নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি খুঁজিনি কখনো আকাশের মানে...

আফসানা যাহিন চৌধুরী

আমার পথচলা আমার পথে

আফসানা যাহিন চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

চট্টগ্রামের ব্লগারদের প্রতিঃ চলমান সহিংসতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:১৩

সামষ্টিক ভাবে হতাশগ্রস্ত হবার মত এমনসব ঘটনা কোন জনপদে খুব কম ঘটে। প্রযুক্তির সর্বশেষ সংযোজনটি যখন আমাদের হাতের মুঠোয় বা শোবার ঘরে, সেই সময়টায় জ্বলজ্যান্ত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে কয়লায় পরিণত করে, পেট্রোল বোমা/ককটেল ছুঁড়ে মানুষ হত্যা করে আমাদের রাজনীতিকেরা ক্ষমতায় যাওয়া অথবা ক্ষমতায় থাকা নিশ্চিত করতে চাইছেন!! স্কুল ছাত্র, পিয়ন, কেরানী, ট্রাক-বাসের হেল্পার, ফল ব্যাবসায়ী কিংবা কচি কচি শিশু- এরা নিতান্ত নিজের জন্যে খেয়ে বাঁচে মানুষ, একেবারে সাধারণ আমি বা আপনি..! যদিও এদেরকে নিয়ে যে নীতি সেটাই নাকি গণতন্ত্র তবু, গণতন্রের নাম ধুয়ে ক্ষমতাতন্ত্রের জঘন্য যুদ্ধে প্রাণ দিতে হচ্ছে এদেরকেই! বর্তমান বা ফেলে আসা শতাব্দীর বিভৎসতম বর্বরতা- আগুনে পুড়িয়ে এক একটি মানুষকে এক টুকরা কয়লা বানিয়ে ফেলা হচ্ছে! শুধুমাত্র ক্ষমতা আর গদির লড়াইয়ে একটা গোটা রাষ্ট্রের অর্থনীতি থমকে দাঁড়াতে যাচ্ছে। শ্রমজীবি প্রান্তিক মানুষ খাবার যোগাড়ের তাড়নায় পথে নেমেই আগুনে পুড়ে কয়লায় পরিণত হচ্ছে। পেশাজীবি মধ্যবিত্ত অসম্ভব আতঙ্ক, উদ্বেগ সাথে নিয়ে কাজে যাচ্ছে, এবং অবধারিতভাবেই (!) তাদের সবাই নিরাপদে ঘরে ফিরছে না বা ফিরছে লাশ হয়ে.. প্রতিদিন হাসপাতাল গুলোতে পোড়ারোগী এসে জমছে একের পর এক! বাস-ট্রাক-টেম্পু সহ গণপরিবহনগুলো পুড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বাজারে নাভীশ্বাস উঠছে সাধারণ এবং নিম্ন আয়ের মানুষদের।

কেবল ক্ষমতা ধরে রাখা কিংবা ক্ষমতায় চড়ে বসবার এই নষ্ট হোলিখেলায় গত বছরের জানুয়ারী এবং তার আগের নভেম্বর/ডিসেম্বর জুড়ে শতে শতে মানুষ পুড়েছে, পুড়ে মরেছে। নুয়ে পড়েছিল অর্থনীতি। তার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার শুরু হয়েছে সেই একই রক্তখেলা...! এর থেকে কি নিস্তার নেই খেটে খাওয়া মানুষজনের??? কে দেবে নিস্তার??



এইযে পেট্রোল বোমা আর ককটেলবাজী যারা করছে, তারা কী??? মানুষ??? যারা এসব বানাচ্ছে, তারা কী?? মানুষ??

না তারা মানুষ নয়। তারা সন্ত্রাসী। সন্ত্রাস এর কোন জাত-ধর্ম-পরিচয় হয়না, তার একটাই পরিচয়- সে সন্ত্রাসী। গণতন্ত্র মনে আর যাই হোক, শুধুমাত্র সন্ত্রাসের জোরে, শক্তির জোরে, মানুষকে অপারগ করে, অক্ষম করে, অসহায় করে দিয়ে, মানুষের চোখ বেঁধে খাদের কিনারে দাঁড় করিয়ে ক্ষমতায় থাকা বা ক্ষমতায় যাবার নীতি গণতন্ত্র নয়।



হরতাল আহ্বানকারীগণ বলছেন “গণতন্ত্রে”র জন্য জনগণকে এসব “সহ্য” করতে, আর ক্ষমতাসীনরা বলেন, সহিংসতার ছবি না দেখিয়ে সন্ত্রাসের বিপক্ষে অবস্থান নিতে। ছবি না দেখালেই কি যে মানুষগুলো মরে গেল তারা আবার জীবিত হয়ে চলে আসবে???! নাকি যারা মরেনি এখনো তারা মরবেনা, সেই নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে???!! নাকি কেবল প্রচার বন্ধ হলেই একটা সঠিক, সুষ্ঠু সমাধান তারা খুঁজে পাবেন???



নিঃসন্দেহে যে ইস্যুকে কেন্দ্র করে এই হরতাল-অবরোধ, সেটি রাজনৈতিক। সুতরাং এর সমাধান রাজনৈতিক ভাবেই হওয়া উচিত। আসলে এই “রাজনৈতিক ভাবে” মানে যে কীভাবে সেটা আমি জানিনা; আমার মত কোন রাম-শ্যাম-যদু-মধু ই জানেনা। জানেন রাজনীতির মধ্যে যারা আছেন তারা। সেই “কীভাবে”টা !যেভাবেই” হোক, অন্তত “এভাবে” না...নিরপরাধ সাধারণ মানুষ পুড়িয়ে বা দেশের অর্থনীতিকে বরবাদ করে দিয়ে না..!



যার পরিবারের মানুষটা পুড়ে মরেছে, সেই কেবল জানে তার কী গেছে। আমি বা আমরা কেবল নির্বিকার টিভি চ্যানেল তাকিয়ে দেখতে পারি আর চ্যানেল বদলে চলে যেতে পারি। কিন্তু যার সন্তান, বাবা, মা অথবা পরিবারের কোন সদস্যকে আগুনে পুড়ে এভাবে মরতে হয়েছে, এভাবে নষ্ট ক্ষমতানীতির বলি হতে হয়েছে, তারা কখনো তাদের স্মৃতি বদলাতে পারবেনা!! আজীবন এই ক্ষতি ও ক্ষত তারা বয়ে বেড়াবে! একদিন না একদিন- হয়তোবা- এই বিভৎসতা থামবে, একটা সমাধান আসবে, একটা নির্বাচন হবে, অতি কাঙ্ক্ষিত যে ক্ষমতা, সেটা হয়ত পাওয়া যাবে, কিন্তু যাদের ঘরের মানুষ পুড়ে যাচ্ছে, মরে যাচ্ছে, তারা আর কোনদিন ফিরে আসবেনা, ঐ পরিবার গুলোর খোঁজও আর কেউ নিবেনা....!



একটা ইজতেমা গেল, অবরোধ চলল। একটা স্বরস্বতী পূজা গেল, অবরোধ সাথে হরতাল ও চলল। সহিংসতায়, ধ্বংসযজ্ঞে, উদ্বেগে, আতঙ্কে গোটা রাষ্ট্র একটা ভয়াবহ অস্থিরতায়। সামনে একটা এসএসসি পরীক্ষা আসছে। লাখ লাখ শিক্ষার্থী অনিশ্চয়তায় দিন পার করছে তাদের পরীক্ষা নিয়ে- কেমন হয় পরিস্থিতি..! গোটা দেশে বিভিন্ন পাবলিক ইউনিভার্সিটি গুলোতে অনার্সের ফাইন্যাল পরীক্ষা হচ্ছে, পলিটেকনিক গুলোতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রত্যেক সেমিস্টারের বোর্ড ফাইন্যাল চলছে..! “হচ্চে” বা “চলছে” বলতে আদৌ কিছু চলতে পারছে না, চালিয়ে নেয়া হচ্ছে.. শুক্রবার দেখে দেখে এসব অনার্স এবং ডিপ্লোমা পরীক্ষাগুলো নেয়া হচ্ছে। প্রতিটা শিডউল ফেল করেছে!!

শিক্ষাব্যাবস্থায় চরম হতাশা এরকম অব্যাহত থাকবে, আর দেশে গণতন্ত্রের সুবাতাস বইবে- এটা কি খুব যুক্তির কথা???







রাজনৈতিক সমস্যাকে রাজনৈতিক ভাবে সমাধান করা দরকার; সন্ত্রাস দিয়ে নয়!!! উভয়পক্ষকে আগে মনস্থির করতে হবে তারা আসলেই সন্ত্রাসের বিপক্ষে, মানুষ ও মানবতার পক্ষে।। ক্ষমতাসীনদের একনায়কী মনোভাব বর্জন করতে হবে, বিরোধী পক্ষকে রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়া উচিত, যাতে তারা তাদের রাজনীতি চর্চার ফীল্ডটুকু পায়। বাকীটা সেইসব রাম-শ্যাম-যদু-মধু ই ঠিক করবে, তারা কাকে ক্ষমতায় নিয়ে যাবে বা যাবেনা।

কারণ সাংবিধানিক ভাবে “প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগন” (!!!)

প্রজাতন্ত্রের শ্রাদ্ধ সুসম্পন্ন হোক, আগে দয়া করে মানুষকে বাঁচতে দিন!!! অর্থনীতিকে সচল থাকতে দিন। দেশটাকে এমন হতাশার পচা ডোবা থেকে উদ্ধার করুন!! মানুষকে এমন আতঙ্ক, অরাজকতা আর বীভৎসতা থেকে রেহাই চায়।







আমরা চট্টগ্রামের ব্লগাররা আগামী ০৬ই ফেব্রুয়ারী,২০১৫ শুক্রবার দিন বিকেলবেলায় এই জঘন্য অরাজকতা ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে একত্র হচ্ছি। চট্টগ্রামের জামাল খান-স্থ প্রেসক্লাবের সামনে আমরা ব্লগাররা সবাই একটি মানববন্ধন করতে যাচ্ছি। আমার মানব বন্ধনে দাঁড়াব এবং প্রতিবাদ জানাব অমানবিকতার বিরুদ্ধে। আন্দোলনের নাম করে যে যে পক্ষ এসব হত্যা-ধ্বংস চালাচ্ছে, মানুষ নিঃশ্বাস নিয়ে বাঁচবার ন্যূনতম অধিকার টাও যারা শেষ করে দিচ্ছে, আমার তাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে যাচ্ছি।।।

আগুনে পুড়ে মানুষ মেরে কখনো গণতন্ত্র আসবে না। গণতন্ত্র মানুষের জন্যেই, সে মানুষের জীবন নিয়ে এমন জঘন্য বীভৎসতম বর্বরতার প্রতিবাদ করতে আশা করছি চট্টগ্রামের সকল ব্লগার, অনলাইন একটিভিস্ট এবং সচেতন সাধারণ নাগরিকগণ এই মানব বন্ধনে আসবেন।





** মানববন্ধনের ফেসবুক ইভেন্টের লিংকঃঃ-

https://www.facebook.com/events/731333613601656







আমরা মানব বন্ধন করে/প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে এই ভয়ংকর সন্ত্রাস রোধ করতে পারবনা; করা সম্ভব নয়- কারণ আমরা সশস্ত্র নই!! মাঠে সংঘটিত সন্ত্রাস রোধ করবার কাজ সশস্ত্র আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর! আামাদের নয়। কিন্তু প্রশাসন/আইন প্রয়োগকারী ইউনিট সবকিছুর অস্তিত্ব থাকা সত্ত্বেও যখন এসব ভয়ংকর সন্ত্রাস ঘটছে, দিনে কয়েকটা করে মানুষ কয়লা হচ্ছে, এবং একূল-ওকূল দুইকূলের নেতারাই যখন নির্বিকার বসে আছেন, তখন বুঝতেই হয় যে, সামথিং ইজ ভেরী ভেরী রং!!! উই শুড শাউট এ্যাগেইনস্ট দ্যা রং!! উই মাস্ট!! আমি যে এই পোস্টটি লিখছি, আমিও এই “রং” এর আওতার বাইরে নই, আপনি যিনি এটি পড়ছেন, আপনিও নন...! আমাদের বাজার খরচ, কলেজের এক্সাম- সবকিছুতেই এই “সামথিং রং” এর শীকার আমরা হচ্ছিই- শুধু কয়লা হয়ে যেতে বাকী আছে হয়তো..



সো লেট’স শাউট..!

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২৩

আমিনুর রহমান বলেছেন:



গণতন্ত্র মনে আর যাই হোক, শুধুমাত্র সন্ত্রাসের জোরে, শক্তির জোরে, মানুষকে অপারগ করে, অক্ষম করে, অসহায় করে দিয়ে, মানুষের চোখ বেঁধে খাদের কিনারে দাঁড় করিয়ে ক্ষমতায় থাকা বা ক্ষমতায় যাবার নীতি গণতন্ত্র নয়।



রাজনৈতিক সমস্যাকে রাজনৈতিক ভাবে সমাধান করা দরকার; সন্ত্রাস দিয়ে নয়!!! উভয়পক্ষকে আগে মনস্থির করতে হবে তারা আসলেই সন্ত্রাসের বিপক্ষে, মানুষ ও মানবতার পক্ষে।। ক্ষমতাসীনদের একনায়কী মনোভাব বর্জন করতে হবে, বিরোধী পক্ষকে রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়া উচিত, যাতে তারা তাদের রাজনীতি চর্চার ফীল্ডটুকু পায়। বাকীটা সেইসব রাম-শ্যাম-যদু-মধু ই ঠিক করবে, তারা কাকে ক্ষমতায় নিয়ে যাবে বা যাবেনা।
কারণ সাংবিধানিক ভাবে “প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগন” (!!!)
প্রজাতন্ত্রের শ্রাদ্ধ সুসম্পন্ন হোক, আগে দয়া করে মানুষকে বাঁচতে দিন!!! অর্থনীতিকে সচল থাকতে দিন। দেশটাকে এমন হতাশার পচা ডোবা থেকে উদ্ধার করুন!! মানুষকে এমন আতঙ্ক, অরাজকতা আর বীভৎসতা থেকে রেহাই চায়



সো লেট’স শাউট..!

চট্রগ্রামের ব্লগারদের এই প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ুক সারাদেশে। এই প্রতিবাদে জাগ্রত হউক প্রতিটি ব্লগার। সকলের মাঝে ফিরে আসুক শান্তি। ফিরে আসুক দেশে গনতন্ত্র।



পোষ্টটি স্টিকি করার জন্য সামু কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:১৬

আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া :)

প্রতিবাদে জাগ্রত হোক সবাই।।। মানবতার পক্ষে দাঁড়াক সবাই।।।

২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৪৪

আরজু পনি বলেছেন:

অসাধারণ !

এভাবেই হোক প্রতিবাদ ...

শেয়ার দিলাম পোস্টটা ।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬

আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আরজুপনি... :)

প্রতিবাদ শুরু হোক সবখানে।।।

৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৫

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: কিচ্ছু কমুনা,........................

৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫৯

এমএম মিন্টু বলেছেন: কিচ্ছু কমুনা আপু খালি একবার পাইলে ওগো পুড়িয়ে বুঝিয়ে দিতাম পুড়ালে কেমন লাগে।

৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫২

আবু শাকিল বলেছেন: শান্তি ফিরে আসুক সবার মাঝে সেই কামনায় মানববন্ধন সফল হোক।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:০৫

আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ শাকিল ভাই :)

৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৩২

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
খুব ভালো লাগছে প্রতিবাদী উদ্যোগ দেখে !

আমি ২০১২/১৩ সালে চিটাগাং ছিলাম।
প্রায়ই পারকি সি বীচে যাওয়া হতো,
পাঠশালার চিটাগাং শাখা থেকে বেসিক ফটোগ্রাফি কোর্স করেছিলাম। সেই সব স্মৃতি এখনও জ্বলজ্বলে !

সবাইকে সামিল হতে আহবান জানাই, ভালো থাকুন।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২০

আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ স্বপ্নচারী গ্রানমা :)

সাথে থাকুন। প্রতিবাদে এগিয়ে আসুক সকলে। কথা আমাদের বলতেই হবে।

৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:০৫

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: পোষ্ট এবং আমিন ভাই এর মন্তব্যের সাথে একমত তাই আমার গুগল+ এবং টুইটারে পোষ্টটি শেয়ার করে দিলাম।


৪র্থ ভাল লাগা।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২১

আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ইমতিয়াজ.. :) :)

আশা করছি এভাবে সকলে সংহতি জানাবেন এবং মানবতার বিরুদ্ধে এসব সন্ত্রাসের প্রতিবাদ দৃঢ় করবেন। অাবারো ধন্যবাদ।

৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২৮

আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: পোস্ট টি স্টিকি করার জন্যে সামু কর্তৃপক্ষকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। মানবিকতার বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে সফল হোক বাঁধ ভাঙার আওয়াজ।।।

৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৩০

আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: আমিনুর রহমান ভাইয়ের মন্তব্যটি রেটিং দিতে গিয়ে অসাবধানতা বশতঃ মুছে গেল। আমি দুঃখিত..
কমেন্ট মডারেশনে গিয়ে পুনরায় প্রয়োগ দিয়েছি, আশা করছি দ্রুত আবার কমেন্ট টি শো করবে।

১০| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৩৯

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: আমিন ভাই এর মন্তব্যটি এখন দেখা যাচ্ছে।

১১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৩১

এরশাদ বাদশা বলেছেন: ব্লগিং করছি সেই সামুর জন্মলগ্ন থেকে। ব্লগ থেকে কতো কিছু হলো, কিন্তু কোন কিছুতেই কন্ট্রিবিউট করতে পারিনি। আয়োজকদের ধন্যবাদ, অবশ্যই যাবার চেষ্টা করবো। আমি অনেক চেষ্টা করেছি ব্লগে সহিংসতার বিরুদ্ধে ব্লগারদের এক করার জন্য। পোস্ট স্টিকি করার জন্য মডুদের ধন্যবাদ।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩

আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এরশাদ বাদশা। আশা করছি ব্লগে সাথে থাকবেন এবং আপনি যদি চট্টগ্রামরে একজন হয়ে থাকেন তবে আপনাকে অবশ্যই ছ’তারিখ প্রেসক্লাবে আশা করছি :)

ভালো থাকুন।

১২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৩৬

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন:


আমরা মানব বন্ধন করে/প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে এই ভয়ংকর সন্ত্রাস রোধ করতে পারবনা; করা সম্ভব নয়- কারণ আমরা সশস্ত্র নই!! মাঠে সংঘটিত সন্ত্রাস রোধ করবার কাজ সশস্ত্র আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর! আামাদের নয়। কিন্তু প্রশাসন/আইন প্রয়োগকারী ইউনিট সবকিছুর অস্তিত্ব থাকা সত্ত্বেও যখন এসব ভয়ংকর সন্ত্রাস ঘটছে, দিনে কয়েকটা করে মানুষ কয়লা হচ্ছে, এবং একূল-ওকূল দুইকূলের নেতারাই যখন নির্বিকার বসে আছেন, তখন বুঝতেই হয় যে, সামথিং ইজ ভেরী ভেরী রং!!! উই শুড শাউট এ্যাগেইনস্ট দ্যা রং!! উই মাস্ট!!

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:০৪

আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ শ্রাবণ ভাই.. :)

লেট’স শাউট।।।

১৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:১৯

তোমোদাচি বলেছেন: সমর্থন রইল

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:০৫

আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ ব্লগার তো মো দা চি । সাথে থাকবেন নিশ্চই।

১৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:১৪

চলতি নিয়ম বলেছেন: এইযে পেট্রোল বোমা আর ককটেলবাজী যারা করছে, তারা কী??? মানুষ??? যারা এসব বানাচ্ছে, তারা কী?? মানুষ??
না তারা মানুষ নয়। তারা সন্ত্রাসী।


খুবই ভালো উদ্যোগ। শুভকামনা রইলো। কিন্তু এর থেকে পরিত্রানের উপায় কি ? কারো জানা আছে ?

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫০

আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: পরিত্রাণের উপায় হলো ক্ষমতায় যারা আছেন বা ছিলেন তারা আমাদের মানুষ কে মানুষ ভাবা। আামাদেরকে পিংপং বল ভাবার মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসা।

১৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫

খেলাঘর বলেছেন:
@আমিনুর রহমান বলেছেন: ,

" বাকীটা সেইসব রাম-শ্যাম-যদু-মধু ই ঠিক করবে, তারা কাকে ক্ষমতায় নিয়ে যাবে বা যাবেনা।
কারণ সাংবিধানিক ভাবে “প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগন” (!!!) "


-গ্রেনেড মারাটা কে কে ঠিক করবেন? রাম-শ্যাম-যদু-মধু'রা কি গ্রেনেড মারা ঠেকাবে?

১৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:০৯

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: সশরীরে নাই বা থাকতে পারলাম।
প্রতিবাদে কন্ঠ মেলাচ্ছি।

সমর্থন রইল।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪৩

আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: সংহতির জন্যে ধন্যবাদ দিশেহারা রাজপুত্র। প্রতিবাদ গড়ে উঠুক সবখানে।।।

১৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:৫৫

পামাআেল বলেছেন: আমাদের সরকার তো দূরের কথা কোন উন্নত দেশের সরকারের পক্ষেও গণ সমর্থন ও গণ প্রতিবাদ ছাড়া এরকম ভয়ংকর ও বিস্তৃত সন্ত্রাস বন্ধ করা সম্ভব নয়। ব্লগারদের এ মানববন্ধনকে আমি সরকারের প্রতি সমর্থন নয় কিন্তু সরকারের এ ভয়ঙ্কর সন্ত্রাস দমনের কাজের প্রতি সমর্থন হিসেবে গণ্য করছি। যাদের পক্ষে সম্ভব তাদেরকে স্বশরীরে হাজির হওয়ার এবং যাদের পক্ষে সম্ভব নয় তাদেরকে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানোর আহব্বান করছি। উদ্যেগটির জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

- পামাআলে

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪৮

আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: আপনার বোধোদয়ের জন্যে আন্তরিক ধন্যবাদ পা মা আ লে।


সন্ত্রাস এবং নৈরাজ্যের প্রতি কখনোই কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের সমর্থন থাকেনা।
সন্ত্রাস “দমন” এর কাজটি যাদের করবার কথা, তারা নিষ্ক্রিয় বিধায়ই আমাদেরকে রাস্তায় নামবার কথা চিন্তা করতে হল..

সাথে থাকুন। প্রতিবাদ গড়ে উঠুক সবখানে।।।

১৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:৩১

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আমাদের দেশের রাজনীতির অবস্থা পিকে ছবির মতো রং নাম্বার হয়ে গেছে। তাই আসল গণতন্ত্রের এখানে কোন বালাই নাই। নিজেদের মতো গণতন্ত্র বানিয়ে নিয়েছেন। এটাও রং নাম্বার।
রাজনীতি যখন নির্বাচন এবং ক্ষমতা সর্বস্ব, গণতন্ত্র সেখানে একটা ব্যানার ভিন্ন অন্য কিছু নয়। ব্যানার ঝুলিয়ে রাজনীতিবিদরা ফায়দা তুলে নিচ্ছে। ফলে জনগণ বরাবরই অপাংক্তেয় থেকে যাচ্ছে।
আপনার উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় এবং সাহসী। সম্পূর্ণ সমর্থন রইলো। এভাবে যদি আমরা স্ব স্ব অবস্থান থেকে প্রতিবাদী হয়ে উঠতে পারি, তবে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা কমে আসবে। তখন জনগণও সচেতন হয়ে উঠবে এবং রাজনীতিবিদের খেলার পুতুল হয়ে থাকতে ইচ্ছুক হবে না। অনেক শুভ কামনা রইলো।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫৪

আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথে শতভাগ সমর্থন জানাচ্ছি বিদ্রোহী বাঙালি।।।

যেখঅনে গনতন্ত্র ধুয়ে ক্ষমতা টানাটানি ই একমাত্র রাজনীতি, সেখানে এরকম মানুষ বলি দেয়াটা স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। আর তখন মানুষ ছাড়া মানুষের জন্যে কথা বলার আর কেউ থাকেনা।।।

প্রতিবাদ শুরু হোক সবখানে।

১৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫৮

মিতাহামিদা০০৭ বলেছেন: আমি একজন নিরোপেখখো মানুষ হিসেবে বলছি -

আপনার পোস্টটি পড়ে মনে হল আপনিও কোন এক পক্ষের হয়ে কথা বলছেন -
যেমন - ,আন্দোলনের নামে যে যে ..................
কিনতু এই পেট্রোল বোমা যে সরকার আন্দোলন দমানোর জন্য করছে না , তার কি প্রমাাণ আছে ??
আর যখন গনতান্ত্রিক আধিকার শান্তিপূ্রণ সভা শমাবেশ করতে দেয়না , তখোন তো আমরাা মানব বন্ধন কোরি নাাা আমরাা? সেটা করে তীব্র প্রতিবাদ করলে হোয়ত এই মানব বন্ধন এর প্রয়োজন হোত না !
২. যাারা পুলিশের নি্রযাতনে আন্তর দগ্ধ হোয়েে মারা যযাচ্ছে তাদের কথা ত বোললেন না?? ওরা কি কোন মাায়ের সসনতান নয় ?ওদের জন্য কোন মায়ের বুক খালি হোোয় না???
বুলেটের আঘাতে ওদের কোলিজাটা ও কয়লা হোয় ! হোলুদ মিডিয়া সরকারের ভয়ে ওদের কোথা লিখে না ! কিন্তু আপনি ???????

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯

আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: দেখুন আমার পোস্টে আমি কিন্তু বলেছি যে, বিরোধীপক্ষকে রাজনীতি চর্চার অধিকার ফিরিয়ে দেয়া হোক- ক্ষমতায় বসে থাকবার জন্যে যে দমননীতি শুরু হয়েছে, সেটা বন্ধ হোক। একনায়কী মানসিকতা ত্যাগ করবার কথাও আমি বলেছি। আপনি নিশ্চই পড়ছেন। তারপরও আপনি যদি নির্দিষ্ট পক্ষের গন্ধ পান, তাহলে আমার কিছু বলার নেই, আমি দুঃখিত।


একটি বিরাট রাজনৈতিক দল তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচী পালন করতে পারছেনা- বা তাদেরকে করতে দেয়া হচ্ছেনা- এজন্য আমরা সাধারণ মানুষ মানববন্ধন করব??!! আপনি কি খুব ভেবে কথাটা বললেন?? একটা রাজনৈতিক দল তার দুঃসময়েও আন্দোলন কীভাবে চালিয়ে নেবে না যাবে, সেই স্ট্র্যাটেজি আমি-আপনি বসে ঠিক করব??!! আশ্চর্য করলেন ভাই.... :||

তাদের আন্দোলন তারা করবে, কীভাবে করবে সেটা তাদেরকে ঠিক করতে হবে। কিন্তু কোন আন্দোলনের মানেই মানুষ পোড়ানো???!

সোজা কথাটা কেন ইচ্ছা করেই বুঝতে চাইছেন না????? গণতান্ত্রিক েঅধিকারই যদি চায় কেউ, তাহলে তো তার মানুষ পোড়াবার দরকার হয়না..! পৃথিবীর ইতিহাসে নাই ক্ষমতায় যাবার জন্যে বা ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখবার জন্যে মানুষ পুড়ায়ে ফেলার কো!!! শুধু আমাদের দেশেই আছে। এখানে আমি ক্ষমতার মধ্যে এবং বাইরে- দুই দলের কথাই বলসি। আপনি কোন আশ্চর্য কারণে এক দলের গন্ধ পাচ্ছেন এখানে...যারা পুড়তেসে, তারা কোন রাজনৈতিক দলের ই না, একেবারে সাধারণ মানুষ- এটাও আমি পোস্টে বলসি- আমরা তাদের জন্যেই রাস্তায় নামতে যাচ্ছি, কারো আখের গুছায় দিতে না।
যদি এখনো মানুষকে মানুষ ভাবতে না পারেন, মানুষকে ক্ষমতায় যাবার ডাংগুলি খেলা মনে করেন, তাইলে ভাই সরি, আপনাকে বিদায়।
আপনি সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশা করি।।।

২০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬

এরশাদ বাদশা বলেছেন: পোস্ট স্টিকি করার পরও মুষ্ঠিমেয় কয়েকজন সাড়া দিলেন, এই ব্লগটার হলো কি???

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:২৪

আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: হাহাহাহাহা...

আশা করছি সবাই এফবি ইভেন্ট এ গিয়ে যোগ দেবেন এবং সঠিক সময় ও জায়গা দেখে নেবেন।।।

২১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৩৩

চাদের জোসনা বলেছেন: পাশাপাশি ভোটের অধীকার আদায়ের জন্যও উই মাষ্ট শাউট।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫

আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: :)

২২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৩৯

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: ও ভাই আঁরা চাটগাইয়া নওজওয়ান =p~

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:০৭

আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: =p~ !:#P

মানববন্ধনে দেখা হচ্ছে।।।
লেট’স শাউট..

২৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৫৭

সুপ্ত আহমেদ বলেছেন: চট্রগ্রামের ব্লগারদের এই প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ুক সারাদেশে। এই প্রতিবাদে জাগ্রত হউক প্রতিটি ব্লগার। সকলের মাঝে ফিরে আসুক শান্তি। ফিরে আসুক দেশে গনতন্ত্র।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:০৮

আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুপ্ত আহমেদ :) প্রতিবাদ হোক সবখানে।।

২৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৬

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: না! মানববন্ধনের ব্যাপারে কথা দিতে পারছিনা তবে সন্ত্রাস, নৈরাজ্যের মত দেশবিরোধী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে রূখে দাড়াতে সবসময় একটিভ আছি! উইশ ইউ অল দ্য বেস্ট।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:১১

আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.