নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হব সকাল বেলার পাখি

দিব্যেন্দু দ্বীপ

সংশয়ে সংকল্প সদা টলে

দিব্যেন্দু দ্বীপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হত্যা হত্যাই, ধর্মীয় হলেও সেটি আড়ালেই করা উচিৎ

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৫৮



ঈশপকে মাঝে মাঝে বাজারে নিয়ে যাই। ও মুরগী দেখে বলে, “মুরগী কক কক করে ডাকে।” নেটে সার্চ দিয়ে মুরগীর ছবি দেখে। কোনোভাবেই আমি মানতে পারি না- যে মুরগিটিকে ও ভালোবেসে তার ডাক নকল করছে, সেটিকেই আবার কেটে খাবে!

অামি কখনো বলি না, এটা মুরগীর মাংস বা কিছু, বলি, মাংস খাও বা মাছ খাও। নাম বলি না। এটা তো সভ্যতার একটা সমস্যা যে আমাদের হত্যা করে বাঁচতে হয়। তবে সেটি শিশুদের সামনে কোনোভাবেই করা চলে না। ওদের সেটি বলা চলে না। চলে কি?

শুধু দেবদেবীর সামনে বলি দেওয়ার সময় নয়, এমনিও বাজারে গিয়ে এই জিনিসটা দেখতে আমার ভালো লাগে না, আবার এও বুঝি যে আমি যেহেতু মাছ-মাংস খাই তাই এ মায়া মানবিক হয় না খুব একটা। প্রকৃতিতে এ হত্যাকাণ্ড আছেই, এবং সেটি প্রাকৃতিক নিয়মও।

প্রশ্ন হচ্ছে, মানুষ হিসেবে আমরা কি শুধু প্রাকৃতিক জীবনযাপন করি, নাকি অনেক কিছুই আমরা নিয়ম করে নিয়েছি মানব সৃষ্ট সভ্যতার প্রয়োজনে? প্রাণীরা তো প্রকৃতিতে সংগমের কাজটিও প্রকাশ্যে করে, আমরা কি তাই করি? করি না, অর্থাৎ মানুষ হিসেবে আমাদের আলাদা বৈশিষ্ট আছে, আমরা যেমন প্রকৃতির সৃষ্টি আবার অামাদেরও অনেক সৃষ্টি আছে।

এ কারণেই মানুষ বিচার করে, ভাল-মন্দ নিয়ে বিতর্ক করে। কালি পূজোয় পাঠা বলি দেওয়া নিয়ে কথা ওঠে, মানুষ বলেই আমরা এটা নিয়ে কথা বলি। আমরা বুঝি, হল্লা করে হত্যা করা যায় না। ঈশ্বররূপ কিছু কল্পনা করতে হলে এটা ভাবা অনৈতিক যে তিনি তা (বলি) চাইতে পারেন। ঈশ্বর এরকম রক্তলোলুপ হতে পারে না, হতে পারে কি?

অাসলে প্রাগঐতিহাসিক যুগে বলি প্রথার প্রয়োজন ছিল। একসময় পশুপালনই ছিল মানুষের অন্যতম জীবিকা। মুদ্রা ব্যবস্থা যখন ছিল না তখন পশু ছিল অন্যতম বিনিময় মাধ্যমও। ফলে অনেক সময় একসাথে অনেক পশু বলি দেওয়ার প্রয়োজন পড়তো। আবার এ রক্তারক্তি কাণ্ডে মানুষের দ্বিধাও ছিল। ঈশ্বরের নামে করায় সে দ্বিধা খানিকটা তারা কাটাতে পেরেছিল হয়তো।

ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, একসময় ধনী মানুষ বলতে বুঝাতো যার অনেক পশু ছিল। বছরে একবার সেখানে থেকে কিছু বলি বা কোরবানি দিয়ে মানুষকে বিলিয়ে দেওয়া ভালোই ছিল। এখন অবশ্য দেওয়ার মত অনেক কিছু আছে, তারপরও প্রথাটা রয়ে গিয়েছে।

বিশেষ করে টাকা আবিষ্কার হওয়ার পর কাউকে পণ্য দেওয়া আর লাগে না। কারণ, টাকা দিলে ব্যক্তি তার পছন্দমত প্রয়োজনীয় পণ্যটি কিনে নিতে পারে। তাই, বলি বা কোরবানী দিয়ে মাংস বিলিয়ে দেওয়ার বিষয়টি এখন আর তাৎপর্যপূর্ণ কিছু নয়।

তারপরেও পৃথিবীতে ধর্ম এখনো খুব প্রভাবশালী। কতটা প্রভাবশালী তার প্রমাণ ধর্ষক-লম্পট-খুনি এবং একইসাথে ধর্মগুরু রামরহীম সিংহ।

সভ্যতার সবচে বড় সংকট হচ্ছে- ধর্মান্ধতা। ধর্মান্ধতা আছে বলেই এরকম ধর্মগুরু আছে। এখনো পৃথিবীর বহুদেশে মানুষ ধর্মের নামে একত্রিত হয়, এবং কাউকে কাউকে এরা এমনভাবে ফলো করা শুরু করে যে ঐ নির্দিষ্ট ব্যক্তি অনেক সময় সকল আইনের উর্ধে চলে যায়।

আমাদের দেশেও বিষয়টি চরমভাবে দৃশ্যমান। সাঈদীকে চাঁন্দে দেখা নিয়ে কম কাণ্ড হয়নি। মারাও গিয়েছিল অনেক লোক! উচ্চ আদালত তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। কিন্তু তাই বলে তার জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি বলেই ধারণা করায় যায়।

বলতে চাই- যে ঈশ্বরের নামে ধর্ষক আসকারা পায়, খুনি পার পায়, যুদ্ধাপরাধী ছাড়া পায়; যে ঈশ্বরকে পাঠা, মহিষ বা গরু বলি দিয়ে তুষ্ট করা লাগে, সভ্যাতার দাবী হচ্ছে সে ঈশ্বরকে আমরা ত্যাগ করতে চাই, আমরা চাই মানবিক-সুন্দর-পরিশিলীত-প্রেমিক এক ঈশ্বররূপ।

প্রাণীর সামষ্টিক সত্তা হিসেবে এমন এক ঈশ্বর রূপ আমরা কল্পনা করতে চাই যার নামে ঘৃণা, সাম্প্রদায়িকতা, হিংসা, হত্যা -এসব প্রশ্রয় পাবে না, যার নামে মানুষ লোভী হয়ে উঠবে না, যার জন্য বাধ্য হয়ে প্রার্থনায় বসার প্রয়োজন পড়বে না, যার নামে মানবজাতি খণ্ডিত হবে না।

মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:০৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: যুক্তিযুক্ত পোস্ট।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৪৮

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:১৩

সেয়ানা পাগল বলেছেন: সহমত।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৪৯

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৩৫

মিঃ আতিক বলেছেন: গোশত খাওয়া কি বন্ধ করে দেয়া উচিৎ? জগতের সকল প্রাণী সুখে থাক।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৪

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: গোস্ত খাওয়া বন্ধ করতে আপনাকে কে বলছে?

৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৪৬

চুলবুল পান্ডে বলেছেন: বাবুমশয়ের উদ্দেশ্য টা কী ? লেখার মধ্যে একজায়গায় কোরবানীর উল্লেখ দেখলাম। তা' নিজেদের পাঁটাবলী নিয়ে যাখুশী ভাবুন, কোরবানী নিয়ে চুলকানী কেন ?

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৪৭

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: কোনো কিছুর ইজারা নিয়ে বইসেন না। মানব সভ্যতার সবকিছু নিয়ে সবার কথা বলার অধিকার আছে। কুরবানি আর বলি বিষয় তো একই। এখনো বুঝে উঠতে পারেননি? ভদ্রভাষায় কথা বলতে না পারলে জঙ্গলে ফিরে যান।

৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:১৩

শিখণ্ডী বলেছেন: ভাল লাগল লেখাটা।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৪

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৫০

কানিজ রিনা বলেছেন: আদিম থেকেই পশু শিকার হত্যা শুরু হয়েছে।
শিকারী মানুষেরা মাছ শিকার নানা রকম
পশু শিকার করেই জীবিকা অর্জন করত।
আদিম মানুষ বড় বড় শিকার গুল একসাথে
উৎসব করে খেতো। তখন ধর্মর ধরন ছিল
কিনা তা ইতিহাসে পাওয়া যায়না। হয়ত
মানুষের পশু খাওয়ার উৎসবই একসময়
ধর্মের সিস্টেমে এসেছে।
আসলে সৃস্টিটাই মনে হয় দুর্বলের খায় সবলে।
বাঘ সিংহ খায় হরিন, বড় মাছ খায় ছোট
মাছের। ঠিক এমনটাই সৃস্টির নিয়ম।
তবে মানুষ যখন সাক সবজী ধান চাউল
ভাত রুটি খাওয়া শিখেছে তখন থেকেই
আমিশ খাওয়া ছেড়ে দিলে কেমন হতো
তাহলে সাগর নদী মাছে ভরে উপচে পড়ত।
পশুরা পৃথিবী ভরে মানুষের থেকে পরিমানে
বেশী হতো তাই নয় কি? হয়ত ভারসাম্য
বজায় রাখার ক্ষেত্রেও আমিশ খাওয়ার
প্রয়োজন পড়ে। প্রতিটা ধর্মেই ভাল দিক
নিবেচনায় এসেছে। যদিও কিছু ধর্মে জীব
হত্যা মহা পাপ তথাপি বৌদ্ধরা মরা জীব
খায় দুগন্ধ থেকে বাঁচার মুখ্য উপায়।
তবে পশুবলি বা কুরবানী যাই বলুন
শিশুদের মনে বিরুপ প্রতীক ক্রিয়া হতে
পারা স্বাভাবিক।
তাই এইসব উৎসবে বাচ্চাদের দুরে রাখাই
ভাল। আমার মেয়েটাও বাসায় কবুতর জবাই
করলে চিৎকার দিত তাজা মাছ কাটলে
কান্নাকাটি করত বড় হতে ঠিক হয়েছে।
এখনও ওর সামনে মুরগীও জবাই দেওয়া
হয়না। ধন্যবাদ।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:০৫

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:০২

চুলবুল পান্ডে বলেছেন: রামছাগলে বলে কী ? কোরবানী ও বলী একই বিষয় ? এটা কী পদ্মফুলের ব্লগ ? আর সামু এই সব চরম মুসলিমবিদ্বিষ্ট বাবুরামদের প্রমোট করে ?

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:০৬

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: মানবতা এবং সভ্যতার পক্ষে বললে মুসলিম বিদ্বেষ হয়ে যায়!!!

৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ২:২৪

কানিজ রিনা বলেছেন: চুলবুল পান্ডা নামের মাহাত্ব কি? পান্ডারে
কুরবানী দেওয়া যায়?

৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:৩৩

আবদুল মমিন বলেছেন:

এটা নিয়ে কিছু লিখুন

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৬

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: লিখেছি। তবে সব লেখার দায়িত্ব যখন আমার তখন বাল ছিলতে এইখানে আপনে ঢুকছেন কেন? মন্দিরে যাইয়ে ঘণ্টা বাজানগে

১০| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:৩৫

আবদুল মমিন বলেছেন:


মানব সভ্যতা কাকে বলে এই মহান জিনিশ টা কোন মহাপুরুশ আবিস্কার করিয়াছিলেন ?

১১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:২৮

বারিধারা বলেছেন: দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন, "মানবতা এবং সভ্যতার পক্ষে বললে মুসলিম বিদ্বেষ হয়ে যায়!!!"

জ্বি, আপনাদের চোখে যুগে যুগে ইসলাম মানবতা আর সভ্যতার বিপক্ষ শক্তি ছিল। আর তাই তো ইন্ডিয়ার হিন্দুরা অসভ্য মুহাম্মদ বিন কাশিমকে ডেকে এনেছিল মানবতার প্রতিমুর্তি, সভ্যতার ধারক রাজা দাহিরকে হত্যা করতে। মানবতাবাদী রাজা পৃথ্বীরাজের বিরুদ্ধে তাই অমানবিক মাইনুদ্দীন চিশতীর পক্ষে হিন্দুরা যুদ্ধ করেছিল।

পশু কোরবানীর শাস্তি হিসেবে রাজা গণেশ তার মুসলিম প্রজাকে দিয়ে তার শিশুপুত্রের গলা কাটতে বাধ্য করেছিলেন, তাকেও আপনার কাছে সভ্যতার প্রতীক হিসেবে মনে হয়।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৭

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: “অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী” কথাটা বোঝেন?

১২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৪২

সেয়ানা পাগল বলেছেন: @ বারিধারা
জীবনে প্রথম শুনলাম এই ইতিহাস আপনার কল্যাণে। দয়া করে একটু আরও ডিটেইলস রেফেরেন্স র সাথে দিলে খুব খুব উপকার হয়। ভয় নেই কেউ আপনার গলা কাটবে না :D

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৭

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: ও নিজে লিখছে এই ইতিহাস

১৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:২১

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ইনিয়ে বিনিয়ে সেই কোরবানির বিপক্ষেই লিখিলেন , সময়মত ! মানবতার ধ্বজা বহু আগেই আপনাদের অতি ও অপব্যবহারে ভঙ্গ হইয়াছে ! উহারে জাতীয় সংগীত শুনাইলেও আর খাড়া হইবে না ! সুতরাং চেষ্টা করিয়া লাভ নাই !

নিজের লেজ কাটিবেন, কাটুন না ! কে মানা করে ! অন্যেরে লেজ কাটার সুফল সম্পর্কে ক্যানভাস না করিলেই ভালো লাগে !

ছাগুদের দিকে বন্দুক তাক করিয়া ইসলামরে গুলি করা আর কতকাল !

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৮

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: ট্যাবলেট খাওয়া লোক মনে হইতেছে। ধার্মিক হন কিন্তু দারোয়ান হইয়েন না।

১৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৪৪

সেয়ানা পাগল বলেছেন: @ টারজান

এটাই হল আপনাদের সমস্যা। আপনাদের কথায় "দুনিয়ার সব গাছের আমে পোকা আছে বা ধরতে পারে। কিন্তু আমার/ আমাদের গাছের আমে একদম পোকা নেই।" এগুলো আর কতকাল চলবে !

১৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৩৩

এম আর তালুকদার বলেছেন: “জীব হত্যা মহাপাপ”; কিন্তু রোহিঙ্গা হত্যা ‘মহাপূণ্য’! “অহিংস পরম ধর্ম”; রোহিঙ্গা গণহত্যাও 'পরম ধর্ম'! 'মুসলিমদের মানবাধিকার থাকতে নেই'!!

১৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৩৫

এম আর তালুকদার বলেছেন: @DrTuhinMalik লিখেছেন -

“জীব হত্যা মহাপাপ”; কিন্তু রোহিঙ্গা হত্যা ‘মহাপূণ্য’!
“অহিংস পরম ধর্ম”; রোহিঙ্গা গণহত্যাও 'পরম ধর্ম'!
'মুসলিমদের মানবাধিকার থাকতে নেই'!!

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৯

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: অহ! কয়টা রোহিঙ্গা বাসায় জায়গা দিয়েছেন ভাইলোগ?

১৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৭

বিষাদ সময় বলেছেন: আপনার পোস্টের সব যুক্তির সাথে একমত তা হয়তো নই, তবে পোস্টে যুক্তি পূর্ণ কথা আছে। আপনার মত সচেতন মানুষ ছিল বলেই আজ হয়তো নরবলী, সতিদাহ প্রথা বিলুপ্ত হয়েছে বা মুসলিমরাও তাদের অনেক আচরণ মোডিফাই করে নিয়েছে।
আপনি পোস্টে কোন জাগায় অবমাননাকর ভাষা ব্যবহর করেননি তারপরও আপনার পোস্টে অনেককে অভদ্রচিত মন্তব্য করতে দেখে কষ্ট পেলাম।

ধর্ম বলছে কোরবানী করতে, করুন। ধর্ম বলেছে মুরগী খেতে, খান। কিন্তু সেই ধর্মই বলেছে এক পশুর সামনে আরেক পশু যবেহ না করতে, পা ধরে উল্টা করে মুরগীকে না ঝোলাতে; ধর্মের সে বাণী পালনের প্রতি আমাদের কোন আগ্রহ নেই।

অনেকেরই সকালে ওয়াজিব (মত ভেদে সুন্নত) কোরবানীর তোড়জোড় করতে গিয়ে ফজরের ফরয নামাজের খবর থাকে না, কোন রকমে ঈদের ওয়াজিব নামাজে দৌড়ায় তারপর গরু কোরবানী করে গরু/ছাগল কাটতে গিয়ে জোহর, আসর বা মাগরিব এর ফরজ নামাজ পড়া হয়না, এমনকি এদের অনেকেই সারা বছরে শুক্রবার ছাড়া নামাজের ধারে কাছে যায়না।

ফরজ পালন না করে যে ওয়াজিব ইবাদত করা যাবে না বা তার সোয়াব পাওয়া যাবে না তা নয়। কিন্তু সুদ খাবো, ঘুষ খাবো, অন্যের হক নষ্ট করবো, ফরজ নামাজ, রোজা ঠিকমত করবো না, ফরয যাকাত আদায় করবো না অথচ ঈদের দিনের ওয়াজিব নামাজে আর ওয়াজিব কোবানীতে পাগলের মত দৌড়াবো এ সব ব্যক্তির এটা কি ধরণের ধর্ম পালন ঠিক আমি বুঝে পাই না। সবাই এ রকম করেন তা নয়, কিন্তু এ রকম ব্যক্তি কম নয়, আমার ধারণা এরাই সংখ্যা গরিষ্ট।

আসলে আমরা অনকেই সার্বজনিন ভাল, মন্দ বা নিজের ধর্ম সম্পর্কেও সঠিক জ্ঞান রাখি না। শুধু জানি প্রথাগত উন্মাদনা করতে।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫০

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: ধন্যবাদ

১৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:০০

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: তোর যত চুলকানী ইসলাম নিয়ে কোরবানী টা শ্রেফ সামনে আনা। তুই ধর্মের কি বুঝিস? ইসলাম কি? কেন? কতটুকু চর্চা আছে তোর। ভারতে গিয়ে পাঠা বলির বিরোধীতা কর্, দেখ কেমন লাগে?

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫১

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: বলদ

১৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:১৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ধর্ম আর বিজ্ঞান সম্পূর্ণ দুটি ভিন্ন জিনিস। প্রথমটিতে আছে কেবলই অন্ধ বিশ্বাস। আর দ্বিতীয়টি কেবল বিশ্বাসের উপর নয়। বিজ্ঞান হলো- পরীক্ষা –নিরীক্ষা আর না ধরনের যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে সত্যকে আবিষ্কার করা। বিজ্ঞানে অন্ধ বিশ্বাসের কোন জায়গা নেই। গবেষণাগারে প্রমাণ করতে না পারলে তা মিথ্যা বলে প্রতীয়মান হবে।

ধর্ম মানুষ পায় জন্ম সূত্রে। অর্থাৎ কেউ হিন্দুর ঘরে জ্ম গ্রহণ করলেই সে হিন্দু হয়ে যা্বে। এবং তাকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করতেই হবে তার ধর্মের সব কিছু । নইলে তার খবর আছে।

অন্ধ বিশ্বাসের একটি বড় অসুবিধা হলো তা মানুষকে উগ্র করে তুলতে পারে। কেননা, সে তার অন্ধ বিশ্বাসকে অন্যের মাঝেও ছড়িয়ে দিতে চায়। সেটা না পারলে সে ক্রোধ জাগ্রত করে। অন্যকে আঘাত করে। বিজ্ঞান এটা করবে না।

অন্ধ বিশ্বাসের একটি বড় সুবিধাও আছে। এটা আপনার চিন্তার জগৎকে সীমাবদ্ধ করে রাখে । ফলে আপনার টেনশন কম হবে। যে যত বেশী জানতে চাইবে তার টেনশনও তত বেশী হবে। তাই অন্ধ বিশ্বাসী লোকেরা এক কথায় সুখেই আছে। ভবিষ্যতে বিরাট কিছু পাবার আশায় তারা জান দিতেও প্রস্তুত। এটা তো ভালোই। খারাপ না।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫২

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: হুম

২০| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:২৬

কাউয়ার জাত বলেছেন: ব্লগের মেথর রাজা কই গেল?
ইঞ্জিনিয়ার মাধব কমেন্ট অপশন বন্ধ রাখার পর থেকে মেথর রাজা অতিকষ্টে নিজের পেটে গু চাপিয়া রাখিয়াছিল। এখন এই পোস্টে হড় হড় করিয়া হাগু ছাড়িয়া দিয়া মনের জ্বালা মিটাইতে পারে। সুবর্ণ সুযোগ!

২১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৩০

পুকু বলেছেন: আজকে একসাথে অনেকগুলো ধর্মান্ধ ছাগল পেলাম।একেবারে ছাগলের হাট। ভবিষ্যতে এইসব ছাগল বিদেশে রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রচুর বিদেশী মুদ্রা দেশে আনতে পারবে।শুনেছি MIDDLE EAST এ এদের ভাল ডিমান্ড আছে।

২২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:০৬

চুলবুল পান্ডে বলেছেন: সবচেয়ে তাজ্জব লাগল কিছু মার্কামারা বলগারকে ইনিয়েবিনিয়ে কোরবানীর বিরুদ্ধাচারণকরা এই কপট মানবতার ধ্বজাধারী দাদাবাবুর লাঙ্গুল লেহন করতে। এদেশে আর কিছুদিন পরেই গোমাংশ নিষিদ্ধ হবে, সাধারণের আয়ত্বের বাইরে চলে যাবে, এখনই মধ্যবিত্তের কাছে ৬০০ টাকা কেজির দাদাদের চক্ষুশূল এই মাংশ প্রায় অধরা। বাই দ্য ওয়ে, কানিজ রিনার খোঁচাটা সন্দেহজনক মনে হলো। ইনি কি বিখ্যাত জাদুকর জুয়েল আইচের ঘনিষ্ট ও প্রখ্যাত আত্মীয় কানিজ আলমাস খান, তাহলে তার প্রতিক্রিয়ার করণ বোধগম্য।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৪

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: বোদাই, নাকি ভোদাই, গালিটা অাসলে কী হবে? একেক এলাকায় একেকরকম উচ্চারণ করে।

২৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৩৯

টারজান০০০০৭ বলেছেন: @ সেয়ানা পাগল ! আমে পোকা লাগিলে কীটনাশক প্রয়োগ করিলেতো সমস্যা নাই ! সমস্যা হইলো আফনেরাতো পশ্চাৎদেশে কুড়াল লইয়া ইতিউতি দেখিতেছেন যে , কেহ বাধা না দিলে গাছই কাটিয়া ফেলিব, ইহাতেই আপত্তি !

২৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১০

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ট্যাবলেট খাওয়া লোক মনে হইতেছে। ধার্মিক হন কিন্তু দারোয়ান হইয়েন না।

ট্যাবলেট ! কিয়ের ট্যাবলেট দাদা ! ভায়াগ্রা নাকি ! আমিতো জানতাম আমাগো ভাই বেরাদারদের ট্যাবলেট খাইয়া ইয়ে দাঁড় করাইতে হয় না! উহা পাশের দেশের দাদাদের সাবস্টেন্ডার্ড, ধজঃভঙ্গ ইয়ে দাঁড় করাইতেই প্রয়োজন হয় ! ইহার কারণেই পরকীয়া তাহাদের সমাজের অংশ হইয়াছে !

আর দারোয়ান ! তবে শুনুন দাদা , ধার্মিকরাই ধর্মের দারোয়ান হয় ! তা আফনে কিসের দারোয়ান, দাদা ?

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২২

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: মানব কল্যাণে কাজ করুন। সমগ্র মানব জাতিকে একক সত্তা ভাবতে শিখুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.