নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডালভাজা

চানাচুর

আমার ব্লগের বয়স অনেকদিন তাই বলে কিন্তু ব্লগার হয়ে উঠতে পারিনি সুতরাং কোন অর্বাচীন এসে খামোখা জ্ঞান দান করবেন না। অনেক রাগ করি।

চানাচুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইচ্ছা করে বিলেত চলে যাই

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৭

আমার মন খুব কাঁদে বাচ্চাগুলোর জন্য। প্রথম মা হয়েছিলাম। এক সাথে দুইটা বাচ্চা। হুবুহু একই রকম দেখতে। রাইসা আপু নাম রেখে গিয়েছিল রুনু আর ঝনু। ওদের বাবার সাথে আমার প্রথম দেখা হয়েছিল পাশের বাড়িতে। তারপর প্রেম, প্রণয়। আমি খুব কেঁদেছি। রাইসা আপু থাকলে বাচ্চাগুলো আমার সাথে থাকত। বারবার ওদেরকে বলেছি আমার বাচ্চাগুলোকে ফেলে দিও না। ফেলে দেওয়ার পর কেঁদে কেঁদে বলেছি, আমার বাচ্চাদের খুঁজে এনে দাও। আমি যেই সমাজে বাস করি। এই সমাজে পুরুষগুলো আসে নিজেদের প্রয়োজনে। রুনু-ঝুনুর বাবাও ছিল এমন। যদিও ক্ষমতাবান মানুষগুলোর সাথে সে কখনোই সংগ্রাম করে বাচ্চাদের বাঁচাতে পারত না। আমি ছাড়াও তার কয়েকটা মেয়ের সাথে সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তাও আমি তাকে অনেক ভালবাসতাম। আমার প্রতি ওর পজেসিভনেস আমাকে ওর কাছে টানতো। অন্য কোন পুরুষ আমাকে এটেনশন দিলে সে সহ্য করতে পারত না। যেদিন রুনু-ঝুনুকে ফেলে দিল ওরা সেদিনকার কথা। ওদের বাবা রাস্তা পাড় হয়ে আমার দিকে আসছিল তখন ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে মারা গেল। তার কয়েক ঘণ্টা পর ওরা রুনু-ঝুনুকে ফেলে দিল। সঙ্গী হারানোর সব বেদনা ভুলে গিয়েছিলাম আমার বুকের ধন রুনু-ঝুনুকে হারিয়ে। এই নির্মম পৃথিবী ওদের আসাটাকে পাপ হিসেবে নিল। তাই ওরা আমার নারী ছেঁড়া ধনদের ফেলে দিল। মাঝেমাঝে মনে হয় ওরা কি বেঁচে আছে? আবার মনেহয় কেউ ওদেরকে এডোপ্ট করেছে। নিশ্চয়ই ওরা অনেক ভাল
আছে।
রাইসা আপু আমাকে রাস্তা থেকে তুলে এনেছিল। মা প্রথমে আমাকে সহ্যই করতে পারত না। ছোট ছিলাম তো। যেখানে সেখানে হাগু করে দিতাম। তারপর একদিন রাইসা আপু পেপারের উপর বালি রেখে দিত, আমি বুঝে গিয়েছিলাম ওখানেই আমাকে কাজটা সাড়তে হবে। আপু আমাকে অনেক ভালবাসত। আমার নামটাই বলা হয়নি। আমি পুশি। এই নামটাও আপুর রাখা।
বাবা যেদিন চিটাগং বদলি হয়ে গেল, আমি ভেবেছিলাম আমাকেও নিয়ে যাবে ফ্যামিলি শিফট করে। কিন্তু আপু আর আসেনি। এখন এই বাড়িতে পড়ে থাকি মাটি কামড়ে। মাঝেমাঝে লাথি মারে ছোট ছেলেটা, লেজ ধরে টানও মারে। কিন্তু সবচেয়ে কষ্ট পেয়েছি আমার বাচ্চা দুটোকে ফেলে দেওয়াতে। এই বাড়ির নতুন মা আমাকে মাঝেমাঝে খাবার দেন। বাচ্চাগুলো ফেলে দেওয়ার পর কয়দিন খুব কেঁদেছি নতুন মাকে বলে। কিন্তু আমার ভাষা তো মা বুঝেনি। মা যখন নামাজ পড়েন। আমি পাশে বসে সৃষ্টিকর্তাকে ডাকি। চুপ করে বসে থাকি।
শুনেছি বিলেতে আমাদের মতদের অনেক আদর যত্ন করে রাখা হয়। ইচ্ছা করে বিলেত চলে যাই :( :(

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৬

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: সত্যি কোনো কাহিনী ? মনটাই খারাপ হয়ে গেল । আপনাকে অনেক দিন পর দেখে ভালো লাগল ।পুরাতন ব্লগার বলে কথা ।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৯

চানাচুর বলেছেন: মন খারাপ হবারই কথা। কাহিনী সত্যি। বিড়ালের বাচ্চা ফেলে দিলে বিড়ালরা এভাবে কাদে। কিছু খায়না। বারবার বোঝাতে চায় কষ্টের কথা :(

কেমন আছেন? অনেক ব্লগারই ভুলে যায়, কিন্তু প্রথমদিককার আমরা কেউ কাউকে ভুলিনা, এটা ভাবলে ভাল লাগে।

২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০০

কলাবাগান১ বলেছেন: @নূর-ই-হাফসা ,

আপনি কি পালিত প্রানীর এর 'গল্পকে' মানুষের বলে মনে করেছিলেন???

৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১১

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: এইটা পালিত প্রানীর গল্প ছিল , দুঃখিত বুঝতে পারিনি

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৯

চানাচুর বলেছেন: সমস্যা নেই B-)

৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৬

বিষাদ সময় বলেছেন: সারাটা জীবন এদের খুব কষ্ট এবং যণ্ত্রনায় পার করতে হয়।
অনেকদিন পর ব্লগে এলেন, আশা করি ভাল ছিলেন।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪০

চানাচুর বলেছেন: জ্বি ভাই, ভাল আছি। আসা করি আপনিও ভাল আছেন। :)

৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৭

নিমচাঁদ বলেছেন: আবার সেই বিলাই !

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৪

চানাচুর বলেছেন: সব প্রাণীই অনুভূতিপ্রবণ। হয়ত কিছু প্রকাশ করছে না মানে এই না যে তাদের অনুভূতি নেই। তবে হ্যা, যদি আমরা কারো অনুভূতিকে মূল্য দিতে না চাই, তবে তারা বোধহয় এক সময় অনুভূতিহীন হয়ে পড়ে।

কেমন আছেন? B-)

৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৫৮

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: মানুষের বাচ্চা মনে করেছিলাম। ক্যামনে কী!

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫০

চানাচুর বলেছেন: আই এম চরি #:-S

৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৩

বিষন্ন পথিক বলেছেন: পুশি ক্যাট পুশি ক্যাট হোয়্যার হ্যাভ য়ু বিন
ই বিন টু লন্ডন টু ভিজিট দ্য কুইন

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৪

চানাচুর বলেছেন: দেখলাম বিলেত যাইতেছেন B:-)

৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৫

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: ভিন্নধর্মী গল্প।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৬

চানাচুর বলেছেন: এটা গল্প বললে গল্পের অপমান হয়। ধন্যবাদ অয়ন। ভাল থাকবেন :)

৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০২

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: সরি, বুঝার কোন উপায় ছিল না। এক কমেন্টের রিপ্লাই দেখে বুঝা গেল গল্প না।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫১

চানাচুর বলেছেন: :(:(:(

১০| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫২

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:

বিলেত চলে যাবেন? :)


০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৩

চানাচুর বলেছেন: পুশি যাবে বিলেত। পুশির আসল নাম ভনভনি :)

১১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫০

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: ঠিক বলেছেন পুরাতন সবার কথা এখনো মনে আছে ।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৬

চানাচুর বলেছেন: সব কিছু কত বদলে গেছে, পুরাতন ব্লগার হবার জন্য মানুষের পরিবর্তনগুলোও চোখে লাগে। মানুষও বাঁধভাঙ্গার আওয়াজের মত বদলে যায় :
ভাল থাকবেন। ব্লগে আসবেন... :)

১২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৯

আমি তুমি আমরা বলেছেন: প্রথমে ভেবেছিলাম মানুষের গল্প। শেষে এসে বুঝলাম চরিত্রটা বিড়ালের।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৩

চানাচুর বলেছেন: দুঃখিত। মেয়ে বিড়ালদের জীবন মেয়েদের মতই। যদিও কপালগুণে মানুষ হওয়ায় মেয়েরা ভাল থাকে। কিন্তু মেয়ে বিড়ালগুলোর জীবনটাই কষ্টের :(

১৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫০

কালীদাস বলেছেন: সুন্দর তো গল্পটা! বিড়ালের জীবনকাহিনী লাস্ট কবে পড়েছি মনে করতে পারলাম না। বিড়াল সমাজেও যে পলিগামি আছে জানতাম না (রুনুঝুনুর বাপের কথা বললাম)। হা হা।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৪

চানাচুর বলেছেন: একটা মেয়ে বিড়ালকে নিয়ে দুইটা ছেলে বিড়ালদের মধ্যে প্রচণ্ড ঝগড়া হতে দেখেছি। আর এমনিতেও একটা পুরুষ বিড়াল আরেকটা পুরুষ বিড়ালকে সহ্য করতে পারেনা। আর মেয়ে বিড়ালদের বিড়াল বয়ফ্রেন্ডরা মাঝেমাঝে দেখা দিতে আসে।

আর কোন সময় এক সাথে দুইজন থাকলে বুঝবেন তারা ভাই বোন বিড়াল :)

১৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২৮

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: অর্থপুর্ন ছোটগল্প ভাল্লাগছে

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:০৯

চানাচুর বলেছেন: ধন্যবাদ কিন্তু এটাকে গল্প বললে গল্পের অপমান হবে। এটা আসলে আমার বিড়ালকে নিয়ে লেখা। খুব ভাল আমার বিড়ালটা :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.