নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যেন বাক্সে বাঁধা জীবন ও সময়। বাক্সের ভাঁজে ভাঁজে ঘুরে ফিরে আসে আশা, আকাঙ্খা আর স্বপ্ন। জীবনের প্রয়োজনে ব্যাস্ত আমরা যে যার মত। হয়না নিজের মত করে বাঁচা। বুঝে উঠার আগেই হরিয়ে ফেলি ইচ্ছে ঘুড়ির নাটাই। কিন্তু আয়ু কি অফুরন্ত??? ফিরে যেতে চাই শৈশবের সোনাঝরা দিন গুলোতে। বাঁচতে চাই নিজের মত করে......
ছোটবেলা থেকে যার খেলা দেখে ফুটবল কি তা জেনেছি, সে হলো রিকার্ডো আইজেকসন ডস সান্টোস লেইটি। সবাই যাকে “কাকা” নামে চিনে। শুধু আমি না, আমার মত অনেকেই হয়ত ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা জন্মেছে এই মানুষটির জন্য। আর তার ভক্ত না হয়ে উপায় আছে, যার ফুটবল ক্যারিয়ার অন্য সবার চেয়ে একটু হলেও আলাধা। আমার দেখা সেরা ‘প্লেমেকার’ই নয়, রেকর্ডের ঠাঁসা তাঁর পুরোটা জীবন। ফুটবলের এমন কোন ট্রপি নাই, যাতে কাকার স্পর্শ পড়েনি।
১৬ বছর বয়স থেকে আজও সমান দ্রুতিতে আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে এই মহাবীর। “স্বচ্ছ” ফুটবলের হাতেগোনা কয়েক মহারথির একজন “কাকা”। এসেছে, খেলেছে, সবার মনে জায়গা করে নিয়েছে। ব্রাজিল, এসি মিলান, রিয়াল মাদ্রিদ যেখানেই খেলেছে, দলকে উজাড় করে দিয়েছে। ফলও যা পাবার তাই। ব্যালন ডি'অর (২০০৭), সিরি আ বর্ষসেরা ফুটবলার (২০০৪, ২০০৭), সাম্বা ডি'অর (২০০৮), ফিফা বিশ্বকাপ টপ অ্যাসিস্টার (২০১০), উয়েফা ক্লাব বর্ষসেরা ফুটবলার (২০০৬–০৭), আইএফএফএইচএস বিশ্ব সেরা প্লেমেকার (২০০৭), আইএএএফ লাতিন বর্ষসেরা খেলোয়াড় (২০০৭)...... লিস্টটা অনেক বড়। এতো গেলো ব্যাক্তিগত অর্জন। দলীয় অর্জনও কম নয়। সিরি এ (২০০৩–০৪), উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ (২০০৬–০৭), ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ (২০০৭), লা লিগা (২০১১–১২), কোপা ডেল রে (২০১০–১১), ফিফা বিশ্বকাপ (২০০২), ফিফা কনফেডারেশনস কাপ (২০০৫, ২০০৯)। খুব কম খেলোয়ারই আছে, যে এতগুলা ট্রপির ভাগ পেয়েছে।
আজ এই অতি-মানবের জন্মদিন। জন্মদিনে অনেক, অনেক, অনেক শুভেচ্ছা, ভালোবাসা। ভালো থেকো বস, সবসময়।
©somewhere in net ltd.