নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সঠিক কথা বলতে পছন্দ করি, মিথ্যাবাদীদে একদমই পছন্দ করিনা। www.facebook.com/100009146100737
বাংলাদেশের ২০% জনগন হাসিনাকে সমর্থন করে কিনা আমার সন্দেহ আছে। অন্যদিকে জনগন খালেদা জিয়াকে হাসিনার চেয়ে একটু বেশি সমর্থন করলেও ওটা জাস্ট করুনা করার মতন কারন সাধারন জনগন খুব ভালো করেই জানে যে, " এই দুই নারীর চরিত্র একই রকম প্রায়।"
যাই হোক, আমরা দেখতে পারছি যে হাসিনার নেতৃত্ত্বে পরবর্তী বাংলাদেশ তিনটি শ্রেনীতে বিভক্ত হতে যাচ্ছে..
১. রাজাকারদের সন্তান,
২. মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং
৩. যুদ্ধ না দেখা লোকজনের সন্তান
সমাজে এখন তারাই রাজাকারের সন্তান বলে বিবেচিত হবে যারা হাসিনাকে সমর্থন করবে না।
সমাজে তারাই মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলে বিবেচিত হবে যারা গনজাগরন মন্চে আন্দোলন করবে এবং হাসিনার কর্মকান্ডকে বিশ্বাস ও সমর্থন করবে।
আর সমাজে তারাই যুদ্ধ না দেখা দলের সন্তান হবে যারা হাসিনা এবং খালেদার কর্মকান্ডের বিরোধী হবে।
এবার বলুন কোন দল ভারী হবে? নৈতিকতার দিক থেকে বলতে পারি ৩য় দলটি হবে সবচেয়ে শক্তিশালী কিন্তু
১ম, ২য় এবং ৩য় এই তিন শ্রেনীর সন্তানদের অপরাধ কি?
এদের অপরাধ এরা কোন এক শ্রেনীর সন্তান। এই তিন শ্রেনীর মধ্যে কখনো একতা আসবেনা।
কিন্তু এই তিন শ্রেনীর সন্তানেরা কিন্তু কেউই যুদ্ধ করেনি বা দেখেনি। তবে এরা কেনো তাদের জন্মদাতাদের কর্ম দ্বারা প্রভাবিত হবে?
এই প্রজন্ম কেনো তাদের পূর্বপুরুষের কর্মের ভার বহন করবে। কেনো, কোনো???
এমন গ্যারান্টি কেউ দিতে পারবে না যে একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হলেই সে সু নাগরিক হবে কিংবা রাজাকারের ছেলে হলেই সে কু-নাগরিক হবে।
এই দেশের উন্নতির জন্য এই তিন শ্রেনীর নতুন প্রজন্মকে নতুন একটি কাতারে একত্রিত করার বিকল্প আর কিছুই নাই।
আর এই তিন শ্রেনী যদি পৃথক কাতারে দাড়িয়ে পড়ে তবে এই দেশ আগামি ২০, ৩০ বছর পর বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়বে এবং দেশটি লিবিয়ার মত ধ্বংস হয়ে যাবে।
অনুরোধ মুক্তিযোদ্ধা, রাজাকার কিংবা যুদ্ধে অংশ নেইনি এমন ব্যাক্তিদের কর্মকান্ড দ্বারা তাদের সন্তানকে আর মূল্যায়ন করবেন না।। কোন এক শ্রেনীর নতুন প্রজন্মকে বাদ দিয়ে কখনই এ জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়।
©somewhere in net ltd.