নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফেসবুকে রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ আর তসিলিমা নাসরিনের একটা প্রেমময় ছবি দেখে সেভ করে রেখেছিলাম। (মোবাইল থেকে ছবি এডজাস্ট করতে পারছি না বলে এখানে তা দেয়া গেল না) তখনই ইচ্ছে জাগে, তাদের প্রেম আর পরবর্তী সম্পর্ক নিয়ে কিছু লিখি।
তসলমাকে ভালোবেসে রুদ্র "সকাল " বলে ডাকতো। কবিতাতেও এই নামে ডেকেছে তাকে :
"সেই যে আমি স্বপ্নে ভীষণ রক্ত দেখি,
টকটকে লাল রক্ত দেখি
সেই যে আমি রাত্রে চোখে ঘুম আসে না
চোখ বুজলেই মিছিল দেখি,বুলেটবিদ্ধ মানুষ
দেখি
সেই যে আমি একটুখানি স্নেহের কাঙ্গাল, মনে
পড়ছে ?
সেই যে আমি দাঁড়িয়েছিলাম, দ্বিধাগ্রস্ত
দাঁড়িয়েছিলাম
মনে পড়ছে ? সকাল, তোমার মনে পড়ছে ?"
রুদ্রর কাছে শেষবারের মতো লেখা তসলিমার খুব সুন্দর চিঠিটির "পুনশ্চ " অংশটুকু,
" আমাকে সকাল বলে ডাকতে তুমি।
কতোকাল ঐ ডাক শুনি না। তুমি কি আকাশ থেকে
সকাল, আমার সকাল বলে মাঝে মধ্যে ডাকো?
নাকি আমি ভুল শুনি?"
"সময় যদিও অনন্ত, তবু প্রেম সে অনন্ত নিয়ে নয়।" টিকেনি তাদের প্রেম। মধুর সম্পর্ক গড়ালো বিষে। বিচ্ছেদের পর রুদ্রর ব্যাপারে একটা কবিতায় তসলিমা লিখেছিলো,
“তার চেয়ে কুকুর পোষা ভাল
ধূর্ত যে শেয়াল, সেও পোষ মানে।
দুধ কলা দিয়ে আদরে আহ্লাদে এক
কবিকে পুষেছি এতকাল।
আমাকে ছোবল মেরে
দেখ সেই কবি আজ কীভাবে পালায়”
বিপরীতে রুদ্র লেখে এই কবিতাটি :
"তুমি বরং কুকুর পোষো,
প্রভুভক্ত খুনসুটিতে কাটবে তোমার নিবিড় সময়,
তোমার জন্য বিড়ালই ঠিক,
বরং তুমি বিড়ালই পোষো
খাঁটি জিনিস চিনতে তোমার ভুল হয়ে যায়
খুঁজে এবার পেয়েছ ঠিক দিক ঠিকানা
লক্ষী সোনা, এখন তুমি বিড়াল এবং কুকুর পোষো
শুকরগুলো তোমার সাথে খাপ খেয়ে যায়,
কাদা ঘাটায় দক্ষতা বেশ সমান সমান।
ঘাটাঘাটির ঘনঘটায় তোমাকে খুব তৃপ্ত দেখি,
তুমি বরং ওই পুকুরেই নাইতে নামো
উংক পাবে, জলও পাবে।
চুল ভেজারও তেমন কোন আশঙ্কা নেই,
ইচ্ছেমত যেমন খুশি নাইতে পারো।
ঘোলা পানির আড়াল পেলে
কে আর পাবে তোমার দেখা।
মাছ শিকারেও নামতে পারো
তুমি বরং ঘোলা পানির মাছ শিকারে
দেখাও তোমার গভীর মেধা।
তুমি তোমার স্বভাব গাছে দাঁড়িয়ে পড়ো
নিরিবিলির স্বপ্ন নিয়ে আর কতকাল?
শুধু শুধুই মগজে এক মোহন ব্যধি
তুমি বরং কুকুর পোষো, বিড়াল পোষো,
কুকুর খুবই প্রভুভক্ত এবং বিড়াল আদরপ্রিয়
তোমার জন্য এমন সামঞ্জস্য তুমি কোথায় পাবে ?"
২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৭
খোলা মনের কথা বলেছেন:
৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৪১
দেওয়ান তাহমিদ বলেছেন: শতদ্রু একটি নদী, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৮
দেওয়ান তাহমিদ বলেছেন: খোলা মনের কথা, আমার কাছে যে ছবিটি আছে তা বেশ অন্তরঙ্গ মুহূর্তের। তাদের যে গভীর প্রেম ছিলো, তার প্রতিচ্ছবি মনে হয় সেটাকে। কমেন্টের ছবিটির জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৫৬
ওয়াহিদ সাইম বলেছেন: তসলিমা নাসরিন খুবই আলোচিত-সমালোচিত। বিশেষ করে দেশের ইসলামিক মৌলবাদী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিবাদ-আন্দোলন-টান্দোলনের কারনে মিডিয়ার বদৌতে তার পরিচিতি দেশের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে।অনেকে তাকে না জেনে বা তার বই না পড়ে বা তার লেখার খন্ডিত বাক্যাংশ পড়ে বা শুনে তাকে প্রচন্ড ঘৃণাও করে থাকে।আমিও তাকে জানিনা বা তার কোন লেখাও পড়িনি।তাই তসলিমার জন্য আমার পছন্দ-অপছন্দ, ঘৃনা-ভালোবাসা কোনটাই নেই।তবে আমি লেখকের লেখার স্বাধিনতার সমর্থক এবং প্রগতিশীল ইতিবাচক লেখার সোচ্চার সমর্থক।
৬| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:১৮
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: রুদ্রকে ভাল লাগে| তসলিমাকে সাপোর্ট করি
৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:১১
দেওয়ান তাহমিদ বলেছেন: ওয়াহিদ সাইম, এই নিরপেক্ষতা ভালো।সাধুবাদ।
৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:১২
দেওয়ান তাহমিদ বলেছেন: আরণ্যক রাখাল, আমার রুদ্রর কবিতা ভালো লাগে, মাঝে মাঝে তসলিমারও।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:০৭
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: রুদ্রর কবিতা পড়তে ভালোলাগে। তসলিমারও। জীবন নিয়ে এদের আবেগ আর ধারনা ভাসমান। অতিরিক্ত বোধসম্পন্ন জীবনের চেয়ে আমাদের সাধারন বোধসম্পন্ন জীবনই ভালো। জীবনকে বেশি জেনে গেলে ঝামেলা বেশি।