নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রষ্টা আর তার সৃষ্টীকে ভালবাসি। অপ্রয়োজনের চেয়ে প্রয়োজনে থাকতেই স্বাছ্যন্দ্য বোধ করি। অন্যায় এবং অন্যায় কারী কে ঘৃনা করি। প্রকৃতিকে ভালবাসি আর কৃত্রিমত্তা কে অপছন্দ করি। যা আছে তাতেই সুখ খোজার চেষ্টা করি।

ডা: মেহেদী হাসান

ডা: মেহেদী হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বর্গ যেখানে নরকাবৃত (when heaven is covered by hell)

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৬



সবাই হাসি হাসি মুখে তাকে ঘিরে দাড়িয়ে আছে, কেউ কেউ বলছে পজিটিভ হলে মিষ্টি খাওয়াতে হবে। কিছুক্ষন পরেই রেজাল্ট আসল পজিটিভ।
আমার স্বাস্থ্য সহকারী এসে বলল স্যার, ওনার পি টি পজিটিভ।

আমি বেশ অবাক হয়েই মেয়েটার দিকে তাকালাম, বিশ্বাস করুন মা হওয়ার যে ফিলিংস বা অনুভূতি তার কোন কিছুই তার মধ্যে নাই। আর থাকবেই বা কি করে যে বয়সে মেয়েটার বান্ধবীদের সাথে গল্প করার কথা কিংবা পড়ার টেবিলে নতুন কোন টপিক নিয়ে কিভাবে পড়লে ভাল রেজাল্ট করা যাবে সেই চিন্তা করার কথা, সেখানে কিনা এই মেয়ে মা হতে যাচ্ছে।

মিলু(ছদ্ম নাম) ১৪ বছর বয়স, মাস দেড়েক হল বিয়ে হয়েছে। দেড় মাসের মাথায় পি টি( প্রেগনেন্সি টেস্ট) পজিটিভ, পড়শিরা সবাই যেখানে তার এই খবর শুনে মজা করছিল, আমি তার চোখে মুখে দেখতে পাচ্ছিলাম নিশ্চিত ভারী দুশ্চিন্তার ছাপ। সে নিজেও হয়ত বুঝতে পারছে না তার সাথে কি হতে যাচ্ছে।

কান, নাক ফুঁড়িয়ে হাতে চুরি পড়িয়ে দিলেই একটা মেয়ে মা হওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যায় না।মা হওয়া একটা বিশাল ব্যাপার আর তার প্রস্তুতি টাও নিতে হয় বিশাল ভাবেই।

আমাদের দেশে নাকি আইন করা হছে ১৮ বছরের নিচে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া যাবে না। তাহলে কিভাবে হাজার হাজার মেয়ের এরকম বাল্য বিবাহ হচ্ছে?এরকম ১৪-১৫ বছর বয়সী মেয়েরা মা হতে গিয়ে জীবন সংকটে পড়ছে আর দেশের মাতৃমৃত্যুর হার বাড়ছে।


তাকে সামান্য প্রাইমারী ট্রিটমেন্ট দিতে গিয়েও যখন দেখলাম তার হাজবেন্ড এর কাছ থেকে ৫০ টাকা নিতে পারছিল না, তখন তো আর বুঝতে বাকী রইল না যে নিশ্চিত করেই তার বাচ্চা ডেলিভারি হওয়ার সময়ও কোন রকম আর্থিক সাপোর্ট দেয়া তার পক্ষে সম্ভব হবে না। যার ফলস্বরুপ কোন এক খবরের কাগজে আরেকটি শিরোনাম হবে "সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে গৃহবধূর মৃত্যু"


সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে এই মিলুর ছোট বোনেরও নাকি এঙ্গেজমেন্ট হয়ে আছে এ মাসের শেষের দিকে বিয়ে।


আইনের যদি প্রয়োগই না থাকে, কি লাভ সেই আইন করে?? কোন একজন বলেছিল যে, নতুন নতুন আইন বের হয় কেবল প্রশাসনের লোকজন এর পকেট ভারী করার জন্যই।

বাংলাদেশে ক'টা শারমিন আছে যারা কিনা তাদের বাবা মায়ের মতের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে তাদের বাল্য বিবাহ ঠেকাতে পারে??
ক'টা শারমিন আছে, যার কিনা নিজেদের পরিবারের কাছে তাদের মনের কথা গুলো খুলে বলতে পারে??

প্রসাশন, আইন, পত্র পত্রিকা এ গুলো কি শুধু ঘটনা ঘটার পরে তার ফলাফল সবাইকে জানানোর জন্যই, নাকি ঘটনা সমূহ ঘটার পূর্বেও তাদের কোন দায়িত্ববোধ আছে প্রশ্ন রইল আপনাদের কাছেই!!

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


মনে হয়, বাংগালীদের যৌবন আগে এসে যায়, আগে আগেই ঘর বাঁধে?

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২০

ডা: মেহেদী হাসান বলেছেন: যৌবনের মত যদি দায়িত্ববোধ টাও আসত!!

২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৯

কানিজ রিনা বলেছেন: আমাদের দেশে শিক্ষিত অশিক্ষিত কেউ
আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৮

ডা: মেহেদী হাসান বলেছেন: আইন ভাঙ্গার খেলায় বোধ করি শিক্ষিতরাই এগিয়ে.।!

৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৫

কবি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেছেন: সহমত

৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৪

তারেক ফাহিম বলেছেন: ছদ্ম নাম মিলু, তাহলে শারমিন কে??
মিলু কী শারমিনের বর??

অাপনার লিখা পড়ে আবারও বলতে ইচ্ছে করে স্বদেশের আইনের পাতা ভারি,
কিন্তু প্রয়োগ হচ্ছে না তা জানি।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৩

ডা: মেহেদী হাসান বলেছেন: শারমিন পত্রিকার পাতার একটি শিরোনাম যে কিনা তার বাল্য বিবাহ ঠেকাতে পেরেছিল.!!
তাই তাকে টেনে আনলাম।

৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: পরিবার গুলোর মাঝে সচেতনতা বাড়াতে হবে ।বাচ্চা মেয়েদের বাবা মা এর বিরুদ্ধে যাওয়ার সাহসিকতা থাকে না ।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৬

ডা: মেহেদী হাসান বলেছেন: মিলুর সবচেয়ে বড় যে প্রতিবন্ধকতাটি ছিল তা হচ্ছে দারিদ্রতা। আমাদের প্রান্তিক পর্যায়ের অধিকাংশ বাবা মায়েরাই দায়িত্ব শেষ করার জন্য তাদের মেয়েদের বলি দেয়।
আর সে সাথে দারিদ্রতা তাদের প্রভাবিত করে.।

৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কাজীর গরু কিতাবে আছে, গোয়ালে নাই।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৭

ডা: মেহেদী হাসান বলেছেন: ঠিক বলেছে, বস্তুতপক্ষে আপনার কথার প্রতিফলনই আমরা চারপাশে বেশি দেখতে পাই.।!!

৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৮

মলাসইলমুইনা বলেছেন: দেশের ইকোনোমি ঠিক করতে না পারলে এই ধরণের ঘটনা আইন করে বন্ধ করা কঠিন, হয়তো অনেকটা অসম্ভবও |

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩১

ডা: মেহেদী হাসান বলেছেন: এক্সাক্টলি আমি ঠিক এ ব্যপার টাই মিন করছিলাম। প্রান্তিক পর্যায়ের ইকোনোমি আর সোসিয়ো ইকোনোমিক কান্ডিশন ইজ বিকামিং ওরজ দিজ ডেইজ.!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.