নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার সম্পর্কে কিছু জানার আগে পৃথিবী সম্পর্কে জানুন,আমাকে জেনে নিতে পারবেন। আমি এ পৃথিবীরই ক্ষুদ্র উপাদান!

ইগোযুক্ত কিংকর্তব্যবিমূঢ়

অতি সাধারণ অথচ ভীষণ রকমের আত্মহংকারী।।

ইগোযুক্ত কিংকর্তব্যবিমূঢ় › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসমাপ্ত গল্পের "সমাপ্তিহীন বাঁধা"!!

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩৫

দিনটা ছিলো বুধবার....
ছেলেটি ঘুমুচ্ছে মধ্যদুপুর অবধি!! কাজ নেই তার আজ কিছু...তাই আজকের মাধ্যমেই বিগত সপ্তাহের সকল নির্ঘুমতাকে পুষিয়ে নেয়ার 'আপেক্ষিক' চেষ্টা করছে..।।

ঘড়িতে তখন দুপুর ১২:৩৩... কলিংবেলের তিন-দুয়েক শব্দে ঘুম ভাঙ্গলো।। বুয়া আসছে দুপুরের জন্য রাঁধবে বলে...।। আকাশস্পর্শী বিরক্ত নিয়ে ছেলেটা গিয়ে দরজা খোলে দিলো।।
ময়লা কাপড়-চোপড়ের পরিমান কম নয় রুমে..অগুলো যে ধুতে হবে সেটা ভুলেই গেছিলো ছেলটি !!
অগুলো দেখে ছেলেটির বিরক্তের পরিমান আকাশস্পর্শী থেকে সাগরতল পর্যন্ত গড়ালো..!!
যাহোক,কাপড়-চোপড় ধোয়া এবং গোসলকাজ সম্পন্ন হলো ঘন্টা হাফেক এর মধ্যেই!!
ফ্রেশ হয়ে যখনি কিছু খাওয়ার জন্য কিচেনে ঢুঁ মেরে দেখলো বুয়া এখনো রাঁধছে এবং কফির কৌটাটি খালি তখন বিরক্তির পরিমান "পুরো পৃথিবীসম" হয়ে দাঁড়ালো!!

তড়িঘড়ি করেই ছেলেটি টি-শার্ট এবং ত্রি-কোয়ার্টার পড়েই চার তলা থেকে নেমেই হাজির হলো চিরপরিচিত "মামার চায়ের টংগে"..

মধ্য দুপুর গল্প কথায় মানুষজন হাঁটছে..পাশেরর মন্ডবে চলছে পুজো...ঢাক-ঢোলের সাথে গাড়ির হরনের শব্দের এক অদ্ভুত রসায়ন খোঁজে পাচ্ছিল ছেলেটি..!!

ফুটপাথের পাশে দাড়িয়ে চায়ের কাপ হাতে নিল
ছেলেটি ...
চশমার ভেতর থেকে দৃষ্টি তবু রাস্তার দিকে আর মন্ডপে আসা মানুষদের দিকে..
ক্রমশ আকাশি-নীল টি-শার্ট ব্লু-জিনস ত্রি-কোয়ার্টার পড়া ছেলেটির মধ্যে একটা নতুন অভিব্যাক্তির সৃষ্টি হচ্ছিলো!!
কে একজন যেনো মন্ডপের দিক থেকে এদিকে আসছে...
ঠোঁটে চায়ের চুমুক দেয়া এখনো হয়নি..!!
যে আসছিল সে ছেলেটির খুব যে প্রিয় কেউ তা বুঝার বাকি রইলো না..আর ঐ মানুষটা যখন ছেলেটির বিপরীত লিঙের তখন তো ভাবার কারন নেই কতটা স্পেশাল কিছু ছেলেটির কাছে আসছে!!

মেয়েটি কাছে আসলো..অনেকটা অপ্রত্যাশিত ভাবেই চিনে ফেললো ছেলেটাকে এবং জানতে চাইল
"কেমন আছো ...."??
মিনিট হাফেক ছেলেটি যেনো হারিয়ে গিয়েছিল অন্যকোন জগতে..!!
"রুহেল তুমি ঠিক আছো তো??"
-মেয়েটির কথায় অনেকটা চমকেই ঊঠলো ছেলেটা!!
"ইয়ে মানে.. আমি ঠিক আমি ঠি....ক" (ছেলেটি তোতলাচ্ছে!)
-"এই তোমার এই তোতলানো এখনও যায়নি"
এই বলে মেয়েটি যে মৃদু হাসি দিলো তাতেই যে ছেলেটি ফিরে গেলো সেই প্রথম দেখার দিনে..!!
এই মিস্টি হাসি দেখেই যে ছেলেটি পড়েছিলো ঐ মেয়ের প্রেমে..।।

প্রেমপ্রস্তাবও দেয়া হয়েছিল.. কিন্ত হয়নি প্রেম!!
হবেইবা কিভাবে?? হওয়া যে এই সমাজে পাপ!!

বাঁধা কিন্তু একটাই মেয়েটির যাওয়া লাগে মন্দির কিংবা মন্ডপে...আর ছেলেটির যাওয়া লাগে মসজিদ কিংবা মাজারে!!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.