নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রষ্টা আর তার সৃষ্টীকে ভালবাসি। অপ্রয়োজনের চেয়ে প্রয়োজনে থাকতেই স্বাছ্যন্দ্য বোধ করি। অন্যায় এবং অন্যায় কারী কে ঘৃনা করি। প্রকৃতিকে ভালবাসি আর কৃত্রিমত্তা কে অপছন্দ করি। যা আছে তাতেই সুখ খোজার চেষ্টা করি।

ডা: মেহেদী হাসান

ডা: মেহেদী হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আরটি-পিসিআর নাকি র‍্যাপিড এন্টিজেন নাকি এন্টিবডি টেস্ট? কাদের কখন কোন টেস্ট করা উচিৎ?

০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৫০




আরটি-পিসিআরঃ আরটি-পিসিআর এর সম্পূর্ন মানে হল রিভার্স ট্রান্সক্রিপশান পলিমারেইজ চেইন রিয়েকশান যাকে ভাইরাল আরএনএ ডিটেক্ট করার জন্য গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। এই টেস্ট খুবই সঠিক এবং কার্যকরী। এই টেস্ট কোন ব্যাক্তি কোভিড ১৯ ভাইরাস এ আক্রান্ত হয়ে সংক্রামক হওয়ার পুর্বেই ফলাফল জানিয়ে দিতে পারে যা আগেভাগেই আইসোলেটেড হতে এবং সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। যাদের মধ্যে ভাইরাসের উপস্থিতি নেই তাদের শনাক্ত করতে পারার ক্ষমতা এই টেস্ট এর প্রায় শত ভাগ, আর যাদের মধ্যে ভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে তাদের সঠিকভাবে শনাক্ত করার ক্ষমতা শতকরা ৭০ ভাগের কাছাকাছি। অর্থাৎ যারা প্রকৃত পক্ষে নেগেটিভ তাদের প্রায় শতভাগ সঠিক ভাবে শনাক্ত করতে পারলেও যারা প্রকৃতপক্ষে পজিটিভ তাদের ক্ষেত্রে ৩০ ভাগ পর্যন্ত ভুল ফলাফল দেবার সম্ভাবনাও রয়েছে।
তবে এ ক্ষেত্রে স্যাম্পল যিনি কালেক্ট করছেন তার কর্মদক্ষতার উপরও কিছু বিষয় নির্ভর করে, অনেক সময় স্বাস্থ্য কর্মীদের দের অদক্ষতার জন্যও ফলাফল ভুল হতে পারে। আরটি-পিসিআর এর সবচেয়ে ভাল দিক হল আক্রান্ত ব্যাক্তির শরীরে সিম্পটম প্রকাশ পাওয়ার পূর্বেই এটি ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করতে সক্ষম। নাক থেকে বা এবং গলা থেকে এই টেস্ট এর জন্য স্যাম্পল কালেক্ট করা হয়। আরটি-পিসিআর টেস্ট এর জন্য ল্যাবরেটরি সেটাপ প্রয়োজন এবং এই টেস্ট এর ফলাফল পেতে অপেক্ষা করতে হতে পারে ২-৫ দিন পর্যন্ত।

র‍্যাপিড এন্টিজেন টেস্টঃ মানুষের শরীরে যখন কোভিড ১৯ এর উপসর্গ প্রকাশ পায় তখন এই টেস্ট করলে ভাল ফল দেয়। নাক থেকে বা কোন কোন সময় গলা থেকে এই টেস্ট এর জন্য স্যাম্পল কালেক্ট করা হয়। র‍্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট খুবই চটজলদি করা যায়, এর ফলাফল ১৫-৩০ মিনিটের মধ্যেই পাওয়া যায়। এই টেস্ট এর মাধ্যমে শরীরের ভাইরাল প্রোটিন এর উপস্থিতি আছে কিনা সেটি যাচাই করা হয়। তাই কোন ব্যাক্তি আক্রান্ত হয়ে যখন অলরেডি সংক্রামক কিংবা উপসর্গ প্রকাশমান থাকে তখনই কেবল এটি ভাইরাসের উপস্থিতি যাচাই করতে সক্ষম। এই টেস্ট এর একটি বড় চ্যালেঞ্জ হল এটি আরটি পিসিআর টেস্ট এর সমান নির্ভুল রেজাল্ট দিতে পারে না।
র‍্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট এ নেগেটিভ আসা মানেই আপনি পুরোপুরি কোভিড ১৯ ভাইরাস থেকে মুক্ত সে কথা বলা যাবে না, তাই চিকিৎসকগন র‍্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট এর রেজাল্ট নেগেটিভ আসলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুনরায় আরটি-পিসিআর এ টেস্ট করবার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এই টেস্ট এর জন্য প্রফেশনাল হ্যান্ড এর প্রয়োজন নাও হতে পারে, কেউ চাইলে বাসায় বসে নিজে নিজেই এই টেস্ট করে নিতে পারেন।

এন্টিবডি টেস্টঃ এই টেস্ট এর মাধ্যমে মানুষের শরীরে কোভিড ১৯ ভাইরাসের বিরুদ্ধে এন্টিবডি আছে কিনা তা যাচাই করা হয়। কোন স্পেসিফিক ভাইরাস বা অর্গানিসমের বিরুদ্ধে শরীরে কেবল তখনই এন্টিবডি তৈরী হয় যখন ইতিপূর্বে এই ভাইরাস বা অর্গানিসম দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে। যারা কোভিড ১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আবার নিজে নিজেই সেরে উঠেছেন তাদের ক্ষেত্রে এই টেস্ট এর মাধ্যমে জানা যাবে তারা ইতিপূর্বে আক্রান্ত হয়েছে কিনা এবং তাদের শরীরের এই ভাইরাসের এন্টিবডি উপস্থিত আছে কিনা। তবে মনে রাখা জরূরী এই টেস্ট এর মাধ্যমে আক্রান্ত ব্যাক্তি সংক্রামক কি সংক্রামক নন তা জানা যাবে না, কেবল মাত্র নির্দিষ্ট জীবানুর এন্টিবডি শরীরে রয়েছে কিনা সেটি জানা যাবে।

©মেহেদী হাসান

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৩৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
করোনার সিমটম দেখাদিলে বাসায়ই ডাক্তারের পরামর্শে চিকিৎসা শুরু করে দেয়া উচিত। শুধু টেষ্ট করতে হাসপাতালে যাওয়ার দরকার নেই। অক্সিজেন বিপদ লেভেল না কমা পর্যন্ত হাসপাতালে যাওয়ার দরকার নেই।
অযথা হাসপাতাল টু হাসপাতাল হাটাহাটি করে বার বার নাকে গুতাগুতি করে করোনা আরো ছড়ায়, সাথে আরো বিভিন্ন রোগ ঘরে নিয়ে আসে। বর্তমানে বেশী মারা যাচ্ছে আফটার কভিড।
করোনা নেগেটিভ আসার পর ক্ষত ফুসফুসে বেক্টেরিয়া সংক্রমনে বেশী মারা যাচ্ছে।

০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৩৫

ডা: মেহেদী হাসান বলেছেন: তা ঠিক বলেছেন বটে তবে অনেকেই পজিটিভ কি নেগেটিভ এ নিয়ে ভীষণ দুশ্চিন্তায় ভোগেন আর তাছাড়া ভালনারেবল কেউ বাসায় থাকলে তো আগেভাগে নিশ্চিত হও্যাই ভালো। তাই টেস্ট করিয়ে নিলে কিছুটা ভেবে চিনতে সিন্ধান্ত নেওয়া যায়।

২| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:২৭

রুদ্র নাহিদ বলেছেন: জানতে চাওয়া। একজন কোভিড রোগীর এখন প্রায় সুস্থ, ১২/১৩ দিন হচ্ছে এখন কোন সময় আবার টেষ্ট করালে ভালো হবে? একজন বললো ১৪ দিন যাবার পর আর আইসোলেশনে থাকার দরকার নাই। টেষ্ট করে পজিটিভ দেখালেও নাকি সে নেগেটিভ। এই ব্যাপারটা বুঝতে পারছি না।

০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৩৩

ডা: মেহেদী হাসান বলেছেন: @ রুদ্র নাহিদ খুবই গুরুত্বপূর্ন একটিপ্রশ্ন করেছেন। ক্লিনিক্যালি সাধারনত সুস্থ হওয়া অর্থাৎ সকল প্রকার উপসর্গ থেকে মুক্ত হওয়ার ১০ দিন পরে কোভিড আক্রান্ত ব্যাক্তি আর সংক্রামক থাকেন না। তাই বেস্ট প্রাক্টিস হলো সুস্থ হবার ১০ দিন পর তিনি স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারবেন, আর আইসোলেশনে থাকবার প্রয়োজন নেই। এই কারনেই বলা হয় টেস্ট করে পজিটিভ দেখালেও সে নেগেটভ যেহেতু সে আর সংক্রামক থাকছেন না, তাই তার কাছ থেকে অন্য কেও আক্রান্ত হবার ভয় নেই। তবে একথা মাথায় রাখা জরুরী যে এখন একবার কোভিডাক্রান্ত ব্যাক্তি ২য় বার কোন কোন ক্ষেত্রে ৩য় বারও আক্রান্ত হচ্ছেন তাই টিকা নেও্য়া এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার বিকপ্লপ নেই।

ধন্যবাদ।

৩| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:২৮

আমি তুমি আমরা বলেছেন: জেনে ভাল লাগল। প্লাস এবং প্রিয়তে। :)

০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৩৬

ডা: মেহেদী হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.