নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফেচবুকে আমি https://www.facebook.com/profile.php?id=100009146100737&fref=ts

যুদ্ধরত জাতির সমালোচক

সঠিক কথা বলতে পছন্দ করি, মিথ্যাবাদীদে একদমই পছন্দ করিনা। www.facebook.com/100009146100737

যুদ্ধরত জাতির সমালোচক › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপরাধ না দেখেই পুলিশ যাকে তাকে এখন অপরাধী বানিয়ে দেয়।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:৪৬

একটা মানুষকে পুলিশ ধরবে এটা এখন সিম্পল ব্যাপার। এটা মানসম্মান হানি করার মতন কনো ব্যাপার না।
পুলিশ আর মানুষ এখন আলাদা দুটো বস্তু এবং তাই পুলিশ সম্পর্কে আমাদের ধারনা অন্যরকম। যারা আধিকতর মূর্খ্য হয় তারা কেবল পুলিশকে বন্ধু ভাবে এবং পুলিশের যে কোন প্রকার কার্য্যক্রম বৈধ মনে করে। আমি মনে করি আমাদের সমাজ অধিকতর মূর্খ্য ও বেহায়া সমাজ।
এই ধরুন একজন ভাল ছেলেকে পুলিশ বিনা কারনে ধরে নিয়ে গেলো কিন্তু সমাজ কিছু না জেনে না বুঝেই ছেলেটিকে খারাপের সার্টিফিকেট দিয়ে দেয়। এ সমাজ যে কতটা বেহায়া তা বলার অপেহ্মা রাখে না।
প্রথমে একটি গল্প বলি আপনাদের।
এক গরীব দিন মজুরীর ছেলে কলেজে ভর্তি হলো। ছেলেটি অন্য সব ছেলের চেয়ে আলাদা ছিল এবং তার পোশাক আশাক ও তার আর্থিক অবস্থা কলেজে অন্য সকল বন্ধু বান্ধীর চেয়ে অনেক নগন্য ও নিম্নমানের ছিল।
হঠাৎ সে একটি মেয়ের জন্য চিঠি লিখতে বসল। মেয়েটি ছিল কলেজ কমিটির প্রধান এক ধনী ব্যাক্তির মেয়ে। তো এক পর্যায়ে গরীব ছেলেটি ধনী মেয়েটির হাতে চিঠিটা দিলো।
চিঠিটা না পড়েই মেয়েটি রাগে, হ্মোভে তার বাবার কাছে নালিশ করে দিল। এক পর্যায়ে তাকে পুলিশে দেওয়া হলো। গরীব পরিবারের ছেলে বলে কেউ তাকে বাচাতেও আসে নি। পুলিশ অনেক নির্যাতন করে ছেলেটি ছেড়ে দেয়।
তারপর কলেজে এবং সমাজে প্রচার হয়ে গেলো যে একটি মেয়েকে বিরক্ত করায় কলেজ কতৃপহ্ম ছেলেটিকে পুলিশে দিয়েছে। ছেলেটিকে নিয়ে সমাজে এবং কলেজে ছি ছি শুরু হয়ে গেলো।
সমাজের এমন ব্যবহারে ছেলেটিকে অনেক কষ্ট পেলো। সবাই তার দিকে বাকা চোখে তাখিয়ে ছি ছি করে, ঘৃনা করে।
সমাজে চোখে ঘৃন্যময় ব্যক্তি হয়ে বেচে থাকতে খুবই কষ্ট হচ্ছিল তার, এক পর্য়ায়ে সমাজের তিক্ত কথা সহ্য করতে না পেরে ছেলেটি আত্নহত্যা করতে বাধ্য হয়।
তার আত্নহত্যার পর জানা যাই যে চিঠিতে লেখা ছিল যে, "আমি একজন গরীব পরিবারের ছেলে। আমার বাবা আমাকে যে হাত খরচ দেয় তাতে করে আমার কলেজের যতায়াত খরচটাও হয়না। আপনার বাবা এই কলেজের বড় একটি পদে আছে, আপনি যদি আপনার বাবাকে বলে আমার কলেজের বেতন মওকুফ করে দিতেন তবে আমার খুব উপকার হতো। আমি মুখ দিয়ে আপনাকে কথা গুলো বলতে পারতাম না কিংবা সাহয্যও চাইতে পারতাম না- এ জন্য আপনাকে চিঠি লিখে জানালাম। আশা করি আপনি আমার উপকারটি করবেন।"

উপরের ছেলেটির মতন অনেক নিরীহ মানুষের সাথে এমন ঘটনা এখন অহরহ ঘটছে।
অপরাধ না দেখেই পুলিশ যাকে তাকে এখন অপরাধী বানিয়ে দেয়। আর কাচা টাকার গন্ধ পেলে শুকুরো তো মানুষ হয়ে যাই। টাকার জন্য যাকে তাকে গুম খুন করতেও এরা পিছু পা হয় না।
পুলিশ এখন গুটি কয়েক মানুষের মামা, খালু হয়ে কাজ করছে। পুলিশের কাছে এখন নেই কোনো সত্যের জয়। পুলিশ এখন অপরাধী চিনেও তার সাথে হাত মিলিয়ে নিরপরাধী ব্যাক্তিকে হয়রানী, নির্যাতন করে।
আর আমাদের বিনোদিত সমাজ এসব দেখে শুধু আনন্দিত হয়, হাত তালি দেই কিন্তু প্রতিবাদ করার মত সাহস বা রক্ত বিন্দু এখন আর এ সামাজের তৈরী হয় না। এ সমাজ সত্য মিথ্যা সবই জানে তবুও এ সমাজ সর্বদা বেহায়া হয়েই থাকে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.