নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হব সকাল বেলার পাখি

দিব্যেন্দু দ্বীপ

সংশয়ে সংকল্প সদা টলে

দিব্যেন্দু দ্বীপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে মানুষের দেশ বানিয়ে ছাড়তেন

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৯


মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল পৃথিবীর বুকে একটা মানুষের দেশ বানাবার জন্য। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে সেটি বানিয়ে ছাড়তেন। ধাপে ধাপে তিনি সেটি করছিলেন। বঙ্গবন্ধু যখন বুঝেছিলেন যে ভারতের সাথে থাকলেও আসলে মানুষের দেশ হবে না, তখন তিনি পাশ কাটিয়ে ছিলেন, বিভিন্ন কৌশলে এগোতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি, সুযোগে তাকে হত্যা করে দেশটা চলে গিয়েছিল অমানুষের দখলে। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি, হত্যাকারী, লুটেরা, ধাপ্পাবাজ, শয়তানেরা সব দখল করে নিয়েছিল।
যতই গত দশ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকুক না কেন দেশটা এখনও প্রধানত তাদেরই দখলে, অমানুষেরই দখলে। তারা সরকারে এবং সরকারের বাইরে বিভিন্ন চিপায় চাপায় লুকায়ে আছে, ফণা তুলে আছে। ধন সম্পদ হারানোর ভয়ে চুপ করে থাকে শুধু, কিন্তু সুযোগ পেলে ছোবল দেবেই, কারণ, এটাই তাদের বৈশিষ্ট্য, এটাই দুবৃত্তের বৈশিষ্ট্য হয়।
সেই যে অন্ধকারের শক্তি সবকিছু দখল করেছিল সম্ভব হয়নি তাদের হাত থেকে সবকিছু আবার মুক্ত করা, গত দশ বছরে আওয়ামী সরকার সে চেষ্টা করতে যে খুব সমর্থ হয়েছে তাও নয়।
তাই আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান কাজ এই উন্নয়ন হতে পারে না, প্রধান কাজ মানুষের দেশ বানানো, মুক্তিযুদ্ধের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা। আরও বেশি জনমুখী, সমাজবাদী, ধর্মনিরপেক্ষ হতে না পারলে শুধু গোজামিল দিয়ে বেশিদিন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর সরকার দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না।
আগামী ৩০ তারিখ কোনোমতে একটা নির্বাচন অনুষ্ঠান করে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার যদি বাংলাদেশটাকে মানুষের দেশ বানানোর কাজে সর্বাংশে হাত দিতে না পারে, সর্বস্তর থেকে যদি অমানুষদের ক্ষমতা থেকে ঝেটিয়ে বিদায় করতে না পারে, যদি আরও শক্ত হতে না পারে, যদি আরও নৈতিক হতে না পারে, তাহলে অবশ্যই নতুন প্রজন্মের মধ্য থেকে একটি শক্তি জেগে উঠবে, যারা সত্যিই প্রস্তুত হয়ে আছে।
নতুন প্রজন্মের মধ্যে অত্যন্ত সচেতন একটি গ্রুপ, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের একটা শক্তি শুধু শেখ হাসিনার সরকারকে সুযোগ দিচ্ছে মাত্র। এর মানে এই নয় যে লাগাতার সুযোগ দিয়ে যাবে, আপনারা যদি ভেবে থাকেন গণজাগরণ মঞ্চ ব্যর্থ হয়েছে, আপনারা যদি ভেবে থাকেন ব্লগার হিসেবে আমার ভাইয়ের আত্মত্যাগ ব্যর্থ হয়েছে তাহলে ভুল করবেন।
জাস্ট আরেকটি সুযোগ। আর কিছু না। পদ্মা সেতু বানান, কিন্তু তার চেয়ে বেশি যেটা করবেন- মানুষের দেশ বানান, ধর্ম বর্ণ নারী পুরুষ নির্বিশেষে মানুষের দেশ বানান। লাগামহীন দুর্নীতি বন্ধ করেন, মানুষকে হয়রানি করা বন্ধ করেন, দেশটাকে কাগজে কলমে ধর্মনিরেপেক্ষ বানান। এই ভৌগলিক অবস্থানে, ‘৭১ এর শহীদের বুকের উপর দাঁড়িয়ে কোনো ধর্ম রাষ্ট্র টিকে থাকতে পারবে না, যেকোনো বিবেচনায় কতিপয়ের রাষ্ট্র টিকে থাকতে পারবে না। সেটিই ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রতিশ্রুতি, ম্যাটেরিয়াল উন্নতি দ্বিতীয় তৃতীয় ধাপ।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩

বাংলার মেলা বলেছেন: আমি একমত না। বঙ্গবন্ধু ছিলেন নিতান্তই সহজ সরল মানুষ। সরলতার সুযোগ নিয়ে অন্যেরা তাঁর মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গেছে। শক্ত হাতে দেশ পরিচালনার ন্যুনতম যোগ্যতাও তার ছিলনা। তাঁর সময়কার মত অরাজক পরিস্থিতি বাংলাদেশে আগেও কোনদিন আসেনি, পরে কি হবে তা আল্লাহই জানেন। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলেঃ

এই দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো ধ্বংস হয়ে যেত।
গণতন্ত্র বলে কোনকিছু কখনও মাথা তুলে দাঁড়াত না।
রপ্তানী বাণিজ্যে যে গতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছে, তা সম্ভব হতনা - কারণ ওনার পররাষ্ট্রনীতি ছিল খুবই দুর্বল।

২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০০

রাজীব নুর বলেছেন: সত্য কথা বলি- যেদিন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে সেদিনই প্রতিটা বাঙ্গালীর কপাল পুড়েছে।

৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৪

নীল আকাশ বলেছেন: একটু তিক্ত কথা বলি। উনি তো ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সময় পেয়েছিলেন। সময় কি কম পেয়েছিলেন বলে মনে হয় আপনার? ইতিহাসের পাতায় লেখা আছে ঐ সময়ের কর্মকান্ড গুলি। পারলে আহমেদ ছফার একটা লেখা আছে বাকশালী শাসন সময় কাল নিয়ে, পড়ে দেখার অনুরোধ রইল! ইনটারনেটে খুঁজে না পেলে জানাবেন, পাওয়ার ব্যবস্থা করব, তাও না সত্য কে জানুন, যদি সৎ সাহস থাকে।
শুভ কামনা রইল!

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৫

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: বলদের মতো কথা বললেন! একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠনে তিন বছর সময়কাল যথেষ্ঠ?!

৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬

পলাশবাবা বলেছেন: ঠিক ঠিক। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.