নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডালভাজা

চানাচুর

আমার ব্লগের বয়স অনেকদিন তাই বলে কিন্তু ব্লগার হয়ে উঠতে পারিনি সুতরাং কোন অর্বাচীন এসে খামোখা জ্ঞান দান করবেন না। অনেক রাগ করি।

চানাচুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভিতর এবং বাহির (গল্প- ১ম পর্ব)

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫০

বন্ধুরা, আপনারা এখন আছেন আমার সাথে আমি আরজে সাকিব। সময়টা এখন রাত ১১ বেজে ১০ মিনিট। আপনাদের অনুমতি নিয়েই আমি এখন একটা ফোনে যাচ্ছি...

-হ্যালো সাকিব, আমি শৈলি বলছি সিলেট থেকে।

: হাই শৈলি! কেমন আছো?

-ভাল নেই।

: আকাশে এত সুন্দর চাঁদ উঠেছে...আর তোমার মন ভাল নেই! কেন শৈলি কেন তোমার মন খারাপ?

-আমার বয়ফ্রেন্ড শাকিল কয়েকদিন ধরেই আমার সাথে খুব মিসবিহেভ করছিল। আমার ইউনিভার্সিটির ছেলে ফ্রেন্ড যারা আছে, তাদের সাথে তো ও আমাকে কথাই বলতে দিত না। ১ সপ্তাহ আগে আমার সাথে ওর এসব বিষয় নিয়ে অনেক ঝগড়া হয়। তখন ও আমার গায়ে হাত পর্যন্ত তুলেছে। সে স্যরি বলার জন্য আমাকে একবারও ফোন দেয়নি। আমিও যোগাযোগ করিনি। জানিনা ও আমাকে ভালবাসে কিনা। কিন্তু আমি কি করব? আমি তো ওকে অনেক ভালবাসি।

:শৈলি শুরুতেই আমি তোমাকে বলবো, এটাকে ভালোবাসা বলেনা। কারণ ভালোবাসা সন্মানের আরেকটা রূপ। আমি বুঝতে পারছি শৈলি, তুমি এগুলো সহ্য করেছো কারণ তুমি তাকে অনেক ভালোবাসো। বাট ইউ নো হোয়াট শৈলি, ও তোমাকে তোমার প্রোপার্টির মত ইউজ করছে। আমি আমার রেডিওর সব নারী শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে এটাই বলবো যে, প্লিজ প্লিজ প্লিজ ভেঙ্গে পড়বেন না। কোন পুরুষেরই অধিকার নেই যে সে তার সেল্ফ রেস্পেক্টের সাথে খেলবে এবং পুরুষ শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে বলছি, গায়ে পায়ে বড় হলেই কেউ আসল পুরুষ হয় নারে ভাই। জেন্টেলনেস-পোলাইটনেস-রেস্পেক্ট এর দ্বারাই আসল পুরুষ হয়।

শৈলি তোমাকে আরো বলছি, কোন নারীই রিলেশনশিপের নামে সাফারিং ডেজার্ভ করেনা। সো আমি তোমাকে এটাই বলবো যে, জাস্ট লিভ হিম। ওয়েল, থ্যাংকস ফর কলিং এন্ড ইউ টেইক কেয়ার।

সানজানা রেডিওতে স্বামী সাকিবের কথা শোনে আর ভাবে, ইশ! বাবা-মা যদি কখনো সাকিবের এই সফট সাইডটা জানতে পারত!

মনে পড়ে যায় সানজানার পুরানো ঘটনা। বিয়ের সময় সানজানার বাবা মা কেউই রাজি ছিল না। সানজানা ওর বাবা মায়ের খুবই আদরের সন্তান।

সানজানার বাবা ছিল একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরীজীবী। বাবার সন্মান, সানজানার মিষ্টি চেহারা-আচার ব্যবহার, একাডেমিক পড়ালেখা সব মিলিয়ে ওর অনেক ভাল বিয়ের প্রোপোজাল আসত।

সাকিবের সাথে ওর সম্পর্ক জানার পরে তো একটা বেসরকারি বিমান সংস্থার পাইলটের সাথে ওর প্রায়ই বিয়ে হয়ে যাচ্ছিলো। বিয়ের কয়েক দিন আগে ওই পাইলটের সাথে দেখা করে সানজানা তার রিলেশনের কথা জানায় এবং রিকোয়েস্ট করে বিয়েটা যেন ভেঙ্গে দেয়। লোকটা বুদ্ধিমান। সে সানজানার কথা মতই কাজ করেছিল।

সাকিবকে বিয়ে করার আগে শেষবার সানজানার বাবা বলেছিল, অনেকবার মানা করেছি, এবারই শেষবার বলছি মা, তুই একটু ভেবে দেখ। ছেলেটা কি করে? রেডিওতে বসে সারাদিন বকবক করে। সারাদিন বসে বসে বকবক করলে সংসার হয়না মা। আর ঐ ছেলের ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ডই বা কি! তুই ওকে কতদিন জিনিস? ৬ মাস-ও না! তুই ওকে বিয়ে করলে ভাল থাকবি না মা। আমরা তোকে যেভাবে বড় করেছি, তোর চিন্তাধারা-মূল্যবোধ কোনোটির সাথেই ওর মিলবে না।

সানজানা চিৎকার করে প্রতিবাদ করে বলেছিল, আর ওই পাইলট, বুয়েটের টিচার ওদের সাথে যে আমার মিলবে তুমি জানলে কিভাবে বাবা? তাদেরকে তো আমি চিনিও না। তোমরা অচেনা অজানা একজন মানুষের সাথে বিয়ে দিলে আমি খুব হ্যাপি হবো সেটারও গ্যারান্টি কি?

সানজানার বাবা অন্য বাবাদের মত না। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে সে তার বন্ধুর ছেলে এক পাইলটের সাথে বিয়ে দিতে চেয়েছিল সাকিবের সাথে সম্পর্ক জানার পর। এটাও বুঝেছিল বিয়ে ভাঙ্গার জন্য সানজানার হাত ছিল। কিন্তু বুঝতে পেরেও চুপ ছিল। ও রেগে যাওয়া সত্ত্বেও মাথায় হাত বুলিয়ে ওর বাবা বলেছিল, তুই এখন বুঝতে পারছিস না মা। কিন্তু একদিন আমার কথাগুলোই মনে করবি। তোর অনিচ্ছায় আমি তোকে বিয়ে দেবো না। কিন্তু তুই এই ছেলেটাকে বিয়ে করার আগে সময় নে।

মায়েরও একই কথা, সাকিব তোর জন্য একেবারেই উপযুক্ত না।

সানজানা মাকেও উত্তর দিয়েছিল, সাকিব আমাকে ভালোবাসে আর ও আমাকে ভালো রাখার জন্য সবকিছু করবে। তোমরা অযথাই আমাকে কষ্ট দিচ্ছো আর নিজেরাও কষ্ট পাচ্ছো।

সানজানার বাবা বলেছিল, তোকে কষ্ট দেওয়ার জন্য না, আমরা তোর কথা ভাবি বলেই বলছি। তুই যা চাস তাই হবে কিন্তু কিছুদিন সময় নে। ছেলেটাকে ভাল করে জেনে বুঝে বিয়ে কর।

সানজানার বাবা মায়ের যুক্তি অর্থহীন মনে হয়েছিল। কিন্তু তাও সে বাবার কথা মত সময় নিতে চেয়েছিল আরো কিছুদিন। কিন্তু নিতে পারেনি। সাকিব ওকে এত প্রেশার দেয় যে একদিন ওরা কোর্ট ম্যারেজ করে ফেলে। সানজানা জানত, বাবা মা খুব কষ্ট পাবে। কিন্তু সাকিবকেও ছাড়তে পারছিল না।
সাকিব ইমোশনাল হয়ে বলত, আমি বোধহয় তোমাকে হারিয়ে ফেলবো সানজানা...

সানজানার সাথে ওর বাবা মায়ের তারপর থেকে যোগাযোগ নেই। সানজানা দীর্ঘশ্বাস ফেলে। তবে আজ ওর জন্য একটা বিশেষ দিন। ওর খুব ভালো একটা জব হয়েছে একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে। এই চাকরির জন্য ওকে যে কত কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল! এমবিএ শেষ হবার পর ওর এই কোম্পানি থেকে ডাক পড়লো টেস্টের জন্য। তাও যেমন তেমন পোস্ট না। ম্যানেজমেন্ট এসোসিয়েট! মাত্র ১ ঘণ্টার টেস্ট ছিল। ইন্টারভিউয়ার ছিল চারজন। ও এত নার্ভাস ছিল! এক্সেলে এক্সপার্ট হওয়া সত্ত্বেও সানজানার হাত কাঁপছিল। সবকিছু নতুন মনে হচ্ছিল। ৩০ মিনিটই লেগে গেল ক্যালকুলেশনের জন্য। তারপর ১৭ মিনিট লেগে গেল পাওয়ার পয়েন্ট স্লাইড প্রিপেয়ার করতে। তারপর ১৩ মিনিট ধরে প্রেজেন্ট করলো পুরো এসাইনমেন্টটা।

সাকিব ডোর বেল বাজাচ্ছিল। সানজানা দরজা খুললেই ও অবাক, কি ব্যাপার এত সেজেছো যে?

সানজানা হাসতে থাকলো।

ভিতরে ডাইনিং এ ঢুকে আরো অবাক! সানজানা ক্যান্ডেল নাইট ডিনারের আয়োজন করেছে। নিজ হাতে কেক বানিয়েছে। সাকিবের প্রিয় মাটন বিরিয়ানি রান্না করেছে। এসব দেখে সাকিব জিজ্ঞেস করল, কি ব্যাপার? আজ কি কোন স্পেশাল ডে?

সানজানা তখন ওকে গিয়ে জড়িয়ে ধরে বলল, সাকিব আমার জব হয়েছে।

সাকিব জিজ্ঞেস করে, কি জব? কি করবা তুমি?

সানজানা বলে, একটা মাল্টিন্যাশনালে, ম্যানেজমেন্ট এসোসিয়েট! সাকিব আজকে আমি অনেক খুশি। আমরা এখন সবকিছু করতে পারবো যেভাবে প্ল্যান করেছিলাম। একটা ছোট্ট বাসা আর ছোট্ট একটা গাড়ি...

সাকিবের ভ্রু কুচকিয়ে যায়। সে খুবই বিরক্তি নিয়ে বলে, তো তোমার কি মনেহয় আমার একার ইনকাম করা টাকাতে এইসব জিনিস আমি তোমাকে দিতে পারতাম না?

সানজানা বলে, না সাকিব। তুমি ভুল বুঝছো। আমি বলছি যে আমিও এখন থেকে যেহেতু কাজ করবো তাই এগুলো করা আমাদের জন্য আরো সহজ হয়ে যাবে।

সাকিব বলল, ও তাই না?
রাগ করে একটা গ্লাস ভেঙ্গে ফেলে সাকিব। সানজানা হতবাক হয়ে যায়।
তারপর সোজা বেডরুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দেয়। সানজানা খুবই অসহায় বোধ করে। সে দরজা ধাক্কাতে ধাক্কাতে কাকুতিমিনতি করতে থাকে সাকিবের কাছে।

-সাকিব প্লিজ দরজা খোল। তুমি যা বলবে তাই হবে। তুমি না চাইলে জব আমি করবো না। আমি তোমার জন্য সব কিছু ছেড়ে এসেছি। তুমি প্লিজ এমন করো না...

(চলবে)
এটা আমার জীবনে লেখা দ্বিতীয় গল্প। আগেরটা অন্য নিকে পোস্ট করা। লজ্জা লাগে, কাঁচা হাত তো... :|

(মডুদের ধন্যবাদ আমাদেরকে কপিপেস্ট করার সুযোগ সুবিধা দিয়ে ব্লগিংটাকে আনন্দময় করে তোলার জন্য আর দুঃখিত তখন অযথাই ধৈর্য না ধরে মাথা গরম করে মডু ভাইয়া আপুদের দৌড়ের উপর রেখেছিলাম :||)

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৬

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:


আজকে আবারও কপি-পোষ্টের সুযোগ পেয়ে খানিক ঈদে আমেজ পেয়েছি।। :P

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০৫

চানাচুর বলেছেন: হুম কথা সত্য। আমার গল্প পড়েছেন? ভাল না হলে পরের পর্ব আর লিখবো না কিন্তু খুব যত্ন করে লিখেছি :(

২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০২

কালীদাস বলেছেন: আরজেটার মত এই টাইপের হিপোক্রেট দিয়ে সমাজ বোঝাই X( মাঝে মাঝে মনে হয় হিপোক্রেসি করে না এরকম মানুষ এই জমানায় আদৌ আছে কিনা :(

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১১

চানাচুর বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য। পরের পর্ব পড়বেন কিন্তু। :`>

৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২৪

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: আজকে আমার ফাঁকিবাজী দিবস।। :)


আগামীকাল আপনার গল্প পড়ব।। কথা দিলাম।।


শুভ রাত্রি।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২৬

চানাচুর বলেছেন: :( :( :( আচ্ছা

৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৭

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: উপস্থিতি জানিয়ে গেলাম। পরে পড়ে প্রতিক্রিয়া জানাবো..........

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৫৫

চানাচুর বলেছেন: ঠিক আছে ভাইয়া :)

অনেক খুশি হলাম :)

৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:০২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: গল্প ভালো হয়েছে চানা আপু !!
রোদে জলে টিকে রঙ পাকা কয় তাহারে !!!


সুতরাং টিকে থাকাটাই আসল :)

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:০৬

চানাচুর বলেছেন: আপু এই গল্পটা এখনো লিখছি। আজ হতাশ ছিলাম ব্লগে কপিপেস্ট করা যাবেনা শুনে। কিন্তু এখন আমি অনেক হ্যাপি :)

অনেক ধন্যবাদ আপু গল্পটা পড়ার জন্য :)

৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:০৫

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: সাকিবের মত ছেলেরা মানসিক ভাবে সিক।
এমন সিক লোকজন নিয়েই আমাদের চলাফেরা।
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৩

চানাচুর বলেছেন: ধন্যবাদ রুহী আপু, আমার ব্লগে স্বাগতম :)

পড়ার জন্য এবং পরের পর্ব পড়তে আগ্রহী জেনে অনুপ্রেরণা পেলাম। ভাল থাকবেন আপু :)

৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:২৪

ওমেরা বলেছেন: গল্প ভাল হয়েছে আপু।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৪

চানাচুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। অনুপ্রেরণা পেলাম ভাল হয়েছে শুনে। ভাল থাকবেন :)

৮| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: গল্প লেখা অব্যহত রাখুন।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৬

চানাচুর বলেছেন: আগের দিন একটা পোস্ট পড়ে বলেছিলেন, খুবই অগোছালো তাই সেটা মাথায় রেখে গুছিয়ে লেখার চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ গল্প পড়ার জন্য। ভাল থাকবেন :)

৯| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৫

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: ভালো মন্দ বলতে পারছি না। লেখা চলুক।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৯

চানাচুর বলেছেন: মন্দ লাগলেও বলবেন। নো প্রবলেম। ধন্যবাদ পড়ার জন্য :)

১০| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০১

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: পরের পর্বে হয়তো সাকিবের জন্য খারাপ কিছুই অপেক্ষা করছে!!!:)



ভালো লিখেছেন!!!!:)


১১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০২

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:

ভিতর এবং বাহির গল্প পড়ে মনে হয়নি লেখক একজন কাঁচা হাতের লেখক । :) গল্প চলুক .........

১২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কাঁচা হাত পাকা হাত নিয়ে একেবারেই মাথা ঘামাবেন না। কোন হাতই খারাপ না। গল্প ভালো হচ্ছে, চালিয়ে যান। পুরোটা পড়ে গল্প নিয়ে মন্তব্য করবো। শুভ কামনা।

১৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৬

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: যথেষ্ট ভালমানের লেখা, নিয়মিত চর্চা অনেক দুর নিয়ে যাবে তোমাকে আপুমনি.............ক্যারি অন....

১৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩২

নীল-দর্পণ বলেছেন: চানা …চানা……চানা আ আ বান্ধবী তুই কই কই ক…ই…
কত দিন অপেক্ষা করা লাকপে পরের পর্বের জইন্যে? /:)

১৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৫

নীল-দর্পণ বলেছেন: সরি "তুমি" হইবে । মুপাইল দিয়া ল্যাক্তে ম্যালা হ্যাপা /:)
এই কমেন্টখান পইড়া তুমি ডিলিট কইরা দিও।

১৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৪৭

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: আপু গল্প ভালো লেগেছে । পরের পর্ব টা তাড়াতাড়ি দিয়ে ফেলুন । অনেক ছেলেই আছে বউ এর চাকরি সহ‍্য করতে পারে না । সহ‍্য করবে কিভাবে ? ২ জন যদি সমান সমান হয়ে যায় , তাহলে ডমিনেট করবে কিভাবে । আমার এক ফ্রেন্ড বলেছিল ছেলেদের রক্তেই নাকি ডমিনেট করা মিশে আছে । শুনে মন খারাপ হয়েছিল । কিছু ছেলে ভালো ও আছে ।

১৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আরে আপু, কি বলেন? প্রায় ১১ বছর ব্লগিং করে এটা আপনার দ্বিতীয় গল্প! যাহোক, আমি বহু আগে থেকেই আপনার লেখার ভক্ত, যদিও ইদানিং ব্লগে আর তেমন একটা আসা হয় না... :(

গল্প ভাল লাগছে, ঝরঝরে গতিময় বর্ণনা। কিন্তু, কিছু মন্তব্য দেখে মনে হল লোকজন পুরুষ জাতির ওপর ঝাল মেটানোর মওকা পেয়ে যারপরনাই আনন্দিত! ;)

যাহোক, আমার নিজস্ব দৃষ্টিভংগিটাও শেয়ার করে যাচ্ছি। মেয়েদের চাকরি করতেই হবে, সেটা আমি আবশ্যক মনে করি না। অন্ততঃ এটাই জীবনের চুড়ান্ত লক্ষ্য একটা মেয়ের, সেটা মনে করি না। পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে ব্যাপারটা পরিবর্তিত হবে। আমার কাছে পরিবারে মায়ের ভূমিকাটিকে বাবা যেমন বাইরে কাজ করে উপার্জন করেন, তার চেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে মনে হয়। এই বিষয়টা অনেক মেয়েই বোঝেন না। সন্তানদের মায়ের সাহচর্য যে কতটা প্রয়োজন, সেটা একটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করলেই বোঝা যাবে। তবে একান্তই যদি মাকে চাকরিতে যেতে হয়, তবে সেটা সীমিত সময়ের জন্য হলে ভাল হয়, যাতে তিনি পরিবারেও সময় দিতে পারেন। বাবা'র উপার্জন যদি পর্যাপ্ত হয়, তবে আমি ব্যাক্তিগতভাবে মায়ের চাকরি করাটাকে খুব একটা প্রয়োজনীয় মনে করি না। তবে মা যদি কোন বিশেষায়িত পড়াশোনা করে থাকেন, যেমন চিকিৎসা, তবে তিনি অবশ্যই হাসপাতালে চাকরি করবেন, এটাই স্বাভাবিক।

সেদিন আমার এক ডাক্তার বান্ধবীর সাথে কথা হচ্ছিল, দুপুর আড়াইটাই অফিস ছুটি হয়ে গেলে ফিরে এসে সে বাসাতেই থাকে, চেম্বারে প্রাক্টিস করে না। বাসায় বাচ্চাদের পর্যাপ্ত সময় দিতে পারছে। সুন্দর একটি পরিবার পেতে এমনই হওয়া উচিৎ।

ইসলামেও মা'কে বাবার চাইতে তিনগুণ বেশী মর্যাদা দেয়া হয়েছে, সেটা বোধকরি পরিবার গঠনে মায়ের অনবদ্য ভূমিকার কারণেই! শিশুর সবচেয়ে আপনজন, বন্ধু, শিক্ষক হল মা!

ভাল থাকবেন। শুভ কামনা। :)

১৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫২

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: আপু পরের পর্ব আবার কবে দিবেন ?

১৯| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১১

চানাচুর বলেছেন: ধন্যবাদ। হ্যা পরের পর্বে সাকিব এবং সানজানা দুইজনেরই খবর আছে :) ধন্যবাদ পড়ার জন্য :!<

২০| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৯

চানাচুর বলেছেন: আমি একটু অসুস্থ তাই আসা হচ্ছেনা, খুব শীঘ্রই আমি ফিরে আসছি ইনশাল্লাহ

২১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:২৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমাদের বেশিরভাগেরই ভেতরে এক বাহিরে আরেক; গল্পটাতে এমন চিত্রই প্রতিফলিত হয়েছে।

২২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০২

প্রামানিক বলেছেন: মানুষের ভিতর বাহির নিয়ে চমৎকার গল্প। ধন্যবাদ

২৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০২

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: আশা করি এখন ভাল আছেন। পরের পর্ব দিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.