নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হব সকাল বেলার পাখি

দিব্যেন্দু দ্বীপ

সংশয়ে সংকল্প সদা টলে

দিব্যেন্দু দ্বীপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওদেরকে কীভাবে কাছে টানা যায়?

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩২


ডান পাশের ও, সুশান্ত। ছোটবেলার অনেক স্মৃতি আছে সুশান্তর সাথে। সারাদিন দৌঁড়িয়ে দাবড়িয়ে বেড়াতাম। ওর সাথে স্মৃতিটা খুবই প্রবল। প্রায়ই ও মারত, ও বয়সে কিছু বড় ছিল, শক্তিও ছিল ওর অনেক বেশি। চাড়া খেলতাম ওর সাথে। বেশিরভাগ সময় কলাপাতা দিয়ে। এক বস্তা কলাপাতা সকাল থেকে ছিঁড়ে ছিঁড়ে টাকার মত বানিয়ে নিয়ে খেলা শুরু করতাম। মিনেট দশেকের মধ্যে সব হেরে যেতাম। একদিন সুশান্তর সাথে গেলাম খেজুর গাছের মাথি খেতে। ও বলল, একটা ছোট্ট খেজুর গাছ খুঁচে উঠাতে পারলে গোড়ায় মাথি পাওয়া যাবে। ছোট্ট একটা খেজুর গাছ খুঁজে পাইলাম, ও দা দিয়ে কোপাচ্ছে, আর আমি মাটি উঠাচ্ছি। এভাবে একসময় একটা কোপ এসে লাগল আমার হাতে, সাথে সাথে দুটো আঙ্গুল ঝুলে গেল। ও অভয় দিয়ে বলল, কিচ্ছু হবে না, যশুরে লতার রস চিবুয়ে লাগায়ে দিবানে, আমি বললাম, ঠিকে আছে। ও আমাকে বাগানের ভিতর নিয়ে যশুরের লতা সংগ্রহ করতে গেল। ও হাত ছেড়ে দিতেই দেখি সত্যিই আমার দুই আঙ্গুল অর্ধেক গর্ত হয়ে কেটে গেছে। ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। ও এসে যশুরের পাতা চিবায়ে লাগায়ে দিয়ে কেটে পড়ল (পালাল)। আমি কোনোমতে বাড়ি গিয়ে হাউমাউ করে কান্নাকাটি। তারপর চিকিৎসা টিকিৎসা ইত্যাদি। এখনো বড় দাগ আছে দুই আঙ্গুলে। সুশান্ত আমার জীবনে আরো একটি কারণে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সুশান্ত এবং ওর ভাই আমার বয়সী প্রশান্ত (ডাক নাম নীল) অনেক বেশি ঘোরাঘুরি করত, কাজ করত, যেহেতু পড়াশুনা করা ওদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না। ওদের সাথে মেশাটা মানুষ ভালো চোখে দেখত না। আমিও যেহেতু বাড়িতে কারো তদারকির একেবারে বাইরে ছিলাম, তাই আমি সুযোগ পেলে ওদের সাথে যাইতাম। একদিন বর্ষাকালে ওরা বিলে যাবে শাপলা উঠাতে। ওরা ডোঙা নিয়ে রেডি। আমিও ওদের সাথে উঠলাম। তিনজন এক ডোঙায় যাওয়া মুশকিল। ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তারপরও ওরা আমাকে নিতে চাচ্ছে। আমি তখন ওদের প্রতি বেশ কৃতজ্ঞ। খাল আর রাস্তা আমাদের বাড়ির পাশ দিয়ে পাশাপাশি গেছে। খাল দিয়ে যাচ্ছি, এ সময় শুনতেছি রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে একজন লোক (লোকটির নাম চেহারা পরিচয় কিছুই আমি ভুলিনি, এতটাই লেগেছিল কথাটা) বলতেছে, বাপ মরেছে এক বছর হল বোধহয়, শিবু দার ছেলেটাও তাহলে গোল্লায় গেছে। কথাটা আমার মাথার মধ্যে তীব্র বেগে আঘাত করেছিল। তারপরও ওদের সাথে গিয়েছিলাম। তখন আমি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি। এরপর থেকে ওদের দুই ভাইয়ের প্রতি আমি বিশেষ ধরনের বন্ধুত্ব অনুভব করি। বাড়ি গেলে ওদের খুঁজি, কিন্তু দেখা হলেও ওরা সম্ভবত আমাকে শিক্ষিত ভেবে দূরে চলে যায়। সুশান্তদের কাছে টানার উপায় কী?

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি শিক্ষিত, সত্যি?

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৪৪

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: আপনি বুঝবেন না, ভবিষ্যতে আপনার সন্তানের কাছে জিজ্ঞেস করবেন।

২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:২৫

হাসান রাজু বলেছেন: আপনি তাদের ভুলেন নি । তাদের কাছে যান। অতীতের গল্প আবার বলুন। প্রমাণ করুন আপনি তাদের ভুলেননি। আর অতি অবশ্যই নিজেকে কখনই জাহির করবেন না। আমার ও এমন বন্ধু আছে। যোগাযোগ ও আছে অনেকের সাথে। আমি সু-ভাগ্যবান। আপনিও। ভালো লাগলো আপনার চিন্তা আর সুখস্মৃতি গুলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.