নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফেচবুকে আমি https://www.facebook.com/profile.php?id=100009146100737&fref=ts

যুদ্ধরত জাতির সমালোচক

সঠিক কথা বলতে পছন্দ করি, মিথ্যাবাদীদে একদমই পছন্দ করিনা। www.facebook.com/100009146100737

যুদ্ধরত জাতির সমালোচক › বিস্তারিত পোস্টঃ

যত গভীর সম্পর্কই হোক না কেনো তা শেষ হয়ে যাওয়ার জন্য মাত্র কয়েক সেকেন্ডের প্রয়োজন হয়

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:০২

বড়লোকের ছেলে বেকার হলেও বিবাহযোগ্য কিন্তু গরীবের বেকার ছেলের বিয়ে তো দূরে থাক সে ডাস্টবিনের সমতূল্য।

এলাকার নিম্ন মধ্যবিত্ত্ব পরিবারের ছেলে আপন।
ছেলেটি দেখতে এতটাই সুন্দর যে এলাকার বড়লোকের ছেলেরা তার পাশে দাড়ালেও মেয়েরা সব তাকেই পছন্দ করে।
গরীব পরিবারে ছেলেদের প্রেম ভালোবাসা করতে হয়না তা হয়ত আপনকে কেউ কখনো বুঝিয়ে দেইনি তাই সে আজ পরাজিত।

২০০৮সালে একটি মেয়ে আপনের সাথে বন্ধুত্ত্ব গড়ে তোলে কিন্তু আপন তাকে ভালবেসে প্রেমের প্রস্তাব দেই। এরপর মেয়েটি আপনকে সরাসরি বলল, "যদি সে একটা পালসার বাইক কিনে তবেই মেয়েটি তার সাথে প্রেম করবে।"

মেয়েটির কথাই আপন মেয়েটির জন্য অনেক কাদল এবং কষ্টে তার বাইসাইকেল বিক্রি করে পায়ে হেটে এবং রিক্সায় করে যাতায়াত শুরু করলো। এক সময় মেয়েটি আপনকে ছেড়ে চলে গেলো ।
মেয়েটির জন্য আপন দুই বছর খুব কষ্টে ছিলো এবং যে কোন মূল্যে মেয়েটিকে ফিরে পাওয়ার বৃথা চেষ্টা করে যাচ্ছিল।

আপন ভূলেই গেছে যে সে একজন নিম্নমধ্যবিত্ত্ব পরিবারে ছেলে..

২০১১সালের দিকে আপনকে আবারো একজন ধনীর মেয়ে প্রেমের প্রস্তাব করে বসলো। মেয়েটি আপনকে প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়ে যাই এবং আপনও মেয়েটিকে নিয়ে ভাবতে শুরু করল।
আপন এখন কিছুটা বুঝতে পারছে যে সে এই মেয়েটিকেও হয়ত ধরে রাখতে পারবে না। তবে মেয়েটি যখন তাকে ভালবাসে তখন সে এই মেয়েটিকে মন প্রান দিয়েই ভালবাসবে। মেয়েটি আপনকে অনেক ভবিষৎ-এর স্বপ্ন দেখালো।

মেয়েটির সাথে আপনের অনেক ঘটিষ্ঠ এবং মধুর সম্পর্কের সৃষ্টি হলো, আপন যেন এখন নতুন একটি পৃথিবী খুজে পেলো।

মেয়েটি আপনকে বিভিন্ন গিফট দেওয়া শুরু করলো তারপর থেকে আপনও মেয়েটিকে বিলাসবহুল শপিংমল থেকে দামী দামী গিফট কিনে দিতে লাগলো।

আপনের সাধ্যমত সবচেয়ে দামী জিনিসগুলো মেয়েটির জন্য কিনতে লাগলো।
পরিবারের কষ্টের টাকা বিভিন্ন মিথ্যা কথা বলে আপন নিতে লাগলো এবং এই মেয়েটির পিছনে ব্যায় করতে শুরু করলো। এক পর্যায়ে মেয়েটির বাসা থেকে এবং তাদের এলাকার লোকজন সবাই তাদের সম্পর্কের কথা জেনে গেলো।

এরপর একদিন গোপনে তারা দেখা করতে গেলে মেয়েটির পরিবারের কাছে আপন চড়মভাবে অপমানিত হয় এবং মার খাই।

তারপর বেশ কিছুদিন তাদের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর আবারও তাদের গোপনে মধুর সম্পর্কে সৃষ্টি হলো এবং মেয়েটি আপনকে কোরআন শরীফ ছুয়ে কথা দিল যে সে তাকে বিয়ে করবে এবং তাকে ছেড়ে কখনই সে চলে যাবে না।

আপন নিশ্চিত হলো যে, "সে হয়ত মেয়েটিকে বউ হিসেবে পেতে যাচ্ছে।"
এখন থেকে মেয়েটির সব দায়িত্ত্ব আপনের। তাই সে সাধ্যমত মেয়েটির পিছনে টাকা খরচ করতে লাগল।

আপনের পরিবার এখন মেয়েটির ব্যাপারে সবই জানতে পারলো এবং মেয়ের সম্মতির কারনে আপনের পরিবারও তাদের সম্পর্কেরও সম্মতি দিলো।

কিন্তু হঠাৎ করেই কোন কারন ছাড়া যেনো আপনের মাথাই আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। মেয়েটা আপনকে বলে দিলো সে তার পরিবারের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করতে পারবে না এবং তারপর খুব দ্রুত তাদের ব্রেক আপ হলো।

আপন মেয়েটির বান্ধবী ও আত্নীয়দের মাধ্যমে খোজ নিতে লাগলো এবং সবাই তাকে জানালো মেয়েটি আপনের উদ্দেশ্যে বলেছে, "তার যদি দুই কোটি টাকা থাকত তবে সে তার হাত ধরে পালিয়ে যেতো। তার এখন আর কিচ্ছু করার নেই"

আপন মানসিকভাবে খুব কষ্ট পেলো এবং তার সাধ্যমত মেয়েটিকে ফিরে পাবার চেষ্টা করলো। এক পর্যায়ে মেয়েটির পরিবার আপনের বাসায় এসে মেয়ের দেওয়া সকল গিফট, চিঠি ফেরত নিয়ে গেলো এবং আপনের বিরুদ্ধে মেয়েটির বিরক্ত করার অভিযোগ এনে পুলিশের শরনাপর্ন হলো এবং আপনকে পুলিশ ধরেও নিয়ে গেলো।
তার কিছুদিন পর পরই মেয়েটির অন্য একটি ছেলের সাথে বিয়ে হয় গেলো।
!!
একটি বাস্তবধর্মী কাহিনী থেকে এটাই পরীষ্কার যত গভীর সম্পর্কই হোক না কেনো তা শেষ হয়ে যাওয়ার জন্য মাত্র কয়েক সেকেন্ডের প্রয়োজন হয়।

পৃথিবীতে পরিবারের ভালবাসার চেয়ে দামী এবং বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্ক আর কিছুই নেই। আজ আপন নিম্নবিত্ত্ব হলেও সে চেয়েছিল তার ভালবাসা যেন তার কাছে ফিরে আছে কিন্তু কোনভাবেই তা ফেরত আনা সম্ভব হলো না।

আপনের সৌন্দর্যের কারনে আপনের জন্য এখনো অনেক মেয়ে ঠিকই অপেহ্মা করে কিন্তু আপন এখন আর ভালবাসি শব্দটি দ্বিতীয়বার শুনতে পছন্দ করে না।
আপন এখন হাড়ে হাড়ে বুঝে গেছে যে ভালবাসা মানে হলো শুধু অর্থ এবং টাকা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.