নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সঠিক কথা বলতে পছন্দ করি, মিথ্যাবাদীদে একদমই পছন্দ করিনা। www.facebook.com/100009146100737
প্রসঙ্গ: খালেদা জিয়ার জন্মদিন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মৃত্যু বার্ষিকি ।
পৃথিবীতে জাতি হিসেব মনে হয় আমরাই একমাত্র যে জন্মদিন নিয়েও রাজনিতী করি।
আমি আমার মায়ের কাছে মাঝে মাঝে প্রশ্ন করি যে তার জন্মদিন কবে? কিন্তু মা তার জন্মদিন সঠিক ভাবে বলতে পারে না। তাই মায়ের জন্মদিনের জন্য নির্দিষ্টি একটি দিনে গিফটো দিতে পারি না।
শুধু আমার মা না, আমার নানা এবং নানি এবং অনেকেরই সঠিক জন্মদিন আমি জানতে চেয়েছি কিন্তু কখন জানতে পারিনি।
বিষটি হলো আমার মা এবং নানি- খালেদা এবং হাসিনার বয়সের সমতূল্যই হবে বা তাদের চেয়ে বড় হবে। যতটুকু আমার মনে হয় সেই সময়ের মানুষ জন্মদিন পালন করা নিয়ে বর্তমানের সময়ের মত এত লাফালাফি করত না বা এতো আল্লাদে ছিলো না।
খালেদা জিয়াও সেই সময়ের মহিলা ছিলো। আমার মনে হয়না তার বিয়ের পূর্বে তাকে কেউ ভালো করে চিনত। একজন মানুষের জন্মদিন বা মৃত্যুদিন নিয়ে সারা দেশ তখনই মেতে ওঠে যখন সেই ব্যাক্তিটা বিখ্যাত হয়ে যাই, তার আগে এসব নিয়ে কেউ মাতামাতি করে না।
ঐ আমলে (১৯৭৫ এর আগে) খালেদা জিয়া কিংবা শেখ হাসিনা কেউই নিয়মিত জন্মদিন পালন করেছে কিনা তা নিয়েও আমার অনেক সন্দেহ হয়।
আমি জন্ম নেওয়ার পর আমার জন্ম তারিখ এবং নাম একটি কাগজে টাইপ করে, লেমিনেটিং করে ঘরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। সময়টা ১৯৯০ এর পর। এর পর এ পর্যন্ত দুই বার মনে হয় আমার জন্মদিন পালন করা হয়েছে।
আমার বোনের যখন জন্ম হলো তার ৬বছর পর একবারই তার জন্মদিন পালন করা হয়েছিল আর কখনই তার জন্মদিন পালন করা হয়নি।
২০০৫সালের পর এসে আমার এস.এস.সি পরীহ্মার জন্য স্কুলে সঠিক জন্ম তারিখ এবং বয়সটা দেওয়া খুবই জরুরী হয়ে দাড়ালো।
তখন আমার বাড়ির লোক চালাকি করে আমার জন্মের সালটা পরিবতর্ন করে দিলো। শুধু আমি একা না আমার অনেক বন্ধুরা তাদের জন্মের তারিখও পরিবর্তন করে ফেললো।
২০০৭, ২০০৮এর সময় থেকে জন্ম নিবন্ধন কার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করতে লাগলো তার আগে এটার গুরুত্ব তেমন ছিলো না বললেই চলে ।
কিন্তু সমস্যা হলো, এর পর থেকে(২০০৭ এর পর) যে যার ইচ্ছা মত জন্ম তারিখ সাল দিয়ে নিজ নিজ জন্ম নিবন্ধ করা শুরু করে দিলো।
কে কার জন্ম দিন কবে ব্যাবহার করবে এটা তার ব্যাক্তিগত ব্যাপারে পরিনত হয়ে গেলো। আর এ নিয়ে কারর তেমন মাথা ব্যাথাও হলো না।
শুধু বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি হলো বিখ্যাত ব্যাক্তিদের জন্ম দিন দিয়ে।
আগের আমলের সময় আমার নানি বা ঐ সময়ের লোকগুলো তাদের সন্তানদের জন্মদিন মনে রাখাটা জরুরী মনে করত না তাই তাদের জন্মদিন নিয়ে সন্দেহ থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
একজন মানুষ বিখ্যাত হোয়ার আগে সে সব সময় সাধারনই থাকে-পরে অসাধারন হয়ে যাই এটাই সবচেয়ে বড় সত্য।
১৯৭৫সালের আগে খালেদা জিয়া ১৫আগস্টে তার জন্মদিন পালন করেছে কিনা তা আমার জানা নেই। কেউ জানলে আমাকে সঠিক তথ্য সহ জানাবেন।
যদি খালেদা জিয়া ১৯৭৫ সালের আগে তার জন্মদিন ১৫আগস্টে পালন করে থাকে তবে তার জন্মদিন বর্তমানে ১৫আগস্টে পালন করা অবশ্যই অবশ্যই বৈধ হবে। হোক সেটা ভূল জন্ম তারিখ তবুও বৈধ হবে।
আর যদি ১৯৭৫এর ১৫ আগস্টের পর বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর খালেদা জিয়া তার জন্মদিন ইচ্ছাকৃত ভাবে ১৫আগস্টেই পালন করে তবে আমি বলব এটা অন্যায়, অপরাধ এবং কাউকে খুন করা দেখে হতে তালি দেওয়ার সামিল।
তাই ভাবতে হবে এবং প্রমান দেখাতে হবে এটাই যে ১৯৭৫ সালের আগে খালেদা জিয়া তার জন্মদিন ১৫আগস্টে পালন করেছে কিনা। আর যদি এমন প্রমান কেউ না দেখাতে পারে তবে অযথা কারর স্বাধীন জন্মদিন পালনে বাধা সৃষ্টি না করাই উচিৎ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:১৯
সাদী ফেরদৌস বলেছেন: ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকারের গঠনের পর ১৯৯৩ সাল থেকে ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালনের রেওয়াজ চালু হয়। তবে তা ছিল ঘরোয়াভাবে ও অনাড়ম্বরভাবে। বিএনপি ক্ষমতা হারিয়ে বিরোধী দলে যাওয়ার পর ১৯৯৬ সাল থেকে এ দিনটিতে কেক কেটে জন্মদিন পালন শুরু হয়। ১৯৯৬ সালের ১৫ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রীয় মিন্টুরোডের সরকারি বাসভবনে খালেদা জিয়া প্রথমবারের মতো নেতা-কর্মীদের নিয়ে কেক কেটে জন্মদিন পালন করা শুরু করেন। সেসময়ের একজন যুবদল নেতা ও কয়েকজন বুদ্ধিজীবীর পরামর্শে এ আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় বলে বিএনপির কয়েকজন নেতা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন।
তবে ১৯৯১ সালের ২০ মার্চ খালেদা জিয়া প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর সরকারিভাবে গণমাধ্যমে তাঁর যে জীবনবৃত্তান্ত পাঠানো হয়েছিল তা ২১ মার্চ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়। তাতে বলা হয়েছিল, খালেদা জিয়া ১৯৪৫ সালের ১৯ আগস্ট দিনাজপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।