নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ব্লগারের সকল লেখাই সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

ধ্রুবক আলো

লেখকরা মনে মনে যত লেখা লিখেন তার ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ লিখেন কাগজে-কলমে। - হুমায়ুন আহমেদ

ধ্রুবক আলো › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমূল পরিবর্তন কিভাবে হবে; জেগে ঘুমিয়ে থাকলে কি বিপ্লব ঘটবে!!

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৯




আমাদের দেশে জনগণ বোধহয় কখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না! মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে গেলে মেরুদন্ড শক্ত হতে হয়, কিন্তু এই জাতির মেরুদন্ড খুবই দুর্বল!
তাই এই জাতির সম্ভবত কোনো দিন কোনো উন্নয়ন হবে না। এমন মনে করার বেশ কিছু মূল কারণ রয়েছে। একটু বিস্তরভাবে পর্যায় ক্রমে বলতে হবে,

আমাদের দেশের মানুষ পড়ালেখা করে যেন শিক্ষা জীবনের শেষে একটা চাকুরী পেতে পারে, কারণ ভালো চাকুরী না পেলে সমাজে দাম নেই! বেশিরভাগ মানুষের একটাই লক্ষ্য ভালো রেজাল্ট করা, জিপিএ ফাইভ পাওয়া!
এটাই স্বাভাবিক, কারণ আমাদেরকে তেমনি করে গড়ে তোলা হচ্ছে। শিক্ষার মূল উপাদান কি তা কেউই গ্রহণ করতে পারছে না, শিক্ষকরা দিতেও ব্যর্থ হচ্ছেন। বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীর অবিভাবকগন চাইছেন পরীক্ষার ফলাফল। ছেলে মেয়ে কি শিক্ষা নিচ্ছে সেদিকে খুব একটা মাথা ব্যাথা নেই। সবারই একই চিন্তা পরীক্ষার আগে কিভাবে প্রশ্নপত্র পাওয়া যায়; প্রশ্ন পত্র ফাঁস,, থাক সেই প্রসঙ্গ।
পড়ালেখা করা হয় জ্ঞান অর্জনের জন্য। কিন্তু আধুনিক যুগে তাই হয় কি? হয় না। স্মার্ট ফোনের যুগ এখন সবাই স্মার্ট হয়ে গেছে। সভ্যতা বেশ ভালো ভাবে বিকশিত হয়েছে এবং গলা টিপে ধরেছে (কথাটা অনেকের শক্ত লাগতে পারে)। ভালো রেজাল্ট, জিপিএ ফাইভ না পেলে পাশের বাড়ির বন্ধুর সামনে মুখ দেখানো যাবে না, ভালো কলেজে ভর্তি হওয়া যাবে না! ভালো কলেজে ভর্তি না হওয়া গেলে মান সম্মান অক্ষুন্ন থাকবে না, ভালো রেজাল্ট করতে হলে ভালো কলেজে ভর্তি হতে হবে, ভালো রেজাল্ট থাকলে ভালো ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়া যাবে, ভালো রেজাল্ট করতে পারলে ব্যাংকে একটা ভালো চাকুরী পাওয়া যাবে অথবা কোন মতে টেবিলের নিচ দিয়ে লেনদেন করে একটা সরকারি চাকুরী ব্যবস্থা করা যাবে, এই..! আর কার কি হলো এখন আর দেখার সময় নাই!!

একটা চাকুরিজীবি লোক বিশেষ করে যার বাড়ি আছে, বাড়ি ভাড়া নিয়ে কোনো চিন্তা করতে হয় না। দেশের পরিস্থিতি নিয়ে তার চিন্তা এমন; দেশে যা ঘটুক তাতে আমার কি?! আমি তো ভালো আছি, আমার বাড়ি আছে মাস শেষে বেতন পাই, ভালো চাকুরী, পদ ভালো, ভালো সম্মান আছে। কে কি করলো সেটা আমার দেখার বিষয় না, ক্ষতি হলে সবার হবে আমার একার তো হবে না! প্রায়ই সকল চাকুরিজীবীদেরই একই চিন্তা-ভাবনা!!
একজন বড় বা ছোট ব্যবসায়ীও কিন্তু এরকম চিন্তাই করে যে, আমি কষ্ট করে ব্যবসা করছি, আমার মূলধন বিনিয়োগ করা, মাস শেষে আমাকে লাভ গুনতে হবে যেভাবেই হোক। কে কি করছে সেটা আমার দেখার বিষয় না। তার মনে এও চিন্তা আসতেই পারে, দেশের ক্ষতি হলে আমার কি? কে দুর্নীতি করলো, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র হোক বা না হোক বা ট্রানজিট কে ফ্রি ভোগ করলো, বাজেট কেমন হলো, সরকার কৃষি ও শিক্ষা খাতে কোনো নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করলো কি না, কোথায় কোনো অন্যায় বিচার হলো কিনা, সেটা আমার দেখার বা জানার বিষয় নয়। দেশে আইন আছে, আর ক্ষতি হলে সবার হবে আমার একা হবে না!!

একটা জিনিস সবাই লক্ষ্য করে থাকবেন যে বৃষ্টি হলেই ঢাকা শহরে রাস্তায় পানি জমে যায়! চলাচল ব্যবস্থা অচল হয়ে পরে। মূলত এর জন্য দায়ী কে। প্রশাসন তো দায়ী সাথে জনগণও দায়ী! আমি আমাদের শহরের একটা চিত্র আলোচনা করি, আমাদের এলাকায় যেখানে বাস করি সেখানে বৃষ্টি হলে দু তিন দিন রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করা মুশকিল ও বিপদজনক! এর মূল সমস্যা হলো ড্রেইনেজ ব্যবস্থা! এলাকার অনেক নাগরিক বিশেষ করে যারা ভাড়া থাকে তারা ময়লা ফেলার জন্য ডাস্টবিন ব্যবহার করে না, তারা কি করে জানলে অবাক হবেন! তারা ময়লাগুলো পলিথিনে ঢুকিয়ে বেঁধে ড্রেইনে ছুড়ে ফেলে!! এরকম শত শত বাড়ি আর শত শত পলিথিনের ব্যাগ এবার বলেন কিভাবে ড্রেইন দিয়ে পানি নিষ্কাশন হবে। যদি এদের বলা হয় আপনারা ময়লা এভাবে ড্রেইনে ফেলবেন না। উনাদের উত্তর, এটা সরকারি জায়গা আমরা ফেলবই আপনি বলার বা বাধা দেয়ার কে। এদেরকে ফেরেশতাও বুঝাইতে ফেল করবে।
আর আছেন এলাকার বড় নেতা বা মোড়ল একটু প্রভাব, প্রতাপ শালী বা বাড়িওয়ালা যারা বাড়ি ভাড়া দেয় তাদেরকে যদি বলা হয় কোনো উদ্যোগ বা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে; তাহলেও ফলাফল শূন্য। তাদের তো আর সমস্যা নাই তাদের চলাচলের জন্য গাড়ি আছে, মাস শেষে বাড়ি থেকে ভাড়া উঠায়, তাদের বাড়ি রাস্তা থেকে ৩.৫ ফিটের উপরে বৃষ্টি হোক আর বন্যা তাদের কোনো অসুবিধে নেই। তারা নিশ্চিন্তে আছেন। যখন তাদের কে কেউ এই বৃষ্টির পানি ড্রেইনের পানি জমে রাস্তার বেহাল দশার কথা বলা হয়, তখন তারা সুন্দর করে বলে দেন, আমার কি, সমস্যা হলে সবার হবে আমার একার তো আর হবে না..!!
সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার কর্মকর্তাদেরও কাজের কোনো ঠিক ঠিকানা নেই। পরিকল্পনা করে এক রকম আর কাজ করে আরেক রকম! রাস্তা ঘাট, ড্রেইনেজ ব্যবস্থা, ডাস্টবিন ইত্যাদির উন্নয়ন ব্যবস্থা নিয়ে তাদের চিন্তা খুব কম। মাঝে মাঝে উপর মহল বা জনগণ আর নাহলে স্থানীয় লোকের হুঙ্কার টাইপ অনুরোধে কিছু সামান্য কাজ করা হয়। কিন্তু তাও পর্যাপ্ত নয়! আর বাদবাকি সময় দেখা যায় প্রশাসন কর্মকর্তারা উধাও।
(কথা গুলো নিজ অভিজ্ঞতা থেকে গোছানো)

রাজনীতির কথাই যদি বলি তাহলে কি দাঁড়ায়! আমাদের দেশে সঠিক রাজনীতি, রাষ্ট্রনীতি চর্চা হয় না। অনেকেই রাজনীতি ভালো বুঝে, এটা নিয়ে কথা বলে, লেখালেখি করে, কিন্তু তা কতটুকু ইফেক্টিভ? শূন্য (0)..! আমাদের দেশে রাজনীতিবিদ গড়ে উঠছে না, মানে রাজনীতি করতে সচেতন ও সাবলীল নাগরিক কেউ আগ্রহী নয়।
এই দেশে একটা ছেলে রাজনীতিতে পা বাড়ায় তার চিন্তাই থাকে কিভাবে দুর্নীতি করে নিজের পকেট বড় করা যায়!!
আর, যারা রাজনীতিতে আসছে তারা হয়তো কেউ বাবা-চাচাদের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের সহযোগিতা পেয়ে আসছে নয়তো ছাত্র রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছে অর্থ ছিটিয়ে বা স্থানীয় দাপটে। এরা এসে সেই অর্থ আর প্রতিপত্তির আর ক্ষমতার পেছনেই ছুটে দেশের কোনো উন্নয়ন মূলক কাজে ছুটে না। ছোট বেলা থেকে কেউই প্রেসিডেন্ট বা মিনিস্টার হওয়ার স্বপ্ন দেখেনা। রাজনৈতিক অঙ্গনের পাইপ লাইনে এমন কোনো সাধারণ বা অসাধারণ জেনারেশন নেই যারা ভবিষ্যতে এসে রাজনীতি করবে। তাই সেই পুরোনো ব্যক্তি বর্গ ও তাদের ছেলে মেয়ে রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছে সোজা ক্ষমতা পেয়ে বসছে; এরা কেউ না রাজনীতি বুঝে না রাষ্ট্রনীতি।
এইসব কার্যসমূহ, একটি দেশ ও জাতির জন্য প্রগতিশীল নয়!!

আমি প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের শিক্ষা খাতে ও কৃষি খাতে খুব বেশি প্রাধান্য ও পৃষ্ঠপোষকতা দিতাম। কিন্তু সেই সুযোগ আমার নাই কারণ আমার বাবা কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব না বা মামা-চাচা কেউই রাজনৈতিক নেতা না। হলে আমি ঠিকই রাজনীতি করতাম, ক্ষমতায় যেতাম আর সেই দুর্নীতিই করতাম। আসলে সিস্টেমটাই এমন হয়ে গেছে!!
কেন এমন হলো? কারণ, এই সিস্টেম তৈরি করে ফেলা হয়েছে! আমাদের দেশে একটা কথা প্রচলিত আছে যে, "মন্ত্রীর ড্রাইভারও মন্ত্রী"! কিভাবে?! আশ্চর্যজনক হলেও সত্য। প্রধানমন্ত্রী কি আর সব দিকে খোঁজ খবর রাখতে পারে? পারে না। যখন কোনো নেতা কর্মী বা এমপি মন্ত্রীর কারোর তদবিরের প্রয়োজন হয় তখন সে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ধরনা দেয়, যখন সরাসরি কাজ না হয়, তখন তারা ওই ডুপ্লিকেট মন্ত্রীর হাত ধরেন, আর কাজ উসুল করে নেন! এই পথে কিভাবে কাজ হয়, তা অনেক বড় এক রহস্য! আর এই পথে কাজ বন্ধ হয়ে গেলে তখন প্রধানমন্ত্রীর খারাপ দিন শুরু হয়ে যাবে!
এই ভাবেই চলে আসতেছে; একদম নিচের সারির যে নেতা কর্মী যারা আছেন তাদের স্বার্থ উদ্ধার না হলেই তারা চোখ উল্টাবে, মানে দল বদল....! যেখানে খুব সুবিধা পাওয়া যাবে, মন মত কাজ উদ্ধার হবে তারা সেখানেই যাবে!
এখানে আমি প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করছি না বা একজন কাউকে নির্দিষ্ট করে কথা গুলো লিখছি না। লিখছি পুরো অন্তর্বর্তী সমস্যা নিয়ে! প্রথম থেকেই যা হয়ে আসছে তা এখন খুব সহজে বন্ধ করা যাবে না! তার মানে ভুল প্রথম থেকেই হয়ে আসছে, যা এখন শোধরানো সহজ পথের বাইরে চলে গেছে!!

এখন এই সব ভুল শোধরাতে হলে ১৯৭১ এর পেছনে চলে যেতে হবে!! কম করে হলেও মুক্তিযুদ্ধের ২০ বছর পেছনে যেতে হবে!!

[ ধরা যাক, এই ব্লগ থেকে কাউকে প্রধান মন্ত্রী বানিয়ে দেয়া হলো, যেমন চাঁদগাজী ভাইকে প্রধানমন্ত্রী বানানো হলো, দুঃখের বিষয় তাকেও এই সিস্টেমের সাথে চলতে হবে! এখন সে যদি সিস্টেম বদলাতে যায় তখন সিস্টেম তাকে বদলে ফেলবে!! ]

তবে এখানে একটা কথা বলতে হয় যে, এদেশের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি আরও মন্ত্রীগণ সকলেই যারা আছেন তারা সবাই স্বজনপ্রীতি দেখান বেশি!! কেউই দুর্নীতির বাইরে নন। কেউই দুর্নীতি বিহীন থাকতে পারছেন না বা চাইছেন না! সবাই দুর্নীতিকে সাপোর্ট করে যাচ্ছেন চোখের আড়ালে!! কেউই সাধারণ মানুষের খোঁজ খবর রাখেন না, তাদের দুর্ভোগের খবর রাখেন না, রাখলেও খুব বেশি না!! কোথাও দুর্ভোগ হচ্ছে সেখানে নজর কম বা খুব একটা ধার ধারে না! যখন মিডিয়ার চোখে পড়ে তখন তাদের সেখানে দেখা যায়।
যেমন ঢাকায় একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধ হয়ে যায়, কিন্তু প্রশাসনের কাজের অগ্রগতি নিয়ে কোনও মাথা ব্যাথা নেই! ঠিক যেমনটা নেই নদী মাতৃক অঞ্চল, গ্রাম অঞ্চল গুলো নিয়ে যেখানে বন্যা ও নদী ভাঙ্গন প্রতি বছরই হয়ে থাকে। প্রশাসন এই দিকে উদাস! পারলে বলে দিতো, বন্যার দিন বন্যা হবে নদী ভাঙবেই আমরা কি করবো!!
বৃষ্টির ছাড়াও খরার দিনেও প্রশাসন উদাস! কোথা হতে পানি সংগ্রহ করা যায় বা কিভাবে পানি সরবরাহ করা যায় সে ব্যাপারেও তারা উদাস। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনেও বৃষ্টির দিন পানি জমে থাকে! অথচ বিশুদ্ধ পানি দিতে ব্যর্থ!(এটা একটা উদাহরণ মাত্র, এরকম আরও অনেক রয়েছে)

প্রশাসন মনে করতে চায় না যে, জনগণের টাকায় তাদের বেতন করা হয়! তাদের যে একটা দায়িত্ব কর্তব্য আছে সেটা তারা মনে রাখতে চায় না। তাদের চিন্তা কিভাবে দুর্নীতি করে মোটা অংকের টাকা কামানো যায় আর মাস শেষে বেতন টা কখন পাওয়া যাবে!!


দেশ যেরকম চলছে সেরকমই থেকে যাবে! কোনই প্রগতি হবে না, নতুন আশা জাগবে না, রেভলুশন বা আমূল পরিবর্তন হবে না।
চাকুরীজীবি সবাই ওই সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ডিউটি করবে, রাজনীতিবিদ ক্ষমতার গরম দেখাবে, বিচার প্রক্রিয়া পক্ষপাত দুষ্ট হবে, এমপি, মিনিস্টারদের দুর্নীতি বন্ধ হবে না!! শিক্ষা ও অশিক্ষার মধ্যে পার্থক্য উঠে যাবে।

একজন সরকারী চাকুরীজীবির কথা: যে যাই করুক, যা ইচ্ছা তাই করুক, সরকার, মন্ত্রী দুর্নীতি করুক আর নাই করুক আমার মাথা ব্যাথা নাই, আমি ভালো আছিতো এইটুকুই চলবে। মন্ত্রী মিনিস্টার দুর্নীতি করে ব্যাংকে টাকা ভরে ফেলুক আমার তাতে কিছুই আসে যায় না, কোনো মাথা ব্যাথাও নাই! ( এবার বলেন কি করা যায়) এই দেশের মানুষকে দিয়ে আদৌ কি Revolution সম্ভব! আদৌ কি উন্নতি সম্ভব?! ভাবুন.....

এই যদি দেশের মানুষের দেশ নিয়ে চিন্তা ভাবনা হয় তাহলে কিভাবে একটা দেশ সামনে এগিয়ে যাবে??
আমরা পকেটে টাকা, বাড়িতে এসি, চিকন চালের গরম ভাত হলেই কি সব পাওয়া হয়ে গেলো! দেশ নিয়ে কি কারও চিন্তা থাকতে পারেনা বা চিন্তা করবে না?!

একটা জাতির কিছু মানুষ নিজ স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত, কিছু মানুষ ভালো মন্দ বুঝে না এবং বুঝার চেষ্টাও করে না, অধিক সংখ্যক মানুষ ভীতু ভয়ে কোনো কথাই বলতে রাজি না, কিছু মানুষ বলছে হয়তো নিজের স্বার্থ উদ্ধার করার জন্য একটা কৌশল অবলম্বন করছে, আর কিছু সংখ্যক মানুষ কলম দিয়ে যুদ্ধ করছে বা ভার্চুয়াল জগতে লিখে যুদ্ধ করছে! মানে স্বার্থহীনভাবে সত্য বলার মত মানুষ এখন সম্ভবত অণুবীক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে খুঁজে বের করতে হবে।
আর এই যদি হয় একটা দেশের সমগ্র জনগণের অবস্থা তাহলে একটা জাতি জাগ্রত হবে কিভাবে..??

আমাদের ছোটবেলায় শেখানো হত, মিথ্যে বললে আল্লাহ্ নামাজ, ইবাদাত কবুল করেন না। যদি সাথে এও শেখানো হতো যে ঘুষ নিলে ও সুদ লেনদেন করলে দুর্নীতি করলে মানুষের ক্ষতি করলে বা খারাপের চিন্তা করলে নামাজ, ইবাদাত কবুল হয় না তাহলে আরও ভালো একটা শিক্ষা পাওয়া যেত। কই আদৌ পর্যন্ত তো কাউকে এমন শিক্ষা দিতে দেখা গেল না!!

Revolution comes in a Millennium. কথাটা একটা সময় ভুল প্রমাণিত হতে পারে! একচুলি হয়ে গেছেই...!! Revolution বা আমূল পরিবর্তন এদেশে এখন বোধহয় অসম্ভব!
.
আমি একবেলা কম খাই, চেষ্টা করতেছি দুই বেলা কম খাওয়ার জন্যে। এটা আমি এই জাতি, এই সমাজ, সমাজ ব্যবস্থা, প্রশাসন, সরকার ব্যবস্থাকে ধিক্কার জানাতে করছি।

পাদটিকা ১ : ক্ষুদিরামকে যখন ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয় তখন তাকে তার শেষ ইচ্ছের কথা জিজ্ঞেস করা হয়। ক্ষুদিরাম বলেছিলো, তোমরা আমার ইচ্ছে কখনই পূরণ করতে পারবে না! তবুও ব্রিটিশ পুলিশরা জানতে চেয়েছিলো,
ক্ষুদিরাম বলেছিলো, আমি বাংলার স্বাধীনতা দেখতে চাই।

পাদটিকা ২ : আমেরিকায় কোনো বাচ্চাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় তুমি বড় হয়ে কি করবে তাহলে সে বলে, 'আমি বড় হয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হবো'। প্রায় ৯০% বাচ্চাই একই উত্তর দিবে।


জেগে ঘুমিয়ে থাকলে তাকে ঘুম থেকে কখনোই জাগানো যায় না! জাতি এখন খুব মহা এক ঘুমের ঘোরে আছে, যেখান থেকে জাগাতে হলে বিপ্লব অবশ্যই প্রয়োজন..
....
[ এবং সবশেষে, পোষ্ট খানি সত্যই বড় হয়ে গেছে সে জন্যে আন্তরিক ভাবেই দুঃখিত, কাউকে কষ্ট দেয়ার জন্যে লেখাটি লেখিনি। শুধুমাত্র দেশ ও জাতির সামগ্রিক অবস্থা কিছুটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি মাত্র।]


ছবি কৃতিত্ব: নিজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তোলা।

মন্তব্য ৪৯ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৪৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৫২

সিঙ্গাম স্যার বলেছেন: আবার নতুন একজন বঙ্গবন্ধুর জন্ম হতে হবে এদেশে!!

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৯

ধ্রুবক আলো বলেছেন: সেটাই, খুব সুন্দর কথা বলেছেন। কিন্তু এখন সেই পথ অনেক অনেক মহা কঠিন হয়ে গেছে।

২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: জেগে ঘুমিয়ে থাকলে তাকে ঘুম থেকে কখনোই জাগানো যায় না! জাতি এখন খুব মহা এক ঘুমের ঘোরে আছে, যেখান থেকে জাগাতে হলে বিপ্লব অবশ্যই প্রয়োজন.....................
ঠিক বলেছেন।

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:১১

ধ্রুবক আলো বলেছেন: বিপ্লব অবশ্যই প্রয়োজন, না হলে দেশ এগোবে না।

অনেক ধন্যবাদ ভাই, পাঠদান ও মন্তব্যের জন্য।
শুভ কামনা রইলো।

৩| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:০০

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক লম্বা পোষ্ট, ভালো বলেছেন ভাই।

আবারো পড়তে হবে আমার।

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই, পরের বার পড়লে অবশ্যই খুব মন দিয়ে পড়বেন।
শুভ কামনা রইলো।

৪| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:০৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সত্যি ভাই আজকাল দেশ নিয়ে ভাববার মত মানুষের সংখ্যা খুবই কম।
আমিও যে খুব ভাবি তা নয়। আমিও আর দশজন সাধারন মানুষের মতই হয়তো ভাবি, দেশের জন্য ভেবে আমি কি করব।
যাদের দেশ নিয়ে ভাববার কথা তারা তো ভাবেনা।
তবে আমরা সবাই যে যার স্থান থেকে যদি ভাল হতে পারতাম। সব ক্ষেত্রে ভাল মন্দর পার্থক্য করতে পারতাম তবে আমাদের দেশটা সুন্দর হত।
ঘুস বা সুদ যারা খাচ্ছে দোষ তো শুধু তাদের না। যারা দিচ্ছে তারাও সমান দোষে দোষী।
আজকাল তো কেউ টাকা ছাড়া সরকারি চাকরির কথা ভাবেই না। একটা বড় দল সব সময় প্রতিযোগীতায় থাকে কে কার চেয়ে বেশি টাকা দিয়ে চাকুরীতে ঢুকতে পারে। সামান্য পুলিশ কনস্টেবল আর আরমি চাকরির জন্য নাকি ১০-১৫ লক্ষ টাকা লাগে এখন। আমার এক ছোট ভাই আরমিতে ঢুকতে ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছিল তবুও চাকরি পায়নি। দালাল পরে আরও ৩ লক্ষ টাকা দাবি করেছিল। অন্য বড় পোষ্টের জন্য আরও কত লক্ষ টাকা দিতে হচ্ছে তা আল্লাহই ভাল জানেন।
বৃষ্টি হলে রাস্তায় পানি জমে এর জন্য সরকার যত না দায়ী তার চেয়ে আমরা জনগনই বেশি দায়ী । তার কারন তো আপনি বলেই দিয়েছেন।
আমি যেখানে থাকি সেখানে দেখেছি ড্রেনের মধ্যে ময়লা ফেলে।
সবাই যদি যে যার মত করে চলতে চাই তাহলে তো বিশৃক্ষলা হবেই।
এ সব বলতে গেলে কত কথায় বলা যায়। সবার আগে নিজেদের ভাল হতে হবে। তা হলে একদিন সব কিছুই ভাল হয়ে যাবে।
সুন্দর একটি পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ ধ্রুবক আলো।
আর পোষ্ট বড় হয়ে যাওয়ার কারনে দুঃখ প্রকাশ করার কোন মানে দেখিনা। অনেক ভাল থাকুন।

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:২৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: তবে আমরা সবাই যে যার স্থান থেকে যদি ভাল হতে পারতাম। সব ক্ষেত্রে ভাল মন্দর পার্থক্য করতে পারতাম তবে আমাদের দেশটা সুন্দর হত।
সেটাই সকলে বুঝেনা!! যে যার স্থান থেকে কেউই সচেতন হচ্ছি না।

যারা ঘুষ ও সুদ নেয় আর যারা দেয় তারা সমান দোষী। ঘুষ দেয়া বন্ধ হয়ে গেলেই দেশের বেকারত্ব কমে যেতে।
আমাকে একবার এক চাকরির জন্য কিছু টাকা চেয়েছিলো আমি সরাসরি না করে দিয়েছি। কিন্তু সমস্যা ঐ একটাই, ঐ চকরিটা আরেক জন ঠিকই কিছু টাকা দিয়ে নিয়ে নিয়েছে।

সবার আগে নিজেদের ভালো হতে হবে। খুব সুন্দর মন্তব্য রেখেছেন ভাই, খুব ভালো লাগলো, বেশ অনুপ্রানিত হলাম।
আসলে দুঃখ এমনেই প্রকাশ করলাম, দেশ নিয়ে কথা বললে অনেকেই পাগল বলে। বলে তোমার এতো মাথা ব্যাথা কেন?! বলেন কি আর বলবো।

আপনিও ভাই অনেক ভালো থাকুন। শুভ কামনা রইলো।

৫| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:১৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভেবেছিলাম প্রথম কমেন্টটা আমিই করব। লেখা পড়ে মন্তব্য করতে গিয়ে দেরি হয়ে গেছে।
হয়েছি চার নাম্বার । চার কাপ চা পাওনা রইল।
ও হ্যা আমার লাষ্ট পোষ্টটি মনে হয় আপনি পড়েন নি । পড়ার অনুরোধ রইল।

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৭

ধ্রুবক আলো বলেছেন: চার কাপ চা পাওনা রইলো, শুধু চা কেন কফিও হবে কোন একদিন! চার নম্বর হয়েছেন ব্যাপার না, মনোযোগ সহকারে লেখাটা পড়েছেন এতেই খুব অনুপ্রানিত ও খুশি হলাম।

৬| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:২৩

মিঃ পাতলু বলেছেন: অনেক ভালো পোষ্ট, প্রিয়তে থাকুন

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:১৭

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, খুব অনুপ্রানিত হলাম ।

ভালো থাকুন, শুভ কামনা রইলো।

৭| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সিঙ্গাম স্যার, মিঃ পাতলু আ মিঃ মটু তিন জনই কি একজন?
সাপ্রতিক তিনাদের তিন জনকেই দেখছি। আমার কেন যেন মনে হচ্ছে এই তিন জনই একজন ব্যাক্তি।

২১ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৫

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আমারও তাইই মনে হয়!!

৮| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৩২

শূন্যনীড় বলেছেন: ভালো পোষ্ট, দেশ নিয়ে অনেক ভেবেছেন আপনি, সবারই ভাবা উচিৎ

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:২৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: হ্যা, সবারই ভাবা উচিত।
পোস্ট ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইলো।

৯| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৩২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আবার মিঃ ঝটকাও আছেন! সবারই সামুতে জন্ম তিন দিনের মত।
এত কাছা কাছি সময়ে তাদের জন্ম সামুতে কেমনে হল বুঝতাছিনা।

১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আসলেই কিছুই বুঝতেছি না। থাক ব্লগিং করুক।

১০| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৩২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:




নিজের কাজের মাধ্যমে দেশের কথা ভাবা উচিত।

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ঠিক বলেছেন, দেশের জন্য সকল নাগরিকদেরই ভাবা উচিত।

পাঠদান ও মন্তব্যে খুব অনুপ্রানিত হলাম ভাই।

শুভ কামনা রইলো।

১১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাগ্যিস ৭১ এর শহীদগণ এখনকার মতো করে ভাবেন নি!
আমার কি? আমিতো ভালই আছি!

বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর যদি ভাবতের আমার কি? ভাল বেতন সম্মানজনক চাকুরী আমিতো ভালই আছি!
মেজর জিয়া যদি ভাবতেন আমিতো সরকারী চাকুরী করি! ভালই আছি সুযোগ সুবিধা সম্মান সব দিকে! আমি কেন বিদ্রোহ করব!!
শহীদ কৃষক, শ্রমিক, জনতা যদি ভাবত এটা সরকারে সরকারে ক্যাচাল আমি হুদাই জীবন দিমু কেন??

তবে স্বাধীনতা বোধ করি অধরাই রয়ে যেত!

তাঁরা দেশকে ভালবেসেছেন
তাঁরা আত্মত্যাগের সাহস রেখেছেন বুকে
তাঁরা সামগ্রিকতাকে প্রাধান্য দিয়েছেন ব্যক্তিক স্বার্থের উর্ধে উঠে
তাঁরা স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছেন-

আমাদের আয়নাতে তাকানোর সময় হয়েছে
আমরা কি দেশকে ভালবাসী?
আমরা কি ব্যক্তিক স্বার্থপরতায় অন্ধ?
আমরা কি লোভি ভীরু, কাপুরুষ!?
আত্মমর্যাদাবান জাতি হিসেবে কি আমরা নিজেদের দেখতে চাই?

তবে খূঁজুন আলোর পথ। সত্য, সুন্দর আর ন্যায়ের পথ। নিজে আলোকিত হোন দেশকে আলোকিত করুন।

ধ্রুবক আলো ভাই পুরাই জোশ উঠঅয় দিলেন;) কত্ত কি বইলা ফেল্লাম! :P ৫৭ ধারায় পরুম নাতো ;)

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:০৮

ধ্রুবক আলো বলেছেন: তবে স্বাধীনতা বোধ করি অধরাই রয়ে যেত!। কথাটা ভালো বলেছেন, সেও সময় মুক্তিযোদ্ধারা যদি এখনকার মত ভাবতো তাহলে স্বাধীনতা আর পাওয়া হতো না।

আত্মমর্যাদাবান জাতি হিসেবে কি আমরা নিজেদের দেখতে চাই?!
দেখতে চায় সবাইই কিন্তু কেউ একাগ্র নয় যে ব্যাপারে।

তবে খুজুন আলোর পথ, না খুঁজলে তো আর মিলবে না! আলো থাকলেই আলো ছড়াবে।

জোশ যেটা উঠেছে তা শক্ত করে ধরে রাখুন! কত্ত কি বলেছেন, শুনে ভালো লাগলো আরও বলুন, না বললে জানা হবে না। কোনো ৫৭ ধারাই জাগ্রত চেতনাকে আটকে রাখতে পারে না!

খুব সুন্দর একখানি মন্তব্য রেখেছেন ভৃগু ভাই, খুব অনুপ্রানিত হলাম।
শুভ কামনা রইলো ।

১২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০১

রওশন_মনি বলেছেন: আপনার একটি কথার সাথে আমার মতের খুব বেশি মিল, সেটি হলো - ছোটবেলা থেকেই যদি শেখানো হতো 'দূর্নীতি করলে, মানুষের ক্ষতি করলে, মানুষকে কষ্ট দিলে,খারাপ কাজ করলে নামাজ বা কোনো ইবাদত কবুল হয়না। ' সবাই শুধু নামাজ,রোজা, হজ্ব ও পর্দার কথাই বেশি বলে, মানবিকতার কথা তেমন বলেনা। এই বিষয়টা আমাকে অনেক কষ্ট দেয়। (লেখাটি অনেক সুন্দর।)

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৫

ধ্রুবক আলো বলেছেন: মনের কথায় মিল থাকায় বেশ ভালো লাগলো আপু। আসলেই এ বিষয়টা অনেক কষ্ট দেয়। মানবিকতার কথা কেউ বলে না।

অনেক ধন্যবাদ আপু, পাঠদান ও মন্তব্যে খুব অনুপ্রানিত হলাম।

শুভ কামনা রইলো।

১৩| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন, "মেজর জিয়া যদি ভাবতেন আমিতো সরকারী চাকুরী করি! ভালই আছি সুযোগ সুবিধা সম্মান সব দিকে! আমি কেন বিদ্রোহ করব!!"

-মনে হয়, পাকী বাহিনী বেংগল রেজিমেন্টকে আক্রমণ না করলে, মেজর জিয়ারা যুদ্ধে যেতেন না

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৫০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: পাকী বাহিনী বেংগল রেজিমেন্টকে আক্রমণ না করলেও মেজর জিয়া যুদ্ধে যেতেন, উনি একজন মেজর বাংলার গর্বিত সৈনিক।
তখন সবাইই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিলো, যতটুকু আমার জানা আছে।

১৪| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার অনেক ভাবনাকে তুলে ধরেছেন।

আওয়ামী লীগ, জামাত-বিএনপি ও এরশাদ মিলে দেশের মানুষক্বে কলোনিয়েল যুগে নিয়ে গেছে।

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: সত্যি, আওয়ামী লীগ, জামাত-বিএনপি ও এরশাদ মিলে দেশের মানুষকে অনেক পেছনে নিয়ে গেছে।
আমাদের দেশের জনগণ বাইরের দেশ থেকে অনেক কিছুই শেখে কিন্তু অধিকার আদায় করার জন্য যা করতে হবে সেটা আদৌ শেখেনি।

পাঠদান ও মন্তব্যে খুব অনুপ্রানিত হলাম ভাই।
শুভ কামনা রইলো।

১৫| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৬

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: মিথ্যা যেমন সকল পাপের উৎস তেমনি একটা দেশের সব সমস্যার উৎস অতিরিক্ত জনসংখ্যা।
সীমিত সম্পদ নিয়ে অনেক মানুষ কামড়াকামড়ি করছে।
জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ জোগাড় করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে, অন্যকিছু নিয়ে ভাবার সময় কই?
চীনের মতো দুই সন্তান নীতি গ্রহণ করে জনসংখ্যা কমিয়ে ফেলতে পারলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে।

১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:১০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: এখানে জনসংখ্যা মূল সমস্যা নয়, সমস্যা হলো এই দেশের জনগণ সচেতন নয় এবং আমরা স্বাভাবিক ভাবে দুর্বল এক জাতি। দুর্বল কেন? কারণ আমরা এক নই, দেশের কোনো কিছুই নিজের মনে করি না!! এক জনের সুখ আরেকজন দেখতে পারি না! দেশে সম্পদের অভাব নেই অভাব আছে শুধু মূল্যবোধের!!

পাঠদান ও মন্তব্যে খুব অনুপ্রানিত হলাম। নিজস্ব অভিমত থেকে মন্তব্য রেখেছেন অনেক ধন্যবাদ ।

শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন সদা।

১৬| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:১১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ভালো বলেছেন

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৪৮

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই, পাঠদান ও মন্তব্যে খুব অনুপ্রানিত হলাম।

শুভ কামনা রইলো। ভালো থাকুন।

১৭| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:২৯

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: তেরো নম্বরে চাঁদগাজী ভাই যা বলেছেন, তার উত্তর কেন দিলেন না ভাই, ভয়ে, নাকি সত্যটা গোপন করতে বুঝলাম না আমি!!

(আমার কথায় রাগ করবেন না প্লীজ, সবার মন্তব্যে নিজের মতামত জানানো আপনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে, না জানলে না বলে দিবেন, এতে সংকোচের কিছু নেই। সবাই সবকিছু জানেনা, জানতেই হবে এমনও কিছু নেই।)

শুভকামনা জানবেন ভাই। লেখাটা মনোযোগ দিয়েই লিখেছেন বুঝতে পারছি।

১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:৩১

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ভাই আপনি যখন কমেন্ট করেছেন তখন নিশ্চয় দেখেছেন আরও তিনটে কমন্টের উত্তর দেইনি। একটু ভালো ব্যস্ত ছিলাম। আর ঐটা ভৃগু ভাইকে কমেন্ট করেছে। এর কি উত্তর দিতে হবে সেটা ভালো জানা আছে আমার।
আর ভাই, আপনি কি সত্যের কথা বললেন সেটা বুঝলাম না?! সত্য মিথ্যা সবাই সব জানে না।
মানুষের জ্ঞান সীমিত।

যাই হোক ভাই, লেখাটা আমি অনেক পরিশ্রম আর অনুধাবন দিয়ে লিখেছি! যদি কথা গুলো লক্ষ্য করেন তাহলে অনেক কিছুই বুঝতে পারবেন।

আপনাকেও শুভ কামনা রইলো। ভালো থাকুন সদা।

১৮| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৩১

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: মনটা বিক্ষিপ্ত, কিছু না বলাই ভাল।। তবে লেখাটি ভাল লেগেছে, জানিয়ে গেলাম।।

১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:১৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: লেখাটি ভালো লেগেছে জেনে খুব অনুপ্রানিত হলাম। দেশের সকলের দেশ নিয়ে ভাবা অনস্বীকার্য।
একটা দেশ ও জাতি সাবলীল হয় তার জনগণের উপ ভিত্তি করে।

শুভ কামনা রইলো, ভালো থাকুন সদা..

১৯| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: এখন সে যদি সিস্টেম বদলাতে যায় তখন সিস্টেম তাকে বদলে ফেলবে! -- :)
দেশ, সমাজ ও পরিবেশ নিয়ে ভেবেছেন, কলম ধরেছেন, যতটুকু বুঝেন তা সহজ সরলভাবে বলেছেন, এজন্য সাধুবাদ!

১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:২৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: সাধুবাদ জানিয়েছেন, খুবই অনুপ্রানিত হলাম, এরকম লিখতে ইচ্ছে করে। কিন্তু এর দশজন লোকের সামনে দেশ নিয়ে আলোচনা করলে অনেকে পাগলও বলে!! তখন খুব দুঃখ লাগে।

অনেক ধন্যবাদ ভাই, সুন্দর মন্তব্য রেখেছেন।
শুভ কামনা রইলো, ভালো থাকুন সদা....

১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৩৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: সাধুবাদ জানিয়েছেন, খুবই অনুপ্রানিত হলাম, এরকম লিখতে ইচ্ছে করে। কিন্তু দশজন লোকের সামনে দেশ নিয়ে এরকম আলোচনা করলে অনেকে পাগলও বলে!! তখন খুব দুঃখ লাগে। আমাদের দেশে এখন জনগণ গভীর ঘরে আছে!!

অনেক ধন্যবাদ ভাই, সুন্দর মন্তব্য রেখেছেন।
শুভ কামনা রইলো, ভালো থাকুন সদা....

২০| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:১৮

প্রাইমারি স্কুল বলেছেন: দেশের মানুষের উপর একটা বড় ঝড় না আসলে কেউ জাগবে না ? আমি ঐ ঝড়ের অপেক্ষায়

১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:২৭

ধ্রুবক আলো বলেছেন: হ্যা আমিও অপেক্ষায় আছি, কিন্তু জাতি যে পরিমান অলস হয়েছে তাতে করে কোনো ঝড় জাগাতে পারবে কিনা কে জানে।
দেশকে সমৃদ্ধ করতে হলে জাগতে হবেই।

অনেক ধন্যবাদ ভাই, সুন্দর একখানি মন্তব্য রেখেছেন। অনুপ্রানিত হলাম।

শুভ কামনা রইলো, ভালো থাকুন সদা...

২১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৩৮

নতুন নকিব বলেছেন:



অভিনন্দন, প্রিয় ভাই। ভাল লিখেছেন।

১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৪২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আপনাকেও অভিনন্দন প্রিয় ভাই। লেখা ভালো লেগেছে জেনে খুব অনুপ্রানিত হলাম।
দেশের পরিস্থিতি দেখে লেখা। দেশ এগোচ্ছে না ভাই।

শুভ কামনা রইলো, ভালো থাকুন সদা..

২২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৪৩

শূন্য-০ বলেছেন: অনেক ভালো চিন্তাজগত সৃষ্টি করেছেন লেখায়, ভালো লাগলো ভাই।

১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই, ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো।

শুভ কামনা রইলো, ভালো থাকুন।

২৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:২৭

নীলপরি বলেছেন: পরিশ্রমী পোষ্ট । নিজের ভাবনাকে যুক্তিপূর্ণভাবে উপস্থাপন করেছেন । ++++

২০ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:২৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: পাঠদান ও মন্তব্যে খুব অনুপ্রানিত হলাম, লেখাটা অনেক সময় আর ধৈর্যের সাথে লিখেছি। একদম বাস্তব চিত্র।
দেশ নিয়ে এখন না ভাবলে আর সময় পাওয়া যাবেনা।


শুভ কামনা রইলো। ভালো থাকুন সদা।

২৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:০১

সুমন কর বলেছেন: সবই তো সিস্টেমের দোষ। কি আর বলবেন !! তবে আমার মনে হয়, এ দেশ থেকে কোন দিন দুর্নীতি দূর হবে না। সুতরাং নো উন্নতি।
মধবিত্ত'রা মরো।

সুন্দর লিখেছেন।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:২৫

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ভাই সব ঐ সিস্টেমের দোষ আর দোষ ঐ সিস্টেমটারে যারা নষ্টকরছে।

তবে আমার মনে হয়, এ দেশ থেকে কোন দিন দুর্নীতি দূর হবে না। সুতরাং নো উন্নতি।
শুধু আপনার না আমারও একই কথা ভাই, দুর্নীতি কিভাবে দূর হবে বলেন! যে দেশে সরকারি কাজের কোনো জবাবদিহি নাই, জনগন দুর্বল, একতা নেই সে দেশে দুর্নীতি বন্ধ হয় কিভাবে!!
মধবিত্ত'রা মরো। তাহলে আমরা যারা মধ্যবিত্ত আছি তারা তো মরবোই!!

সময় নিয়ে লেখাটা পড়েছেন, মন্তব্য করেছেন খুব ভালো লাগলো, অনুপ্রানিত হলাম।
অনেক ধন্যবাদ ভাই।
শুভ কামনা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.