নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"নিরাকার" শব্দটি "নাস্তিকতা" র সমার্থকই হয়। যার নাম দেওয়া যায় তা নিরাকার হয় না, হয় কি? মন্দিরও একটি ঘর, মসজিদও তাই, উভয়েরই আকার আছে। বায়ুরও আকার আছে, শুধু ধরতে হয় তা, যা ধরা যায় তার আকার আছে, যার অস্তিত্ব আছে তার আকৃতিও আছে। যা নেই, যা শুধু কল্পনায় তাই-ই শুধু নিরাকার। এদিক থেকে সকল নিরাকার ধর্ম মূলত নাস্তিক ধর্ম বা নেই-ধর্ম। "নিরাকার" ঈশ্বরের আকার দেওয়ার মধ্যেই হচ্ছে মূল সমস্যা। শাস্ত্রে রূপ দেওয়া মানে সেটি আকার হল, ঘর বানালে সেটিও আকার হল। বয়ান করলে সেটিও তো আকার। নিরাকারের আরাধনা হওয়া উচিৎ চুপচাপ, মনে মনে, কাউকে না জানিয়ে।
২| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩০
বাল্বাগানের সত্যকার প্রচ্ছায়া বলেছেন: আরে ভোদায়ের ছায়া, বেশ জ্ঞানে গর্ভবতী হইয়া লিখছস দেহা যায়
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৩৭
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: কোন কিছু আকার থাকলে সেটির সীমাবদ্ধতা চলে আসে। কিন্তু নিরাকার বলা হলে সীমাবদ্ধতার প্রশ্ন থাকে না। যদি বলা হয় ঈশ্বরের আকার আছে তাহলে ঈশ্বর সম্পর্কে মানুষের নির্দিষ্ট রেখা, লাইন টেনে তাকে একটি সীমাবদ্ধতায় আবদ্ধ করে ফেলবে, এতে ঈশ্বরের ইশ্বর হওয়ার মৌলিকত্ব ক্ষুন্ন হবে।
আর যদি বলা হয় নিরাকার, তাহলে প্রশ্ন থাকার অবকাশ নেই।
যেমন: কারো যদি মনে প্রশ্ন জাগে ঈশ্বরের কুদরতী হাত কতটুকু হতে পারে? তাহলে উ্ত্তর হবে অসীম, অপরিমানযোগ্য, যার কোন শেষ নেই ইত্যাদি।
আর যদি উত্তর হয় ঈশ্বরের হাত পৃথিবীর সমান, গ্রহের সমান বা নির্দিষ্ট পরিমান তাহলে আবার প্রশ্ন জাগবে, এই পরিমাপের বাহিরে কি ঈশ্বরের হাত কিছু করতে বা যেতে পারে না অর্থাৎ ঈশ্বরের হাত ক্ষমতা সম্পর্কে সন্দিহান হয়ে যাবে। তার ফলে ঈশ্বর আর ঈশ্বর থাকবে না।
তাই ধর্ম গ্রন্থে ঈশ্বর কে নিরাকার হিসেবে দেখানো হয়েছে। কেউ যদি সীমা রেখায় ফেলতে চায় তাহলে তার মনে যে ঈশ্বর রয়েছে সে ঈশ্বর হওয়ার যোগ্য নয়।
আমার মতে, যদি কেউ ঈশ্বরের বিশ্বাস করে তাহলে তাকে নিরাকার এবং এক ঈশ্বরে বিশ্বাস করা উচিত।
শুভ কামনা জানবেন।