার পারঙ্গতায় ভারতবাসীর সাথে পৃথিবীর কোন জাতির তুলনা হয় না। এজন্যই ১২ মাসে ১৩ পার্বন। এক মোহণায় ভিড়তে বাইপাস হবার স্বভাব ভারতীয়দের স্বভাবজাত।মুসলমানরাও এর ব্যতিক্রম নয়। কুসংস্কারে আবিস্ট ভারতবাসীকে কেবল আফ্রিকা বাদে অপরাপর বিশ্বের সাথে আধুনিকতার দৌড়ে পিছিয়ে দিচ্ছে।

তথ্য সহায়তা:-
১)গরুর দুধের চেয়ে মূত্রের দাম বেশি কলকাতায়
২)ভারতে গরুকে ‘রাষ্ট্রমাতা’ করার বিল বিধানসভায় পাশ
৩) ভারতের রাজস্থানে গরুর দুধের চেয়েও গোমূত্র বেশি লাভজনক
৪) ‘গরু অক্সিজেন দেয়, তাই সে রাষ্ট্রমাতা’: প্রস্তাব পাশ হল বিধানসভায়
৫) সতীদাহ প্রথা

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: তারা একটা প্রথা মানে। এটা তাদের একান্ত নিজেদের ব্যাপার।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০৬

চক্‌চাপড়ী বলেছেন: গত চার বছর ওটা তাদের একান্ত নিজেদের ব্যাপার বলেই ভাবতাম।কিন্তু এখন সীমানা ঠেলতে ঠেলতা একেবারে বাংলায় এসে হাজির হয়েছে।গরু নিয়ে কত রক্তপাত হচ্ছে সারা ভারতে।কুসংস্কার কাধেঁ নিয়ে বইলে তো রক্ত ঝরবেই। মমতাদি না হয় গরুর মাংস নিজে খান বলে সাম্প্রদায়িকতাকে রাজনৈতিকভাবে সামাল দিয়েছেন।কিন্তু গোমূত্র খেয়ে একাত্ব হয়ে রাজ্যসভায় পাশ করলে তো রক্ষে নেই।

২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৫২

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: আপনি কি সেই চক্ চাপড়ী , যিনি ভারত ভ্রমনের অসাধারণ ব্লগ লিখতে লিখতে পাঠককে হতাশার সাগরে ডুবিয়ে অর্ধসমাপ্ত রেখেছিলেন?

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:২৪

চক্‌চাপড়ী বলেছেন: ব্যস্ততায় আর লিখে উঠতে পারি না।ঐ ব্লগের পর আরও কয়েকবার ভারত গিয়েছি। শুধু ভারত নয় নেপাল,ভূটান, থাইল্যান্ড গিয়েছি।সুন্দর,সুন্দর জায়গায় ঘুরেছি।আমার ব্লগ পড়ে অনেকে কারও সাহায্য ছাড়াই নিজে নিজে ভারত ভ্রমণ করে এসেছেন।নিজেও কোন এজেন্সির সহায়তা নিই না। ভ্রমণের আগে নেটে ঐ জায়গার পর্যাপ্ত মানচিত্র ও রোড ঘাট ঘেঁটে নিই। ভ্রমণের ছবিগুলো কেবল ফেসবুকের ওয়ালে রেখেই ক্ষান্ত দিই সময়ের অভাবে।

৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আপনার ধারণা সঠিক নয়। ধর্মীয় গোঁড়ামি কিছু অঞ্চলে থাকলেও ভারতীয়রা ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। আপনি মনে হয় জানেন না, বিশ্বে সবচেয়ে বেশী সিইও উৎপাদনকারী(!) দেশ হল ভারত। তাই আপনার শিরোনাম ও শেষের লাইন সঠিক নয়...

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৭

চক্‌চাপড়ী বলেছেন: পৃথিবীর আদি ভূমি ভারত। এই উপমহাদেশেই মানব পিতা আদমকে স্বর্গ খেকে নামিয়ে দেয়া হয়। আজ এই আধুনিক পৃথিবীতে সকল আধুনিকতা ভারত থেকেই শুরু হবার কথা।সেখানে কিনা গোমূত্র পান করে ভারতবাসীকে রোগবালাই তাড়াতে হয়?কুসংস্কার মাথায় নিয়ে নাচলে ওখানে মোদির মত নেতাই জন্মাবে।ইন্দিরা গান্ধি,নেহেরু,আবুল কালাম আজাদ,মমতা,প্রণব মূখার্জিরা জন্ম নেবে না। ভারত আজ প্রতিবেশীর উপর কর্তৃত্ব হারিয়েছে, বিশ্বে নেতৃত্ব পাবে কই?চীন চারিপাশ থেকে আস্তে আস্তে চেপে বসছে।চীনের রাহুগ্রাস থেকে ভারত কেবল নিজেকে রক্ষে করতেই ব্যস্ত।

৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৩

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: নিদেনপক্ষে ওই সিরিজটা কম্প্লিট করার অনুরোধ করছি, যেটাতে শিলিগুড়ি পর্যন্ত লিখে রেখেছেন...........।
আমি শত শত ভ্রমণ ব্লগ পড়েছি , কিন্তু আজও এত ডিটেইলস এ ভরপুর লেখা পাইনি।
আপনার লেখা পড়ে নিজে লেখার অনুপ্রেরণা পাই।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৬

চক্‌চাপড়ী বলেছেন: কথা দিলাম পুরো ডিটেইলস’ই লিখে আপনাকে ট্যাগ করব।সময় পেলে অবশ্যই লিখবেন।বেশি বেশি লিখবেন।মন ভাল থাকবে,জড়তামুক্ত থাকবে।আপনার সুস্থতা ও সাফল্য কামনা করছি।আমিন।।।

৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:১১

সাইন বোর্ড বলেছেন: কারো ধর্মীয় অনুভূতি যখন হিংস্রতায় রূপ নেয় তখন রাষ্ট্রের এগিয়ে আসা উচিৎ ।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৪

চক্‌চাপড়ী বলেছেন: মানুষ কে কোন ধর্ম পালন করবে একান্ত তার বিবেকের ব্যাপার।কিন্তু রীতিতে যখন কুসংস্কার মেখে যায় তখন আর তা ধর্ম থাকে না।ধর্মের নামে ভাঁড়ামি হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.