নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হব সকাল বেলার পাখি

দিব্যেন্দু দ্বীপ

সংশয়ে সংকল্প সদা টলে

দিব্যেন্দু দ্বীপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমিএকজন দুবৃত্তকে থাপ্পড় মারতে চেয়েছি ডাক্তারকে তো নয়

২৪ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৫

ডাক্তারদর উপর সাধারণ মানুষর এই ক্ষোভ অকারণ নয়। কোনো কোনো সময় এটা হতে পারে যে কোনো একজন ভালো ডাক্তারও ক্ষোভের শিকার হতে পারেন। কিন্তু কোনো ভালো ডাক্তার কি কখনো এই পেশার নৈরাজ্যের দিকটি তুলে ধরেছেন?

কোনো বিএমএ নেতা কি এটি বলেছেন কখনো যে রোগীরা জিম্মি হচ্ছে, তাদের ঘাড়ে অহেতকু খরচের বোঝা চাপানো হচ্ছে, কখনো কখনো তাদের জীবন সংকটে পড়ছে?

ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত তো বলেছেন যে ডাক্তার কমিশন না খেলে রোগীদের টেস্ট করানোর খরচ ৪০% কমে যাবে। তিনি কি বানিয়ে বলেছেন?

অনেক ডাক্তার তো অকারণে টেস্ট করাতে বাধ্য করান। পুরোন ঢাকার এক বিখ্যাত ডাক্তার বলে দিল ঈশপের রিকেটস হয়েছে, কী জানো প্রোফাইল (টেস্ট) তৈরি করতে হবে। আমি তার হাবভাব বুঝতে পেরে ভিজিট না দিয়ে দাঁত কটমট করে চলে আসি। পরে বিএসএমএমইউ তে দেখাই। এবং ডাক্তার বলেন সব ঠিক আছে। একজন সাধারণ মানুষ এক্ষেত্রে কী করত- ডাক্তারকে ভগবান মেনে যাবতীয় প্রোফাইল তৈরি করত, প্রয়োজনে দোকান বিক্রি করত।

ঐ ডাক্তার কিন্তু পুরোন ঢাকার বিখ্যাত একজন শিশু ডাক্তার। ক্যাপিটাল হাসপাতালে বসে। আমি যদি বলি ঐ ডাক্তারকে আমার ঐদিন একটা থাপ্পড় মারা উচিৎ ছিল তাহলে কেন সকল ডাক্তার তার জন্য অপমানিত বা ব্যথীত বোধ করবে? আমি তো একজন দুবৃত্তকে থাপ্পড় মারতে চেয়েছি ডাক্তারকে তো নয়।

ডাক্তার হলেই ডাক্তারের পক্ষ নিতে হবে? এটা তো সাম্প্রদায়িকতা ছাড়া কিছু নয়। পেশাগত সাম্প্রদায়িকতা আমাদের দেশে খুব প্রকট হয়ে দেখা দিচ্ছে।

প্রশ্ন হতে পারে অন্য পেশা নিয়ে কথা ওঠে না কেন? কথা ওঠে, তবে এতটা মারাত্মকভাবে ওঠে না কারণ তারা জীবনের চাহিদাগুলো নিয়ে মানুষকে জিম্মি করে, কিন্তু ডাক্তারতো পুরো জীবনটা হাতে নিয়ে থাকে।

প্রশ্ন হতে পারে দায়ী কি ডাক্তাররা নাকি ক্লিনিকের মালিক এবং ওষুধ কোম্পানির মালিক? দায়ী যারাই হোক দায়টা ডাক্তারদেরই নিতে হবে, কারণ চিকিৎসা সেবা ডাক্তাররাই দিয়ে থাকেন।

তাছাড়া অনেক ডাক্তারও অনেক ক্লিনিকের মালিক। বাগেরহাটে এক ডাক্তার তার ভাইকে দিয়ে একটি ক্লিনিক চালায়, যেটি শুধু লুটপাটই করছে না, মানুষের জীবন কেড়ে নিচ্ছে। আমার পরিবারও সেখানে ভুক্তভোগী।

মোবাইল কোর্ট ক্লিনিক এবং ডায়াগোনিস্টিক সেন্টারকে শুধু জরিমানা করবে কেন, তাদের শাস্তি দিতে হবে, ক্লিনিক বন্ধ করে দিতে হবে। এটা মোবাইল কোর্টের সীমাবদ্ধতা। এমনও শুনেছি এসব ক্ষেত্রে মোবাইল কোর্ট ঘুষ খেয়ে লোক দেখানো জরিমানা করে বা সাজা দেয়, বেশিরভাগ সাজাপ্রাপ্তরা সিএমএম কোর্ট থেকে খারিজ পেয়ে যায়।

এ বিষয়গুলো ডাক্তার নেতাদের দেখতে হবে, দেখা উচিৎ। তাদেরই এগিয়ে আসতে হবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাটাকে ঢেলে সাজানোর জন্য, কারণ, ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ সবখানেই ডাক্তারদের অবদান আছে। এখনো অনেক ভালো ডাক্তার আছেন নিশ্চয়ই, তা যেমন পেশাগতভাবে এবং মানুষ হিসেবেও। তাদেরকে সামনে নিয়ে আসতে হবে। তাদের উপর দায়িত্ব অর্পণ করতে হবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:৩০

স্টেনটোরিয়ান বলেছেন: বাঙ্গালী বীরের জাতি। সেই ডাক্তারকে কষে দুঘা দিলে কমই দেওয়া হত। হাত পা ভেঙ্গে দেয়া উচিৎ ছিল। তাতে বীরত্ব বাড়ত বৈকি। তা দাদা, বলুন তো দেখি, বাজার থেকে ১ কেজি মাংস কিনে বাসায় যেয়ে যখন দেখেন তাতে ৮০০ গ্রাম মাংস তাতে আবার ৩০০ গ্রাম হাড়, তখনও কি দাদার হাত নিশপিশ করে? দাদা যখন থানায় মামলা করতে যান কিন্তু পুলিশকে আপনার কথা শোনাতে হলে ২০০০০ টাকা লাগে, তখনও কি দাদার হাত নিশপিশ করে?উকিলবাবু যখন শুধু পরামর্শ দিতে ২৫০০০ টাকা নেন তখনও কি দাদার হাত নিশপিশ করে? দাদা যখন সরকারী অফিসে ফাইল নিয়ে যান, সেই ফাইল যখন ২/৩ মাস পড়ে থাকে, কেবলমাত্র কেরাণীকে টাকা দিলেই তা টেবিলে ওঠে, তখনও কি দাদার হাত নিশপিশ করে? দোকান থেকে যখন খাবার কিনে বাসায় নিয়ে দেখেন সেটি পোড়া মবিলে ভাজা, তখন কি দাদার হাত নিশপিশ করে? নাকি এসব ক্ষেত্রে দাদা হস্তমৈথুক করে হাতের নিশপিশ দূর করে বীরত্ব প্রকাশ করেন। সব বীরত্ব ডাক্তার পিটিয়ে দেখান যায় কারন তারা উল্টো মার দেয় না বলে। অন্য ক্ষেত্রে বীরত্ব প্রকাশ করতে গেলে দাদা, বিচি কেটে নিয়ে পাছার ফুটায় ভরে দেবেযে। তাই বীর বাঙ্গালী ডাক্তার পিটিয়ে বীরত্ব দেখাও, অন্য সময় বীরত্ব কমোডে ঢেলে এস।

২৪ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৪

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: জানি না আপনি ডাক্তার কিনা, ডাক্তর হলে সেটি জাতির জন্য লজ্জ্বা। লেখাটার সবটুকু পড়েছেন কিনা সন্দেহ আছে। বাঙ্গালীকে গালি দিয়ে বাংলাদেশে থাকেন কেন সে প্রশ্ন সবার আগে করতে চাই। অন্য সবখানে বিক্ষুব্ধ হওয়া আর চিকিৎসা না পেয়ে বা ভুল চিকিৎসা পেয়ে বিক্ষুবদধ হওয়া এক কথা নয়। মাংস একশো গ্রাম কম পড়লে ঐ একশো গ্রামের দামের উপর দিয়েই যায়। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে চিকিৎসা না দিলে, উল্টোপাল্টা ওষুধ দিলে, টেস্ট করিয়ে করিয়ে হেনস্থা করলে জীবন সংকটে পড়তে হয়, তাই দুটো জিনিস এক নয়। আর আপনার যা ভাষা তাতে ব্লগে আপনার জায়গা হয় কীভাবে বোঝা মুশকিল। ডাক্তারি পড়ছেন বোধহয় কোনো নাম না জানা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে, অথবা মুখস্থ বিদ্যায় চান্স পাওয়া ডাক্তার, অথবা রোগীদের জিম্মি করার ব্যবসা আছে। কোন দিকের আপনি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.