নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সঠিক কথা বলতে পছন্দ করি, মিথ্যাবাদীদে একদমই পছন্দ করিনা। www.facebook.com/100009146100737
একটা মেয়ে যদি একাধিক ছেলের সাথে সাথে শারিরীক সম্পর্ক করে তবে তাকে ব্যাশ্যা বলা হয় কিন্তু একটা ছেলে যদি একাধিক মেয়ের সাথে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তুলে তবে তাকে কি বলা হয়?
এই শব্দটা শুধুমাত্র আমাদের সমাজে না, সব সমাজে একই রকম ভাবে পরিচিত। For a women ইংরেজীতে ব্যাশ্যার প্রতিশ্বদ prostitute যাকে ব্যাখ্যা করা হযেছে শুধুমাত্র মেয়েদের হ্মেত্রে। ব্যাখ্যাটা এইরকম "the practice of a women in offering her body for pay" অর্থাৎ "কোন কিছুর (অর্থের) বিনিময়ে মেয়েদের শরীরকে নিবেদন করার অভ্যাস।"
সব মেয়েই কি শরীর নিবেদন করার বিনিময়ে অর্থ নেই? উত্তরে সবাই আমরা বলব "সব মেয়ে নেই না"।
আজকাল অনেক মেয়েই গোপনে তার বযফ্রেন্ডকে কিংবা তার ভাসুর, দেবর কিংবা তার পাশের বাড়ির ছেলেটিকে কিংবা তার আত্নীয়দেরকে শরীর নিবেদন করে থাকে কিন্তু তারা বিনিময়ে অর্থ নেই না, so তাদের আমরা কি বলবো?
অর্থ দিয়ে এই ব্যাখ্যাটা হয়ত আমরা কেউই মানতে পারবো না কারন যে মেয়ে অর্থ না নিয়ে বিভিন্ন পুরুষকে তার শরীর নিবেদন করে থাকে তাকেও এক কথাই আমরা সবাই বলবো prostitute/ব্যাশ্যা।
এইবার আসি ছেলেদের হ্মেত্রে।
একাধিক মেয়ের কাছে যখন একটি ছেলে তার শরীর নিবেদন করে তখন সমাজ ছেলেটিকে তেমন একটা প্রকট বিশেষনযুক্ত নাম প্রদান করতে পারে নি। তবে কেউ কেউ এই সব ছেলেদের লোচ্চা বলে। লোচ্চার ইংরেজী প্রতিশব্দ lecher (লেচার) অথবা licentious (লাইশেনশাস)- এই শব্দগুলোর সাথে আমরা কেউই পরিচিত নয়।
এই শব্দের ব্যাখ্যাটা এই রকম যে "কাম আসক্ত বা কামুক" কিন্তু লোচ্চা বা lecher (লেচার) অথবা licentious (লাইশেনশাস) শব্দটি শুধু মাত্র ছেলেদর হ্মেত্রে প্রযোয্য তা কিন্তু নয় শব্দটি ছেলে মেয়ে উভয়ের হ্মেত্রেই প্রয়োগ হতে দেখেছি আমি।
এটাই হলো আমাদের সমাজ ব্যবস্থা।
বেশ্যা এবং লোচ্চার পার্থক্য তেমন না থাকলেও ব্যাবহারের দিক থেকে শব্দ দুটির পার্থক্য আকাশ পাতাল।
পার্থক্য এটাই যে ডাক্টর ছাড়া মেয়েদের স্বতীর্থ নির্নয় করা সম্ভব হয় কিন্তু ছেলেদের স্বতীর্থ কখনোই নির্নয় করা সম্ভব হয় না।
আর তাই কাম আসক্ত ও দেহব্যবসায়ী মেয়েদেরকে ব্যশ্যা/prostitute বলা হয় কিন্তু কাম আসক্ত ও দেহভোগী পুরুষদের সব সময় লোচ্চ শব্দটাও বলা হয় না, তাদেরকে বলা হয় বেয়াদপ।
লোচ্চা শব্দটা ছেলেদের হ্মেত্রে অতটা প্রভাবও পড়ে না কিন্তু ব্যাশ্যা শব্দটা মেয়েদের জন্য অনেক প্রভাব ফেলে।
একটা ছেলে বন্ধু আর একটা ছেলে বন্ধুকে হাসতে হাসতে লোচ্চা বলতে পারে কিন্তু একটা মেয়ে তার অন্য মেয়ে বান্ধবীকে হাসতে হাসে কখনোই ব্যশ্যা বলতে পারে না।
পার্থক্য এখানেই যে মেয়েরা গর্ভবতী হয় এবং তাই তাদের স্বতীর্থের মূল্য দিতে হয়।
পার্থক্য এখানেই যে মেয়েরা সন্তান জন্ম দেই এবং সেই সন্তান জারজ হলে প্রভাবটা একটা মেয়ের উপরেই পড়ে।
-সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক মেয়েদের এই রকম হ্মমতা অর্জনের জন্যই হয়ত সমাজে ব্যশা শব্দটা লোচ্চা শব্দের চেয়ে বেশী প্রভাবিত কিন্তু শব্দ দুটোর অর্থ একই যা হয়ত আমরা অনেকে বুঝি না।।
:: বি:দ্র: ক্রিটিকাল আলোচনা: লেখাটি সবার পছন্দ নাও হতে পারে।
২| ১৪ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:২৮
সজা১২৩ বলেছেন: চমৎকার
৩| ১৪ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:৫৯
আজাদ মোল্লা বলেছেন: কথা সত্যি কিন্তু কি করবেন । বিধির খেলা এটা ।
৪| ১৪ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:০৯
আরজু পনি বলেছেন:
পোস্টের শিরোনামটা পছন্দ হয়েছে....তাই পড়তে এলাম ।
সচেতনতামূলক পোস্ট ।
এমন ভাবনা যত বেশি আসবে...তত বেশিই নারী আর পুরুষের এই সম্বোধনের পার্থক্য কমে আসবে ।
অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনার ভাবনা শেয়ার করার জন্যে ।
১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:২৯
যুদ্ধরত জাতির সমালোচক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
৫| ১৪ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:৩৮
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: লুচ্চা শব্দটাও একটা গালি। এটাকে ভালো মনে করার কারণ নাই।
৬| ১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ২:১৭
অন্যসময় ঢাবি বলেছেন: জিগোলো নামে একটা শব্দ আছে ছেলে বেশ্যা দের জন্য। এ নিয়ে কিছুদিন আগে ভারতে একটা ছবিও হয়েছিল। ইউরোপে জীগোলোদের রমরমা চাহিদা।
৭| ১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:১১
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: বাংলাদেশেও জিগোলোর চাহিদা দেখা দিছে শুনছি।
ভালো পোষ্ট।
৮| ১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:৩০
নীল জানালা বলেছেন: উয়াউ কি পুস্ট!!!!
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:৫৭
প্রামানিক বলেছেন: কথা ঠিক