নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডালভাজা

চানাচুর

আমার ব্লগের বয়স অনেকদিন তাই বলে কিন্তু ব্লগার হয়ে উঠতে পারিনি সুতরাং কোন অর্বাচীন এসে খামোখা জ্ঞান দান করবেন না। অনেক রাগ করি।

চানাচুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আম্মু আব্বুর বিয়ে B-)

১৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:০২

তখন আমাদের জন্ম হয়নি। ১৯৭৯ সালের কথা। আম্মুর বিয়ের কথা হচ্ছিল একটা কলেজের প্রফেসরের সাথে, আব্বু ছিল ওয়েটিং লিস্টে। আবার ওই প্রফসর ও ওয়েটিং লিস্টে ছিল কারণ তাঁর বয়স বেশি ছিল। কিন্তু আব্বুর ওয়েটিং লিস্টে থাকার কারণ ছিল আব্বু বাংলাদেশী এবং গায়ের রঙ কালো :(

নানিরা ইন্ডিয়ান। তাদের ধারণা এ দেশী ছেলেরা দুইটা তিনটা বিয়ে করে এজন্য আব্বু আরো বাদ গেল। অন্যদিকে,প্রসেসর ইন্ডিয়ান /:)

কিন্তু দুইজনেরই সরকারি চাকরি তাই দুইজনের ব্যাপারে সবাই ভাবছিল।

এলাকায় এক মামা আছে তাঁর নাম ছিল আনোয়ার আর মামীর নাম ছিল আনোয়ারা। আমার আব্বুর চাচাতো ভাইয়ের সাথে আনোয়ার মামা চাকরি করতেন। কথা প্রসঙ্গে চাচাজি বললেন আব্বুর কথা। আর আনোয়ার মামাও বললেন আম্মুর কথা। আম্মু তখন খুলনা সরকারি মহিলা কলেজে বিএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। তারপর নানা নানিকে বলতেই বাড়িতে আসতে বলল। খেতে দিয়েছিল লুচি আর খাসির মাংস। আব্বু প্রথমে এসেই মুগ্ধ হয়ে গেল নানাবাড়ি দেখে। পুরানো বাড়ি ভীষণ গুছানো আর সামনে বিশাল বাগান। আর আম্মুর হ্যান্ড রাইটিং দেখে মুগ্ধ হয়ে গেল :P

আব্বু ভীষণ মিশুক। আনোয়ার মামা এবং আনোয়ারা মামির সাথে ভীষণ খাতির হয়ে গেল। তখন নানী বাড়িতে টেলিফোন ছিল না। টেলিফোন ছিল আনোয়ার মামার বাসায়। আব্বু ফোন করে জানিয়ে দিল তার বেশ পছন্দ হয়েছে। কিন্তু নানীর কথা ছিল আমার আব্বু কালো :( তাই ঝুলিয়ে রেখেছিল :(

এদিকে আব্বু আনোয়ার মামার বাসায় প্রায়ই ঘুরতে আসতেন। উনারাও খুব পছন্দ করতেন। এরই মাঝে আব্বু একটা দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেললো সেটা হলো আম্মু যেই কলেজে পড়ত ওখানে গিয়ে আম্মুকে উঁকি মেরে দেখে আসছিল আর আম্মু সেটা দেখে ফেলেছিল। তারপর আম্মুর সেকি রাগ!

তারপর দিনই আব্বুকে নিয়ে আনোয়ারা মামি নানিবাড়ি বেড়াতে গেল। আম্মু রুমে ঢুকে প্রথমেই আব্বুর দেওয়া টাকা ফেরত দিয়ে বলল, এই নেন আপনার টাকা! X(

সেই আমলে পাত্রী দেখাকালীন সময়ে পাত্রপক্ষ পাত্রীকে টাকা দিত। আম্মু এভাবে আব্বুকে ইন্সাল্ট করল। ব্যাপারটা আনোয়ারা মামির মোটেও ভাল লাগলো না। এরই মাঝে আমার মামারা আসলো। ঢাকা ইউনিতে আব্বুর ডিপার্টমেন্ট থেকে আব্বুর জবের সব খোঁজ খবর নিয়ে দেখলো আমার আব্বুর মত ছেলে হয় না B-)

এদিকে আম্মুও রাজি না আবার নানীও না। নানীর কথা সে কালো ছেলের সাথে বিয়ে দিবেই না
আর আম্মুর কথা, কেন সে উঁকি দিয়ে দেখলো? সামনে আসতে পারলো না?

এরই মাঝে একদিন আনোয়ারা মামি আম্মুকে হুমকি দিলেন, বললেন, কেকা তুই শুনে রাখ আমি এই ছেলেকে এই এলাকায় বিয়ে দিবো এবং তোর চোখের সামনেই! আর তুই নিজেকে কি খুব সুন্দরী ভাবিস? X( তুই অতও সুন্দর না জেনে রাখিস!

আব্বুও একদিন আনোয়ারা মামিকে বলল, ভাবি আমিও দেখতে চাই এই মেয়ে কোথায় বিয়ে করে! X(

মামারা ভাল মত খোঁজ খবর করার পর আমার নানাজির ছোট ভাই যিনি ডাক্তার হবার কারণে ডাক্তার নানাজি বলতাম, উনিও খুব পজেটিভ হয়ে গেলেন, আর আমার নানা তো শুরু থেকেই পজেটিভ ছিল। আম্মুও ঠাণ্ডা হয়ে গেল।

কিন্তু এদিকে আমার দাদার খুব মন খারাপ হল। দাদাকে একজন বলল, আপনাকে তো কোন ছেলেই দেখেনা, এই ছেলেটা ভাল তাও সে বিয়ে করছে বিদেশী মেয়ে! কি হবে ভেবে দেখেন!

নানার মন খারাপ হলেও কিছু বললেন না।

বিয়ের দিন তারিখ ঠিক হল। বিয়ের বাজার করার সময় আমার বড় চাচী আব্বুর কাছে অনেক ডিমান্ড করলেন। তার কথা ছিল, আম্মুকে যাযা দিতে হবে, তাকেও তা তা দিতে হবে! :| নাহলে খবর আছে! :|

আব্বুর ৭৮ এ চাকরি আর ৭৯ তে বিয়ে। এক বছরে কত কিই বা পারে! তাই চাচির ডিমান্ড ফুল্ফিল করতে পারলো না। চাচিও ভীষণ রেগে গেলেন। আম্মু বাড়ির বড় মেয়ে ছিল তাই বিশাল আয়োজন করেছিল নানাজি। যদিও নানাজি বাংলাদেশে আসার পর অত টাকাও ছিল না। বিশাল বরযাত্রী নিয়ে আব্বু আসল বিয়ে করতে আর চাচী বরযাত্রীতে থাকা গ্রামের মানুষজনকে উস্কানি দিল। এরপর টেবিলে যেই খাবারই আসে। সবই তারা টেবিলের নিচে ফেলে দিচ্ছিল। এমতাবস্থায় বড়মামা কান্নাকাটি শুরু করলো। তারপর আবার রান্না হতে লাগলো। আর মেজ মামা সিস্টেম করে তাড়াতাড়ি বিয়ে পড়িয়ে আব্বু আম্মুকে পাঠিয়ে দিল আব্বুর বাড়িতে। :|

অতঃপর তারা সিনেমার মত সুখে জীবন যাপন করতে পারেনি। কারণ এক হল, বড়চাচি ক্যাঁচাল লাগয়ে দিত; আর আব্বু আম্মুর মধ্যে ঝগড়া লাগত রেডিও নিয়ে। আব্বু এক চ্যানেল শুনবে আর আম্মু আরেক চ্যানেল :)

তবে, বিয়ের পর দাদা আম্মুকে নিয়ে খুব খুশি ছিল। আম্মুকে নিয়ে বলতেন, আমি মারা গেলে আমার ছেলের এই বউকে না দেখিয়ে মাটি দিপ না :)

আনোয়ার মামা বেঁচে নেই। আনোয়ারা মামির সাথে আমার যতবার দেখা হয় আমি এই গল্প শুনি। বার বার শুনি তাও ভাল লাগে। এমন হ্যাপি কাপল আমার জীবনে দেখা হয়নি :)

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:১৪

শায়মা বলেছেন: হা হা
চানাচুরমনি!

আনোয়ারা মামী এখন কোথায় আছেন?

১৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:১৭

চানাচুর বলেছেন: ঢাকাতেই থাকেন তবে ঈদের সময় খুলনায় আসেন :)

২| ১৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:৪৫

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: কেকা আপু কি এখন রান্না করেন??

১৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:৪৮

চানাচুর বলেছেন: না আমার আম্মু অসুস্থ। রান্না করেনা।

৩| ১৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:৫৭

দিকভ্রান্ত এক পথিক বলেছেন: পুরাই ফিল্মি কাহিনীর মত! ভালো লেগেছে। +++

১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৭:০৭

চানাচুর বলেছেন: হা হা হা ব্যাপারটা কিছুটা তেমনই ছিল। যেমন এক আত্নীয় পড়ালেখা করেনি। চাচি ডিরেক্ট আব্বুর কাছে গিয়ে বলল একদিন, জানো, তোমার বউ তো অমুককে অশিক্ষিত বলে যা তা গালাগাল করেছে :|

আব্বুও কম ছিল না। তিন জনকে এক সাথে দাঁড় করিয়ে আম্মুকে আর সেই আত্নীয়কে জিজ্ঞেস করেছিল তাদের মধ্যে কি টাইপ কথা হয়েছিল। দেখা গেল কিছুই না। চাচি বানিয়ে বলেছে! আম্মুকে অপদস্ত করার বদলে ওই আত্নীয়র দ্বারা নিজেই অপদস্ত হল :|

৪| ১৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:১৫

দিমিত্রি বলেছেন: আপনার চাচী দেখি পুরাই হিন্দি সিরিয়ালের ভিলেন মহিলাদের মত :||

১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৭:১০

চানাচুর বলেছেন: সেটা বলা যেতে পারত কারণ চাচী খুব দুষ্টু ছিল B-) ননদ, জা, ভাসুর, শাশুড়ি, স্বশুড়,ছেলের বউ, এমনকি ছেলেকেও অনেক কষ্ট দিয়েছেন বিভিন্ন সময়ে :(

৫| ১৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ২:০৮

সোহানী বলেছেন: এতো দেখি বিশাল কাহিনী!!!! সাথে ভিলেন ও!!!!!

১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৭:১১

চানাচুর বলেছেন: ইয়াপ। কিন্তু চাচি এখন চাচা নাই বলে ভীষণ অসহায় হয়ে গেছে :(

৬| ১৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ৩:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


ম্যান, বিশাল ক্যাচাল ছিলো; আরেকটু এদিক ওদিক হলে, আমরা "চানাচুর" নামে ব্লগারই পেতাম না! ভয়ানক অবস্হা থেকে সবই শেষে ভালো দিকে গেলো, রক্ষা।

১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৭:১৩

চানাচুর বলেছেন: সেটাই আংকেল, সামান্য শাড়ি গহনাকে কেন্দ্র করে আমার আব্বু আম্মুর বিয়ে হত না। আর আমরাও পৃথিবীতে আসতাম না :|

৭| ১৫ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৪:৩৫

ওমেরা বলেছেন: আপনার বড় চাচী এখন কেমন আছে ?

১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৭:১৭

চানাচুর বলেছেন: চাচাজি বেঁচে নাই, তাই খুব নরম হয়ে গেছেন। তবে চাচি কাউকে দেখতে পারুক আর না-ই পারুক আমাদের তিন বোনকে অজানা কারণে বেশ পছন্দ করতেন/ করে। ঈদ ও করতে চায় আমাদের সাথে। অথচ উনার ছেলে একটু গরিব ফ্যামিলিতে বিয়ে করায় ছেলে বউ কাউকে ছাড় দেননি। খুব কষ্ট করেছে আমার সবচেয়ে বড় ভাই আর ভাবি জীবনে :(

৮| ১৫ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৩৪

হাসান রাজু বলেছেন: জীবন । এমনই, টক মিষ্টি ঝাল । সময় বয়ে যেতে থাকে টক আর ঝাল এক সময় মধুর হতে থাকে । শেষ সময়ে মনে হয় এই জীবন সুন্দরই ছিল ।

২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:০৪

চানাচুর বলেছেন: ঠিক বলেছেন। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রইলো রাজু ভাই :)

৯| ১৫ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৪২

রাসেল ০০৭ বলেছেন: বড় চাচীর ব্যপারটায় অবাক হলাম খুব! বিয়েটা যে ভেঙ্গে যায়নি ভাগ্য! X(
তৎকালীন সময়েও চ্যানেল নিয়ে কাড়াকাড়ি হত এখনও হচ্ছে, হাউ ফানি ! =p~

২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:০৭

চানাচুর বলেছেন: চাচির অনেক বিয়ে ভাঙ্গানোরই রেকর্ড আছে। ভাগ্যিস আব্বুকে আগে থেকে চেনাজানা হয়েছিল তাদের নাহলে আমাদের অস্তিত্ব থাকত না :(( আর হ্যা একজন বাংলাদেশ বেতার আরেকজন কোলকাতা বেতার নিয়ে ঝগড়াঝাঁটি করত :D

১০| ১৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: মজার কাহিনী! তোমার মা কেমন আছেন এখন? ডাক্তারের সিরিয়াল পেয়েছো?

২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:১১

চানাচুর বলেছেন: আম্মু ভাল আছেন আগের চেয়ে। আর হসপিটালে ভর্তি হতে হয়েছিল কয়দিন। তবে চিকিৎসা খুলনাতেই করিয়েছি। ঈদের সময় ঢাকা খুলনা করা খুব টাফ হয়ে যাচ্ছিল আম্মুর যা অবস্থা ছিল। আর ঈদের পর ডাঃ দ্বীন মোহাম্মদ স্যারকে দেখানো হবে। তবে মজার ব্যাপার কি জানেন? উনার ওখানে এতটাই ভীড় যে পুলিশ আত্নীয় দিয়ে ভয় দেখিয়ে সিরিয়াল নিতে হয় :#)

১১| ১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:০২

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: পুরাই নাটকীয়............

২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:১১

চানাচুর বলেছেন: ধন্যবাদ নাটক্টি পড়ার জন্য /:)

১২| ২০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:১৩

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: প্রতিকমেন্টটি পেয়ে লজ্জিত হয়েছি, বিশেষ করে মুখ ভেঙচানো ইমো পেয়ে :( । আমার মনে হয় এত ছোট করে দুশব্দে কমেন্টটি করা ঠিক হয় নি। দৌড়ের উপর কমেন্টটি করেছিলাম তো ......আপনার আব্বু আম্মুর জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা............

২০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:১৯

চানাচুর বলেছেন: প্লিজ দুঃখ পাবেন না, জীবনটা অনেকের ক্ষেত্রে নাটকীয় হয়, মুখ ভেঙ্গানোতে ওটা ব্যবহার করিনা আমি, আবেগাপ্লুত হয়ে করি। ক্ষমাপ্রার্থনা করছি :(

১৩| ২০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:০৬

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: এই কমেন্ট পেয়েতো আরও লজ্জিত। শুধু আপনার আব্বু আম্মুর জন্যই শুভেচ্ছা না, সাথে আপনার জন্যও অনাগত সুখি জীবনের শুভেচ্ছা।

অ.ট.: আমার বাবা-মা'য়ের (যদিও দুজনকে আব্বু-আম্মু ডাকি) বিয়েটাও কম নাটকিয় ছিলোনা। পারিবারিক ভাবেই বিয়ে ঠিক করা হয়েছিলো। আমার মেজোখালু জাঁদরেল পলিটিকাল লিডার ও এমপি ছিলেন। তিনিই বিয়ে ঠিক করেছিলেন, তিনি আব্বুকে চিনতেন। মেজোখালু আর আমার দাদা খুব ক্লোজ ছিলেন। মজার ব্যাপার কি জানেন ৭৯ সালের সংসদ নির্বাচনে মেজাখালুকে হারিয়ে দিয়ে আমার দাদা এমপি নির্বাচিত হন ও পরে মন্ত্রীও হন, আর তাঁর সেই হারের পিছনে আমার আব্বুর অবদান অনেকটাই ছিলো। আরও দুঃখজনক বিষয় ইলেকশনে হারার এক বছরের মাথায় আমার মেজোখালু হার্টএটাক করে মারা যান। আমার আম্মু ছিলো নানাবাড়ী(গ্রামে)। সেখান থেকে বিয়েতে আম্মুর মত নিয়ে কাজি সাহেব ঢাকায় চলে এসেছিলেন। ঢাকায় এসে হোটেল অারজুতে বিয়ে পড়ানো হয়েছিলো। আব্বু সহ বাকিরা সেই হোটেলেই অবস্থান করেছিলেন।বিয়ের প্রায় ৬ মাস পর দুজনের প্রথম দেখা হয়েছিলো, আগে কেউ কাউকে দেখেন নি, আজব নয় ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.