নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের পোস্টের উত্তর দিতে দেরী হয় সেজন্য সরি।

কাজী ফাতেমা ছবি

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ব্যতীত যে কোন কবিতা, গল্প, ছড়া, ছবি পোস্ট করা হতে বিরত থাকবেন।

কাজী ফাতেমা ছবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিনি উপন্যাস-৭ (মানুষ সেবার কারিঘর)

১৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৩৩



ভাল মানুষগুলো যাদের মুখ আছে মুখোশ নেই রোদ্দুর সেসব মানুষকে খুব ভালবাসে। রোদ্দুর পরখ করে দেখতে তাদের সাথে মিশতে চেষ্টা করে। ভাল মানুষদের সাথে দু একটা কথা বললেই তাদের স্বভাব চরিত্র সম্পর্কে অবগত হওয়া যায় এ রোদ্দুরের ধারণা। কথা বলে বলে তাদের ভেতরের মানুষটাকে বের করে আনা যায়।

বহুদিন ধরে চোখের সামনে চলাফেরারত মানুষগুলোর মধ্যে কেউ আছে যাকে রোদ্দুর অত্যধিক পছন্দ করে। সময় কাটানোর বা প্রতিভা বিকাশের পাতায় পাতায় রোদ্দুর চোখ বুলায় নির্নিমেষ তাকিয়ে। কিছু প্রতিভা রোদ্দুরের মন ছুঁয়ে যায়। সেই প্রতিভার অধিকারীর পেশা মানুষ সেবা জাতীয়। বিভিন্ন গুনের অধিকারী প্রতিভার মালিকের বাবা যিনি তার মেধা আর মননে মানুষ সেবার কাজে তাকে যোগ্য বানিয়েছেন। ধর্মপ্রাণ মুসলিম বাবা তার প্রানের চেয়ে প্রিয় বহু প্রতিভার অধিকারীকে তার সাথে নিয়ে হজ্জ করেছেন। তার শুদ্ধ শিক্ষায় শিক্ষিত প্রতিভার অধিকারী আজ মানুষ সেবার কাজে নিয়োজিত। বিনিময় মুল্যছাড়া তিনি মানুষের জন্য কাজ করে যান সেটা রোদ্দুরের খুব পছন্দ।

সেই প্রতিভাধারীর বাবা তাকে মনে হয় একদিন বলেছিলেন বাপ কোনদিন দেখব তুই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ছিস সেদিনই আমি ভাব্ব আমি তোকে মানুষ করতে পেরেছি। রোদ্দুর জানেনা যিনি মানুষ সেবা করেন তিনি কি পরকালের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন কিনা!!

এত ভাল গুনী মানুষের বাচ্চা অমানুষ বা বেনামাজি হতে পারে না বলে রোদ্দুরের ধারণা।

সেই প্রতিভাধারীর সাথে রোদ্দুরের কথা হয় ভিন্ন একটি বিষয় নিয়ে। প্রতিভা বিকাশের পাতায় তার খারাপ ভাষার লেখা পড়ে রোদ্দুরের মনটা খুব খারাপ হয়েছিল সেদিন।

তাই রোদ্দুর একটা উড়ো চিঠি দিয়েছিল তার ঠিকানায়। রোদ্দুর জানতে চেয়েছিল যে, আপনি এত সুন্দর লিখেন, অসম্ভব ব্যক্তিত্ববান সুন্দর চেহারার মানুষের মুখে এত খারাপ ভাষা কল্পনা করা যায় না!! কিন্তু কেন?? রোদ্দুর ভেবেছিল সে চিঠির জবাব হয়ত আসবে না কিন্তু রোদ্দুরকে অবাক করে দিয়ে চিঠির উত্তর আসে। কি সুন্দর আর সাবলীল কথা রোদ্দুরের প্রাণ জুড়িয়ে যায় আহ। অনেক কথার ফাঁকে সেই মানুষ সেবার কারিগর রোদ্দুরকে তার লেখা কবিতা পড়তে দেন। এত সুন্দর লেখা পড়ে রোদ্দুর তৃতীয়বার বিমোহিত হয়ে যায়। তার জীবনের কিছু কথা কবিতার লাইনে লাইনে সাজিয়েছেন। বাহ তিনি একাধারে মানুষ সেবক আবার লেখকও বটে। সেই প্রতিভার সাথে কথা বলেই রোদ্দুর উপরের কথাগুলো জানতে পেরেছিল।

রোদ্দুর তাকে অনুরোধ করেছিল মুখের ভাষা খারাপ করে গুনাহ কামানো কি ঠিক!! আপনি নামাজ পড়েন হজ্জ করেছেন তারপরও??
- আমি এমনই। আমার কিঞ্চিত মাথা গরম। আমি পাগলাটে ধরণের মানুষ!
!!তাতে কি! অভ্যাস পদিবর্তনের চেষ্টা করুন!
- অনেক চেষ্টা করেছি। অনেকে চেষ্টা করেছে, আমার মাও পারেন নি অভ্যাস পরিবর্তন করতে, আর কিভাবে সম্ভব বলুন? আসলেই আমার মাথায় ছিট আছে।

সেই মুখ খারাপ মানুষটির ভিতর একজন উত্তম মানুষের বসবাস, যিনি নিজের ব্যক্তিগত তহবিল এবং বন্ধুদের হতে সাহায্যের হাত পেতে গরীব কাঙালের সেবা করেন। সেদিন এক ভিখিরি মহিলার চিকিৎসা করেন বিনামুল্যে। সে চিকিৎসায় প্রায় ত্রিশ হাজার খরচ হয়েছিল। এসব দেখে রোদ্দুর চতুর্থবার বিমোহিত হয়!! মানুষের সেবা করতে গিয়ে উনার একটা চুরুটের পয়সা হাতে থাকে না অথচ তার অঢেল থাকার কথা ছিল। রোদ্দুর পঞ্চমবার বিমোহিত হয়।

ব্যস্ত মানুষ তাও রোদ্দুরকে হালকা সময় দেবার জন্য সে ষষ্ঠবার বিমোহিত হয়।

একসময় রোদ্দুরের কবিতা আর ছড়ার শিরোনাম হয়ে যান মানুষ সেবার কারিগর।

সেইই মানুষটি সবসময় মজা করেন হাশিখুশি মানুষ এবং দিলখোলা... তার আরেকটি গুন হলো তিনি মুভি পাগলা। অসংখ্য মুভি দেখেন অবসরে। ইংলিশ হিন্দি এবং সেগুলোর রিভিউ দেখে রোদ্দুরের মুভি দেখার বাসনা মনে উঁকি মারে!!

তাকে ভাল লাগে খুব লাগে রোদ্দুরের ঠিক যেমনটি লাগে ধবধবে সাদা গোলাপ দেখতে! যার চোখ হাসে ললাট হাসে নাক হাসে ভ্রু হাসে ঠোঁট হাসে অধর হাসে গাল হাসে তাকে ভাল না লেগে কি আর উপায় আছে!!

তিনি রোদ্দুরের ভাল লাগার কথা অনুভব করতে পারেন। চোখ টিপ ইমো দিয়ে সেদিন বলেই দিয়েছেন আপনি কি আমার প্রেমে পড়ে গেছেন নাকি!! হা হা হা হা রোদ্দুর হাসিতে ফেটে পড়েছিল সেসময়। রোদ্দুর বলে দিয়েছিল সে বিষয়ে আপনার না ভাবলেও চলবে।

তিনি বুঝতে পারেন নি সেদিন, ভাল লাগা আর ভালবাসা এক নয়। ভাল লাগার মত অগণিত মুখ থাকতে পারে কিন্তু ভালবাসার জন্য একটা মুখই যথেষ্ট। সে মুখ হয়ত রোদ্দুরের জীবনে নাও আসতে পারে :(

সবাই রোদ্দুরের উপরটা দেখেই বিবেচনা করে ভাল মন্দ বিচার করে কিন্তু অন্তরটা খুলে কেউ দেখেনা। রোদ্দুরের মনের ভাষা পড়ার ক্ষমতা হয়ত কারোরই নেই বা সে জন্মায়ই নি।

আবারো বলছি ভাল লাগতে পারে অসংখ্য ভাল মানুষের মুখ কিন্তু ভালবাসা সে হয় একটাই প্রিয় মুখ :)

মানুষের সেবার কারিগর ও বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী যে তার কথা বললে উপন্যাসের পাতা বেড়ে যাবে যা অনেকেই অবহেলা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে ডাস্টবিনে ফেলে দিবে :(

শুভকামনা তার প্রতি সে তার শুদ্ধ পথ ধরে এগিয়ে যাক সাফল্যের জয়যাত্রায়। রোদ্দুরের দোয়া আর শুভকামনা সর্বক্ষণ তার প্রতি রইল।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৪৫

কল্লোল পথিক বলেছেন:





বাহ! সুন্দর হয়েছে।

১৯ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৩৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া ভাল থাকুন সাথেই থাকুন

২| ১৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৪৫

জসিম বলেছেন: ভালো লাগা রইলো.

ধন্যবাদ.

১৯ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৩৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য
ভাল থাকুন সাথেই থাকুন।

৩| ১৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:০৩

রাতুল_শাহ বলেছেন: খুব আক্ষেপময় মনে হচ্ছে।

১৯ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৩৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হুম হতেও পারে
অনেক দিনপর দেখলাম তোমাকে এখানে। কেমন আছো
ধন্যবাদ অনেক অনেক

৪| ১৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:১২

কালনী নদী বলেছেন: রোদ্দুরের ছোট উপন্যাস পড়তে অসাধারণ হয়েছে, আপুনি :)

অনেক অনেক শুভ কামনা জানবেন।

১৯ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৩৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য ভাল থাকুন

৫| ১৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:১৭

কালনী নদী বলেছেন: তাই রোদ্দুর একটা উড়ো চিঠি দিয়েছিল তার ঠিকানায়। রোদ্দুর জানতে চেয়েছিল যে, আপনি এত সুন্দর লিখেন, অসম্ভব ব্যক্তিত্ববান সুন্দর চেহারার মানুষের মুখে এত খারাপ ভাষা কল্পনা করা যায় না!! কিন্তু কেন?? রোদ্দুর ভেবেছিল সে চিঠির জবাব হয়ত আসবে না কিন্তু রোদ্দুরকে অবাক করে দিয়ে চিঠির উত্তর আসে। কি সুন্দর আর সাবলীল কথা রোদ্দুরের প্রাণ জুড়িয়ে যায় আহ। অনেক কথার ফাঁকে সেই মানুষ সেবার কারিগর রোদ্দুরকে তার লেখা কবিতা পড়তে দেন। এত সুন্দর লেখা পড়ে রোদ্দুর তৃতীয়বার বিমোহিত হয়ে যায়। তার জীবনের কিছু কথা কবিতার লাইনে লাইনে সাজিয়েছেন। বাহ তিনি একাধারে মানুষ সেবক আবার লেখকও বটে। সেই প্রতিভার সাথে কথা বলেই রোদ্দুর উপরের কথাগুলো জানতে পেরেছিল।

সেই মানুষটা ঠিক আপনার মতন বোনটি আমার অনেক অনেক প্রীত হরেম সাথে লেখাটা প্রিয়তেও নিলুম।

দুলাভাইকে আমার সালাম দিতে ভুলবেন না কিন্তু।

১৯ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন:
আমি মুগ্ধ ভাইয়া আপনি সুন্দরভাবে খুটিয়ে পড়েছেন আামার লেখাটি।

জাজাকাল্লাহ খায়ের

ভাল থাকুন সর্বদা

৬| ১৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:২২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: তিনি রোদ্দুরের ভাল লাগার কথা অনুভব করতে পারেন। চোখ টিপ ইমো দিয়ে সেদিন বলেই দিয়েছেন আপনি কি আমার প্রেমে পড়ে গেছেন নাকি!! হা হা হা হা রোদ্দুর হাসিতে ফেটে পড়েছিল সেসময়। রোদ্দুর বলে দিয়েছিল সে বিষয়ে আপনার না ভাবলেও চলবে।
আপনে কেমন মানুষ গো হালকা করে হা হা হা করে উড়িয়ে দিলেন ইমো দেয়া মানুষটারে ।

১৯ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভালবাসা আর ভাল লাগা তো আর এক না জনাব ।

ধন্যবাদ আপনাকে ভাল থাকুন

৭| ১৯ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮

সুমন কর বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে, "বন্ধু হয় অনেকে, মনে দাগ একজনই কাঁটে...." লাইনটি মনে পড়ল।

রোদ্দুরের কথা ভালো লাগল।

১৯ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আসলেই ঠিক বলেছেন । ধন্যবাদ দাদা আপনাকে ভাল থাকুন

৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৪৮

প্রামানিক বলেছেন: ভালো লাগল মিনি উপন্যাস।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:০৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দাদা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.