নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডালভাজা

চানাচুর

আমার ব্লগের বয়স অনেকদিন তাই বলে কিন্তু ব্লগার হয়ে উঠতে পারিনি সুতরাং কোন অর্বাচীন এসে খামোখা জ্ঞান দান করবেন না। অনেক রাগ করি।

চানাচুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভার্সিটির কনফেশনের দিনগুলো B-)

২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৪১

সে অনেকদিন আগের কথা। তখন ফেইসবুকে বাংলাদেশের সব ইউনিভার্সিটিগুলোর একটা করে কনফেস করার জন্য পেইজ বের হচ্ছিল। আমাদের ইউনিরও পেইজ বের হলো। পেইজে লাইক দেওয়ার পর দেখলাম অনেকেই অনেক কনফেস করেছে। অধিকাংশই প্রেম বিষয়ক।

যেমন: অমুক ডিপার্টপেন্টের অমুক তোমাকে আমার খুব ভাল্লাগে। আমি হলাম তমুক ডিপার্টমেন্টের, তুমি খুঁজলেই পাবে!:|

আমি চিন্তা করলাম আমাকেও কাউকে নিয়ে কনফেস করতে হবে। কিন্তু কাকে নিয়ে করবো? :-&
যতবারই এই কথা ভেবেছি ততোবারই আমার চোখের সামনে দুইটা ভাইয়ার চেহারা বারবার ভাসতে লাগলো যাদের সাথে কোনো পাগলেও পাঁচবার জন্ম দিলেও প্রেম করতে চাইবে না। কারণ তাদের মধ্যে একজনের মাথায় গিজগিজে উকুন আর আরেকজনের সাজ পোশাক দেখলে মনে হবে আফগানিস্তান থেকে আগত লাদেনের শ্বশুড় আব্বা! B-)

এখন প্রশ্ন জাগতে পারে আমি কেন তাদেরকে নিয়ে কনফেশন দিতে চাইছিলাম! এর কারণ একটাই, প্রতিশোধ! :|

অনেকদিন আগে একটা ক্লাস মিস করে মনের দু:খে ক্যান্টিনে বসে চা খাচ্ছিলাম। সাথে ছিল দুই ফ্রেন্ড। তখন উকুনওয়ালা ভাইয়া, আফগানিস্তানী ভাইয়া আর তাদের সাথে ভোলাভালা চেহারার আরেক ভাইয়া হঠাৎ আমাদেরকে ডাক দিয়ে খুবই কড়া ভাষায় বললেন, কোন ব্যাচ?X(
আমি ব্যাচ বলতেই বললো, আচ্ছা ঠিক আছে, যানX(
এইরকম আচরণ দেখে আমি জিজ্ঞেস করলাম, কেন ভাইয়া কোনো সমস্যা হয়েছে কী?
উনারা চিৎকার দিয়ে বললেন, কৈফত দিতে হবে নাকি আপনাদেরকে?X(

এমনভাবে ঝাড়িটা দিয়েছিলেন ভাইয়ারা যে আত্নাটাই কেঁপে গেছিল। আমরা ক্যান্টিন থেকে বের হবার পর উনারা আমাদের উদ্দেশ্য বলতে লাগলেন... আশ্চর্য্য দুই ঘণ্টা ধরে ক্যান্টিনের ভেতরে বসে আছে! বের হওয়ার নাম নাই!!!!!!!!!X(

এক কাপ চা খেতে আর কতক্ষণ লাগে? বড়জোর দশ মিনিট! আমরা কিন্তু দশমিনিটও লাগাইনি :( আর উনারা তো বললেই পারতেন... আপুরা তোমরা একটু বের হও, আমরা বসবো! বললেই ছেড়ে দিতাম, এমন করতে হতো না...X(

সেইদিন অনেক খারাপ লেগেছিল আমাদের তিনজনের। যাকেই বলছিলাম, সেই শুনে অবাক হয়ে বলছিল... আহা এমন করলো কেন!:(

এক ফ্রেন্ড বলছিল আফগানিস্তানী ভাইয়াকে প্রোপোজ করে নাজেহাল করতে হবে আর উঁকুনওয়ালার চুল ধরে নির্মমভাবে ঝাঁকি দিতে হবে! আমি চিন্তা করলাম আফগানিস্তানিকে প্রোপোজ করলে বেশ হবে। কিন্তু উঁকুনওয়ালার চুল ধরে ঝাঁকি দিতে গেলে সাহস থাকা লাগবে। কিন্তু ব্যাপারটা বেশ হবে। তবে খুবই ঢংগী টাইপ মেয়ে লাগবে আফগানিস্তানিকে প্রোপোজ করতে। সুশীল মেয়ে হলে হবে না। যাই হোক... আমরা অপমানিত হয়ে অভিশাপ দিচ্ছিলাম তাদেরকে আর কয়েকদিন ধরে আর প্রোপোজ ও চুল ধরে অমানবিকভাবে ঝাঁকি মারা টাইপ গাছে কাঁঠাল, গোফে তেল টাইপ কল্পনা করে করে ব্যাপারটা ভুলে গেছিলাম। তারপর কনফেশন পেইজের থ্রুতে একটা সুযোগ পেয়েই গেলাম ভাইয়াদেরকে পচানোর!

কিন্তু ভাইয়াদের নাম জানতাম না, অনেক খোঁজখবর করেও নাম বের করতে পারলাম না। তারপর অনেক চিন্তাভাবনা করে দেখলাম ক্যাম্পাসে এই জিনিস মাত্র দুইটার বেশি থাকার কথা না। সুতরাং ডিপার্টমেন্ট আর ব্যাচ নাম্বার উল্লেখ করে বললেই মানুষ বুঝবে।

আফগানিস্তানী ভাইয়াকে নিয়ে করা কনফেশনটা অনেক হিট হলো। কারণ ঐ রকম জিনিস জাহাঙ্গীরনগরে দুইটা নাই। প্রচন্ড পরিমাণে ফাজলামো টাইপ কথাবার্তা লিখেছিলাম।

যেমন: ওগো ফিন্যান্স ৩৯ এর হুজুর আমার ইচ্ছা তোমাকে আমি বিয়ে করব, বিয়ে করে সৌদী আরব যাবো। তুমি বিকেলে উটের পিঠে চড়ে আসবে আর আমি নিজ হাতে তোমাকে খাইয়ে দেবো। জানোই তো খাবার পর খেজুর খাওয়া সওয়াব। তোমাকে খাওয়া শেষে মুখে খেজুর দিয়ে দেব, তুমি খাবে আর আমার মুখে দিয়ে বলবে, নাও তুমিও খাও!

আমি শিশুসুলভ মনে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে একটা সাধারণ পচানি কনফেশন দিলে কি হবে, এর মধ্যে লোকজন প্রচুর অশ্লীলতা খুঁজে পেল। আর আজেবাজে কমেন্ট আসতে থাকল যা এখানে বলা গেলনা। কিন্তু তাতে আর আমার কি! একজন আবার মন্তব্য করল, এটা একটা পোলা লিখছে! B-)

আমার মনে হয় না, ভাইয়া যেরকম সাজ পোশাক ও ভাব নিয়ে থাকত তাতে ওনার ক্লাসের কারো ওনার সাথে ফান করার সাহস ছিল! ঐ পোস্টটাতে ভাইয়াকে ওনার ক্লাসের ফ্রেন্ডরা ওনার সাথে বেশ মজা নিলো এবং কয়েকটা অত্যন্ত ফাজিল কমেন্ট করলো B-) কিন্তু তারপরেও হুজুরকে ফেইসবুকে পেলাম না! একটু এসে বকাবকিও করল না :(

কিন্তু উকুন ওয়ালার পোস্টটা ফ্লপ মারলো এবং উকুনওয়ালা ভাইয়া না বুঝে নিজেই ওখানে লাইক মেরে চলে গেল :(

কিন্তু যাই হোক না কেন... পুরো ব্যাপারটায় অনেক মজা লেগেছিল। তারপর থেকে আফগানিস্তানী ভাইয়াকে দেখলে আমার হাসি পেত আর যেই ফ্রেন্ডগুলো জানত ওরা আমার সাথে হুজুরকে দেখে খিক খিক করে হাসত। আমি কিছুতেই হাসি থামাতে পারতাম না B-)

আমার এক ফাজিল ফ্রেন্ড আমাকে বললো ও আমাকে নিয়ে একটা কনফেশন পোস্ট করবে। আর কি কি লিখবে তাও বললো। প্রেম ভালবাসা সংক্রান্ত ১৮+ অত্যন্ত ফাজিলমার্কা কথাবার্তা যা হজম করার মতো সামর্থ আমার নাই। কিন্তু আমি তো জানি ও যা বলবে, তা করবেই আর ওকে কোনোভাবেই আটকানো যাবে না। তখন আমার মাথার মধ্যে ঘুরপাক খেতে লাগলো কিভাবে ওকে ওই ব্যাপারটা ভুলিয়ে অন্য কিছুতে ব্যস্ত রাখা যায়! এটা ভেবেই সাথে সাথে ফোন থেকে আমি ওর নামে একটা কনফেশন লিখে পোস্ট করে দিলাম ঝাড়ি মারা টাইপ, "এই মেয়ে তুমি আকাশের দিকে তাকিয়ে হাটো কেন? মাটির দিকে তাকিয়ে হাঁটতে পারো না? মাটির দিকে তাকালেই তো আমাকে দেখতে পাও! এমন করো কেন তুমিX("

তেমন কিছুই সেই সময় মাথায় আসেনি। কিন্তু আমি জানতাম এই সাধারন কথাগুলোতেই ওর মনে ঘুরপাক খাবে কে লিখেছে এটা? কে? এই কাজটা কে করলো? 8-|

আর এতেই আমার নামে কনফেশন দেওয়ার চিন্তা মাথা থেকে পুরোাপুরি আউট হয়ে যাবে এবং হলোও তাই!B-)

আমার কিছুই করতে হল না। আমাদের ইউনিতে বিল্লি টাইপ অনেক কিউট একটা ভাইয়া ছিল, অনেক পপুলার ছিলেন। ও ভাবলো ঐ বিল্লি ভাইয়াটা এই কনফেশন দিয়েছে।:|

এরপর অনেকদিন পর আমি স্বীকার করলাম যে ওটা আমার কাজ ছিল। শুনে ফ্রেন্ড আমার উপর প্রচন্ড রেগে গিয়ে বললো... ডাইনিই্ইইইই!!!!!!!!!!!! দিয়েছিস ভালো কথা কিন্তু কেন বললি!!! আমি যে এতোদিন কিউটেস্ট বিল্লিটার কথা ভেবে পুলকিত হচ্ছিলাম...X((

ক্লাসের এক দাম্ভিক, বেয়াদব এবং অসভ্য ছেলেকে তখন দেখতাম অনেক কনফেশন শেয়ার করতো সবই নিজের নামে। কনফেশনগুলোর প্রকৃতি ছিল এরকম...

"ভাইয়া... আপনাকে আমার অনেক ভালো লাগে। কিন্তু শুনেছি আপনার গার্লফ্রেন্ড আছে তাই আর আগায়নি।"

"ভাইয়া... আপনাকে আমার ভালোলাগার কথাটা জানাতে আমি ব্যাকুল হয়ে আছি কিন্তু শুনেছি আপনার নাকি অনেক ভাব তাই সাহসে কুলাচ্ছে না"

"ভাইয়া... শুনলাম আপনার নাকি রিসেন্টলি ব্রেক আপ হয়েছে। আপনি যদি আমাকে কমেন্টে একটু সাহস দেন তবে আমি..."

এরকম অনেকগুলো কনফেশন ওর নামে আসতে লাগলো। যতবারই কনফেশন পোস্ট হতো, ততোবারই ও আমাদের গ্রুপে সেটা শেয়ার দিয়ে ন্যাকা ন্যাকা গলায় বলতো... কে দিতে পারে এইটা??? আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না! :|
ছেলেদের মধ্যে কেউ কেউ আবার মুখের উপর বলে বসতো... আমার তো মনেহয় তুই-ই দিয়েছিস!! কিন্তু সে সেইগুলো একটুও গায়ে লাগাতো না।

আমরা মেয়েরাই কয়েকজন আবার ওকে দুই চোখে দেখতে পারিনা। কারণ ও প্রচুর বদ। ওর বিষয়েই প্রায় আলোচনা হতো এটা বলে যে এই ছেলেকে নিয়ে ডিপার্টমেন্টের মেয়েরা কনফেশান দিবে কোন দু:খে! /:)

এইসবের মধ্যেই হঠাত একদিন আমার হাতে একজন একটা কবিতা ধরিয়ে দিয়ে বললো, কনফেশন পোস্ট করতে আমার ভয় লাগে। তুমি কি এই কনফেশনটা পোস্ট না করে দিলে আমি একদিন ফেইসবুকে দম বন্ধ হয়ে মারা যাবো :((

আমি বললাম, দাও আগে! কি লিখেছো পড়ে দেখি :)

কনফেশন পড়ে আমি হাসতে হাসতে হাসিখুশি হয়ে গেলাম B-)

লেখা ছিল...

"ওরে ও আনিসুজ্জামান ক্লান্ত (ঐ ছেলেটার নাম, এখানে আসল নাম দেওয়া গেল না)
জানিস নাকি তুই রে বাবা
তুই আসলে আস্ত পাঁঠা
নিজেকে তুই ভাবিস মহাজ্ঞানী
আসলে তোকে দরকার
খাওয়ানো ড্রেনের পানি
শুনলাম ক্লান্ত বাবার নামে নাকি কনফেস করছে মেয়েরা ফেইসবুকে
আসলে তো ক্লান্ত বাবা পোস্টগুলো নিজেই দিয়েছে
করতে এটাই প্রমাণ
সে মেয়েদের জানেমান
ক্লান্ত বাবা ফাউলামী বাদ দিয়ে
মনোযোগ দিয়ে পড়ালেখা করিও
কাজ না থাকলে লাগলে
ডিম ভাজি করে খাইয়ো।"

আমি বাসায় গিয়ে এটা পোস্ট করে দিলাম।

কনফেশন পোস্ট হতেই মেয়েরা যতটা না খুশি তার চেয়ে খুশি দেখা গেল ছেলেদেরকে। সে সব কনফেশন গ্রুপে পোস্ট করে ন্যাকামি করে বলত, কে দিয়েছে! কিছুই তো বুঝছি না! :(

কিন্তু ওইবার আর শেয়ার দিল না। শেয়ার দিল আমাদেরই প্রিয় এক কবি বন্ধু। শেয়ার দিয়ে লিখলো যে এই পোস্ট লিখেছে তাকে সে ভাল মন্দ খাওয়াতে চায় :D
আমি ওখানে গিয়ে ন্যাকামি করে বলে আসলাম, জানি তো, ক্লাসের কবি মাত্র একজন আর সেটা তুমি! তুমি ছাড়া আর কে দিবে! ;)

সে বলল, খোদার কসম আমি দেইনিরে :D

আর ক্লান্ত বাবা রাগে ফুসতে ফুসতে কমেন্ট দিল, কে দিয়েছে এটা আমি জানি, দুই পয়সাও দাম দেইনা এগুলানরে /:)

আর আমরা B-) B-)

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: হুম! বান্দর বেলার কাহিনী। =p~
পড়ে মজা পেলাম!

২৩ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:১০

চানাচুর বলেছেন: ধন্যবাদ গিয়াস ভাই। ভাল থাকবেন। আসলেই বান্দর ছিলাম :D

২| ২২ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৬

নাগরিক কবি বলেছেন: =p~
যাউকগা বাংলাদেশে মনে হয় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলাতে র‍্যাগিং কইমা গেছে |-) জুনিয়র রা সিনিয়র গো লইয়্যা কিরাম চিন্তা করতাছে তা উপ্রের লেখা খান পইড়াই বুঝোন যায়। সব ট্যাম্পের চক্রান্ত B-)

২৩ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:১৮

চানাচুর বলেছেন: আর র‍্যাগিং! :( আমাদের সময় ভয়ে আমরা তটস্থ থাকতাম, আর এখনকার জুনিওররা একটা আরেক্টার চেয়ে বেশি :( আসলে ওই সময় সব ভার্সিটির ছেলেমেয়েরাই অল্প বিস্তর মজা করেছি :) কিন্তু পরে ব্যক্তি আক্রমণাত্মক অতিরিক্ত আজেবাজে পোস্ট দেখে দেখে ইন্টারেস্ট হারিয়ে ফেলছিলাম মাত্র কয়দিনের মধ্যেই :|

৩| ২২ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৪

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: আমি কনফেশন পেজে নিজেই নিজেকে নিয়ে পোস্ট দিতাম।
পরে জানলাম বেশিরভাগ ছেলেই এই কাজ করছে।
=p~

২৩ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:২০

চানাচুর বলেছেন: ভাই আপনি লেজেন্ড =p~

৪| ২৩ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৮:১৮

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: পুনঃকনফেশন :) । "পুরোনো সেই দিনের কথা ভুলবি কিরে হায়....."

২৩ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:২২

চানাচুর বলেছেন: হ্যাঁ ওইদিন গুলো ভোলার নয় B-))

৫| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৫৯

আমি তুমি আমরা বলেছেন: পড়ে মজাই পেলাম।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৩

চানাচুর বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৫

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: দারুন মজার । কি সাংঘাতিক দুষ্টু ছিলেন ।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৩

চানাচুর বলেছেন: হাহাহা! ধন্যবাদ :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.