নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফেচবুকে আমি https://www.facebook.com/profile.php?id=100009146100737&fref=ts

যুদ্ধরত জাতির সমালোচক

সঠিক কথা বলতে পছন্দ করি, মিথ্যাবাদীদে একদমই পছন্দ করিনা। www.facebook.com/100009146100737

যুদ্ধরত জাতির সমালোচক › বিস্তারিত পোস্টঃ

জোর করে ধরে নিয়ে যেয়ে কাউকে ধর্ষন করা কিংবা সেচ্ছাই কোন মেয়ে ধরা দিয়ে ধর্ষিত হোওয়ার মধ্যে কিন্তু অনেক পার্থক্য

২৪ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২০

ধর্ষকরা কি একটি দল নাকি একটি জঙ্গি সংগঠন নাকি একটি ভিন্ন প্রজাতির মানুষ? এর জন্য দায়ী কারা এবং এর প্রতিকার কি?

যখন পত্রিকা বা টেলিভিশন খুলে দেখি একটা মেয়েকে ধর্ষন করা হলো তখন আমরা অবাক হয় এবং ঘৃন্যমনোভাব নিয়ে সংবাদটি দেখি অথবা পড়ি। এই রকম সংবাদ দেখা অথবা পড়ার পর আমারা অপরাধীদের বিবেককে পশুর চেয়ে নিকৃষ্ট হিসেবে বিবেচিত করি। বাস্তব অর্থে একজন ধর্ষক সে অবশ্যই পশুর চেয়েও জঘন্য।

আজকাল ধর্ষন ব্যাপারটা কেমন যেন পানসে পানসে লাগে। ধর্ষন নিয়ে আমরা আজকাল মজা করা শুরু করেছি। বাঙ্গালী জাতি আমরা মজা করতে এবং মজা পেতে খুব পছন্দ করি কিন্তু তাই বলে ধর্ষন নামক একটি ক্রিটিকাল ব্যাপার নিয়ে কেনো আমরা মজা করবো?
বর্তমান সময়ে আমাদের সমাজে ধর্ষন দুইভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে।
১. সেচ্ছাই ধর্ষিত হোওয়া। এবং
২. জোর পূর্বক ধর্ষিত হোওয়া।

জোর করে ধরে নিয়ে যেয়ে কাউকে ধর্ষন করা কিংবা সেচ্ছাই কোন মেয়ে ধরা দিয়ে ধর্ষিত হোওয়ার মধ্যে কিন্তু অনেক পার্থক্য থেকে যাই। আমাদের দেশের হাস্যকর আইনে উল্লেখ আছে যে, "১৬বছরের নিচের কোন মেয়ে যদি স্বেচ্ছায়ও শারিরীক সম্পর্কও করে তবে তা নাকি ধর্ষন হিসেবে বিবেচিত হবে।" ভাবা যাই না এদেশের আইন কতটা কঠিন।
আবার আইনে এটাও আছে যে, "ধর্ষনের একমাত্র শাস্তি মৃতদন্ড নয়" অর্থাৎ আইন ধর্ষনে উৎসাহিত করছে।

অস্বীকার করতে পারবেন, বর্তমানে আমাদের সমাজের ১২,১৩ বছরের মেয়েরা স্বেচ্ছাই শারিরীক সম্পর্ক করে না?
অস্বীকার করতে পারবেন, বর্তমানে আমাদের সমাজের ৭ম শ্রেনীতে পড়া মেয়েরা প্রেম, ভালবাসা করে না?
বয়স কেবল ওদের ১২ কি ১৩। ওরা আমাদের চোখে শিশু কিন্তু ওরা জানে বয়ফ্রেন্ড কি এবং ওরা এটাও জানে শারিরীক সম্পর্ক কি এবং কিভাবে তা করতে হয়।
এই বয়সের অনেক শিশু এখন সেচ্ছাই ধর্ষিত হয়। তো এই শিশুগুলোর ধর্ষকদের কি বিচার করবেন আপনি?
১৬+ মেয়েরাও ঠিক একই রকম কাজ করে।

নিজের ইচ্ছাই বয়ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে যাবেন তো বয়ফ্রেন্ডকি আপনাকে ছেড়ে দেবে নাকি?
প্রেম করা প্রতিটা ছেলেরই চাহিদা থাকে একটি মেয়ের শরীরের উপর আর সেই চাহিদা পূরনে সাহায্য করে একটি মেয়েই।
এমন কোন ভাল ছেলে নেই যে তার গার্লফ্রন্ডের শরীরের দিকে খারাপ নজর দেই না আবার এমন কোন ভালো মেয়ে নেই যে তার বয়ফ্রেন্ডের নিকট থেকে এমনটা আশা করে না।
তাই স্বেচ্ছাই শিয়ালদের কাছে ধরা দিয়ে যারা ধর্ষনের শিকার হয় তাদের পহ্মে কথা না বলাই উচিৎ তবে যখন এর মধ্যে আইন চলে আসে তখন আমি মনে করি শাস্তি দিতে হলে মেয়ে ছেলে দুইজনকেই একই রকম শাস্তি দেওয়া উচিৎ কারন এই মেয়েটি ঐ ছেলেগুলোর ধর্ষন করতে সুযোগ করে দিচ্ছে।

এমন কোন আইন নেই যে, " প্রেম করা যাবে না কিংবা প্রেম করলে শারিরিক সম্পর্ক করা যাবে না কিংবা কোন মেয়েকে বিয়ে করতে গেলে তার কুমারিত্ত্ব পরীহ্মা করা হবে?" আমি বলব এটা আইনের ব্যর্থতা এবং নোংরা স্বাধীনতা যার শিকার বারবার একমাত্র মেয়েরাই হবে।

সেচ্ছাই ধর্ষনের বিপরীতে রয়েছে জোরপূর্বক ধর্ষন।
যাদেরকে জোর পূর্বক ধর্ষন করা হয় তারা আসলেই খুব অসহায়। আমি আবাক হয় একটা মেয়েকে কিভাবে চলন্ত বাসের ভিতর বা ট্রেনের ভিতর জোর করে তুলে নিয়ে ধর্ষন করা হয়? এই রকম ঘটনার পরো পুলিশ বসে বসে আঙ্গুল চোষে। যে যানবাহনে কোন মেয়েকে ধর্ষন করা হয় নিশ্চয় সেই যানবাহন সনাক্ত করা খুব বেশি কঠিন কাজ নয়।

জোর পূর্বক ধর্ষন নিয়ে আমার একটি চিন্তা কেনো যেনো মাথায় আসে না। একটা মেয়েকে কেনো জোর করে কেউ ধর্ষন করবে? নিশ্চয় এর পিছনে কিছু কারন আছে।

একটি মেয়ের জোর করে ধর্ষন করার পিছনে অনেকগুলো কারন থাকতে পারে। অপরিচিত কোন মেয়েকে কেউ জোর করে ধর্ষন করবে এটা আমি মেনে নিতে পারি না। তবে যারা অপরিচিত কাউকে ধরে এনে জোর করে ধর্ষন করে তারা নিশ্চয় ধর্ষক নয় আমি বলব এরা বড়মাপের সন্ত্রাসী।

একটি মেয়ের জোর করে ধর্ষন করার পিছনে যে কারন গুলো থাকতে পারে...
১. একটি মেয়ে সুন্দরী হলে এবং তার পিছনে বখাটেদের দীর্ঘদিনের লোভ এবং দীর্ঘদিনের টার্গেট থাকলে মেয়েটির ধর্ষন হোওয়ার আশংকা থাকে, এ হ্মেত্রে মেয়েটি কিন্তু আগেই বুঝতে পারে যে বখাটেরা তাকে টার্গেট করছে কিংবা পিছু নিচ্ছে।

২. একটি মেয়ের একটি ছেলের সাথে সম্পর্ক থাকার পরো বিভিন্ন ছেলের সাথে ট্যাংকিবাজি করলে মেয়েটির ধর্ষন হোয়ার সম্ভবনা থাকে। এটার প্রমান অনেক আছে।

৩. একটি মেয়ে তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে রুমে ডেটিং করতে গেলে এলাকার ছেলেরা তাদের কে ধরে ব্লাক মেইল করে মেয়েটিকে ধর্ষন করতে পারে। এটাকে বাংলাই খোপ বলে।

৪. একটি মেয়ের একটি ছেলের সাথে সম্পর্ক হোওয়ার পর যদি মেয়েটি কোন কারনে ব্রেকআপ করার চেষ্টা করে।

৫. একটি মেয়ে অনেক রাতে বা নির্জন এলাকাই একা একা চলাচল করলে বখাটেদের খপ্পরে পড়তে পারে।

৬. একটি মেয়ে ঘরের ভিতর জোর পূর্বক স্যার অথবা তার পরিবারের কারর দ্বারা ধর্ষন হতে পারে।

>> উপরের ৫নং ও ৬ নং কারনটি বেশিরভাগ সময় আমাকে খুব ভাবিয়ে তুলে।

আমি মনে করি উপরের ৫নং ও ৬ নং কারন ছাড়া জোরপূর্বক প্রতিটা ধর্ষনের পিছনেই দীর্ঘদিনের টার্গেট থাকে এবং মেয়েদের অনেকগুলো ভূল সিদ্ধান্ত থাকে।

সব শেষে বলব ধর্ষন একটা সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের কাজ নয় যার ফলে আজকাল ক্লাস টু এর বাচ্চারা এবং স্কুলের মেয়েরা স্যারের কাছে জোর পূর্বক ধর্ষন হয়। ‪#‎জোর_পূর্বক_ধর্ষন‬ প্রতিরোধের জন্য দরকার একটি কঠিন আইন: যেমন লিঙ্গ বিচ্ছেদ এবং মৃতদন্ড।
আর ‪#‎সেচ্ছাই_ধর্ষন‬ হোওয়া থেকে প্রতিরোধের জন্য দরকার প্রেম বিষয়ক একটি আইন এবং মেয়েদের সতর্কতা।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৪

কাঠ পাতা বলেছেন: সহমত

২| ২৪ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৯

ফারুক আহমেদ ফারুক বলেছেন: এমনটা বলা যায় যে, কবি এখানেই নীরব। তবে, এটাও বলা যায় যে, সংস্কৃতির হাল ধরতেই হবে। আপনি আর আমি বাজে কিছু মেনে নিব এবং তা নিয়েই পথ চলবো বলে আর অন্যদেরও দাওয়াত দিয়ে সে পথে আনার সংস্কৃতি চালু করা যাবে না। তাহলে তো ঘোষণা দিয়ে দিলেই হলো বাকিদেরকে সাইজ করে দেওয়া হোক।

৩| ২৪ শে মে, ২০১৫ রাত ১০:২৫

বিলোয় বলেছেন: হ রে ভাই
আমার গার্লফ্রেন্ডের বিয়া হইয়া যাইতেছে অন্যের সাথে। সেই খবর দাত বাইর কইরা হাইসা হাইসা দেয়। মনটা চাইছিল তখন একখান রেপ কইরা ফালাই। কি করুম বুঝতাছি না। কষ্টে আছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.