নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হব সকাল বেলার পাখি

দিব্যেন্দু দ্বীপ

সংশয়ে সংকল্প সদা টলে

দিব্যেন্দু দ্বীপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলাম ধর্ম থেকে রাজনীতি বাদ দিলে ধর্মটা আর থাকে কি?

০৬ ই মে, ২০১৭ সকাল ৭:৫৪



গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হচ্ছে, বেধে দেওয়া কোনো আদর্শ দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালিত হবে কিনা? উত্তর কঠিন নয়, উত্তর হচ্ছে, অবশ্যই সেটি হওয়া উচিৎ না। এটা ইতিহাসে প্রমাণিত যে কোনো নির্দিষ্ট সময়ে বেধে দেওয়া নীতি-আদর্শ দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালিত হওয়ার সুযোগ নেই। এটা ভুল প্রমাণিত হয়েছে বারে বারে। কোনো আদর্শই সময়ের সাথে পাল্লা দিতে পারে না। বাট্রান্ড রাসেল অনেক আগেই এ সমস্যার সমাধান দিয়ে গেছেন তীব্রভাব আদর্শবাদের বিরোধিতা করে।

অনেকের মনে প্রশ্ন উঠতে পারে ইসলাম কীভাবে মার্কসবাদের সাথে তুলনীয় হয়, যেহেতু দুটি আদর্শ অনেকক্ষেত্রেই বিপরীত ধাচের। ইসলাম বিশ্বাস নির্ভর এবং পুঁজিবাদে বিশ্বাসী। অন্যদিকে মার্কসবাদ বিজ্ঞন নির্ভর এবং সাম্যবাদে বিশ্বাসী। তারপরেও লক্ষ্য অর্জনের উপায় এবং কর্মীদের জেহাদী মনস্তত্ত্ব বিবেচনা করলে এ দুটি মেলে অনেকক্ষেত্রে। তবে মার্কসবাদ বেশিরভাগ দেশে জেহাদের জায়গা থেকে সরে আসলেও ইসলামী রাজনীতি সরে আসেনি। আবার উভয় রাজনীতিই অনেক দেশে মধ্যপন্থার সাথে মিলেমিশে কখনো কখনো ক্ষমতার মধ্যে থাকছে একটু আধটু।

ইসলাম এবং মার্কসাবাদ দুটোই জীবনপ্রণালী এবং রাষ্ট্রব্যবস্থার বিধান এবং দুটোই রচিত হয়েছে ক্ষমতার অভিপ্রায় থেকে, একইসাথে মানব কল্যানের চিন্তা থেকেও। তবে সম্ভবত এরকম বোধ থেকেও যে এটাই সেরা এবং এটাই শুধু একমাত্র টিকে থাকা উচিৎ। এক্ষেত্রে মার্কসবাদীদের এরকম কথাও বলতে শোনা যায় যে তারাই লেটেস্ট ধর্ম এবং একমাত্র মার্সবাদই কমপ্লিট কোড অব লাইফ। অর্থাৎ, মার্কসবাদী এবং খেলাফতিদের দৃষ্টিভঙ্গিতে এক ধরনের মিল পরিলক্ষিত হয়।

বর্তমানে পৃথিবীর সবচে আলোচিত বিষয় হচ্ছে, ইসলাম ধর্মের রাজনীতিকরণ চলবে না। আসলে ইসলাম ধর্ম থেকে রাজনীতি বাদ দিলে ধর্মটা আর থাকে না। হিন্দু ধর্ম যেমন প্রথা নির্ভর এবং প্রথাগুলো বাদ দিলে হিন্দু ধর্মের আর অস্তিত্ব থাকে না।

ইসলাম ধর্ম তো ইহজাগতিক ধর্মই, তবে সময়ের বিবেচনায় তখন ঈশ্বরকে উপলক্ষ করতে হয়েছিল হয়ত। আর ঊনবিংশ শতকে রচিত হয়েছে বলে মার্কসবাদ হতে পেরেছে পুরোপুরি বিজ্ঞানভিত্তিক। ঈশ্বরকে খারিজ করার সাহস ও সুযোগ ততদিনে কিছুটা হলেও তৈরি হয়েছে। যদিও মার্কসবাদ শুধুমাত্র সমাজ জীবন এবং রাষ্ট্রীয় জীবন থেকে ঈশ্বর-ধর্ম বাদ দিতে চেয়েছে, ব্যক্তি জীবন থেকে নয়। অন্যদিকে ইসলাম ব্যক্তি জীবনে ধর্ম যেমনই থাক সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় জীবনে ধর্মকে রাখতে চেয়েছে সেই আমলে দলবদ্ধতার প্রয়োজনে । এ বিবেচনায় ইসলাম এবং মার্সবাদ বিপরীতই বলা চলে।

ইসলাম প্রচারমূলক এবং পুরোপুরি রাজনৈতিক ধর্ম। তাই রাজনৈতিক ইসলাম বাদ দিতে বলা মধ্যপন্থীদের এক ধরনের কূটকৌশল ছাড়া কিছু নয়। প্রশ্ন হতে পারে- তাহলে সুফিবাদ কী? অকপট হলে উত্তর খুব কঠিন নয়, সুফিবাদ আসলে আরবে সৃষ্ট নবী মোহাম্মদের ইসলাম নয়। তাই সুফিবাদের সমর্থন করে রাজনৈতিক এবং জেহাদী ইসলামকে খারিজ করা যায় না মোটেও।

বড় প্রশ্ন হচ্ছে, সঠিক হোক আর বেঠিক হোক ইসলামিক আদর্শ দ্বারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে চাওয়া কি অপরাধ? যদি অপরাধ না হয় তাহলে রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার বন্ধ করতে বলার সুযোগ কোথায়?

অপরাধ হচ্ছে জঙ্গিবাদ, একইভাবে সশস্ত্রভাবে মার্কসবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে চাওয়াও অপরাধ। রক্ত না ঝরিয়ে মানুষের মন জয় করে যেটি টিকে থাকবে সেটিই মেনে নিতে হবে, সেটি যদি কেউ কৌশলে করে তাহলে তাকেই জয়ী বলে মেনে নিতে হবে। এই দৃষ্টিকোন থেকে রাজনৈতিক ইসলাম এবং মার্কসবাদ দুটিই এখন অকার্যকর, কারণ, যুদ্ধ ঘোষণা ছাড়া ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো পথ করতে তারা ব্যর্থ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মে, ২০১৭ সকাল ৮:১২

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: রাষ্ট্রের কি কোন আদর্শ থাকে? কখনো থাকার কথা নয়। যদি থাকে তবে সেটা যে ধরনেরই হোক সেটি জনগনের স্বার্থ বিরাধী হবেই । কারণ রাষ্ট্র তো শুধু মাত্র বাহ্যিক প্রতিরক্ষা এর্ং অভন্তরীন প্রথা অনুযায়ী বিচারব্যবষ্থা পরিচালনরা জন্য স্বল্প পরিমানে(ব্যয় বুঝে আয়) কর আদায় করবে।

কিন্তু আপনি বলেছেন রনাষ্ট্রের আদর্শ কথা । সেটি কি রাষ্ট্র না কি মানুষকে দাস/বন্দী বানানোর হাতিয়ার?

"মার্কসবাদ বিজ্ঞন নির্ভর এবং সাম্যবাদে বিশ্বাসী"পৃথীবির কোন আদর্শ রাষ্ট্রই এত ক্ষমতা নিয়ে দীর্ঘ দিন থাকতে পারে নাই শুধু মার্কসবাদই পেরেছে। আর মার্কসবাদ সাম্যবাদে বিশ্বাসী কিছু অংশে বাট সোসালিজমে বিশ্বাসী ১০০%। রাশিয়া, চীন,কোরিয়া, পূর্ব ইউরোপের সকলে দেশই মার্কসবাদ প্রতিষ্টা করেিছিল সেখানে তাদের ১০০% বিশ্বাস সোসালিজম/প্রলিতারিয়েট/স্টেট ডিক্টেটরশীপ চালু করেছে/হয়েছে পরে নিজেদের ইচ্ছা অনুযায় ভেঙ্গ দিয়েছে। বাট কিছু অংশে বিশ্বাস সোসালিজম(উইদার এওয়ে প্রলিতারিয়েট ডিক্টেটরশীপ) বাস্তবায়ন হয়নি।



২| ০৬ ই মে, ২০১৭ সকাল ১০:৫৯

সমাজের থেকে আলাদা বলেছেন: ইসলাম জীবনব্যবস্থা, রাষ্ট্রব্যবস্থা নয়। যতবার ইসলামের নামে রাষ্ট্রব্যবস্থার ওপরে অধিকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা হয়েছে একদল ক্ষমতালোভী ধর্মব্যবসায়ী দলের সৃষ্টি হয়েছে যারা ধর্মকে নিজেদের ক্ষমতার ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে। উদাহরণ হিসেবে নিন খারিজীদের, যারা নিজেদের অতিধর্মপরায়ণতার আড়ালে থেকে ক্ষমতার জন্য হযরত আলী(রা) এর হত্যা করে। এমনভাবে তুরস্কে অতিরিক্ত ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করার দরুন মুস্তফা কামালকে খিলাফত বিলোপ করতে হয়।
ইসলাম অনুযায়ী রাষ্ট্র হলে তাকে অবশ্যই ধর্মনিরপেক্ষ, সহনশীল ও শান্তিপ্রিয় হতে হবে তবে মুসলমানপ্রধান কোনও রাষ্ট্র সেটা মানেনা। বরং এক্ষেত্রে এখন বলতে গেলে খ্রীস্টানরা বেশী এগিয়ে গেছে। তাদের ধর্মপ্রধানরা তাদের রাষ্ট্র পরিচালনায় হস্তক্ষেপ করেনা।
আর বেশী বাড়াবাড়ি ধ্বংস ডেকে আনে। উদাহরণ নিন আফগানিস্তানের। মার্কিনরা রুশদের ওপরে প্রতিশোধ নিতে তৎকালীন সোভিয়েত অধিকৃত আফগানিস্তানের ইসলামের নামে চরমপন্থী আফগানদের সহায়তা করে, পরিণতিতে আজ আফগানিস্তান একটি মার্কিন উপনিবেশ বলা চলে। যাদের তখন সহায়তা দেয়া হয়েছিল, তারাই এখন শিকার।
পরিশেষে বলি, আপনার ইসলামী রাজনীতি নামের ভ্রান্ত ধারণা পরিত্যাগ করে যদি ভালোমতো অনুসন্ধান করেন তো আপনিও আমার সিদ্ধান্তে পৌঁছবেন। ইসলাম নিজের নামের নীচে অবিশ্বাসীদের অত্যাচার কখনো পছন্দ করেনা, এটা শুধু স্বার্থান্বেষী মানুষের দ্বারা ধর্মপরায়ণদের সাথে প্রতারণা।

৩| ০৬ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:১৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
রসুল (স) মৃত্যুর আগে হাদিস লিখতে বা ফলো করতে মানা করে গেছেন। বিদায় হজে স্পষ্ট ভাবেই মানা করে গেছেন।
তাই হজরত আবুবকর রসুল (স) মৃত্যুর পর পর সব হাদিস নিজ হাতে পুড়িয়ে ফেলেন।

রসুলুল্লাহর মৃত্যুর পর আরব এলাকায় উম্মতদের নিরঙ্কুশ আধিপত্য থাকার পরও ৩০০ বছরেও একটি আদর্শ ইসলামি রাষ্ট্র তৈরি করতে পারেনি। এরপর বাকি দেড়হাজার বছরেও কোন আদর্শ ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়নি। সুধু সেই হাদিস-মাহাজাব নিয়ে নিজেদের ভেতর হাংগামা করে গেছে।
রসুল (স) মৃত্যুর ৩০০ বছর পর মক্কা মদিনার হাজার মাইল দূরে মিশরে বিচ্ছিন্ন ভাবে আবার হাদিসগুলো লেখা শুরু হয়।
হাংগামারত মুসলিমরা নিজেদের ভেতর রক্তপাত হানাহানিকে বৈধতা দিতে নিজেরাই একটি হাদিস বানিয়ে ফেললেন -
"রসুল (স) বলেছিলেন ইসলাম ৭৩ ভাগে বিভক্ত হবে। তার মধ্যে সুধু একটা সহি। বাকিরা সব জাহান্নামি"।
তবে কোনটা সহি বলে যান নি!
মানে ইসলামে আজীবন নিজেদের ভেতর হাংগামা বৈধতা দেয়ার জন্য মোক্ষম একটা জালহাদিস।

এরপর ইসলাম আরো বিভক্ত হয়ে মাহাজাব উপ-মাহাজাবের নামে ১১৭ ভাগে বা আরো বেশী ভাগে বিভক্ত।
এখন অবস্য নতুন হাদিস বের হয়েছে - "ইসলাম বিভক্তির জন্য দায়ী আমেরিকা রাশীয়া ইসরাইল"
তবে এখনো অনেকে স্বপ্ন দেখে একদিন ইসলামি রাষ্ট্র হবে।

৪| ০৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:০৬

টারজান০০০০৭ বলেছেন: বাপরে ! এইহানে দেহি ইসলামবেত্তাদের কনফারেন্স চলতাছে ! আমি টারজান আর কি কমু ! শুধু এইটুকুই কইতে পারি, হাতুড়ে ডাক্তার ওপেন হার্ট সার্জারি করিলে যাহা হইতে পারে, তাহাই হইতাছে ! যেসব নাপিতের দৌড় ফোঁড়া কাটা পর্যন্তই তাহারা আইছে হার্টে রিং বসাইতে !
আমাদের শিক্ষিতদের এই এক সমস্যা ! দুনিয়াবী বিষয়ে তো বিশেষজ্ঞদের স্মরণ নেয় , ধর্মের বিষয় আসলেই নিজেই বিশেষজ্ঞ বনিয়া যায় ! অসুখ হইলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যাইবে , ডেভিডসনের বই খুলিবে না , বাড়ি করার দরকার হইলে ইঞ্জিনিয়ার -আর্কিটেক্টের কাছে যাইবে , নিজেই পন্ডিতি করিবে না , মামলায় পড়িলে উকিলের কাছে যাইবে , নিজেই সংবিধান পড়িয়া মামলা লড়িবে না। আর কি আশ্চর্য , ধর্মের ব্যাপার আসিলেই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকিলেও মুজতাহিদ বনিয়া যায় , বিশেষজ্ঞ বনিয়া যায়।
সবাই সবকিছু পারিলে বিশেষজ্ঞের দরকার কি ?
"Islam is the complete code of life" ইসলামে জীবনের সর্বদিকের নির্দেশনা দেওয়া আছে।
তবে ইসলামে আমাদের প্রচলিত ক্যাডার ভিত্তিক ক্ষমতায় যাওয়ার রাজনীতি নাই। রাষ্ট্র পরিচালনার প্রয়োজনীয় সব নীতিই আছে। জানিতে চাহিলে কওমি মাদ্রাসার বিজ্ঞ আলেমের কাছে গেলে ভালো হয় !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.