নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হব সকাল বেলার পাখি

দিব্যেন্দু দ্বীপ

সংশয়ে সংকল্প সদা টলে

দিব্যেন্দু দ্বীপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘লিনকিন পার্ক’ ব্যান্ডের গায়ক চেস্টার বেনিংটন আত্মহত্যা করেছেন!

২১ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৩৭

“There’s something inside me that pulls beneath the surface
Consuming, confusing
This lack of self control I fear is never ending …”


চেস্টার বেনিংটন (মার্কিন হেভি মেটাল রক ভোকালিস্ট)

জন্ম: ২০ মার্চ, ১৯৭৬
মৃত্যু: ২০ জুলাই ২০১৭

বেনিংটন একজন গায়ক, গান লেখক ও অভিনেতা। চেস্টার বেনিংটনকে ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ১০০ হেভি মেটাল ভোকালিস্ট-এর তালিকায় স্থান দেওয়া হয়।
বেনিংটন আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় লস অ্যাঞ্জেলসের ফ্লাটে ঝুলন্ত অবস্থায় বেনিংটনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যুকালে তিনি ৬ সন্তান রেখে গেছেন।
তাঁর আত্মহত্যার বিষয়টি বিস্ময়কর, কারণ, গত কয়েকদিন ধরে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন শহরে লিনকিন পার্ক ব্যান্ডের নতুন অ্যালবাম ‘ওয়ান মোর লাইট’ গানের প্রদর্শনী নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছিলেন। আগামী ২৭ জুলাই ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের মেনসফিল্ড শহরে ওই গানের শেষ প্রদর্শনী হওয়ার কথা

ফিরে দেখা
লিনকিন পার্ক ব্যান্ডের সদস্য হওয়ার আগে বেনিংটন হতাশ হয়ে পড়েছিলেন এবং গান ছেড়ে দেয়ার কথা ভাবছিলেন। এরপর ১৯৯৯ সালে একটি অডিশনে অংশগ্রহণ করে টিকে যান, এবং হয়ে যান লিনকিন পার্কের অন্যতম ভোকাল। লিনকিন পার্ক-এর প্রথম অ্যালবাম হাইব্রিড থিওরিতে (২০০০) গান গাওয়ার মাধ্যমে তিরি বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করতে শুরু করেন। লিনকিন পার্কের পরবর্তী স্টুডিও অ্যালবামগুলো হলো মিটিওরা (২০০৩), মিনিটস্ টু মিডনাইট (২০০৭), এ থাউজ্যান্ড সানস (২০১০) এবং লিভিং থিংস্ (২০১২)। এ অ্যালবামগুলোতেও চেস্টার সমানভাবে জনপ্রিয়।
লিনকিন পার্কের সাথে কাজ করার পাশাপাশি বেনিংটন ২০০৫ সালে তার নিজের ব্যান্ড ডেড বাই সানরাইজ-এর গোড়াপত্তন করেন। তাঁর নিজের ব্যান্ড হতে আউট অব এ্যাশেজ প্রকাশিত হয় ২০০৯ সালে। এরপর থেকে তিনি ছিলেন সফলতার চূড়ায়।

চেস্টার বেনিংটনের গান
‘ওয়ান মোর লাইট’ ‘ক্রলিং’ বেনিংটনের বিখ্যাত গানগুলোর মধ্যে অনত্যম। ‘ওয়ান মোর লাইট’ নামেই বেনিংটনের শেষ কো-অ্যালবামটি প্রকাশিত হয় এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে। ক্রলিং-এর মিউজিক ভিডিওটি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়েছে। ‘ক্রলিং’ গানটি হাইব্রিড থিওরি অ্যালবামের অন্তর্ভুক্ত। মূলত এই গানটির কারণেই অ্যালবামটি এত বেশি জনপ্রিয় হয়। ইউটিউবে এই গানটি দেখা হয়েছে এ পর্যন্ত ১৬ কোটি পয়ষট্টি লক্ষ বার।

কিছুদিন আগেই, এ বছরের মে মাসে তিনি তাঁর বন্ধু শিল্পী ক্রিস কর্নেলের আত্মহত্যার প্রেক্ষিতে লেখেন, “তোমার অনুপস্থিতি ছাড়া এই পৃথিবীর কথা আমি ভাবতে পারি না। আমি প্রার্থনা করি, অন্য সে জীবনে তুমি আরো ভালো থাকবে।” কর্নেলের অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ায় তিনি একটি গান পরিবেশন করেন।

এরপর থেকে বেনিংটন ছন্দেই ছিলেন! গত মাসে তিনি তাঁর টুইট বার্তায় লেখেন, “খুব সৃজনশীল সময় কাটাচ্ছি, এ সপ্তাহে ছয়টি গান লিখলাম।” বিস্ময়ই থেকে গেল, সব সফলতা তুচ্ছ করে তিনি বেছে নিলেন মৃত্যুকে মাত্র ৪১ বছর বয়সে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.