নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সঠিক কথা বলতে পছন্দ করি, মিথ্যাবাদীদে একদমই পছন্দ করিনা। www.facebook.com/100009146100737
অনেক দিন থেকেই মাথার ভিতর একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে যে, "পোশাক ব্যাবহারের হ্মেত্রে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের কেনো এতোটা অশালীন মনে হয়?
উত্তর খুজতে গিয়ে ছেলে মেয়ে উভয়েরই পোশাক এবং তাদের শারিরীক পার্থক্যগুলোও নিয়ে অনেক চিন্তা করেছি।
আমার ভাবনা থেকে যা বুঝলাম তা হলো ছেলে মেয়ে উভয়েরই লজ্জা আছে কিন্তু লজ্জার ধরনটা সম্পূর্ণ আলাদা। আমি দেখেছি অনেক, ৫বছর নয় একজন ৮বছরের ছেলে সেও সবার সামনে নগ্ন হয়ে ঘুরে বেরাচ্ছে বা সে নদীতে কিংবা পুকুরে নগ্ন অবস্থাই সাতার কাটছে কিন্তু আমি দেখিনাই একজন ৫বছরের কোনো মেয়েকে কখনো সম্পূর্ন নগ্ন অবস্থায় ঘরের বাইরে বের হতে।
৫বছরের একটি মেয়ে এবং ৫বছরের একটি ছেলে, তারা শালীনতা বা নিজেদের ইজ্জত পোশাক দ্বারা রহ্মা করা বলতে কি বুঝে? কিছুই বুঝে না কিন্তু ৫বছরের ছেলে এবং মেয়েদের এই শালীনতাটার পার্থক্যটা তাদের পরিবারই তৈরী করে দিচ্ছে।
গ্যারান্টি দিয়ে আমি বলতে পারি, একটি পরিবার কখনোই চাই না যে তার ৫বছরের কন্যা শিশুটিকে কেউ উলঙ্গ অবস্থাই দেখুক কিন্তু একটি ছেলে শিশুর হ্মেত্রে এটি খুবই সামান্য একটি ব্যাপার এবং এটা নিয়ে পরিবারের মাথা ব্যাথাও তেমন হয় না।
আমি আরো খেয়াল করে দেখেছি একজন সদ্য ভূমিষ্ঠ হোওয়া কন্যা শিশু- তার লজ্জা স্থানটিও মোটামুটি ভাবে ঢেকে রাখা হয় পুরুষদের নজর থেকে কিন্তু একটি ছেলে শিশুর হ্মেত্রে এটি কখোনই করা হয় না।
শুধু তাই নয় ১০বছরের একটি ছেলে যখন খালি শরীরে ঘুরে বেড়ানোর স্বাধীনতা পাচ্ছে ঠিক তখন ১০ বছরের একটি মেয়ের শরীর সর্বদা ঢেকে রাখতে হচ্ছে।
এখন আমরা যদি কেউ বলি ছেলেটি যেমন খালি শরীরে ঘুরে বেরাচ্ছে তেমন মেয়েদেরও খালী শরীরে ঘুরে বেড়ানোর স্বাধীনতা দিতে হবে। তবে এখানে শালীনতা শব্দটি ব্যবহার করা অর্থহীন।
১০বছর নয় ১৩, ১৫, ২০ এমন কোন বয়সের সাথে তুলনা করে কোন মেয়ে কি বলতে পারবে যে ঐ ছেলে শরীর দেখাতে পারলে আমরা মেয়েরা কেনো পারবো না? যদি এই রকম আন্দোলন নারী জাতি করতে পারে তবেই পোশাকের অধিকার নারী পুরুষ উভয়ের হ্মেত্রেই সমান হবে অন্যথাই কখোনই নয়।
উপরের বাস্তবতা বলে দেয় একটা ছেলের চেয়ে একটা মেয়ের পোশাকের শালীনতা কতটা বেশি জরুরী। শারীরিক কাঠামোর জন্য মেয়েদের পোশাকের ব্যবহার সঠিক না হলে তাদেরকে এতোটা অশ্লীল দেখা যাই।
আমি ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে বলছি না কারন ধর্মীয় দৃষ্টিতে পোশাকের ব্যাবহার বা পর্দা আরো কঠিন, হাজার আন্দোলন করলেও যা আমাদের সমাজ কখোনই মেনে চলতে পারবে না আর সম্ভবো নয় কারন আমরা দিন দিন আশ্লীলতা করতে করতে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি।
এক সময় শুধু বিটিভি ছিল তখন টিভিতে সামন্য আপত্তিকর ড্রেস পড়লেও পরিবারের সবার সামনে দেখতে লজ্জা করতো কিন্তু এখন আমরা স্বপরিবারে অর্ধনগ্ন ছবি দেখতেও লজ্জাবোধ করছি না। এসব কিছুই অভ্যাস।
হয়ত এখন আমরা অনেকে মেয়েদের আপত্তিকর পোশাক মেনে নিতে পারি না কিন্তু একটা সময় ঠিকই আমদের অভ্যাস হয়ে যাবে। টেলিভিশনে যেমন দেখেন ঠিক তেমনই হবে- বিকিনি পড়ে মেয়েরা মা, বাবা, দেবরের সামনে বসে থাকবে আর তখন এটাও অভ্যাস হয়ে যাবে।
নিজের সন্তানদের শালীনতা রহ্মার জন্য সবচেয়ে বড় দ্বায়িত্ত্ব হলো তার পরিবারের। পরিবার যদি অশ্লীল হয় তবে সন্তানো অশ্লীলতা করবে, অশ্লীল পোশাক পড়বে। এই সব শালীনতার নামে অশ্লীল অভ্যাসগুলো হয়ত একটা সময় আমাদের সন্তানদেরকে লিভ টু গেদারে নিয়ে যাবে অর্থাৎ বিয়ে ছাড়াই সংসার। আর এমনটার জন্য আমরা পরিবারের সদস্যরাই একমাত্র দায়ী কথাটি খারাপ শোনা গেলেও সত্য ।২০, ২৫ বছর পর মিলিয়ে নিবেন।
এ ব্যাপারে উপদেশ বা যুক্তি দেওয়া অর্থহীন তাই উপদেশ কিংবা যুক্তি আর দিলাম না।
২| ২০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:১১
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: এখন লজ্জাবোধ করছিনা বা কমে গেছে মানে এই না যে এটা আমাদের মানসিক উন্নতির লক্ষন। আসলে লজ্জা কমে গিয়ে আমরা আরো খারাপ হচ্ছি। মুল্যবোধের ঘাটতি প্রবল। চান্স পাইলেই কোপানর ধান্ধায় থাকে মানুষ, কোপ খাওয়ার জন্য উদগ্রীব বিপরিত লিঙ্গের মানুষও এখন নিতান্তই কম না। এই লজ্জা না পাওয়ার ব্যাপারটা আমাদের সামগ্রিক মুল্যবোধের অবক্ষয়টাকেই স্পষ্ট করে দেখিয়ে দিচ্ছে।
৩| ২০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:১২
অন্তর মাশঊদ বলেছেন: আমার আব্বু আর আম্মুর সাথে এই জন্য টেলিভিশন দেখাই বাদ দিয়ে দিয়েছি। যদিও ভুল করে নিউজ দেখতে বসি। এই অশ্লীল বিজ্ঞাপনের জন্য আব্বু বারবার চ্যানেল চেঞ্জ করেন। এই থেকে উত্তরন আর সম্ভব নয়। আমরা আস্তে আস্তে অভ্যস্ত হয়ে যাব।
২০ শে জুন, ২০১৫ রাত ৯:১৯
যুদ্ধরত জাতির সমালোচক বলেছেন: সেম কেস আমারো
৪| ২০ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫
সুমন কর বলেছেন: শেষ প্যারায় দারুণ বলেছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:২৮
তানভীরএফওয়ান বলেছেন: nice .....
নিজের সন্তানদের শালীনতা রহ্মার জন্য সবচেয়ে বড় দ্বায়িত্ত্ব হলো তার পরিবারের।