নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই মেয়ে এই !!! কী করলে এটা ?
- ওহ ! ভাইয়া আপনি ? কী হয়েছে ?
- কী হয়েছে মানে ? আমার উপর পানি ছুড়েছো কেন ?
- কী যে বলেন ভাইয়া ? আমি ফেলেছি নাকি ?
- তাহলে কে ফেলেছে ? আমি তো তোমাকে দৌড় দিতে দেখলাম
- ওটা আমার ছোট ভাইটার কাজ , আমি তো ওকে থামাতে এসেছিলাম
- তাই বলে নীচে দাড়ানো একটা মানুষের গায়ে পানি ছুড়ে দেবে ?
- আর বলবেন না , যা দুষ্ট না ? বাসার নীচে অন্য ছেলে দেখলেই পানি ছুড়ে মারে
- বলো কী ? কেন ?
- ও মনে করে ছেলেরা ওর আপুকে দেখতে বাসার নীচে দাড়িয়ে থাকে , ভাবা যায় না
- আহেম আহেম ! তোমার বাবাকে ডাকো , বিচার দেবো
- ভাইয়া , বাবাকে ডাকলে তো বিপদে পড়ে যাবেন
- কেন ? কীসের বিপদ ? আমি কী ডরাই নাকি ?
- না মানে বাবা যখন জিজ্ঞেস করবে আপনি আমাদের বাসার নীচে কী করছিলেন তখন কী বলবেন ?
- আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে , যাও তোমার কথা ভেবে এইবারের মত মাফ করে দিলাম
- ও বাবা ! আপনি কী আবার নীচে দাড়িয়ে ভেজার চিন্তা করছেন নাকি ?
- তুমি বড্ড বেশি কথা বলো !! এত কথা বলবে না - মানুষ বাচাল বলবে !
- ভাইয়া লাস্ট একটা কথা বলি ?
- জলদি বলো , আমার কাজ আছে !
- ভাইয়া আমাদের বাসায় আসেন , চা খেয়ে যান , মা খুব ভাল চা বানায় !
হঠাৎ ভিজে যাওয়া শাহীন দ্রুত হাটার নাম করে দৌড়াতে শুরু করে , ওই বাড়ি থেকে আড়ালে গিয়ে হাপাতে থাকে আর ভাবতে থাকে বিশাল বড় বিপদ থেকে বেচে গেছে। কিন্তু পরক্ষনেই তার আবার মনে হতে থাকে আবার সেই বাড়ির নীচে গিয়ে দাড়াক , পিচ্চি ছেলেটা পানি ছুড়ে মারুক , তার বোন তাকে থামাতে ছুটে আসুক আর তার পর আবার কিছু কথা হোক । এইবার চা খাবার কথা বললে সে ঠিকই চা খেয়ে আসবে। কিন্তু পলায়নকালীন সময়ে সে এটা খেয়াল করেনি এক অষ্টাদশী দুচোখে গভীর মায়া নিয়ে তার পলায়ন দৃশ্যের দিকে তাকিয়েছিল আর হাসতে হাসতে বলেছিল “ আবার আসবেন , এইবার নিজের হাতে চা বানিয়ে খাওয়ানোর কথা বলবো ”
©somewhere in net ltd.