নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি খুঁজিনি কখনো আকাশের মানে...

আফসানা যাহিন চৌধুরী

আমার পথচলা আমার পথে

আফসানা যাহিন চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিরোনামহীন

২২ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৪

অতি সম্প্রতি বোর্ডপরীক্ষাগুলোতে পাসমার্ক ৩৩ থেকে ৪০ করা হয়েছে। সাথে ১০% স্পোকেন ইংলিশ (মাদ্রাসা বোর্ডের জন্য স্পোকেন অ্যারাবিক) এর মার্ক ও রাখা হবে। কারণ দেখানো হয়েছে, পাসমার্ক বাড়লে, শিক্ষার্থীরা বেশী বেশী পড়বে, বেশী করে পড়ার সাথে সম্পর্ক থাকবে। আর এপ্লাসের মহামারীর প্রকোপ কমবে। আচ্ছা, ভাল কথা।
এই গোল্ডেন এপ্লাসের মহামারীর সময়ে, আদুভাই-রবীন্দ্রনাথ ছাড়া কেউ ফেল করেনা। ব্রিটিশ বেনিয়ারাও তাদের কেরানী হবার যোগ্যতা হিসাবে ৪০% নম্বর নির্ধারণ করেছিল। ২০১৪এর বাংলাদেশে আমরা কেরানী বানানোর কথা চিন্তা করবনা- বিজ্ঞানী, শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, জজ, উদ্যোক্তা- এসব বানানোর চিন্ত করব।

বোর্ড চাইলে গ্রাম ও শহরের সব সরকারী ও অনুমোদিত কিন্ডারগার্টেনে এই নির্দেশনা পাঠাতে পারত যে, প্রতিটা স্কুলে ও কলেজে মানসম্পন্ন লাইব্রেরী থাকতে হবে। ১০% স্পোকেন ইংলিশের সাথে লাইব্রেরী ওয়ার্ক এর উপরেও ১০% মার্কস থাকবে। এই নির্দেশনা পেলে গ্রামে-গঞ্জের কৃষকের বাচ্চাকাচ্চা থেকে শুরু করে শহরের মম-ড্যাড বাচ্চারাও পড়ুয়া হয়ে উঠত, পড়াতে বেশী সময় ব্যায় করত। সানিলিওন না ক্যাটরিনা, এই তর্ক না করে মানিক না প্রমথ এইটা নিয়ে তর্ক করত। কে জানে ছয় দফা না এগারো দফা সেটা নিয়েও তর্ক করত...! সিএমপাংক বা স্টার প্লাসে আসক্ত হবার সময় খুঁজে পেত না। এপ্লাসের জোয়ারেও ভাটার টান লাগত।

শুধু জোয়ারে ভাটার টান না, আসল এপ্লাস বা মেধাবী খুঁজে বের করাও খুব সোজা কাজ বোর্ডের জন্য। ৮০ পেয়ে এ প্লাস আর ৯৯ কিংবা ১০০ পেয়ে এ প্লাস পাওয়া দুইজন শিক্ষার্থী কখনোই সমান নয়। কিন্তু গ্রেডিং পলিসি তাদেরকে “সাম্য” মেনে নিতে বাধ্য করছে!!! বোর্ড যদি এপ্লাস গ্রেডটা শুধু ৯০-১০০ মার্কসের জন্য করে রাখত তাহলেই পরিস্থিতি ভিন্ন হয়ে যায়। দুরকম স্টুডেন্টকেই এপ্লাস ধরিয়ে দেয়ার ফলে, যে ১০০পায় তার মেধা ও শ্রমের অবমুল্যায়ন হয়। সে আর কোনদিন ১০০পাওয়ার জন্য খাটনী করে পড়বে না, ৮০ টার্গেটেই তুষ্ট থাকবে। এভাবে সামগ্রিকভাবে সেই পড়ুয়া মানসিকতাটা হারায়ে যায়, এবং এপ্লাসের জনজোয়ার সৃষ্টি হয়।
অতএব, শিক্ষার্থীদের বেশীক্ষণ পড়ার টেবিলে ধরে রাখতে, পড়ুয়া হয়ে গড়ে তুলতে পাসমার্ক না বাড়িয়ে গ্রেডিং পলিসির সংশোধন করেন। আর ট্রান্সক্রিপটে গ্রেডের পাশে মার্ক উল্লেখের ব্যাবস্থা করেন। এটা বোর্ডের জন্যে মোটেও বাড়তি কাজের বোঝা নয়! গ্রেড নির্ধারণ করার আগে তো অবশ্যই মার্কসটা লাগবে- তারপরই তো গ্রেড হিসাব করা যায়। সুতরাং গ্রেডের পাশে মার্কসটা বসায়ে দিলেই হয়।

পরীক্ষার খাতা কাটার জন্য এক্সামিনারদের কাছে বোর্ড থেকে ইন্সট্রাকশন পাঠানো হয়। রাজনৈতিক বিবেচনায় বেশী এপ্লাস দেখানোর জন্য সেই ইন্সট্রাকশনে অদ্ভুত সব কথা বলা থাকে। যেমন- পিএসসি এবং জেএসসি’র খাতা কাটার বেলায় বলা হয়, বানান ভুল ছাড়া আর কোন কিছুতে নাম্বার কাটা যাবেনা! অংকের প্রক্রিয়া যাই হোক, উত্তর মিললেই ফুলমার্কস! বাংলা ফার্স্ট পেপারের সৃজনশীল সাবজেক্টিভ এর জন্য বলা থাকে, “শূণ্য” মার্ক কখখনো দেয়া যাবেনা!!! অতএব, যে স্টুডেন্ট অনেক সুন্দর গুছায়ে একটা উত্তর লিখল, তাকে সর্বোচ্চ ৪ নম্বর, আর যে আজগুবি উড্ভট কথা লিখে পৃষ্ঠা ভরায়ে দিল, তাকে সর্বনিম্ন ১ নম্বর। এই হল মূল্যায়ন! ম্যাট্রিক বা ইন্টারে অংকের প্রক্রিয়ার জন্য মার্কস কাটা হয়, কিন্তু বাংলার জন্য সেই একই নিয়ম। তাহলে ফিজিক্স, কেমেস্ট্রি, অর্থনীতি, ভুগোলের মত জটিল বিষয়গুলোর সাবজেক্টিভের ও কি একই অবস্থা???? মূল্যায়ন যদি এরকম হয়, তাহলে কোন স্টুডেন্টটা দরদ নিয়ে পড়াশোনা করবে?? আর এপ্লাসের মহামারী তো দেখা দিবেই..

সাথে যুক্ত আছে প্রশ্ন-সন্ত্রাস!! প্রশ্নপত্র ফাঁস হবার মত ভয়ংকর সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালু রেখে নির্বিকার রোবটের মত বসে বসে একটার পর একটা ফালতু “বিধি” চালু করার মানেটা কী?!!


জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসিতে “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি” নামের একটা বিষয় যুক্ত আছে- যেটার ১০০মার্কসের পরীক্ষা দিতে হয়- তার মধ্যে ২৫ মার্কস ব্যাবহারিক এবং বাকী সাবজেক্টিভ প্রশ্ন হয় সৃজনশীল। স্কুল লেভেলে কোনমতে জোড়াতালি দিয়ে চললেও, ইন্টার লেভেলে এই সাবজেক্টটা যেমন কঠিন, তেমন করে পড়ানোর মত দক্ষ শিক্ষক অধিকাংশ কলেজেই নাই। কী সরকারী, কী বেসরকারী। তো স্টুডেন্টরা কোচিংমুখী হবেনা??? কোচিংমুখী হবার একশো একটা কারণ আছে- কয়টা কারণের সমাধান করা হয়েছে??? প্রথম প্রথম ২০০৭, ২০০৮ সালে সিপিডি এর উদ্যোগে শিক্ষকদের কিছু ট্রেনিং দেয়া হয়েছিল সৃজনশীল পাঠদান, প্রশ্নপদ্ধতি এর উপর। তারপর?? এখন ঐসব ট্রেনিংও বন্ধ। আরও উচ্চতর ট্রেনিং তো দূরের কথা।
একদিকে স্টুডেন্টদের মেধাকে অবমুল্যায়ন তাদেরকে পাঠবিমুখ করছে, অন্যদিকে টীচাররা সৃজনশীল পড়াবে কী- তাঁরা নিজেরাই প্রশ্ন তৈরী করেন গাইড বই থেকে, সাথে যুক্ত হয়েছে প্রশ্ন-সন্ত্রাস, স্টুডেন্টরা তো কোচিংমুখী হতে বাধ্য!!!
কোচিংনির্ভর হবার সব পথ খোলা রেখে আবার সেই কোচিং বাণিজ্যের অজুহাত দেখিয়ে ছাত্রছাত্রীদেরকে ভর্তী পরীক্ষা দিতে দেওয়া হচ্ছেনা, এটা কেমন ব্যাপার?????



উচ্চ মাধ্যমিক শেষ হলে আসে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তী। শহরে-গ্রামে পিএসসির পর, জেএসসি বা এসএসসির পর অসংখ্য শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে। কারো বিয়ে হয়ে যায়, কারো অর্থের অভাব, সামাজিক/পারিপার্শ্বিক অনেক প্রতিবন্ধকতায় প্রচুর ড্রপ-আউটের পরেও প্রতিবছর ইন্টার পাশ করে বের হয় লাখে লাখে শিক্ষার্থী। (আমি কিন্তু এপ্লাস বলিনি, শুধু পাস বলেছি) এরা প্রত্যেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার যোগ্য হয়ে এসছে। ইন্টারের সনদপত্র সেই কথাই ঘোষণা করে। তবু “ভর্তী পরীক্ষা” নামক ব্যাপারটার মধ্য দিয়ে তাদের যেতে হয়, কারণ একটাই- আসনের অভাব। ব্যাপারটা এমন, আমার বাসায় দশজন গেস্ট আসল। তাদেরকে আপ্যায়ন করতে করতে আরো দশজন এসে উপস্থিত। এখন আমি কী করব? তাদেরকে “বসার জায়গা নাই, পরে অন্যসময় আসেন” বলে চলে যেতে বলব??? অতিথি যাক/আসুক, গৃহস্থের কিছু যায় আসেনা। কিন্তু লাখ লাখ শিক্ষার্থী প্রতিবছর প্রকৌশল,মেডিক্যাল,বা সাধারণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ইচ্ছা করেও পড়তে পারেনা-কারণ পড়বার জায়গা নাই-এটা রাষ্ট্রীয়ভাবে এবং জাতীয়ভাবে বিশাল বি-শা-ল ক্ষতি!! শুধু ক্ষতিই না, এটা অপরাধও! বিশ্ববিদ্যালয় বলছে- পড়তে চাইলেই পড়ার যোগ্যতা হয়না, তোমাদেরকে একটা চেয়ার নিয়ে কুস্তি করতে হবে, যে জিতবে-চেয়ার তার। সে-ই পড়তে পারবে এখানে, বাকীরা আউট.......! আর রাষ্ট্র ঐসব “চান্স না পাওয়া” শিক্ষার্থীদের এটা বিশ্বাস করতে বাধ্য করছে যে, তোমার এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার মুরোদ নাই, তুমি একটা অপদার্থ! অথচ ব্যাপারটা আসলে ছিল, রাষ্ট্র আমাকে পড়তে বসার জায়গা দিতে পারছে না......! রাষ্ট্র অপদার্থ, আমি না!
আসন সংখ্যার চেয়ে শিক্ষার্থী কম হলে কুস্তি লড়ার দরকার পড়েনা..একবার, দুইবার, তিনবার কোনবারই পরীক্ষা দেবার দরকার পড়েনা। আর ভর্তী পরীক্ষা বলে যদি কিছু না থাকে, তাহলে “ভর্তী কোচিং” বলেও কিছু থাকেনা। সুতরাং ছাত্রছাত্রীদেরকে পুলিশ দিয়ে না পিটিয়ে আসন বাড়াবার কথা ভাবা উচিত।



আসন বাড়াবার অনেকগুলো অল্টারনেটস আছে।
**বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ক্লাস-শিডিউল দুই শিফট করে ফেলা হোক। মর্ণিং শিফট, ডে শিফট। দুই শিফটে ক্লাস চললে বর্তমান আসন সংখ্যার দ্বিগুণ (একটা সিটের জন্যে দুইজন করে) শিক্ষার্থী পাওয়া যাবে। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় ও বাড়বে, আর টাকার জন্য নাইট-কোর্স ও চালু করতে হবেনা।
**দেশের গুরুত্বপূর্ণ জেলাসদর গুলোতে পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্থাপন করা হোক।
**শুধু পাবলিক ইউনিভার্সিটি না, সাথে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, আইন বিশ্ববিদ্যালয় বাড়ানো হোক। কয়েকটা পদ্মাসেতু না হলেও হয়ত চলে। নৌবাহিনী আপাতত দ্বিমাত্রিক থাকলেও সমস্যা নাই।



আরেকটা কথা বলি,
বুয়েট, ঢাকা মেডিকেল, ঢাকা ইউনিভার্সিটির মত প্রতিষ্ঠানে পড়ে শুনলে লোকজন ছেলে বা মেয়েটার দিকে আলাদা দৃষ্টিতে তাকায়। একটা অন্যরকম দৃষ্টি- “কি ব্রিলিয়ান্ট!” টাইপের। আমাদের দেশের অপেক্ষাকৃত উঁচুমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচনা করা হয় এগুলোকে। একটা প্রকৌশলবিদ্যার, একটা চিকিৎসাবিদ্যার, আরেকটা সাধারণ পাবলিক ইউনিভার্সিটি। কিন্তু দেশে একই মানের কোন আইন বিশ্ববিদ্যালয় কী আছে??? পাবলিক ইউনিভার্সিটিগুলোতে আইন অনুষদের অধীনে অনার্সে/মাস্টার্সে এলএলবি কোর্স চালু আছে। কিন্তু তার পরবর্তী ডিগ্রীগুলোর জন্য- বার এট ল বা এই জাতীয় উচ্চতর ডিগ্রীগুলোর জন্য আমাদের দেশে কোন পাবলিক ইউনিভার্সিটি কখনো গড়ে উঠেনি। এই ডিগ্রীগুলো নিতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের “বিদেশ” যাওয়া লাগে। আর সেক্ষেত্রে স্টুডেন্টদের প্রথম পছন্দ থাকে লন্ডন। সেই রাষ্ট্র থেকে আমাদেরকে উচিত-অনুচিত, মানবতা, অপরাধ, নীতি শিখা লাগে, যারা নিজেরাই আমাদের স্বাধীনতার হন্তারক ছিল, ২০০ বছর ধরে এ ঔপনিবশিক শাসনে পিষে পিষে কংকাল বানায়ে রেখে গেছে। অথচ, আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্যগত চিন্তাধারা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, লোকাচার, কোন দিক দিয়েই তাদের চেয়ে নীচুমানের না। অত্যন্ত ধনাঢ্য, বর্ণাঢ্য ঐতিহ্যের অধিকারী আমরা। সময়ের সাথে নানা অব্যাবস্থানায় এবং অপব্যাবস্থাপনায় সমাজের মুল্যবোধগুলো ভাঙতে যাচ্ছে- কিন্তু সেটা তো চিরন্তনী চিত্র না, চিরন্তন হল আমাদের সংস্কৃতি। কারটা ভালো, কারটা মন্দ সেটা কথা না, কথা হল-আমাদের দেশে এখনো কোন পাবলিক আইন বিশ্ববিদ্যালয় নাই, সেটা। কেন নাই???? বুয়েটের মত প্রতিষ্ঠান যদি আমাদের দেশেই গড়ে উঠতে পারে, আইন বিশ্ববিদ্যালয় কেন নয়??? অন্তত চুয়েট, ডুয়েট, শাবিপ্রবি, রা.বি., চ.বি. এদের সমমানের আইন বিশ্ববিদ্যালয় কী গড়ে উঠতে পারতনা???

যেদেশে “আইনের শাসন” বলে কিছু নাই, যেখানে শাসক, আইন প্রয়োগের চেয়ে দমন নীতিতে বিশ্বাসী, নতুন আইন বা কোন বিধিমালা তৈরী করতে হলে যেখানে “উন্নত বিশ্ব” থেকে আইডিয়া ধার করা লাগে, সে রাষ্ট্র কখনো চাইবে না, এখানকার ছেলেপুলেরা আইন বিশারদ হোক। একটা বা কয়েকটা আইন বিশ্ববিদ্যালয় হোক, বাঘা বাঘা ব্যারিস্টার তৈরী হোক, বিশ্বের চমৎকার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লিস্টে নাম আসুক বাংলাদেশের।

এমন আসনের অভাব জনিত স্ম্যাক-ডাউন শো চালু রেখে শিক্ষার্থীদের ২য় বা ৩য় বার ভর্তী পরীক্ষা দিতে না দেবার অর্থ হল- বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় নামক মুরগীর খোঁয়াড়গুলোতে শিক্ষার্থী সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়া....! কারণ সব কয়টা পাবলিক ভার্সিটির দরজাই যখন বন্ধ হয়ে যাবে, তখন তাদের সামনে আর থাকেটা কী????





শেষ করব আহমেদ ছফার “ধ্বস্ত-বিধ্বস্ত বিশ্ববিদ্যালয়” প্রবন্ধ থেকে একটা ছোট প্যারা উদ্ধৃত করে। প্যারাটা স্মৃতি থেকে লিখছি। এটা তিনি লিখেছিলেন, নব্বই এর দশকে যখন আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে রাজনৈতিক হানাহানি এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম অত্যন্ত চরমে পৌঁছেছিল, সে পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে।
“শিক্ষিত লোক দরকার, তো কী হয়েছে। এই একটা হাতের তালুর মত ছোট দেশ, এটাকে দখলে রাখতে আর কয়টাই বা শিক্ষিত লোক প্রয়োজন। তাঁদের (রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ) ছেলেমেয়েরা তো দিব্যি শিক্ষিত হচ্ছেই বাইরের দেশে- আমেরিকা, ইংল্যান্ড, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, ভারত, চীন প্রভৃতি দেশে অখন্ড মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করছে। ঘন্টা বাজলেই দেশে ফিরে সুযোগ-সুবিধার জায়গাগুলোতে ঝটপট বসে পড়বে। দেশের শাসক হবে, মন্ত্রী হবে। দেশের ভেতর আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কী দরকার...”

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:১৬

খেলাঘর বলেছেন:


মনে হয়, ভালো কিছু লিখেছেন; টবে, বেশী লম্বা হয়ে গেছে; কম কথায় লেখা শিখুন, ৯০% মার্ক পাবেন।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৫১

আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: হ্যাঁ, তাই মনে হচ্ছে... :( আসলে কী করি.. লিখতে বসে একসাথে সব কথা মাথায় কিলবিল করতে থাকে..


ধন্যবাদ আপনাকে খেলাঘর। পাঠ ও মন্তব্যে। এবং পরামর্শের জন্যেও.. :)

২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:২৫

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: সাম্প্রতিক সময়ের খুব গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন। লেখাটা শিরোনামহীন কেন??


একটা সুন্দর অর্থবহ শিরোনাম লেখাটিকে অর্থবহ করে তুলতে পারে।

পরে সময় পেলে লেখার বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনায় আবার আসবো আপনার পোষ্টে।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:০১

আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: অনেকগুলো প্রসঙ্গ একসাথে লিখেছি তো, পারফেক্ট শিরানাম পাচ্ছিনা.. :( একটা সুন্দর শিরোনাম দিতে পারলে শান্তি লাগত..


ধন্যবাদ অনেক মৃদুল শ্রাবণ- নিশ্চই আলোচনায় আসবেন সময় করে :)

৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:১৪

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার হয়েছে। ভালো থাকবেন নিরন্তর।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:০২

আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দেশপেমিক :) আপনিও ভালো থাকবেন।

৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:২৫

রেইন ফরেস্ট বলেছেন: যদিও কিছু ব্যপারে দ্বিমত আছে,তারপরেও লেখাটি ভাল লেগেছে।
আপনাকে ধন্যবাদ।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৩

আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: লেখাটা ভালো লাগার জন্যে কৃতজ্ঞতা :) আপনার দ্বিমত গুলো নিয়েও যদি বলতেন, ভালো লাগত- জানতে পারতাম। আশা করছি সময় করে জানাবেন।
ভালো থাকুন :)

৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:০৮

রেইন ফরেস্ট বলেছেন: দ্বিমত আসলে A+ মার্ক ৯০ করা নিয়ে।৯০ করলেও A+ এর সংখ্যা কমবে না যদি সরকার গণহারে A+ দিতে চায়।এমনকি গ্রেডিং বাদ দিয়ে পুরানো সিস্টেমে ফিরে গেলেও সরকার গণহারে ভাল মার্কস দিতে থাকবে।তাছাড়া বেশির ভাগ উন্নত দেশে গ্রেডিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
আপনি লিখেছেন গ্রেডের সাথে মার্কস প্রকাশ করা হোক।কিন্তু গেড্রিং এর মূলনীতি হল মার্কস গোপন রাখা হবে।একই সাথে মার্কস আর গ্রেডিং চালাতে গেলে পদ্ধতিগত সমস্যা হয়।

আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত ব্যপারে আপনার সাথে তীব্র ভাবে সহমত।পদ্ধতিটা খুবই যন্ত্রণা কর।এক একটা পরীক্ষার পর মনে হত ক্যান্সার আছে কিনা টেস্ট করতে দিছি :( ।আসলে দেশে আরো অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বানানো উচিত।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৩

আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: গ্রেড এর পাশে মার্কস উল্লেখ করতে বলেছি জাস্ট মেধা যাচাইটা ফেয়ার হবার জন্য। যাতে পার্থক্য করা যায় গুড আর বেটার এর মধ্যে।

আর গণহারে এ প্লাস দেবার পোস্টে ব্যাপারে বলেছি- বোর্ড থেকে খাতা কাটার সময় যে ইন্সট্রাকশন আসে, সেখানে কী বলা থাকে। আমার নিজের ঘরেই আছেন একজন- আমার আম্মু- তিনি বোর্ডের খাতা কাটেন বলে বিষয়টা আমার জানা। এধরণের স্টুপিড ইন্সট্রাকশান দেয়া হয় েএ প্লাস বাড়ানোর জন্য। যাতে তারা বলতে পারে “আমার সরকারের সময় সবচেয়ে বেশী এ প্লাস পেত....”!


এখন আপনি ভেবে দেখেন,
যদি আমি নিশ্চিত করতে পারি আমার শ্র্রেণীতে পাঠদান উন্নত মানের এবং যুগোপোযোগী,
যদি আমি নিশ্চিত করি আমার বোর্ড এক্সামগুলোর প্রশ্নের মান অতি উন্নত এবং মেধা যাচাইয়ে সহায়ক,
যদি প্রশ্ন-সন্ত্রাস বলে কিছু না থাকে,
যদি নিশ্চিত হয় এক্সামিনাররা উত্তরপত্র মুল্যায়ন করেন যথেষ্ট আন্তরিকতা ও সততার সাথে, সঠিক ও যৌক্তিক মুল্যায়ন যদি পারে প্রকৃত মেধাবীদের বেছে আনতে,
তাহলে কি আদৌ ভর্তী পরীক্ষার দরকার হয়????????





অনেক ধন্যবাদ মুল্যবান মন্তব্যের জন্য। আমার জবাবের মতামতও জানাবেন আশা করছি :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.