নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফেচবুকে আমি https://www.facebook.com/profile.php?id=100009146100737&fref=ts

যুদ্ধরত জাতির সমালোচক

সঠিক কথা বলতে পছন্দ করি, মিথ্যাবাদীদে একদমই পছন্দ করিনা। www.facebook.com/100009146100737

যুদ্ধরত জাতির সমালোচক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৃদ্ধাশ্রম শব্দটা শুনলেই কেমন যেন নিজের কাছে মানুষ হিসেবে কুলাঙ্গার কুলাঙ্গার মনে হয়।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৩৩

বৃদ্ধাশ্রম শব্দটা শুনলেই কেমন যেন নিজের কাছে মানুষ হিসেবে কুলাঙ্গার কুলাঙ্গার মনে হয়।
পাশের বাসার সালাম কাকার বৃদ্ধা মা বয়স হবে হয়ত ৮০ থেকে ৮৫। বৃদ্ধা মহিলাটি কানে শুনে না তার ‪#‎দুইটা‬ ছেলে, সালাম কাকা তার ছোট ছেলে। এ বয়সে সে ছেলেদের ঘাড়ে বসে মজা করে খাবে একটু জ্বালাবে এটাই তো হবার কথা।

সালাম কাকা তার মাকে অনেক ভালবাসে কিন্তু সমস্যা হলো সালাম কাকার বউকে নিয়ে। সালাম কাকা যখন বাসা থেকে কর্মস্থলে যাই তখন বৃদ্ধ মহিলাটির উপর চলে কটু কথা দ্বারা নির্যাতন। হয়ত বৃদ্ধ মহিলাটি তার কটু কথা তেমন শুনতে পারে না কিন্তু সে ঠিকই বোঝে তাকে সে সহ্য করতে পারছে না।

ঘটনা এক:
হঠাৎ করে দুপুর ১২টার সময় শুনতে পেলাম বৃদ্ধ মহিলাটি এখনো না খেয়ে বিভিন্ন বাড়িতে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এক আন্টি বৃদ্ধা মহিলাকে প্রশ্ন করলো যে, "সে সকালে কি খেয়েছে?" জবাবে বৃদ্ধ উত্তর দিলো "আজ বাসায় ওরা রান্না করেনি কখন রান্না করবে তাও জানি না"। বৃদ্ধ মহিলাটি যে হ্মুধার্ত তা হয়তো সে প্রকাশ করতে লজ্জা পাচ্ছে কিন্তু সে হ্মুধার্ত!!

ঘটনা দুই:
এই বৃদ্ধা মহিলা এক এক সময় তার এক এক ছেলের বাড়িতে খাবার খাই। হয়ত দুই ছেলে সিদ্ধান্ত করে ঠিক করেছে যে বৃদ্ধ মহিলাটি কখন কার বাসায় খাবে।
কিন্তু একদিন বৃদ্ধার জন্য খাবার রান্না করা নিয়ে দুই ভাইয়ের দুই বউ গেনজাম শুরু করে দিলো।

ভাবুন তো এই বৃদ্ধা মহিলা তিন বেলাই কতটুকু খাবার খেতে পারে বা তার খাবারের চাহিদা কতটুকু্ বা কত বেশি হতে পারে??

তিনবেলা যদি তিনটা ফকির এসেও কারর বাসায় খাবার চাই তবে কেউ খাবার দিতে মনে হয় কষ্ট পাই না কিন্তু এই বৃদ্ধা মহিলাটি একটি পরিবারের জননী। যার জন্য এই পৃথিবীর আলো দেখছে তার পরিবারের সদস্যরা আর তাকে খাবার জন্য কটু কথা শুনতে হয়। এটা কতটা কষ্টের এবং অপমানের তা হয়ত একমাত্র বৃদ্ধা মহিলাটিই ভালো জানে।

এমন বৃদ্ধা মহিলার সংখ্যা আমাদের সমাজে এখন অনেক এবং তাদের আশ্রয় স্থল হচ্ছে বৃদ্ধাশ্রম। সন্তান জিবীত থাকার পরও যে সব বাবা-মায়ের ঠিকানা বৃদ্ধাশ্রম হয় সেই সব হতভাগা সন্তানকে কুলাঙ্গার বললে কি খারাপ শোনা যাই।

যে সব মহিলারা তাদের বৃদ্ধ শশুর শাশুরীর সাথে খারাপ ব্যবহার করে তারা হয়ত জানেনা যে তারাও এক সময় বৃদ্ধ হবে এবং তাদের পরিনতিও খারাপ হবে। এরা কেমন মহিলা তা নিয়ে আর লিখতে বসলাম না।

এমন তো নয় যে আপনি ভিহ্মা করেন আর তাই আপনার মা-বাবা আজ বৃদ্ধাশ্রমে?? ভেবে দেখুন আপনার বৃদ্ধ মা-বাবার জন্য সারা দিনে খাবার খরচ ধরলেও আপনার ১০০টাকাও নষ্ট হয় না কিন্তু আপনি চা-বিড়ি খেয়ে প্রতিদিন তার চেয়ে বেশি টাকা নষ্ট করছেন!!

বৃদ্ধ বয়সে মা-বাবা একটু সন্তানের একটু ভালবাসা আশা করে তাছারা আর কিছুই না।
তাই আমি মনে করি বৃদ্ধাশ্রমকে সবার না বলা উচিৎ এবং পরিবারের বৃদ্ধা সদস্যকে সর্বদা ভালোবাসা ও সেবা করা উচিৎ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.