নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ব্লগারের সকল লেখাই সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

ধ্রুবক আলো

লেখকরা মনে মনে যত লেখা লিখেন তার ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ লিখেন কাগজে-কলমে। - হুমায়ুন আহমেদ

ধ্রুবক আলো › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প-- আমার স্যার আইছে...

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:১৪



মাইরের মধ্যে ভাইটামিন আছে! মাথায় আর কিছু ঢুকে না, স্যার! মাইরের মধ্যে ভাইটামিন থাকে কেমনে? এতো অদ্ভুত কথা আপনে আবিষ্কার করেন কোনখান থিকা!? তিনদিন আগে ছোটন টেবিলের উপর পুরোনো একটা খাতায় লেখাটা দেখতে পেয়েছিলো, এরপর থেকে তার চিন্তার অবধি নেই।

স্যার খুব বিরক্তি নিয়ে ছোটনের দিকে তাকালেন। স্যারের প্রচন্ড ইচ্ছে করছে ওকে ধরে দুটো আছাড় দিতে। কিন্তু তেমন কিছুই করতে পারছেন না স্যার। স্যার এখন লিখছেন। বাসায় বিদ্যুৎ নেই, মূলত গোটা এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। ঝড় বৃষ্টির রাত, এমন সময় বিদ্যুৎ না থাকাটাই স্বাভাবিক। স্যার নিবিড় মনোযোগে চেয়ারের হাতলে হাত রেখে তালু মুঠ করে গালে ভর দিয়ে বসে আছেন, মাঝে মধ্যে ডান হাতটা চেয়ারের হাতলে রেখে তর্জনী নাড়াচ্ছেন।
ছোটন এক জায়গায় বসে থাকার মানুষ নয়। সে অস্থির প্রকৃতির। স্যারকে সে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বারবার এটা সেটা নানান রকম প্রশ্ন করবে।
স্যার এতো কি ভাবেন? একটু শান্ত স্বরে জিজ্ঞেস করলো।
স্যার সোজা বসে থেকেই উত্তর দিলেন, ভাবি না লিখি।
স্যারের এই উত্তর শুনে ছোটনের মাথা চক্কর মারলো। এ কেমন লেখা লিখেন স্যার! খাতা নাই কলম নাই! কিছুই মাথায় ঢুকে না আমার!

স্যার অনেকটা শান্ত স্বরে বললেন, আসলে আমি মনে মনে লিখছি।

স্যার আপনার মাথায় যে কি অদ্ভুত অদ্ভুত জিনিস আসে, আপনে আসলেই অদ্ভুত কিসিমের মানুষ!

স্যার এবার সত্যি প্রচন্ড বিরক্ত হয়ে বললেন, তোমাকে সাথে রাখাই আমার ভুল হয়েছে! তুমি যাও এখন।

ছোটন খুব করুন সুরে বললো, স্যার আমি কি চলে যাবো?

হ্যা চলে যাবে, এবং দ্রুত।

স্যার আপনাকে এখন কিছু এনে দিতে হবে! খুব মায়া ভরা সুরে বললো।

না, তুমি এখন যাও। একদম সোজা বাসায়, আশেপাশে যেন না পাওয়া যায়।

ছোটন কথাটা শুনে একদম বোকা হয়ে গেলো। আর কোনো কথা বলার মত পেলো না। মুখ ভার করে চুপচাপ ঘর থেকে বের হয়ে গেলো। বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে সবখানে পানি জমে গেছে। এই বৃষ্টিতে ভিজেই স্যারের জন্য এক প্যাকেট সিগারেট এনে টেবিলে রেখে চলে গেলো সে।
স্যার ওর কর্মকান্ড সবই লক্ষ্য করছেন কিন্তু কিছুই বলছেন না। উনি জানেন ওকে কিছু বলে লাভ নেই। সে এক অস্থির প্রকৃতির ছেলে। একদিন স্যার ওকে সঙ্গে করে বাজারে নিয়ে গিয়েছিলো। মাছের বাজারে ঢোকার পর ছোটন পুরোই অস্থির হয়ে গেলো। বারবার কানের কাছে এসে বলতে লাগলো, স্যার ইলিশ মাছ নেন সেই টেস্ট, স্যার ইলিশ মাছ নেন সেই টেস্ট।
এ কান্ড দেখে স্যার বিরক্ত না হলেও পরের কান্ড দেখে পুরোই বিরক্ত হয়ে গেলেন। স্যার যে মাছটা কিনেছিলেন, সেই মাছটা খুব গভীর ভাবে খুঁটিয়ে দেখছিলো। এমন ভাবে দেখছিলো যেন মাছের ময়না তদন্ত করা হচ্ছে।
সে মাছটা হাতে নিয়ে মাছওয়ালাকে বললো, মাছ যদি পচা বের হয় তোমার খবর খারাপ আছে, মনে রাইখো।
.
এই সন্ধ্যা রাতে বিদ্যুৎ নেই। বাইরে অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে। ছোটন একটা ভাঙা ছাতা নিয়ে হেটে বাসায় ফিরে গেল। বৃষ্টিতে ভিজে সে পুরো একাকার হয়ে ফিরলো বাড়ি। ছোটনের মা এই অবস্থা দেখেই ওকে বকাঝকা করা শুরু করলো; ঐ বেক্কল পোলা, গাধা গরু, তুই একটা বেহায়া। এতো কইরা বললাম, বৃষ্টির দিনে বাইরে যাইস না। না তুই কোনো কথা শুনলি না।
মা বাদ দাও তো এই চিল্লাফাল্লা। এখন একটা গামছা দাও, আর ভাত দাও খিদা লাগছে।

এহ্ ভাত দাও, খিদা লাগছে। হারামজাদা। আগে ক তুই কই আছিলি!? তোর কোন বন্ধুর লগে আছিলি?

মা ঐ একই প্যান প্যান কইরো না তো। আমি স্যারের লগে আছিলাম। তুমি স্যাররে চিনো? উনি অনেক বড় মানুষ, দুনিয়ার সব মানুষ উনারে চিনে! উনার সাথে থাকা মানে বহুত বড় ব্যাপার।

এহ্ গোলামের ঘরে গোলাম। স্যারের লগে আছিলো। তোরে লগে রাখবো কেডায়.? কেউ কি তোর মত পাগল হইছে। ছোটনের মা ভীষণ রেগে আছে। ছেলের এরকম কীর্তি কান্ড দেখে দেখে সে খুব বিরক্ত।

ছোটন জবাব দেয়, একদিন সবই জানতে পারবা মা। আমি কার লগে আছিলাম। এখন খাইতে দাও।
.
আজ তিনদিন হয়ে গেলো অথচ ছেলেটার কোনো দেখা সাক্ষাৎ নেই। সেদিন রাগের মাথায় বেরিয়ে যেতে বলেছিলাম সেইজন্যই কি আসে না! না না, ওরকম ছেলে তো ও না। তাহলে কোনো সমস্যা হলো না তো?! ছেলেটার বাড়ির ঠিকানাও তো জানা নেই।

স্যার দারোয়ান কে ডেকে পাঠালেন। দারোয়ান ছুটে এসে, জি স্যার, ডাকছিলেন?

আচ্ছা, ছোটন ছেলেটা আসেনা কেন? তুমি কি কিছু জানো?

না স্যার, কেন্ স্যার, কোনো দরকার?

এমনিতেই। আজ তিনদিন হলো ছেলেটার কোনো খোঁজ নেই..!

হের কথা বাদ দেন স্যার। এই পোলায় যেই ইবলিস..!

স্যার খুব বিরক্তি নিয়ে বললো, ঠিক আছে তুমি এখন যাও। আর শোনো মানুষকে কখনো ইবলিস বলবানা। মানুষ হলো আশরাফুল মাখলুকাত। মনে থাকবে?

যে স্যার মনে থাকবো।

তুমি যাও আর ছেলেটার বাসার ঠিকানা খুঁজে বের করো।

আইচ্ছা স্যার, এই বলে দারোয়ান চলে গেলো। স্যার বসে ভাবছেন, ছেলেটার কোনো সমস্যা হয়নি তো! কোনো অসুখ বিসুখ হলো না তো। বিভিন্ন রকমের চিন্তা মাথায় আসতে লাগলো।
স্যার চুপচাপ বসে ভাবছেন, এমন সময় দারোয়ান এলো মকবুলকে নিয়ে। মকবুল বাড়ির কেয়ার টেকার, সে জানালো, স্যার আমি ওর বাড়ি চিনি। কাইল সকালে আপনারে নিয়া যামুনে।

না কাল সকালে না, এক্ষুনি নিয়ে চলে।

কন কি স্যার? এই রাইতে, আর বাইরে তো বহুত বৃষ্টি! কাইল যাই স্যার?

না, আমাকে এখুনি যেতে হবে। আর এখন বেশি রাত নয়, মাত্র সাড়ে সাতটা বাজে।

খাড়ান স্যার একটা ব্যবস্থা করি।
মকবুল মনে মনে বলছে, এই লোকটা আসলেই আজব। এই বৃষ্টির মইধ্যে কেউ বাইর হয়। আর কোনহানকার এক পোলার লাইগা, কি যে একটা অবস্থা! ধূরর...
.
বৃষ্টি এখন একটু কম, তবে কিছু জায়গায় একটু একটু পানি জমেছে। মকবুল বিশাল একটা ছাতা জোগাড় করেছে। স্যারকে নিয়ে যাচ্ছে ছোটনের বাড়ি। গ্রাম হলেও রাস্তা ভালোই, হাতে বসানো ইটের রাস্তা হাটতে তেমন অসুবিধে হচ্ছে না।

মকবুল স্যারকে নিয়ে মোটামুটি পুরোনো একটা বাড়ির সামনে এসে দাড়ালো। বাড়িটার চারিদিকে বাশের কঞ্চির বেড়া দেয়া। দেখেই বোঝা যাচ্ছে বেশ পুরোনো বাড়ি, তেমন কোনো সংস্কার করা হয়নি অনেকদিন। চালের টিনগুলো মরচে ধরে গেছে এই আবছা আলোর রাতেও স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে। মকবুল ছাতা হাতে ধরে দাঁড়িয়ে বাড়ির বাইরের গেটের সামনে থেকে উঁকি দিয়ে জিজ্ঞেস করলো, ছোটন বাড়িতরে তুই?
কোনো রকম সারা শব্দ পাওয়া গেলো না।

মকবুল আবারো জিজ্ঞেস করলো এবার অন্য ভাবে, ছোটনের বাপ বাসায় আছো?

কয়েকবার জিজ্ঞেস করার পর ছোটনের মা উত্তর দিলেন, কেডা আপনে!?

আমি মকবুল, ছোটনের বাপ বাসায় নাই? ছোটন কি করে!?

ও মকবুল ভাই! ছোটনের বাপ তো বাড়িতে নাই। আর ছোটন তো বাড়িতেই ওর শরীরে জ্বর।

এখন তুমি দরজা খুলো, ভেতরে আইতে দেও। তারপর দেখ কে আইছে!

ছোটনের মার বুকে চিনচিন করে উঠলো! কে এসেছে? ছোটন আবার কোনো উল্টা পাল্টা কিছু করে নাই তো? কে আইছে ভাই? খারান দরজা খুলতাছি।

দেখো স্যার আসছেন। ছোটন তোমারে স্যারের কথা কয় নাই?!

ছোটনের স্যার কথাটা শুনে উনি পুরো বিস্মিত হয়ে গেলো, মনে হলো মাথার উপর বাজ পরলো। স্যার আসছেন এই রাতে বৃষ্টির মধ্যে! ছোটন কি কোনো উল্টা পাল্টা কিছু করছে কি না!
আসেন ভাই, স্যারকে নিয়ে আসেন। আগে বলবেন না ছোটনের স্যার আছে সাথে।

স্যার আর মকবুল বাড়িতে ঢুকলেন, মাত্র দুটো রুম। মকবুল ছাতা টা বন্ধ করছে, ছোটনের মা তড়িঘড়ি করে একটা চেয়ার এগিয়ে দিলেন, স্যার আপনে বসেন, কিছু মনে করবেন না স্যার, বাড়িতে কারেন্ট নাই এদিকে হারিকেন জ্বালাই বাতাসে নিভা যায়।

আপনি কোনো টেনশন করবেন না। ছোটন কোথায়? আমাকে ওর কাছে নিয়ে চলুন।

ও পাশের ঘরে শুইয়া আছে। পোলাডায় আমার কোনো কথা শুনে না, বৃষ্টিতে ভিজা জ্বর বাধায়া ফেলছে শরীরে। আচ্ছা আপনে কি ওর স্কুলের স্যার? ওরতো তিনদিন ধইরা জ্বর। তাই স্কুলে যাইতে পারে না।

ছোটন যে ঘরে শুয়ে আছে স্যারকে নিয়ে গেলেন সেই ঘরে। মকবুল চেয়ারটা এগিয়ে দিলো। ছোটন জ্বরের ঘোড়ে গোঙাচ্ছে।
স্যার ছোটনের মাকে জিজ্ঞেস করলেন, ওকে কোনো ডাক্তার দেখিয়েছেন?

না স্যার, ওর বাপ তো ঢাকা গেছে, আসলে তারপর দেখামু। স্যার এক কাপ চা দেই, চা খান। আপনে আসছেন ছোটনরে দেখতে। ওয়তো সারাদিন খালি স্যার স্যার করে। আর জ্বরের ঘোড়ে কি সব যে বইলা উঠে!

স্যার জিজ্ঞেস করলেন, কি কি বলে?

ছোটনের মা বললেন, ও একটা পাগল। কাইল রাইতে বলতাছিলো, মা আমার স্যার আসবো তুমি ইলিশ মাছ রান্ধ, স্যার ইলিশ মাছ খাইবো। মুরগির সালুনও রাইন্ধ, স্যার মুরগির সালুন দিয়া ভাত খাইবো। আবার কয়, মা কালিজিরা চাইলের মুড়ি বানাও স্যার আইতাছে, স্যার মুড়ি খাইবো আর জোছনা দেখবো। কি যে করি এই পোলারে নিয়া, এই তিনদিন কিছুই খায় নাই, আইজ দুপুরে খালি একটু জাউ খাইছিলো। কথাটা বলেই তার চোখ দিয়ে পানি এসে পড়লো।

স্যার ছোটনের দিকে তাকিয়ে আছে। ছোটন একটা মোটা কাথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে, তার মুখটা একদম মায়ায় ভরা, তিনদিনের জ্বরে অনেকটা শুকিয়ে গেছে। স্যার কি করবে ভেবে পাচ্ছে না। শরীরে হাত দিয়ে একবার দেখবে নাকি কপালে হাত দিয়ে দেখবেন কতটুকু জ্বর এসেছে। সেটাও করতে পারছেন না। প্রবল মায়া ভর করলে মানুষ ভেবে পায় না সে কি করবে।

ছোটনের মা আঁচল দিয়ে মুখ মুছলেন। স্যার উনার কান্না দেখে বললেন, কাঁদবেন না। ও ছোট মানুষ। তিনদিন ধরে জ্বর, ওর দ্রুত ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন। মকবুল, গ্রামের যে ডাক্তার বসেন তাকে নিয়ে এসো দ্রুত।

মকবুল একটু বোকা হয়ে গেলো কথাটা শুনে। কিন্তু স্যার এই বৃষ্টির রাতে ডাক্তার আসবো?

আসবেন। না হলে তুমি আমার কথা বলবে। যে আমি তাকে অনুরোধ করেছি। তুমি তাড়াতাড়ি যাও।
মকবুল আইচ্ছা ঠিক আছে বলে ডাক্তারের উদ্দেশ্যে রওনা হলো।
.

ছোটন একটু চোখ খুলে তাকালো, কিন্তু সামনে কে তা ভালো ভাবে দেখতে পেলো না, জ্বরের ঘোরে ও চোখের সামনে সব অস্পষ্ট দেখছে। স্যার ছোটনের সামনেই বসে আছেন। ছোটন কাঁথাটা আরেকটু টেনে শরীরে জড়িয়ে নিলো, আরেকটু কুঁকড়ে পড়লো। জ্বর ঠান্ডায় কাঁপছে। ছোটনের মা, হালকা ভেজা একটা কাপড় দিয়ে ওর মুখ টা মুছে দিলেন।
ছোটন দেখ বাবা কে আইছে। তোর স্যার আইছে।

ছোটন প্রচন্ড জ্বরে শরীর কাঁপছে, মনে হচ্ছে আগুনে পুড়ে যাবে শরীর! জ্বরের ঘোরে বলছে, আমার স্যার আইছে!! দেখছো মা আমার স্যাররে দেখছো। কইছিলাম না মা আমার স্যার আসবো। দেখছো মা তুমি। কথা গুলোও স্পষ্ট বের হচ্ছে, কন্ঠটা কাঁপছে। কথা গুলো জড়িয়ে যাচ্ছে!

ছোটনের মা'র চোখ দিয়ে বাঁধ ভাঙা পানি গড়িয়ে পড়ে, তার বলার মত কিছু নেই। আঁচল দিয়ে শুধু চোখের অশ্রু লুকোচ্ছেন!

স্যার এ সব কিছুই অনুধাবন করছেন। তিনি ছোটনের দিকে তাকিয়ে আছেন। তার চোখের কোণে সাদা হালকা ময়লা জমেছে, ওর মা ছেলের মাথায় জ্বলপট্টি দিচ্ছেন আর কাঁদছেন। স্যার কি বলে কি বুঝাবেন কিছুই বুঝতে পারছেন না। কিভাবে বুঝাবেন ছোটন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে, তিনি সে ভাষাও খুঁজে পাচ্ছেন না।

স্যার খুব উদ্বিগ্ন হয়ে মকবুলের ফেরার কথা চিন্তা করছেন, কখন সে ডাক্তারকে নিয়ে আসবে? দু একবার পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখলেন। কিন্তু মনে কোনো শান্তনা পেলেন না। মনে হচ্ছে এই এলো বুঝি!
.

রাত বাড়ছে, বৃষ্টি বাড়ছে। স্যার সামান্য ঝুকে দুই হাতের আঙুলগুলো একটার সাথে আরেকটায় দুই হাতে মুঠ পাকিয়ে বসে আছেন, আর মনে মনে লিখছেন। স্যারের চোখের সামনে ভেসে উঠছে; ছোটন তার বন্ধুদের সাথে খেলছে, দৌড়োচ্ছে, দস্যিপনা করছে, ঢিল ছুড়ে কাঁচা আম পারছে, সেই আম কুড়িয়ে নিয়ে ছুটে পালাচ্ছে, নদীতে সাতরাচ্ছে, জাল ফেলে মাছ ধরছে, ধানের ক্ষেতের উপর দিয়ে ছুটে চলছে, মুষলধারে বৃষ্টিতে ভিজছে... আজ এমন রাতেও অনেক বৃষ্টি। অঝোরে ঝরছে। ছোটন ঘুমিয়ে পড়েছে, নিষ্পাপ শিশুর মত। স্যার লিখে যাচ্ছেন, শুধু লিখেই যাচ্ছেন। বৃষ্টিও থেমে যায় না, এ লেখাও শেষ হয়ে আসে না...



--- ইহা শুধুই একটি গল্প এবং কাল্পনিক!

মন্তব্য ৬৬ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৬৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:২৪

কাইকর বলেছেন: আরেকটু গোছানো হলে বেশী ভাল লাগতো

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৪২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: মন্তব্য ও মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ। সম্পূর্ণ গল্পে পাঠদান করেছেন খুব অনুপ্রানিত হলাম।
ভালো থাকুন সদা...

২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:২৯

ওমেরা বলেছেন: ছোটনের জন্য মায়া লাগল লিখা পড়ে।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩৯

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ছোটনের জন্য মায়া লাগলো। মায়ার একটা বহিঃপ্রকাশ তা মানব জনমের এক শুদ্ধ ভালোবাসার প্রকাশ।

৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৩৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: কল্পনা মন্দ না। তবে খুব বেশী হুমায়ুন আহমেদ ছাপ।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: রোকসানা লেইস আপু,,

আপনি সত্যি অনেক ট্যালেন্ট। স্যার, হুমায়ুন আহমেদ কে স্মরণ করেই লেখা।

৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৩৮

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অসাধারণ গল্প গড়েছেন ভাই, প্রথমদিকে পর্যাপ্ত রম্যবোধ পার করে এসে শেষমেশ ভিজিয়ে দিয়েছেন দই চোখ, ব্যস্ত-স্তব্ধ করে দিয়েছেন কল্পনায় সাজাতে।


শুভকামনা জানবেন সবসময়।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: প্রথমদিকে পর্যাপ্ত রম্যবোধ পার করে এসে শেষমেশ ভিজিয়ে দিয়েছেন দই চোখ আমার এই ক্ষুদ্র লেখা এই ক্ষুদ্র প্রয়াস আপনার হৃদয়ে অশ্রু সিক্ত করে জায়গা করে নিয়েছে, জেনে খুবই আপ্লুত হলে, প্রীত হলাম, অনুপ্রানিত হলাম।
কল্পনায় সাজাতে বেশ সময় লেগেছে।

অনেক ধন্যবাদ ভাই। কৃতজ্ঞতা জানবেন। শুভ কামনা সব সময়....

৫| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৪৪

মলাসইলমুইনা বলেছেন: বৃষ্টির গল্পগুলো আপনার ভালো হয় খুব | এটাও ভালো হয়েছে | বহু বছর হুমায়ুন আহমেদ পড়া হয়নি |তবুও রোকসানা লেইস -এর কথাটা আমিও যেন কেন ভেবেছিলাম পড়তে পড়তে |

২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ২:২৫

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনি মনে রেখেছেন তাই খুব প্রীত হলাম।
বৃষ্টি নিয়ে লেখা ভালো হয় জেনে বেশ অনুপ্রানিত হলাম।
আসলে সব কাল নিয়েই লেখা আছে, কিন্তু দেই না। আর বোধহয় ব্লগে লেখা দিবো না।
তবে ব্লগে আছি। লেখা পড়বো, মোটিভেট করার চেষ্টা করবো।

ভালো থাকবেন ভাই।

৬| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ২:১৯

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: যেন হুমায়ূন আহমেদ স্যারই গল্পের লেখক স্যার।

'স্যার মুড়ি খাইবো আর জোছনা দেখবো',
'প্রবল মায়া ভর করলে মানুষ ভেবে পায়না সে কি করবে' এমন জাদুময় কথাসাহিত্য তো হুমায়ূন আহমেদ স্যারেরই সৃষ্টি।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: সত্যি কথা বলেছেন, এমন জাদুময় কথাসাহিত্য তো হুমায়ূন আহমেদ স্যারেরই সৃষ্টি।
আমার এ লেখা বা গল্প কেমন হয়েছে তা আমি জানি না। শুধু চেষ্টা করেছি স্যারকে লেখায় ফিরিয়ে আনার, কিন্তু যে চলে যায় সে তো আর ফিরে আসে না। থাকে শুধু তার কর্ম। যে কর্ম তাকে শত শত বছর বাঁচিয়ে রাখে মানব জীবনে!

যেন হুমায়ূন আহমেদ স্যারই গল্পের লেখক স্যার।
সত্যি স্যার আমার কাছে এখনও বেঁচে আছেন। আমি স্যারকে দেখি, অনুভব করতে পারি।

গল্পে পাঠদান ও মন্তব্য রেখেছেন, কৃতজ্ঞ র'লাম। খুব অনুপ্রানিত হলাম।
শুভ কামনা রইলো। ভালো থাকুন সদা.....

৭| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ২:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


ডাক্তার এসে ঐষধ দিলে সব ঠিক হয়ে যাবে।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪৭

ধ্রুবক আলো বলেছেন: গাজী ভাই,

আপনি গল্পের ভেতর খুব গভীর ভাবে ঢুকে গেছেন। আপনার কাছে মনে হয়েছে বাস্তব। আপনার মন্তব্যে তার অনুভূতি ফুটে উঠেছে।
আপনার এই অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। খুবই অনুপ্রেরণা মূলক। খুব প্রীত হলাম।
কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভ কামনা সব সময়......

৮| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ২:৩৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: হুমায়ুন স্টাইল। দারুণ লাগল...

২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ২:৩০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই। হুমায়ন স্টাইল, আসলে চেষ্টা ছিলো, কিন্তু সব কি আর পারা যায়। স্যার ছিলেন সর্ব কালের সেরা একজন।

গল্পটা ভালো লেগেছে জেনে ভীষণ অনুপ্রানিত হলাম। শুভ কামনা জানবেন।
ভালো থাকুন সদা।

৯| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৪৫

সুমন কর বলেছেন: বর্ণনা এবং গল্প ভালো হয়েছে। +।

লেখায় অন্যের ছাপ যেন না খুঁজে পাওয়া যায়........

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:১৮

ধ্রুবক আলো বলেছেন: গল্প ভালো লেগেছে জেনে খুব অনুপ্রানিত হলাম, প্লাসে প্রীত হলাম।
আসলে ভাই, গল্পটা হুমায়ুন আহমেদ স্যারকে স্মরণ করে লেখা। লেখায় স্যারকে মনে করা, কাছে ফিরে পাওয়ার একটু আবেগী প্রয়াস। যে চলে যায় সে তো আর ফিরে আসে না।
স্যার বেঁচে আছেন মানুষের হৃদয়ে।

১০| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:১২

নীলপরি বলেছেন: সকালবেলা খুব মায়াময় একটা লেখা পড়লাম । ++++

২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ২:৩৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অনেক গুলো প্লাস, খুব প্রীত হলাম। গল্পে কতটুকু মায়া ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি তা জানি না, আমার চেষ্টা ছিলো অটুট। লেখাটা লেখাটা শেষ করতে বেশ দীর্ঘ সময় লেগেছে। কিছু জায়গায় বরাবর কথা বদলাতে হয়েছে।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে বেশ অনুপ্রানিত হলাম।

শুভ কামনা রইলো, ভালো থাকুন সদা।

১১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:২২

জাহিদুল হক শোভন বলেছেন: ব্লগে আমি নতুন। গল্পতে ভালো লাগা রেখে গেলাম।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ভালো লাগা রেখে গেছেন খুব প্রতি হলাম। আপনার ব্লগিং শুভ হোক।
শুভ কামনা রইলো সদা...

১২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: আপনাকে তো আজকাল ব্লগে দেখি না জনাব?

সুন্দর গল্প লিখেছেন।

২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ২:২৮

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ব্লগে আসি না, বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। আর ব্লগ আগের মত লাগে না। আপনারা কিছু আছেন বলেই আসি নাহলে আসতাম না।
গল্প ভালো লেগেছে জেনে খুব অনুপ্রানিত হলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই।

ভালো থাকুন সদা...

১৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ছাত্র শিক্ষক গল্প সুন্দর হয়েছে।

২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ২:৩৫

ধ্রুবক আলো বলেছেন: গল্প সুন্দর লেগেছে জেনে বেশ অনুপাণিত হলাম ভাই।
শুভ কামনা রইলো। ভালো থাকুন সদা।

১৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:২১

কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন:
মাইরের মধ্যে ভিটামিন আছে !! ;) :P


গল্প ভালো লিখেছেন। :-B :-B

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫৭

ধ্রুবক আলো বলেছেন: মাইরের মইধ্যে ভাইটামিন আছে...
সে এক অমর ডায়ালগ। কোথাও কেউ নেই, যেই নাটকে স্যার একজন বাকের ভাইকে আবিষ্কার করেছিলেন। যাকে সবাই সত্য ও জীবন্ত ভেবেছিলো।

গল্প ভালো লেগেছে জেনে অনুপ্রানিত হলাম। প্লাসে প্রীত হলাম।
কুড়ের বাদশাহ ভালো থাকুন সদা।

১৫| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:২৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ভাল লাগলো

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:০৮

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আপনার মূল্যবান সময় নিয়ে পুরো গল্প পড়েছেন, মন্তব্য রেখেছেন, কৃতজ্ঞ র'লাম। অনেক ধন্যবাদ ভাই!
শুভেচ্ছা জানবেন। ভালো থাকুন সদা।

১৬| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:১৪

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: ছাত্র-শিক্ষকের নিটোল ভালোবাসার গল্পে ভালোলাগা রেখে গেলাম।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪১

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ভালো লাগা রেখে গেলেন, খুব প্রীত হলাম ভাই। আশা করি ভালো আছেন!

১৭| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৩৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: লেখক হুমায়ুন আহমেদ আমাদের মতো পাঠকদের পড়া শিখিয়ে পড়ার প্রতি আগ্রহী করে তিনি চলে গেলেন আর আমরা পরে গেলাম অথৈ সাগরে !!! স্যারের এই অকাল মৃত্যুর ক্ষতি অপূরণীয় ।।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: স্যারের এই অকাল চলে যাওয়া সত্যিই অপূরণীয়।
অনন্য সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন। ভালো থাকুন সবসময়।

১৮| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৪২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: বাস্তবে কিম্বা গল্পতে যেখানেই হোক কাউকে ভালবাসা পেতে দেখলে আমারও খুব ভালবাসা পেতে ইচ্ছে করে।এই গল্পে স্যার আর ছোটন দুজন দুজনার জন্য যেমন নির্মল ভালবাসা দেখিয়েছেন,এমন ভালবাসা আমারও পেতে ইচ্ছে করে।
আজকাল সত্যিকারের ভালবাসার মানুষ খুবই কম,হয়তো নেইই :(
আমাদের বেশির ভাগ মানুষ দেখি ভালবাসা শুধু প্রেমিক প্রেমিকার মাঝেই দেখতে চাই।সব ভালবাসা সেখানেই পেতে চাই।এছাড়াও যে আরও অনেক ভালবাসা চারপাশে ছড়িয়ে আছে তা সবার চোঁখ এড়িয়ে যায়।
গল্প লেখার চেষ্টা ভাল ছিল।সব মিলিয়ে এ মাইনাস দিলাম ;)

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: প্রথমে দুঃখিত, দেরি করে উত্তর দেয়ার জন্য।

আপনার মন্তব্যটা দুর্দান্ত হয়েছে। সত্যি কথাই বলেছেন। আজকাল আমরা ভালোবাসা শুধু প্রেমিক প্রেমিকার মধ্যেই দেখতে চাই খোঁজ করি। ভালোবাসার মিনিংটা নষ্ট করে ফেলছে এই আধুনিকতার সমাজ।

মন্তব্যে খুবই ভালো লাগলো, খুব প্রীত হলাম। আপনার ভালোবাসা এবং আন্তরিকতায় আপ্লুত হলাম।
মাইনাসই যথেষ্ট ;)


ভালো থাকবেন ভাই...

১৯| ২৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: বুঝতে পারছি, একজন লেখকের প্রতি নিরেট ভালবাসা থেকে এ গল্পের জন্ম হয়েছে। লেখা যেমনই হোক, এর পরতে পরতে মিশে আছে শ্রদ্ধা আর ভালবাসা, যেমনটি ঐ লেখক ভালবাসতেন জীবনের খুঁটিনাটি বিষয়গুলো গভীর মমতা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করে তার লেখায় তুলে আনতে। ৩ নং মন্তব্যে রোকসানা লেইস এবং ৫ নং মন্তব্যে মলাসইলমুইনা যেমনটি ভেবেছেন, গল্পে খুব বেশী হুমায়ুন আহমেদ ছাপ, আমি বলবো নিজের লেখায় এত বড় লেখকের একটা ছাপ তুলে আনতে পারাটাও একটা সাফল্য।
পাঠকদের সবগুলো মন্তব্য (১৮ নং পর্যন্ত) পড়লাম। পড়ে মনে হলো, আমার মত আরো অনেকেই আপনার এ গল্প পড়ে অভিভূত হয়েছেন। গল্পের শুরুটাই করেছেন এক বিস্ময় জাগানিয়া কথা দিয়ে, যে কথাটা ঐ স্যারেরই আবিষ্কৃত। কিন্তু ছোটন কিভাবে সেই কথাটা জানতে পেরেছিল এবং তা নিয়ে তার প্রতিক্রিয়া কিরকম হয়েছিল, সেটা অল্প কথায় খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। আর চঞ্চল, অস্থিরমতি ছোটনের পুনরাবৃত্ত ডায়ালগ- স্যার ইলিশ মাছ নেন, সেই টেস্ট- স্যার ইলিশ মাছ নেন, সেই টেস্ট - পড়ে আমার চোখ দুটো কেন জানি আর্দ্র হয়ে উঠেছিল। এর চেয়েও গভীর বেদনার কথা শুনে মনে মনে সহ্য করে যেতে পারি, কিন্তু ইলিশ মাছের "সেই টেস্ট" এর কথা স্মরণ করে (নাকি শুধু কল্পনা করেই?) এই বালকের চোখে মুখে যে অকৃত্রিম উচ্ছ্বাস ফুটে উঠেছিল (আমার কল্পনার চোখে) তা ভেবে আমি অভিভূত হয়ে যাই। যদিও ভিন্ন একটা বিষয়ে লেখা, এ ডায়ালগটা শুনে আমার বহুদিন আগে পড়া "সোনাবীজ অথবা ধুলোবালি ছাই" এর ইলিশ মাছ নিয়ে রচিত একটা গল্পের কথা মনে পড়ে যায়।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:০৭

ধ্রুবক আলো বলেছেন: প্রিয় খায়রুল আহসান ভাই,
আমার শ্রদ্ধা, সম্মান এবং ভালোবাসা জানবেন। আমার এই লেখা গল্প পড়ে অভিভূত হয়েছেন জেনে খুব খুব খুব অনুপ্রানিত হলাম। গল্পের সাথে উপরের আর সব মন্তব্য পড়েছেন, সত্যি খুব খুব ভালো লাগলো, কৃতজ্ঞতা জানবেন।
গল্পে হুমায়ুন আহমেদ ছাপ ছিলো, এটা অনস্বীকার্য। কারণ স্যারকে কল্পনা করেই গল্পটা লেখা। লেখার সময় আমি পুরো প্রেক্ষাপটটা বাস্তবে অনুভব করেছি, যেন স্যার এর ছোটন আমার সামনেই উপস্থিত।
আর চঞ্চল, অস্থিরমতি ছোটনের পুনরাবৃত্ত ডায়ালগ- স্যার ইলিশ মাছ নেন, সেই টেস্ট- স্যার ইলিশ মাছ নেন, সেই টেস্ট - পড়ে আমার চোখ দুটো কেন জানি আর্দ্র হয়ে উঠেছিল।
আমার এ গল্প লেখা একটা ক্ষুদ্র প্রয়াস। কিন্তু আপনার এই উপলব্ধি, চোখ আর্দ্র হয়ে ওঠা, কৃতজ্ঞ করলেন ভাই!

গল্পে ভালো লাগা, প্লাস দিয়েছেন, খুব প্রীত হলাম।
অনেক দোয়া রইলো, ভালো থাকুন সদা।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:০৯

ধ্রুবক আলো বলেছেন: যদিও ভিন্ন একটা বিষয়ে লেখা, এ ডায়ালগটা শুনে আমার বহুদিন আগে পড়া "সোনাবীজ অথবা ধুলোবালি ছাই" এর ইলিশ মাছ নিয়ে রচিত একটা গল্পের কথা মনে পড়ে যায়।
আমিও সময় করে উনার লেখাটা পড়বো।

( প্রতিউত্তর দেরিতে দেয়ার জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত ভাই।)

২০| ২৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পের সমাপ্তিটাও সুন্দর হয়েছে।
ইহা শুধুই একটা কাল্পনিক গল্প হইলেও, কল্পনাটা আপনি করিয়াছেন হুমায়ুন স্যারের মতই! :)
@মোস্তফা সোহেল, আপনার মন্তব্যের প্রথম অনুভূতিটা বোধকরি সব পাঠকের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য; আমার ক্ষেত্রে তো বটেই!
গল্পে ভাল লাগা + +

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৯

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আপনার মন্তব্য গুলো খুবই প্রেরণা মূলক। লেখতে আগ্রহ জাগায়। গল্পের সমাপ্তি সুন্দর হয়েছে জেনে বেশ ভালো লাগছে। হুমায়ুন আহমেদ স্যারের মত কল্পনা করা, যদিও এতো দূর চিন্তা করার মত জ্ঞান আদৌ হবে কি না জানা নেই। তবে চেষ্টা থাকবে দৃঢ়।

মোস্তফা সোহেল ভাই, খুব ভালো হৃদয়ের মানুষ। উনার প্রথম অনুভুতিটা খুব সুন্দর। এই অনুভূতি সব পাঠকের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য তো বটেই। আমার ক্ষেত্রেও বটে।

গল্পে ভালোলাগা রেখে গেছেন খুব প্রীত হলাম ভাই।
সার্বিক সুস্থতা কামনা করি...

২১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:১৫

বিজন রয় বলেছেন: কেমন আছেন? নতুন পোস্ট দিন।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ভালো আছি ভাই। ব্যস্ত তো তাই সময় করে উঠতে পারি না। আপনি ভালো আছেন নিশ্চয়..?!

২২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৬

প্রামানিক বলেছেন: একজন লেখককে ভালোবেসে চমৎকার গল্প লিখেছেন। ধন্যবাদ

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪১

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই। কেমন আছেন?

২৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৪

সনেট কবি বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৫

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সনেট কবি।

২৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৪১

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: গল্প কাল্পনিক হলে কী হবে! জনসমাগম ঘটেছে ইহার পাঠে!

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: তাজুল ভাই, গল্পে পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইলো।

২৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩২

মিরোরডডল বলেছেন: বাহ! তুমি গল্পও লিখতে পারো । সুন্দর হয়েছে ।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: এই চেষ্টা করি মাত্র। সময় করে লেখা হয় না। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ভালো আছো নিশ্চয়..?

২৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬

নীলপরি বলেছেন: আমার কবিতায় লাইক দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ । ব্লগে আপনাকে কম দেখছি । যদিও আমিও অনিয়মিত । ব্যস্ত আছেন বোধহয় । কেমন আছেন ?

২৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪১

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: খবর-সবর কী মিয়াবাই । ;)

২৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬

স্বপ্ন নীর বলেছেন: অনেক ভাল লেগেছে ।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ভালো লেগেছে জেনে খুব প্রিত হলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
ভালো থাকুন সদা, শুভ কামনা রইলো।

২৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২১

বিজন রয় বলেছেন: চলে আসুন ধ্রুকব।
আপনাকে মিস করছি।

প্লিজ।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৭

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ভাই, এই ক্ষুদ্র মানুষকে মনে রেখেছেন জেনে খুব প্রিত ও কৃতজ্ঞ বোধ করছি। বেশ ব্যাস্ত এবং কিছুটা ঝামেলার মধ্যে আছি তাই লিখতে সময় পাচ্ছি না। ব্লগে নিয়মিত সময় দিতে পারছিনা।

৩০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৮

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আপনি খুব ব্যস্ত মনে হয়!
শরীরস্বাস্ত ভাল আছে তো?

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: হা ভাই খুব ব্যাস্তই আছি। শরীর স্বাস্থ্য ভালোই আছে। দুঃখিত ভাই, দেরি করে মন্তব্যের উত্তর দিলাম।
কেমন আছেন আপনি? আশা করি খুব ভালো আছেন, এবং সদা ভালো থাকুন।

৩১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৭

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: সকলের আশায় ভাল না থেকে পারা যায়!
আলহামদুলিল্লাহ ভাই, আমি চমৎকার আছি!



৩২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০

কালীদাস বলেছেন: খুবই টাচি একটা লেখা, ধ্রুবক আলো :| খুবই টাচি!!
কেমন আছেন? ব্লগ থেকে দূরে মনে হচ্ছে ... ?!

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:০৭

ধ্রুবক আলো বলেছেন: কালিদাস ভাই, আমি ভালো আছি। এই একটু বেশ ব্যাস্ত আছি। আপনি কেমন আছেন?

গল্পের যে একটা হৃদয় স্পর্শ ব্যাপারটা ধরতে পেরেছেন তার জন্য কৃতজ্ঞ র'লাম।
ব্লগ থেকে দুরেই, ব্যাস্ততার কারনে লেখা দেয়া হয় না। আসলে ইচ্ছে করেই এখন আর লেখা দেই না।

৩৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৫১

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
নতুন লেখা কই?

আন্দোলনে যাব নাকি?

৩৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:২৭

বলেছেন: দারুণ গল্পে প্রাণ জুড়ালো। +++

৩৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনাকে ব্লগে লগিন-করা দেখলাম, চাকুরী করছেন?

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:২০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ভাই, কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন। সেদিন টেকনিক করে ব্লগে লগিন করেছিলাম।
চাকুরী করছি, ভাই এছারা তো আর কোন উপায়ও নেই। এটা হল জীবিকার তাগিদে।
ব্লগে লগিন আজকে নির্ভেজাল ভাবে করতে পারছি, জানি না ঠিক হয়ে গেছে কি না?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.