নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হব সকাল বেলার পাখি

দিব্যেন্দু দ্বীপ

সংশয়ে সংকল্প সদা টলে

দিব্যেন্দু দ্বীপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চুকনগর বধ্যভূমি : একদিনে দশ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল যেখানে

২৫ শে মে, ২০১৭ সকাল ৭:৫৮


১৯৭১ সালের ২০ মে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর গ্রামে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এদেশীয় দোসরদের সহযোগিতায় ১০ হাজার নিরীহ মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এটি একদিনে করা সবচে বড় গণহত্যা পৃথিবীর ইতিহাসে।

স্বাধীনতার ৩৫ বছর পর সেখানে নির্মিত হয়েছিল উপরের স্মৃতি স্তম্ভটি কিন্তু দীর্ঘ ৪৬ বছর পার হলেও বধ্যভূমিটিতে পূর্ণাঙ্গ একটি কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়নি এখনো। সকল শহীদের নামের তালিকাটিও স্পষ্টভাবে নেই, স্বীকৃতিও দেয়া হয়নি শহীদদের সন্তানদের। পরিবারগুলো চরম দারিদ্র্যে কোনোমতে বেঁচে আছে।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলার সময় ৫ মে দক্ষিণাঞ্চলে বাংলাদেশের সর্ব প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে রাজাকার বাহিনী গঠন করা হয়। এই রাজাকার বাহিনীর নেতৃত্ব দেন অন্য অনেকের সাথে সে সময়ের জামায়াত নেতা এ কে এম ইউসুফ। রাজাকার বাহিনীর সহযোগিতায় এবং প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে খুলনা এবং বাগেরহাট অঞ্চলে শুরু হয়েছিল মুক্তিযোদ্ধা এবং বিশেষত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন।

নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে, জীবন বাঁচাতে ভারত যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাগেরহাটের মংলা, রামপাল এবং খুলনার বটিয়াঘাটা, দাকোপ, ফুলতলাসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে হাজার হাজার মানুষ আশ্রয় নেয় ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর এলাকায়। ভারত যাওয়ার জন্য ঐ অঞ্চলকে তখন তারা নিরাপদ রুট হিসেবে ভেবেছিল। তারা ভেবেছিল কেশবপুর দিয়ে সীমান্ত পার হয়ে ভারতের দিকে রওনা হবেন, তার আগের তারা দলবদ্ধভাবে জড়ো হয়েছিল স্থানটিতে। কাঁচা রাস্তা এবং চারিদিকে অনেক নদনদী থাকায় এদিকে পাকিস্তানী বাহিনী আসবে না বলে ধারণা করা হয়েছিল।

কিন্তু দোসরদের সহযোগিতায় খবর পেয়ে সাতক্ষীরা থেকে দুপুর নাগাদ পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ট্রাক ও জিপ নিয়ে চুকনগরে প্রবেশ করে। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য থেকে জানা যায় পাতখোলা বিল থেকে তারা গুলি চালাতে আরম্ভ করে পরে চুকনগর বাজারের দিকে আসে। একনাগাড়ে বিকেল ৩টা পর্যন্ত গুলি চালিয়ে তারা অসংখ্য মানুষকে হত্যা করে। অন্তত ১০ হাজার মানুষকে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী গুলি করে হত্যা করে, তাদের রক্তে লাল হয়ে ওঠে ভদ্রা নদীর পানি।

এতবড় গণহত্যা তবু সে শোঁকগাথা আজো রচিত হয়নি বিশদভাবে, এমনকি স্বাধীনতার দলিলেও চুকনগর গণহত্যা সঠিকভাবে বিস্তারিত উঠে আসেনি।
২০ মে চুকনগর গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মে, ২০১৭ সকাল ৮:১৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এই নৃশংস ও মর্মান্তিক গনহত্যার কথা শুনে যে কোন মানুষ শউরে উঠে, ঐ কসাইদের নিন্দা বা ধিক্কার জানানোর ভাষা আমাদের নাই। ঐ গনহত্যায় যারা সহীদ হয়েছিল তাদের আত্মার শান্তি কামনা করছি।

২| ২৫ শে মে, ২০১৭ সকাল ৮:১৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: চুকনগর বধ্যভূমি নিয়ে আমার একটা পোষ্ট আছে, এখানে টোকা দিয়ে দেখতে পারেন

২৫ শে মে, ২০১৭ সকাল ৮:১৯

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: ধন্যবাদ। পড়লাম …

৩| ২৫ শে মে, ২০১৭ সকাল ৮:৩১

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: অনেকক্ষণ নিথর হয়ে রইলাম এমন নৃশংস ও মর্মান্তিক গণহত্যার মন্তব্য লিখতে গিয়ে!



সকল শহীদের আত্মার শান্তি কামনা করি

৪| ২৫ শে মে, ২০১৭ সকাল ৮:৪৪

কলাবাগান১ বলেছেন: তারপরেও এখনও শহীদের সংখ্যা নিয়ে জামাতি-রাজাকার বান্ধব রা প্রশ্ন তুলে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.